পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৭৯-(৮০/২৪৩৯) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু ’আলা (রহঃ) এর মাধ্যমে আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমায় বলেছেনঃ আমি কিন্তু আঁচ করতে পারি তুমি কখন আমার উপর সম্ভষ্ট থাকো, আর কখন আমার উপর ক্রোধাম্বিত হও। আমি বললাম, কিসের মাধ্যমে এটা বুঝতে পারেন? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যখন তুমি আমার উপর সম্ভষ্ট থাকো তখন তুমি বলে থাকো- না, মুহাম্মাদের প্রতিপালকের শপথ। আর যখন তুমি রাগাম্বিত হও তখন বলো- না, ইবরাহীমের প্রতিপালকের শপথ। আমি বললাম, হ্যাঁ আল্লাহর শপথ! হে আল্লাহর রসূল! আপনার নামটা শুধু বাদ দেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৬৭, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৪)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ وَجَدْتُ فِي كِتَابِي عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَعْلَمُ إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً وَإِذَا كُنْتِ عَلَىَّ غَضْبَى " . قَالَتْ فَقُلْتُ وَمِنْ أَيْنَ تَعْرِفُ ذَلِكَ قَالَ " أَمَّا إِذَا كُنْتِ عَنِّي رَاضِيَةً فَإِنَّكِ تَقُولِينَ لاَ وَرَبِّ مُحَمَّدٍ وَإِذَا كُنْتِ غَضْبَى قُلْتِ لاَ وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ " . قَالَتْ قُلْتُ أَجَلْ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَهْجُرُ إِلاَّ اسْمَكَ .
'A'isha reported:
Allah's Messenger (ﷺ) said to me: I can well discern when you are pleased with me and when you are annoyed with me. I said: How do you discern it? Thereupon be said: When you are pleased with me you say;" No, by the Lord of Muhammad," and when you are annoyed with me, you say:" No, by the Lord of Ibrahim." I said: Allah's Messenger, by Allah, I in fact leave your name (when I am annoyed with you).
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৮০-(.../...) ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) এর উপরোক্ত সূত্রে "না, ইবরাহীমের প্রতিপালকের শপথ" বাক্য পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন। অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৬৮, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৫)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ إِلَى قَوْلِهِ لاَ وَرَبِّ إِبْرَاهِيمَ . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
This hadith has been reported on the authority of Hishim b. 'Urwa with the same chain of transmitters up to the words:
" No, by the Lord of Ibrahim," and he did not make mention of what follows subsequently.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৮১-(৮১/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পুতুল নিয়ে খেলা করতেন। তিনি বলেন, তখন আমার নিকট আমার সঙ্গীরা আসতো। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখে আড়ালে যেতো। আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে আমার নিকট পাঠিয়ে দিতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৬৯, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৬)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا كَانَتْ تَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ وَكَانَتْ تَأْتِينِي صَوَاحِبِي فَكُنَّ يَنْقَمِعْنَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُسَرِّبُهُنَّ إِلَىَّ .
'A'isha reported that she used to play with dolls in the presence of Allah's Messenger (ﷺ) and when her playmates came to her they left (the house) because they felt shy of Allah's Messenger (ﷺ), whereas Allah's Messenger (ﷺ) sent them to her.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৮২-(.../...) আবূ কুরায়ব, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) হতে উপরোক্ত সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন। জারীর-এর হাদীসে রয়েছে, "আমি কন্যাদের নিয়ে তাঁর গৃহে খেলা করতাম, আর কন্যার অর্থ হলো খেলনা।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৭০, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৭)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنَاهُ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي حَدِيثِ جَرِيرٍ كُنْتُ أَلْعَبُ بِالْبَنَاتِ فِي بَيْتِهِ وَهُنَّ اللُّعَبُ .
This hadith has been narrated on the authority of Hisham with the same chain of transmitters with a slight variation of wording.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৮৩-(৮২/২৪৪১) আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। লোকেরা হাদিয়াসমূহ পাঠানোর জন্য আয়িশাহ (রাযিঃ) এর পালার প্রতীক্ষা করতো। যেদিন আয়িশাহ (রাযিঃ) এর পালা হতো সেদিন তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সম্ভষ্ট করার জন্য উপহার প্রেরণ করতো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৭১, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৮)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
'A'isha reported that people sent their gifts when it was the turn of 'A'isha seeking thereby the pleasure of Allah's Messenger (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬১৮৪-(৮৩/২৪৪২) হাসান ইবনু ’আলী আল হুলওয়ানী, আবূ বকর ইবনু নাযর ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) তারা মুহাম্মাদ ইবনু ’আব্দুর রহমানের মাধ্যমে ..... নবী সহধর্মিণী আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, নবী সহধর্মিণীগণ রসূল কন্যা ফাতিমাহকে তার নিকট প্রেরণ করলেন। সে এসে অনুমতি প্রার্থনা করল। তখন তিনি আমার চাদর গায়ে আমার সাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করলেন। ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন, আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তারা আপনার ন্যায়-বিচার চান। আমি চুপ করে রইলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ হে আদরের কন্যা! আমি যা ভালবাসি, তা-কি তুমি ভালবাসো না? সে বললেন, হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে একে ভালোবাসো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ কথা শুনে ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের নিকট ফিরে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তিনি যা বলেছেন, আর তিনি তাকে যা উত্তর দিয়েছেন তা তাদেরকে বললেন।
সহধর্মিণীগণ বললেন, তুমি আমাদের কোন লাভ করতে পারলে না। তুমি পুনরায় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে তাকে বলো, আপনার স্ত্রীগণ আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে আপনার নিকট সুবিচার চাচ্ছেন। ফাতিমাহ (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর শপথ! আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর ব্যাপারে আমি কোন দিন কথা বলতে যাব না। তারপর রসূল সহধর্মিণীগণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী যাইনাবকে তার নিকট প্রেরণ করলেন। তিনিই ছিলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আমার সমমর্যাদার অধিকারিণী। যাইনাবের চেয়ে দীনদার, আল্লাহভীরু, সত্যভাষিণী, মায়াময়ী, দানশীলা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে ও দান-খয়রাতের জন্যে নিজেকে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করার ন্যায় কোন নারী আমি দেখিনি। তবে তার মাঝে শুধু একটা ক্ষিপ্ততা ছিল, তবে তিনি খুব দ্রুত ঠাণ্ডাও হয়ে যেতেন।
তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অনুমতি প্রার্থনা করলেন। আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর সাথে চাদরে ঢাকা থাকাবস্থায়ই অনুমতি দিলেন, যে অবস্থায় ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) তার নিকট এসে ছিল। তখন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার স্ত্রীগণ আমাকে পাঠিয়েছেন। আবূ কুহাফার কন্যার সম্বন্ধে তারা আপনার সুবিচার প্রার্থনা করেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, তারপর তিনি আমার সম্পর্কে মন্তব্য করতে লাগলেন এবং বড় বড় কতক কথা শুনালেন। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চোখের দিকে দেখছিলাম, তিনি আমায় কিছু বলার অনুমতি দেবেন কি-না? আমি বুঝতে পারলাম যে, যাইনাবের কথার জবাব দিলে তিনি কিছু মনে করবেন না। তখন আমিও তার উপর কথা বলতে লাগলাম এবং অল্প সময়ের মাঝে তাকে নিশ্চুপ করিয়ে দিলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে বললেনঃ এটা তো আবূ বকরের কন্যা। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৭২, ইসলামিক সেন্টার ৬১০৯)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ قَالَ عَبْدٌ حَدَّثَنِي وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَاطِمَةَ بِنْتَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَيْهِ وَهُوَ مُضْطَجِعٌ مَعِي فِي مِرْطِي فَأَذِنَ لَهَا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ وَأَنَا سَاكِتَةٌ - قَالَتْ - فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَىْ بُنَيَّةُ أَلَسْتِ تُحِبِّينَ مَا أُحِبُّ " . فَقَالَتْ بَلَى . قَالَ " فَأَحِبِّي هَذِهِ " . قَالَتْ فَقَامَتْ فَاطِمَةُ حِينَ سَمِعَتْ ذَلِكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَجَعَتْ إِلَى أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَتْهُنَّ بِالَّذِي قَالَتْ وَبِالَّذِي قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْنَ لَهَا مَا نُرَاكِ أَغْنَيْتِ عَنَّا مِنْ شَىْءٍ فَارْجِعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولِي لَهُ إِنَّ أَزْوَاجَكَ يَنْشُدْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . فَقَالَتْ فَاطِمَةُ وَاللَّهِ لاَ أُكَلِّمُهُ فِيهَا أَبَدًا . قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ الَّتِي كَانَتْ تُسَامِينِي مِنْهُنَّ فِي الْمَنْزِلَةِ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ أَرَ امْرَأَةً قَطُّ خَيْرًا فِي الدِّينِ مِنْ زَيْنَبَ وَأَتْقَى لِلَّهِ وَأَصْدَقَ حَدِيثًا وَأَوْصَلَ لِلرَّحِمِ وَأَعْظَمَ صَدَقَةً وَأَشَدَّ ابْتِذَالاً لِنَفْسِهَا فِي الْعَمَلِ الَّذِي تَصَدَّقُ بِهِ وَتَقَرَّبُ بِهِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى مَا عَدَا سَوْرَةً مِنْ حَدٍّ كَانَتْ فِيهَا تُسْرِعُ مِنْهَا الْفَيْئَةَ قَالَتْ فَاسْتَأْذَنَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَعَ عَائِشَةَ فِي مِرْطِهَا عَلَى الْحَالَةِ الَّتِي دَخَلَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا وَهُوَ بِهَا فَأَذِنَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَزْوَاجَكَ أَرْسَلْنَنِي إِلَيْكَ يَسْأَلْنَكَ الْعَدْلَ فِي ابْنَةِ أَبِي قُحَافَةَ . قَالَتْ ثُمَّ وَقَعَتْ بِي فَاسْتَطَالَتْ عَلَىَّ وَأَنَا أَرْقُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَرْقُبُ طَرْفَهُ هَلْ يَأْذَنُ لِي فِيهَا - قَالَتْ - فَلَمْ تَبْرَحْ زَيْنَبُ حَتَّى عَرَفْتُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَكْرَهُ أَنْ أَنْتَصِرَ - قَالَتْ - فَلَمَّا وَقَعْتُ بِهَا لَمْ أَنْشَبْهَا حِينَ أَنْحَيْتُ عَلَيْهَا - قَالَتْ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَتَبَسَّمَ " إِنَّهَا ابْنَةُ أَبِي بَكْرٍ " .
`A'isha, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), said:
The wives of Allah's Apostle (ﷺ) sent Fatima, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ), to Allah's Apostle (ﷺ). She sought permission to get in as he had been lying with me in my mantle. He gave her permission and she said: Allah's Messenger, verily, your wives have sent me to you in order to ask you to observe equity in case of the daughter of Abu Quhafa. She (`A'isha) said: I kept quiet. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to her (Fatima): O daughter, don't you love whom I love? She said: Yes, (I do). Thereupon he said: I love this one. Fatima then stood up as she heard this from Allah's Messenger (ﷺ) and went to the wives of Allah's Apostle (ﷺ) and informed them of what she had said to him and what Allah's messenger (ﷺ) had said to her. Thereupon they said to her: We think that you have been of no avail to us. You may again go to Allah's Messenger (ﷺ) and tell him that his wives seek equity in case of the daughter of Abu Quhafa. Fatima said: By Allah, I will never talk to him about this matter. `A'isha (further) reported: The wives of Allah's Apostle (ﷺ) then sent Zainab b. Jahsh, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), and she was one who was somewhat equal in rank with me in the eyes of Allah's Messenger (ﷺ) and I have never seen a woman more advanced in religious piety than Zainab, more God-conscious, more truthful, more alive to the ties of blood, more generous and having more sense of self-sacrifice in practical life and having more charitable disposition and thus more close to God, the Exalted, than her. She, however, lost temper very soon but was soon calm. Allah's Messenger (ﷺ) permitted her to enter as she (`A'isha) was along with Allah's Messenger (ﷺ) in her mantle, in the same very state when Fatima had entered. She said: Allah's Messenger, your wives have sent me to you seeking equity in case of the daughter of Abu Quhafa. She then came to me and showed harshness to me and I was seeing the eyes of Allah's Messenger (ﷺ) whether he would permit me. Zainab went on until I came to know that Allah's Messenger (ﷺ) would not disapprove if I retorted. Then I exchanged hot words until I made her quiet. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) smiled and said: She is the daughter of Abu Bakr.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. উম্মুল মুমিনীন উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত
৬২০৯-(১০০/২৪৫১) আবদুল আ’লা ইবনু হাম্মাদ মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল আ’লা কাইসী (রহঃ) ..... সালমান (রাযিঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন। তিনি বলেন, তোমার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তবে বাজারে প্রবেশকারীদের মাঝে তুমি প্রথম হয়ো না এবং সেখান থেকে বহির্গমনকারীদের মাঝে তুমি শেষ লোক হয়ো না। কেননা বাজার হলো শাইতানের আড্ডাখানা। আর সেখানেই সে তার ঝাণ্ডা উচু করে রাখে।
সালমান (রাযিঃ) বলেন, আমাকে এ সংবাদও দেয়া হয়েছে যে, জিবরীল (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলেন। তখন তার পাশে উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) ছিলেন। জিবরীল (আঃ) কথা বলতে লাগলেন এবং পরে চলে গেলেন। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু সালামাহকে প্রশ্ন করলেন, ইনি কে ছিলেন? বা এমন কথা বললেন। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) জবাব দিলেন, ইনি দিহয়াহ কালবী (রাযিঃ)। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি তো তাকে দিহয়াহ কালবী বলেই মনে করেছিলাম। যে পর্যন্ত না রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বক্তৃতা শুনলাম। তিনি আমাদের কথা বলছিলেন, কিংবা এমন বলেছিলেন। অর্থাৎ- জিবরীল প্রবেশের বিবরণ দিচ্ছিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাবী আবূ উসামাহকে প্রশ্ন করলাম যে, আপনি এ হাদীস কার থেকে শুনেছেন? তিনি বললেন, উসামাহ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) হতে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৯৩, ইসলামিক সেন্টার ৬১৩৪)
باب مِنْ فَضَائِلِ أُمِّ سَلَمَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ رضى الله عنها
حَدَّثَنِي عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْقَيْسِيُّ، كِلاَهُمَا عَنِ الْمُعْتَمِرِ، - قَالَ ابْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، - قَالَ سَمِعْتُ أَبِي، حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، قَالَ لاَ تَكُونَنَّ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَوَّلَ مَنْ يَدْخُلُ السُّوقَ وَلاَ آخِرَ مَنْ يَخْرُجُ مِنْهَا فَإِنَّهَا مَعْرَكَةُ الشَّيْطَانِ وَبِهَا يَنْصِبُ رَايَتَهُ . قَالَ وَأُنْبِئْتُ أَنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَتَى نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَعِنْدَهُ أُمُّ سَلَمَةَ - قَالَ - فَجَعَلَ يَتَحَدَّثُ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأُمِّ سَلَمَةَ " مَنْ هَذَا " . أَوْ كَمَا قَالَ قَالَتْ هَذَا دِحْيَةُ - قَالَ - فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ايْمُ اللَّهِ مَا حَسِبْتُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ حَتَّى سَمِعْتُ خُطْبَةَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُخْبِرُ خَبَرَنَا أَوْ كَمَا قَالَ قَالَ فَقُلْتُ لأَبِي عُثْمَانَ مِمَّنْ سَمِعْتَ هَذَا قَالَ مِنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ .
Salman reported:
In case it lies in your power don't be one to enter the bazar first and the last to get out of that because there is a bustle and the standard of Satan is set there. He said: I was informed that Gabriel (Allah be pleased with him) came to Allah's Apostle (ﷺ) and there was with him Umin Salama and he began to talk with him. He then stood up, whereupon Allah's Apostle (ﷺ) said to Umm Salama: (Do you know) who was he and what did he say? She said: He was Dihya (Kalbi). He reported Umm Salama having said: By Allah, I did not deem him but only he (Dihya) until I heard the address of Allah's Apostle (ﷺ) informing him about us. He (the narrator) said: I said to Uthman: From whom did you hear it? He said: From Usima b. Zaid.