পরিচ্ছেদঃ ৪৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভয়কালীন সালাত

১৪২৪-[৫] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’বাতনে নাখল’ যুদ্ধে লোকজন নিয়ে ভীতি অবস্থায় যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তিনি একদল নিয়ে দু’ রাক্’আত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। এরপর দ্বিতীয় দল আসলো। তিনি তাদেরকে নিয়েও দু’ রাক্’আত আদায় করলেন। তারপর সালাম ফিরালেন। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

عَنْ جَابِرٌ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ صَلَاةَ الظُّهْرِ فِي الْخَوْف بِبَطن نخل فَصَلَّى بِطَائِفَةٍ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ ثُمَّ جَاءَ طَائِفَةٌ أُخْرَى فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ. رَوَاهُ فِي «شرح السّنة»

عن جابر: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يصلي بالناس صلاة الظهر في الخوف ببطن نخل فصلى بطاىفة ركعتين ثم سلم ثم جاء طاىفة اخرى فصلى بهم ركعتين ثم سلم. رواه في «شرح السنة»

ব্যাখ্যা: بِبَطْنِ نَخْل (বাত্বনে নাখল) স্থান যা মদীনাহ্ হতে দু’দিনের বস্তার সমপরিমাণ দূরে। আর এটা একটি উপত্যকা যার নাম ‘সাদখ’ যেখানে অনেক গোত্র রয়েছে যেমন ক্বায়স। বানী ফাযারাহ্, আশাজ, ও আন্মার গোত্র। আর ইবনু হাজার বলেন, এটা মক্কা ও ত্বায়িফের মধ্যবর্তী স্থান। হাদীস প্রমাণ করে নগরীতেও ভয়কালীন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শারী‘আত সম্মত।

(فَصَلّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ) তিনি এক দলকে নিয়ে দু’ রাক্‘আত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। এটা সুস্পষ্ট প্রমাণ করে দু’ রাক্‘আতে সালাম ফিরাতেন অনুরূপ হাদীস ইতিপূর্বে গেছে আবূ বাকরাহ্-এর হাদীস যা আবূ দাঊদ ও নাসায়ীতে এসেছে।

(ثُمَّ جَاءَ طَائِفَةٌ أُخْرى فَصَلّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ سَلَّمَ) অতঃপর দ্বিতীয় দল আসলো এবং তিনি তাদের নিয়ে দু’ রাক্‘আত আদায় করলেন এবং সালাম ফিরালেন। সুতরাং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য চার রাক্‘আত ছিল দু’সালামের ফরয ও নফল হিসেবে আর প্রত্যেক দলের জন্য ছিল দু’ দু’ রাক্‘আত করে ফরয। এটা হাসান বসরী, শাফি‘ঈ ও আহমাদ-এর অভিমত। মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেন, শাফি‘ঈ মাযহাবের দাবি অনুযায়ী হাদীসের ভাষ্যে কোন দ্বন্দ্ব না। আর ইমাম ত্বহাবী বলেন, সে সময় একই ফরয সালাত একাধিক বার পড়া জায়িয ছিল।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة) 4. Prayer