পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৯২-[১২] সাওবান (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (হে মু’মিনগণ!) তোমরা দীনের উপর যথাযথভাবে অটল থাকবে। অবশ্য তোমরা সকল (কাজ) যথাযথভাবে করতে পারবে না, তবে মনে রাখবে তোমাদের সকল কাজের মধ্যে সালাতই হচ্ছে সর্বোত্তম। আর উযূ (ওযু/ওজু/অজু)-র সব নিয়ম-কানুনের প্রতি মু’মিন ব্যতীত অন্য কেউ লক্ষ্য রাখে না। (মুয়াত্ত্বা মালিক, আহমাদ, ইবনু মাজাহ্ ও দারিমী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ

عَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلَاةُ وَلَا يُحَافِظُ عَلَى الْوُضُوءِ إِلَّا مُؤْمِنٌ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ

عن ثوبان قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «استقيموا ولن تحصوا واعلموا ان خير اعمالكم الصلاة ولا يحافظ على الوضوء الا مومن» . رواه مالك واحمد وابن ماجه والدارمي

ব্যাখ্যা: হাদীসটি থেকে বুঝা যায়, সকল নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থেকে, সকল নির্দেশ পালনের মাধ্যমে এবং সত্যের অনুসরণ ও সঠিক পথকে আঁকড়িয়ে ধরে ইসলামের ওপর অটল থাকতে হবে। তবে ওটা এমন এক পবিত্র আলো যার দ্বারা কারো অন্তর আলোকিত হলে সে সমস্ত মানবিক অন্যায় থেকে মুক্ত থাকবে এবং আল্লাহ যাকে তাঁর তরফ থেকে শক্তিশালী করবেন সে কেবল সঠিক পথের উপর অবিচল থাকতে পারবে আর তার সংখ্যায় কম। তবে বিষয়টি কঠিন হওয়ার দরুন তার প্রতি উদাসীন হয়ে থাকা অথবা ব্যক্তি যে অবস্থায় বর্তমান তার উপর ভরসা করে বসে থাকা কিংবা অক্ষমতা ও অনিচ্ছাবশত ‘আমলে ঘাটতি হওয়াতে সঠিক পথের উপর অবিচল থাকা হতে নিরাশ হয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। বরং সঠিক পথের উপর অবিচল থাকার সহজ একটি উপায় হচ্ছে বিভিন্ন রকম ‘ইবাদাত করতে থাকা; ক্বিরাআত (কিরআত), তাসবীহ, তাহলীল, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অব্যাহত রাখা। সালাত নষ্টকারী কথা হতে বিরত থাকা। এমন এক বৈশিষ্টপূর্ণ ও সর্বাধিক প্রসিদ্ধ ‘ইবাদাতকে আঁকড়িয়ে ধরতে হবে। বিশেষ করে এ সালাতের পূর্বশর্ত উযূর প্রতি সতর্ক থাকতে হবে।

এ হাদীসে উল্লিখিত সালাত দ্বারা গোপনীয় বিষয়ের পবিত্রতা বুঝানো হয়েছে। কেননা সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) অশ্লীল ও অসমীচীন কাজ থেকে বাধা দেয়। পক্ষান্তরে উযূ (ওযু/ওজু/অজু) বাহ্যিক বিষয়াবলীকে পবিত্র করে। উল্লেখ্য যে, সর্বোত্তম ‘আমল সম্পর্কে বৈপরীত্যপূর্ণ অনেক হাদীস এসেছে। সুতরাং হাদীসটির সামঞ্জস্যতা প্রয়োজন। অন্যান্য হাদীসের সাথে এ হাদীসের সামঞ্জস্য এভাবে যে, এ হাদীসে উল্লিখিত خَيْرَ أَعْمَالِكُمْ -কে مِنْ خَيْرَ أَعْمَالِكُمْ অর্থে ব্যবহার করতে হবে। এমনিভাবে হাদীসের শেষ অংশে মু’মিন বলতে পূর্ণ মু’মিনকে বুঝানো হয়েছে। পরিশেষে এক কথায় বলা যায়, একজন মু’মিন ব্যক্তিকে সঠিক পথের উপর অবিচল থাকার সর্বাধিক সহজ উপায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সংরক্ষণ করা এবং এ সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) কে সংরক্ষণ করতে হলে এর পূর্বশর্ত উযূ (ওযু/ওজু/অজু) কে সংরক্ষণ করতে হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২৯৩-[১৩] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযূ (ওযু/ওজু/অজু) থাকতে উযূ করে তার জন্য (অতিরিক্ত) দশটি নেকী রয়েছে। (তিরমিযী)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِيْ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَوَضَّأَ عَلَى طُهْرٍ كُتِبَ لَهُ عَشْرُ حَسَنَاتٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ

وعن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من توضا على طهر كتب له عشر حسنات» . رواه الترمذي

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩: পাক-পবিত্রতা (كتاب الطهارة) 3. Purification
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে