পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮০৭-(১৪৩/১৮৯৯) সাঈদ ইবনু আমর আশ’আসী ও সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আমর (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি জাবির (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি (এসে) বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি যদি (আল্লাহর রাস্তায়) নিহত হই তবে কোথায় থাকবো। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, জান্নাতে। লোকটি তখন তার হাতের খেজুরগুলো ছুড়ে ফেলে দিয়ে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলো, অবশেষে শহীদ হলো। সুওয়াইদ (রহঃ) এর বর্ণনায় আছে, উহুদ যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলল (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৬০, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৬১)

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِسَعِيدٍ - أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَ جَابِرًا، يَقُولُ قَالَ رَجُلٌ أَيْنَ أَنَا يَا، رَسُولَ اللَّهِ إِنْ قُتِلْتُ قَالَ ‏ "‏ فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَلْقَى تَمَرَاتٍ كُنَّ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ ‏.‏ وَفِي حَدِيثِ سُوَيْدٍ قَالَ رَجُلٌ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ ‏.‏

حدثنا سعيد بن عمرو الاشعثي، وسويد بن سعيد، - واللفظ لسعيد - اخبرنا سفيان، عن عمرو، سمع جابرا، يقول قال رجل اين انا يا، رسول الله ان قتلت قال ‏ "‏ في الجنة ‏"‏ ‏.‏ فالقى تمرات كن في يده ثم قاتل حتى قتل ‏.‏ وفي حديث سويد قال رجل للنبي صلى الله عليه وسلم يوم احد ‏.‏


It has been reported on the authority of Jabir that a man said:
Messenger of Allah, where shall I be if I am killed? He replied: In Paradise. The man threw away the dates he had in his hand and fought until he was killed (i. e. he did not wait until he could finish the dates). In the version of the tradition narrated by Suwaid we have the words:" A man said to the Prophet (ﷺ). on the day of Uhud......"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮০৮–(১৪৪/১৯০০) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বানু নবীতের এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলো। তিনি বলেন, আহমাদ ইবনু জানাব মিসসীসী (রহঃ) বারা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনসারদের অন্তর্ভুক্ত একটি কবীলা বানু নবীতের এক ব্যক্তি আসলো এবং বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং আপনি তার বান্দা ও রসূল। তারপর সে অগ্রসর হলো এবং যুদ্ধে প্রবৃত্ত হলো। এমনকি শেষ পর্যন্ত সে শহীদ হলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে খুবই সহজ কাজ করলো তবে তাকে প্রচুর সাওয়াব দেয়া হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৬১, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৬২)

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَكَرِيَّاءَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ جَنَابٍ الْمِصِّيصِيُّ حَدَّثَنَا عِيسَى - يَعْنِي ابْنَ يُونُسَ - عَنْ زَكَرِيَّاءَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي النَّبِيتِ - قَبِيلٍ مِنَ الأَنْصَارِ - فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّكَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ‏.‏ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عَمِلَ هَذَا يَسِيرًا وَأُجِرَ كَثِيرًا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، حدثنا ابو اسامة، عن زكرياء، عن ابي اسحاق، عن البراء، قال جاء رجل من بني النبيت الى النبي صلى الله عليه وسلم ح وحدثنا احمد بن جناب المصيصي حدثنا عيسى - يعني ابن يونس - عن زكرياء عن ابي اسحاق عن البراء قال جاء رجل من بني النبيت - قبيل من الانصار - فقال اشهد ان لا اله الا الله وانك عبده ورسوله ‏.‏ ثم تقدم فقاتل حتى قتل فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ عمل هذا يسيرا واجر كثيرا ‏"‏ ‏.‏


It has been reported on the authority of Bara! ' who stated:
A man from Banu Nabit (one of the Ansar tribes) came to the Prophet (ﷺ) and said: I testify that there is no god except Allah and that thou art His bondman and Messenger. Then he went forward and fought until he was killed. The Prophet (ﷺ) said: He has done a little but shall be given a great reward.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮০৯-(১৪৫/১৯০১) আবূ বকর ইবনু নাযর ইবনু আবূ নাযর, হারূন ইবনু আবদুল্লাহ, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ ও ’আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুসায়সা (রাযিঃ) কে আবূ সুফইয়ানের বাণিজ্যিক কাফিলার গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্যে পাঠান। তারপর তিনি ফিরে আসলেন। তখন আমি ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া ঘরে আর কেউই ছিল না। রাবী বলেন, আমি স্মরণ করতে পারছি না, তিনি (আনাস) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সহধর্মিণীর কথাও বলেছেন কি-না। এরপর তিনি সমুদয় ঘটনা বর্ণনা করলেন। অতঃপর বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন এবং (লোকজনকে লক্ষ্য করে) তিনি বললেন, আমি দুশমনের খোজে বের হচ্ছি। যার সওয়ারী মওজুদ আছে সে যেন আমাদের সঙ্গে সওয়ার হয়ে যায়। তখন কিছুলোক মদীনার উপরাঞ্চল থেকে তাদের সওয়ারী নিয়ে আসার অনুমতি চাইলেন। তখন তিনি বললেন, না; কেবল যাদের সওয়ারী প্রস্তুত আছে তারাই যাবে। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবীগণ রওনা করলেন এবং মুশরিকদের পূর্বেই বদরে গিয়ে পৌছলেন। এর পরপরই মুশরিকরা এসে পৌছলো। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ যেন কোন ব্যাপারে আমার অগ্রবর্তী না হয়, যতক্ষণ না আমি তার সামনে থাকি।

এরপর মুশরিকরা নিকটবর্তী হলো। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও যার প্রশস্ততা আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার মত। রাবী বলেন, উমায়র ইবনু হুমাম আনসারী (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! জান্নাতের প্রশস্ততা কি আসমান ও যমীনের প্রশস্ততার ন্যায়? তিনি বললেন, হ্যাঁ। উমায়র বলে উঠলেন, বাহ, বাহ, কী চমৎকার! তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বাহ, বাহ্, বলতে তোমাকে কিসে উদ্বুদ্ধ করলো হে! তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! বরং আল্লাহর কসম! আমি তার অধিবাসী হওয়ার আশায়ই এরূপ বলেছি। তখন তিনি বললেন, তুমি নিশ্চয়ই তার অধিবাসী (হবে)। রাবী বলেন, তারপর তিনি তার তৃণ থেকে কয়েকটি খেজুর বের করলেন এবং তা খেতে লাগলেন। তারপর বললেন, আমি যদি এ খেজুরগুলো খেয়ে শেষ করা পর্যন্ত বেঁচে থাকি তবে তাও হবে এক দীর্ঘ জীবন। রাবী বলেন, তারপর তিনি তার কাছে রক্ষিত খেজুরগুলো ছুড়ে ফেলে দিলেন তারপর জিহাদে প্রবৃত্ত হলেন এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৬২, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৬৩)

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ النَّضْرِ بْنِ أَبِي النَّضْرِ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بُسَيْسَةَ عَيْنًا يَنْظُرُ مَا صَنَعَتْ عِيرُ أَبِي سُفْيَانَ فَجَاءَ وَمَا فِي الْبَيْتِ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ أَدْرِي مَا اسْتَثْنَى بَعْضَ نِسَائِهِ قَالَ فَحَدَّثَهُ الْحَدِيثَ قَالَ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَكَلَّمَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ لَنَا طَلِبَةً فَمَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا فَلْيَرْكَبْ مَعَنَا ‏"‏ ‏.‏ فَجَعَلَ رِجَالٌ يَسْتَأْذِنُونَهُ فِي ظُهْرَانِهِمْ فِي عُلْوِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ ‏"‏ لاَ إِلاَّ مَنْ كَانَ ظَهْرُهُ حَاضِرًا ‏"‏ ‏.‏ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَتَّى سَبَقُوا الْمُشْرِكِينَ إِلَى بَدْرٍ وَجَاءَ الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يُقَدِّمَنَّ أَحَدٌ مِنْكُمْ إِلَى شَىْءٍ حَتَّى أَكُونَ أَنَا دُونَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَدَنَا الْمُشْرِكُونَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قُومُوا إِلَى جَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَقُولُ عُمَيْرُ بْنُ الْحُمَامِ الأَنْصَارِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ جَنَّةٌ عَرْضُهَا السَّمَوَاتُ وَالأَرْضُ قَالَ ‏"‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ بَخٍ بَخٍ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَا يَحْمِلُكَ عَلَى قَوْلِكَ بَخٍ بَخٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ لاَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِلاَّ رَجَاءَةَ أَنْ أَكُونَ مِنْ أَهْلِهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّكَ مِنْ أَهْلِهَا ‏"‏ ‏.‏ فَأَخْرَجَ تَمَرَاتٍ مِنْ قَرْنِهِ فَجَعَلَ يَأْكُلُ مِنْهُنَّ ثُمَّ قَالَ لَئِنْ أَنَا حَيِيتُ حَتَّى آكُلَ تَمَرَاتِي هَذِهِ إِنَّهَا لَحَيَاةٌ طَوِيلَةٌ - قَالَ - فَرَمَى بِمَا كَانَ مَعَهُ مِنَ التَّمْرِ ‏.‏ ثُمَّ قَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن النضر بن ابي النضر، وهارون بن عبد الله، ومحمد بن رافع، وعبد بن حميد - والفاظهم متقاربة - قالوا حدثنا هاشم بن القاسم، حدثنا سليمان، - وهو ابن المغيرة - عن ثابت، عن انس بن مالك، قال بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم بسيسة عينا ينظر ما صنعت عير ابي سفيان فجاء وما في البيت احد غيري وغير رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا ادري ما استثنى بعض نساىه قال فحدثه الحديث قال فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم فتكلم فقال ‏"‏ ان لنا طلبة فمن كان ظهره حاضرا فليركب معنا ‏"‏ ‏.‏ فجعل رجال يستاذنونه في ظهرانهم في علو المدينة فقال ‏"‏ لا الا من كان ظهره حاضرا ‏"‏ ‏.‏ فانطلق رسول الله صلى الله عليه وسلم واصحابه حتى سبقوا المشركين الى بدر وجاء المشركون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يقدمن احد منكم الى شىء حتى اكون انا دونه ‏"‏ ‏.‏ فدنا المشركون فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ قوموا الى جنة عرضها السموات والارض ‏"‏ ‏.‏ قال يقول عمير بن الحمام الانصاري يا رسول الله جنة عرضها السموات والارض قال ‏"‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال بخ بخ ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ما يحملك على قولك بخ بخ ‏"‏ ‏.‏ قال لا والله يا رسول الله الا رجاءة ان اكون من اهلها ‏.‏ قال ‏"‏ فانك من اهلها ‏"‏ ‏.‏ فاخرج تمرات من قرنه فجعل ياكل منهن ثم قال لىن انا حييت حتى اكل تمراتي هذه انها لحياة طويلة - قال - فرمى بما كان معه من التمر ‏.‏ ثم قاتلهم حتى قتل ‏.‏


It has been reported on the authority of Anas b. Malik who said:
The Messenger of Allah (ﷺ) sent Busaisah as a scout to see what the caravan of Abu Sufyan was doing. He came (back and met the Prophet in his house) where there was nobody except myself and the Messenger of Allah. I do not remember whether he (Hadrat Anas) made an exception of some wives of the Prophet (ﷺ) or not and told him the news of the caravan. (Having heard the news), the Messenger of Allah (ﷺ) came out (hurriedly), spoke to the people and said: We are in need (of men) ; whoever has an animal to ride upon ready with him should ride with us. People began to ask him permission for bringing their riding animals which were grazing on the hillocks near Medina. He said: No. (I want) only those who have their riding animals ready. So the Messenger of Allah (ﷺ) and his Companions proceeded towards Badr and reached there forestalling the polytheists (of Mecca). When the polytheists (also) reached there, the Messenger of Allah (ﷺ) said: None of you should step forward to (do) anything unless I am ahead of him. The polytheists (now) advanced (towards us), and the Messenger of Allah (ﷺ) said. Get up to enter Paradise which is equal in width to the heavens and the earth. 'Umair b. al- Humam al-Ansari said: Messenger of Allah, is Paradise equal in extent to the heavens and the earth? He said: Yes. 'Umair said: My goodness! The Messenger of Allah (ﷺ) asked him: What prompted you to utter these words (i. e. my goodness! ')? He said: Messenger of Allah, nothing but the desire that I be among its residents. He said: Thou art (surely) amona its residents. He took out dates from his bag and began to eat them. Then he said: If I were to live until I have eaten all these dates of mine, it would be a long life. (The narrator said): He threw away all the dates he had with him. Then he fought the enemies until he was killed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮১০-(১৪৬/১৯০২) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী ও কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু কায়স (রহঃ) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি- আর তিনি ছিলেন তখন শত্রুর মুখোমুখি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই জান্নাতের দরজাসমূহ রয়েছে তরবারির ছায়ার নীচে। তখন আলুথালু এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়ালো এবং বলল, হে আবূ মূসা! আপনি কি নিজে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন সে ব্যক্তি তার সাথীবর্গের কাছে ফিরে গেলো। তারপর বলল, আমি তোমাদেরকে (বিদায়ী) সালাম জানাচ্ছি। এরপর সে তার তরবারির কোষ ভেঙ্গে ফেলে তা দূরে নিক্ষেপ করলো। তারপর নিজ তরবারিসহ শক্ৰদের কাছে গিয়ে তা দিয়ে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হয়ে গেল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৬৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৬৪)

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا وَقَالَ، يَحْيَى أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي وَهُوَ، بِحَضْرَةِ الْعَدُوِّ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ أَبْوَابَ الْجَنَّةِ تَحْتَ ظِلاَلِ السُّيُوفِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ رَثُّ الْهَيْئَةِ فَقَالَ يَا أَبَا مُوسَى آنْتَ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ هَذَا قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ أَقْرَأُ عَلَيْكُمُ السَّلاَمَ ‏.‏ ثُمَّ كَسَرَ جَفْنَ سَيْفِهِ فَأَلْقَاهُ ثُمَّ مَشَى بِسَيْفِهِ إِلَى الْعَدُوِّ فَضَرَبَ بِهِ حَتَّى قُتِلَ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، وقتيبة بن سعيد، - واللفظ ليحيى - قال قتيبة حدثنا وقال، يحيى اخبرنا جعفر بن سليمان، عن ابي عمران الجوني، عن ابي بكر بن، عبد الله بن قيس عن ابيه، قال سمعت ابي وهو، بحضرة العدو يقول قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ان ابواب الجنة تحت ظلال السيوف ‏"‏ ‏.‏ فقام رجل رث الهيىة فقال يا ابا موسى انت سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول هذا قال نعم ‏.‏ قال فرجع الى اصحابه فقال اقرا عليكم السلام ‏.‏ ثم كسر جفن سيفه فالقاه ثم مشى بسيفه الى العدو فضرب به حتى قتل ‏.‏


The tradition has been narrated on the authority of 'Abdullah b. Qais. He heard it from his father who, while facing the enemy, reported that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
Surely, the gates of Paradise are under the shadows of the swords. A man in a shabby condition got up and said; Abu Musa, did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) say this? He said: Yes. (The narrator said): He returned to his friends and said: I greet you (a farewell greeting). Then he broke the sheath of his sword, threw it away, advanced with his (naked) sword towards the enemy and fought (them) with it until he was slain.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮১১-(১৪৭/৬৭৭) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কতিপয় লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, আমাদের সঙ্গে এমন কিছু লোক দিন যারা আমাদেরকে কুরআন এবং সুন্নাহ্ শিক্ষা দেবেন। তখন তিনি আনসারদের সত্তর ব্যক্তিকে তাদের সাথে পাঠালেন। তাদেরকে কুররা (কারী সমাজ) বলা হতো। এদের মধ্যে আমার মামা হারামও ছিলেন। তারা কুরআন তিলওয়াত করতেন এবং রাত্রে এর অর্থ অনুধাবন ও শিক্ষায় নিমগ্ন থাকতেন, আর দিনের বেলায় জলাশয়ে গিয়ে পানি এনে মসজিদে রাখতেন এবং কাঠ সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে বিক্রি লব্ধ অর্থে সুফফাবাসীগণ এবং নিঃস্ব ফকীরদের জন্যে আহার্য সামগ্ৰী ক্রয় করতেন। এদেরকেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন। ওরা তাদের উপর আক্রমণ করলো এবং তারা গন্ত ব্যস্থলে পৌছার পূর্বেই তাদেরকে হত্যা করলো। তখন তারা বললেন, হে আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের নবীর নিকট সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গিয়েছি এবং আপনার প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছি। আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন।

রাবী বলেন, এক লোক আনাস (রাযিঃ) এর মামা হারাম (রাযিঃ) এর পিছন দিক দিয়ে এসে বর্শা দিয়ে বিদ্ধ করে হত্যা (শহীদ) করে দিল। হারাম (রাযিঃ) বলে উঠলেন, কা’বার প্রভুর কসম! আমি সাফল্যমণ্ডিত হয়েছি। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাহাবীগণকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমাদের ভাইগণ নিহত হয়েছেন। আর (অন্তিম মুহূর্তে) তারা বলেছেন, হে আল্লাহ আমাদের নবীকে সংবাদ পৌছিয়ে দিন যে, আমরা আপনার সন্নিধানে পৌছে গেছি এ অবস্থায় যে, আমরা আপনার প্রতি সন্তুষ্ট আর আপনিও আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৭৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৭৬৫)

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ جَاءَ نَاسٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا أَنِ ابْعَثْ مَعَنَا رِجَالاً يُعَلِّمُونَا الْقُرْآنَ وَالسُّنَّةَ ‏.‏ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ سَبْعِينَ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُمُ الْقُرَّاءُ فِيهِمْ خَالِي حَرَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَتَدَارَسُونَ بِاللَّيْلِ يَتَعَلَّمُونَ وَكَانُوا بِالنَّهَارِ يَجِيئُونَ بِالْمَاءِ فَيَضَعُونَهُ فِي الْمَسْجِدِ وَيَحْتَطِبُونَ فَيَبِيعُونَهُ وَيَشْتَرُونَ بِهِ الطَّعَامَ لأَهْلِ الصُّفَّةِ وَلِلْفُقَرَاءِ فَبَعَثَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيْهِمْ فَعَرَضُوا لَهُمْ فَقَتَلُوهُمْ قَبْلَ أَنْ يَبْلُغُوا الْمَكَانَ ‏.‏ فَقَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا - قَالَ - وَأَتَى رَجُلٌ حَرَامًا خَالَ أَنَسٍ مِنْ خَلْفِهِ فَطَعَنَهُ بِرُمْحٍ حَتَّى أَنْفَذَهُ ‏.‏ فَقَالَ حَرَامٌ فُزْتُ وَرَبِّ الْكَعْبَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَصْحَابِهِ ‏ "‏ إِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ قُتِلُوا وَإِنَّهُمْ قَالُوا اللَّهُمَّ بَلِّغْ عَنَّا نَبِيَّنَا أَنَّا قَدْ لَقِينَاكَ فَرَضِينَا عَنْكَ وَرَضِيتَ عَنَّا ‏"‏ ‏.‏

حدثنا محمد بن حاتم، حدثنا عفان، حدثنا حماد، اخبرنا ثابت، عن انس بن مالك، قال جاء ناس الى النبي صلى الله عليه وسلم فقالوا ان ابعث معنا رجالا يعلمونا القران والسنة ‏.‏ فبعث اليهم سبعين رجلا من الانصار يقال لهم القراء فيهم خالي حرام يقرءون القران ويتدارسون بالليل يتعلمون وكانوا بالنهار يجيىون بالماء فيضعونه في المسجد ويحتطبون فيبيعونه ويشترون به الطعام لاهل الصفة وللفقراء فبعثهم النبي صلى الله عليه وسلم اليهم فعرضوا لهم فقتلوهم قبل ان يبلغوا المكان ‏.‏ فقالوا اللهم بلغ عنا نبينا انا قد لقيناك فرضينا عنك ورضيت عنا - قال - واتى رجل حراما خال انس من خلفه فطعنه برمح حتى انفذه ‏.‏ فقال حرام فزت ورب الكعبة فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم لاصحابه ‏ "‏ ان اخوانكم قد قتلوا وانهم قالوا اللهم بلغ عنا نبينا انا قد لقيناك فرضينا عنك ورضيت عنا ‏"‏ ‏.‏


It has been reported on the authority of Anas b. Malik that some people came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said to him:
Send with us some men who may teach us the Qur'an and the Sunnah. Accordingjy, he sent seventy men from the Ansar. They were called the Reciters and among them was my maternal uncle. Haram. They used to recite the Qur'an, discuss and ponder over its meaning at night. In the day they brought water and poured it (in pitchers) in the mosque, collected wood and sold it, and with the sale proceeds bought food for the people of the Suffa and the needy. The Prophet (ﷺ) sent the Reciters with these people, but these (treacherous people) fell upon them and killed thern before they reached their destination (While dying), they said: O Allah, convey from us the news to our Prophet that we have met Thee (in a way) that we are pleased with Thee and Thou art pleased with us. (The narrator said): A man attacked Haram (maternal uncle of Anas) ) from behind and smote him with a spear which pierced him. (While dying), Haram said: By the Lord of the Ka'ba, I have met with success. The Messenger of Allah (ﷺ) said to his Companions: Your brethren have been slain grid they were saying: O Allah, convey from us to our Prophet the news that we have met Thee in a way that we are pleased with Thee and Thou art pleased with us.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government

পরিচ্ছেদঃ ৪১. শহীদের জন্য জান্নাত অবধারিত হওয়া

৪৮১২-(১৪৮/১৯০৩) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার যে চাচার নামানুসারে আমার নামকরণ করা হয়েছে সে আনাস (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধে শরীক হতে পারেননি। রাবী বলেন, এটা ছিল তার জন্যে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তিনি (প্রায়ই) বলতেন, রসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথম যে যুদ্ধটি করেছিলেন, তাতে আমি শরীক হতে পারলাম না। এরপর যদি আল্লাহ তা’আলা আমাকে তার কোন যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ দান করেন তাহলে আমি কী করি তা আল্লাহ দেখবেন। রাবী বলেন, এর বেশী কিছু বলতে তিনি ভয় পেতেন। তারপর উহুদ যুদ্ধের দিন তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাবী বলেন, সাদ ইবনু মু’আয (রাযিঃ) যখন অগ্রসর হলেন তখন আনাস (রাযিঃ) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবূ আমর কোথায় (যাচ্ছে)? আহা! জান্নাতের ঘ্রাণ আমি উহুদ প্রান্ত থেকে পাচ্ছি।

রাবী বলেন, তারপর তিনি কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন এমন কি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়ে গেলেন। রাবী বলেন, তারপর তার মৃত লাশে আশিটিরও অধিক তরবারি, বর্শা ও তীরের চিহ্ন পাওয়া যায়। রাবী আনাস (রাযিঃ) বলেন, তার বোন এবং আমার ফুফু রুবাইয়্যি’ বিনতু নাযর (রাযিঃ) বলেন, (শহীদের ক্ষত-বিক্ষত দেহের) কেবল তার আঙ্গুলের জোড়া দেখেই তাকে আমি সনাক্ত করেছি। (অন্য কোন পরিচয়ই অবশিষ্ট ছিল না।) তখন আয়াত নাযিল হলোঃ “এরা হচ্ছে সেসব ব্যক্তি, যারা আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূরণ করে দেখিয়েছে। তাদের কেউ অঙ্গীকার ইতোমধ্যেই পূরণ করে ফেলেছে, আর কেউ তার প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা মোটেই পরিবর্তিত হয়নি”— (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ২৩)। রাবী বলেন, সাহাবীগণ মনে করতেন যে এ আয়াতটি তার এবং তার সঙ্গী-সাথীদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছিল।

باب ثُبُوتِ الْجَنَّةِ لِلشَّهِيدِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ قَالَ أَنَسٌ عَمِّيَ الَّذِي سُمِّيتُ بِهِ لَمْ يَشْهَدْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَدْرًا - قَالَ - فَشَقَّ عَلَيْهِ قَالَ أَوَّلُ مَشْهَدٍ شَهِدَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غُيِّبْتُ عَنْهُ وَإِنْ أَرَانِيَ اللَّهُ مَشْهَدًا فِيمَا بَعْدُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيَرَانِيَ اللَّهُ مَا أَصْنَعُ - قَالَ - فَهَابَ أَنْ يَقُولَ غَيْرَهَا - قَالَ - فَشَهِدَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ - قَالَ - فَاسْتَقْبَلَ سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ فَقَالَ لَهُ أَنَسٌ يَا أَبَا عَمْرٍو أَيْنَ فَقَالَ وَاهًا لِرِيحِ الْجَنَّةِ أَجِدُهُ دُونَ أُحُدٍ - قَالَ - فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى قُتِلَ - قَالَ - فَوُجِدَ فِي جَسَدِهِ بِضْعٌ وَثَمَانُونَ مِنْ بَيْنِ ضَرْبَةٍ وَطَعْنَةٍ وَرَمْيَةٍ - قَالَ - فَقَالَتْ أُخْتُهُ عَمَّتِيَ الرُّبَيِّعُ بِنْتُ النَّضْرِ فَمَا عَرَفْتُ أَخِي إِلاَّ بِبَنَانِهِ ‏.‏ وَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلاً‏)‏ قَالَ فَكَانُوا يُرَوْنَ أَنَّهَا نَزَلَتْ فِيهِ وَفِي أَصْحَابِهِ ‏.‏

وحدثني محمد بن حاتم، حدثنا بهز، حدثنا سليمان بن المغيرة، عن ثابت، قال قال انس عمي الذي سميت به لم يشهد مع رسول الله صلى الله عليه وسلم بدرا - قال - فشق عليه قال اول مشهد شهده رسول الله صلى الله عليه وسلم غيبت عنه وان اراني الله مشهدا فيما بعد مع رسول الله صلى الله عليه وسلم ليراني الله ما اصنع - قال - فهاب ان يقول غيرها - قال - فشهد مع رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم احد - قال - فاستقبل سعد بن معاذ فقال له انس يا ابا عمرو اين فقال واها لريح الجنة اجده دون احد - قال - فقاتلهم حتى قتل - قال - فوجد في جسده بضع وثمانون من بين ضربة وطعنة ورمية - قال - فقالت اخته عمتي الربيع بنت النضر فما عرفت اخي الا ببنانه ‏.‏ ونزلت هذه الاية ‏(‏ رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه فمنهم من قضى نحبه ومنهم من ينتظر وما بدلوا تبديلا‏)‏ قال فكانوا يرون انها نزلت فيه وفي اصحابه ‏.‏


It has been Deported on the authority of Anas who said:
My uncle and I have been named after him was not present with the Messenger of Allah (mav peace be upon him) on the Day of Badr. He felt distressed about it. He would say: I have missed the first battle fought by the Messenger of Allah (ﷺ), and if God now gives me an opportunity to see a battlefield with the Messenger of Allah (ﷺ), God will see what I do therein. He was afraid to say more than this (lest he be unable to keep his word with God). He was present with the Messenger of Allah (ﷺ) on the Day of Uhud. He met Sa'd b. Mu'adh (who was retreating). Anas said to him: O Abu 'Amr, where (are you going)? Woe (to thee)! I find the smell of Paradise beside the Uhud mountain. (Reprimanding Sa'd in these words) he went forward and fought thein (the enemy) until he was killed. (The narrator says). More than eighty wounds inflicted with swords, spears and arrows were found on his body. His sister, my aunt, ar-Rubayyi', daughter of Nadr, said: I could not recognise my brother's body (it was so badly mutilated) except from his finger-tips. (It was on this occasion that) the Qur'anic verse:" Among the Believers are men who have been true to their covenant with God. Of them some have completed their vow (to the extreme), and some still wait: but they have never changed (their determination) in the least" (xxxiii. 23). The narrator said that the verse had been revealed about him (Anas b. Nadr) and his Companions.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩৪। প্রশাসন ও নেতৃত্ব (كتاب الإمارة) 34. The Book on Government
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে