পরিচ্ছেদঃ ১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হায়য-এর বর্ণনা
৫৫৫-[১১] যায়দ ইবনু আসলাম (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, আমার স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তার সাথে কী কী করা (যৌনতৃপ্তি মেটানো) হালাল? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার পরনের পায়জামা শক্তভাবে বাঁধবে। তারপর এর উপরের দিকে যা ইচ্ছা করবে। (মালিক ও দারিমী মুরসাল বলেছেন)[1]
عَن زيد بن أسلم قَالَ: أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا يَحِلُّ لِي مِنَ امْرَأَتِي وَهِيَ حَائِضٌ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَشُدُّ عَلَيْهَا إِزَارَهَا ثُمَّ شَأْنُكَ بِأَعْلَاهَا» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَالدَّارِمِيُّ مُرْسلا
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায়, স্ত্রীর হায়য অবস্থায় লুঙ্গির বা কাপড়ের উপর যা ইচ্ছা করতে পারে।
পরিচ্ছেদঃ ১২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হায়য-এর বর্ণনা
৫৫৬-[১২] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আমি ঋতুবতী হতাম, বিছানা হতে সরে চাটাইতে নেমে আসতাম। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে আসতেন না এবং আমরাও (বিবিগণও) পাক-পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাঁর কাছে যেতাম না (মেলামেশা করতাম না)। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كُنْتُ إِذَا حِضْتُ نَزَلْتُ عَن الْمِثَال على الْحَصِير فَلم نقرب رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ ندن مِنْهُ حَتَّى نطهر. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস পূর্বের সকল হাদীসের বিপরীত। সম্ভবত হাদীসটি রহিত হয়ে গেছে। অথবা হাদীসে বলা হয়েছে যে, ‘আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যেতাম না’-এর অর্থ মিলনে লিপ্ত হতাম না। যেমন আল্লাহ তা‘আলা আল কুরআনে বলেনঃ ‘‘তোমরা (হায়য অবস্থায়) তাদের (স্ত্রীদের) কাছে যেয়ো না যতক্ষণ না পবিত্র হয়।’’ (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ২২২)