পরিচ্ছেদঃ ১০. ‘হুদুদ তথা শরীয়ত কর্তৃক নির্দিষ্ট দণ্ড কার্যকরে অপরাধীর পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে

৪৩৫৩-(৪১/১৭০৯) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামীমী (রহঃ) ..... উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমরা কোন এক মাজলিসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বসা ছিলাম। তখন তিনি বললেন যে, তোমরা আমার কাছে এর উপর বাই’আত কর যে, তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ব্যভিচার করবে না, চুরি করবে না এবং কাউকে হত্যা করবে না যাকে হত্যা করা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে (অর্থাৎ- কিসাস হিসেবে কিংবা বিয়ের পর যিনা করলে)। অতএব, তোমাদের মধ্য থেকে যে কেউ তা পূর্ণ করবে, সে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে পাবে। আর যদি কেউ উল্লিখিত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয়ে শাস্তি ভোগ করে যাকে, তবে তাই তার জন্য কাফফারা (বদলা) হয়ে যাবে। আর যদি কোন ব্যক্তি উল্লিখিত অপরাধের কোন একটিতে পতিত হয় অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তা গোপন রাখেন, তবে বিষয়টি মহান আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দিবেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩১২, ইসলামিক সেন্টার ৪৩১৩)

باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَمْرٌو النَّاقِدُ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَابْنُ نُمَيْرٍ كُلُّهُمْ عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَجْلِسٍ فَقَالَ ‏ "‏ تُبَايِعُونِي عَلَى أَنْ لاَ تُشْرِكُوا بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ تَزْنُوا وَلاَ تَسْرِقُوا وَلاَ تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَعُوقِبَ بِهِ فَهُوَ كَفَّارَةٌ لَهُ وَمَنْ أَصَابَ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَسَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَفَا عَنْهُ وَإِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا يحيى بن يحيى التميمي، وابو بكر بن ابي شيبة وعمرو الناقد واسحاق بن ابراهيم وابن نمير كلهم عن ابن عيينة، - واللفظ لعمرو قال حدثنا سفيان بن عيينة، عن الزهري، عن ابي ادريس، عن عبادة بن الصامت، قال كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم في مجلس فقال ‏ "‏ تبايعوني على ان لا تشركوا بالله شيىا ولا تزنوا ولا تسرقوا ولا تقتلوا النفس التي حرم الله الا بالحق فمن وفى منكم فاجره على الله ومن اصاب شيىا من ذلك فعوقب به فهو كفارة له ومن اصاب شيىا من ذلك فستره الله عليه فامره الى الله ان شاء عفا عنه وان شاء عذبه ‏"‏ ‏.‏


Ubida b. as-Samit reported:
While we were in the company of Allah's Messenger (may peace be upoi him) he said: Swear allegiance to me that you will not associate anything with Allah, that you will not commit adultery, that you will not steal, that you will not take any life which it is forbidden by Allah to take but with (legal) justification; and whoever among you fulfils it, his reward is with Allah and he who commits any such thing and is punished for it, that will be all atonement for it And if anyone commits anything and Allah conceals (his faultfls), his matter rests with Allah. He may forgive if He likes, and He may punish him if He likes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩০। অপরাধের (নির্ধারিত) শাস্তি (كتاب الحدود) 30. The Book of Legal Punishments

পরিচ্ছেদঃ ১০. ‘হুদুদ তথা শরীয়ত কর্তৃক নির্দিষ্ট দণ্ড কার্যকরে অপরাধীর পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে

৪৩৫৪-(৪২/...) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... যুহরী (রহঃ) হতে একই সূত্রে উল্লিখিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর তিনি তার হাদীসে শুধু এটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, "অতএব, তিনি আমাদের কাছে সূরা নিসা এর আয়াত (অর্থঃ) তারা যেন আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করে ...... আয়াতের শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করলেন।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩১৩, ইসলামিক সেন্টার ৪৩১৪)

باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ فِي الْحَدِيثِ فَتَلاَ عَلَيْنَا آيَةَ النِّسَاءِ ‏(‏ أَنْ لاَ يُشْرِكْنَ بِاللَّهِ شَيْئًا‏)‏ الآيَةَ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، اخبرنا عبد الرزاق، اخبرنا معمر، عن الزهري، بهذا الاسناد وزاد في الحديث فتلا علينا اية النساء ‏(‏ ان لا يشركن بالله شيىا‏)‏ الاية ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Zuhri with the same chain of transmitters with this addition:
" He recited to us the verse pertaining to women, viz, that they will not associate anything with Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩০। অপরাধের (নির্ধারিত) শাস্তি (كتاب الحدود) 30. The Book of Legal Punishments

পরিচ্ছেদঃ ১০. ‘হুদুদ তথা শরীয়ত কর্তৃক নির্দিষ্ট দণ্ড কার্যকরে অপরাধীর পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে

৪৩৫৫-(৪৩/...) ইসমাঈল ইবনু সালিম (রহঃ) ..... উবাদাহ ইবনু সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের থেকে অনুরূপ অঙ্গীকার নিলেন, যেরূপ অঙ্গীকার নিয়েছেন মহিলাদের থেকে যেন আমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক না করি, চুরি না করি, ব্যভিচার না করি, আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা না করি এবং একে অপরের ক্ষতি না করি। অতএব তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তা পূর্ণ করবে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে পাবে। আর তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এমন কোন অপরাধ করে যাতে (হদ্দ) শরীয়তের শাস্তি অত্যাবশ্যকীয় হয়, অতঃপর তার উপর সে শাস্তি কার্যকরী হয়, তবে তা তার অপরাধের কাফফারা (বদলা) হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তির পাপ কার্য আল্লাহ গোপন রাখলেন, তার বিষয় আল্লাহর ইচ্ছাধীন। যদি তিনি ইচ্ছা করেন তবে তাকে শাস্তি দিবেন। আর যদি ইচ্ছে করেন তবে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩১৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৩১৫)

باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ سَالِمٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ أَخَذَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا أَخَذَ عَلَى النِّسَاءِ أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ نَسْرِقَ وَلاَ نَزْنِيَ وَلاَ نَقْتُلَ أَوْلاَدَنَا وَلاَ يَعْضَهَ بَعْضُنَا بَعْضًا ‏ "‏ فَمَنْ وَفَى مِنْكُمْ فَأَجْرُهُ عَلَى اللَّهِ وَمَنْ أَتَى مِنْكُمْ حَدًّا فَأُقِيمَ عَلَيْهِ فَهُوَ كَفَّارَتُهُ وَمَنْ سَتَرَهُ اللَّهُ عَلَيْهِ فَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ إِنْ شَاءَ عَذَّبَهُ وَإِنْ شَاءَ غَفَرَ لَهُ ‏"‏ ‏.‏

وحدثني اسماعيل بن سالم، اخبرنا هشيم، اخبرنا خالد، عن ابي قلابة، عن ابي الاشعث الصنعاني، عن عبادة بن الصامت، قال اخذ علينا رسول الله صلى الله عليه وسلم كما اخذ على النساء ان لا نشرك بالله شيىا ولا نسرق ولا نزني ولا نقتل اولادنا ولا يعضه بعضنا بعضا ‏ "‏ فمن وفى منكم فاجره على الله ومن اتى منكم حدا فاقيم عليه فهو كفارته ومن ستره الله عليه فامره الى الله ان شاء عذبه وان شاء غفر له ‏"‏ ‏.‏


'Ubida b. as-Samit reported:
Allah's Messenger (ﷺ) took (a pledge) from us as he took from the women that we will not associate anything with Allah and we will not steal, and we will not commit adultery, and we will not kill our children, and we will not bring calumny upon one another. And he who amongst you fulfils (this pledge), his reward rests with Allah, and he upon whom amongst you is imposed the prescribed punishment and that is carried out, that is his expiation (for that sin), and he whose (sins) were covered by Allah, his matter rests with Allah. He may punish him if He likes or may forgive him if He so likes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩০। অপরাধের (নির্ধারিত) শাস্তি (كتاب الحدود) 30. The Book of Legal Punishments

পরিচ্ছেদঃ ১০. ‘হুদুদ তথা শরীয়ত কর্তৃক নির্দিষ্ট দণ্ড কার্যকরে অপরাধীর পাপ ক্ষমা হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে

৪৩৫৬-(৪/...) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমূহ (রহঃ) ... উভয়ে উবাদাহ ইবনু সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সেসব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলাম, যারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বাই’আত নিয়েছিলেন। আমরা শপথ নিলাম যে, আমরা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শারীক করবো না, ব্যভিচার করবো না, চুরি করবো না, কাউকে হত্যা করবো না- যেগুলো (যাদেরকে হত্যা করতে) আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন। কিন্তু ন্যায়সঙ্গতভাবে (অর্থাৎ- কিসাস তথা অবৈধ হত্যার পরিবর্তে বা মুরতাদ হলে বা বিয়ের পর যিনা করলে হত্যা করবে)। আর ডাকাতি করবো না ও কোন প্রকার নিষিদ্ধ কর্মও করবো না। যদি আমরা ঐরূপ কার্যাবলী না করে চলতে পারি তবে আমাদের জান্নাত মিলবে। আর যদি আমরা উল্লিখিত অপরাধের কোনটিতে লিপ্ত হই, তবে এর ফায়সালা আল্লাহর কাছেই। ইবনু রুমহ বলেন, এর ফায়সালা মহান আল্লাহর কাছেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৩১৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৩১৬)

باب الْحُدُودُ كَفَّارَاتٌ لأَهْلِهَا ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنِ الصُّنَابِحِيِّ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّهُ قَالَ إِنِّي لَمِنَ النُّقَبَاءِ الَّذِينَ بَايَعُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ بَايَعْنَاهُ عَلَى أَنْ لاَ نُشْرِكَ بِاللَّهِ شَيْئًا وَلاَ نَزْنِيَ وَلاَ نَسْرِقَ وَلاَ نَقْتُلَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلاَّ بِالْحَقِّ وَلاَ نَنْتَهِبَ وَلاَ نَعْصِيَ فَالْجَنَّةُ إِنْ فَعَلْنَا ذَلِكَ فَإِنْ غَشِينَا مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا كَانَ قَضَاءُ ذَلِكَ إِلَى اللَّهِ ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ رُمْحٍ كَانَ قَضَاؤُهُ إِلَى اللَّهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا ليث، ح وحدثنا محمد بن رمح، اخبرنا الليث، عن يزيد بن ابي حبيب، عن ابي الخير، عن الصنابحي، عن عبادة بن الصامت، انه قال اني لمن النقباء الذين بايعوا رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال بايعناه على ان لا نشرك بالله شيىا ولا نزني ولا نسرق ولا نقتل النفس التي حرم الله الا بالحق ولا ننتهب ولا نعصي فالجنة ان فعلنا ذلك فان غشينا من ذلك شيىا كان قضاء ذلك الى الله ‏.‏ وقال ابن رمح كان قضاوه الى الله ‏.‏


Ubida b. as-Samit repnrted:
I was one of those headmen who swore allegiance to Allah's Messenger (ﷺ) that we will not associate anything with Allah, and will not commit adultery, and will not steal, and will not kill any soul which Allah has forbidden, but with justice nor plunder, nor disobey (Allah and His Apostle), then Paradise (will be the reward) in case we do these (acts) ; and if we commit any outrage (and that goes unpunished in the world), it is Allah Who would decide about it. Ibn Rumh said: Its judgment lies with Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)
৩০। অপরাধের (নির্ধারিত) শাস্তি (كتاب الحدود) 30. The Book of Legal Punishments
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে