পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৩-(২২/১৪৭৫) আবূ তাহির ও হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত তুজীবী (রহিমাহমাল্লাহ) ..... আবূ সালামাহ্ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের ইখতিয়ার প্রদানে আদিষ্ট হলে বিষয়টি আমাকে দিয়ে সূচনা করলেন। তিনি বললেন, “আমি তোমার কাছে একটি বিষয় উপস্থাপন করছি, তোমার পিতা-মাতার সঙ্গে পরামর্শ না করা পর্যন্ত তুমি তাতে তাড়াহুড়া না করলে তোমার কোন লোকসান হবে না।” “আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিশ্চিত অবগত ছিলেন যে, আমার মা-বাপ আমাকে তার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাবার পরামর্শ দিতে প্রস্তুত হবেন না।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইখতিয়ারের বিষয়ের বিবরণ প্রদানে) বললেন, আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেছেনঃ "হে নবী আপনি আপনার স্ত্রীদের বলে দিন! তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এসো আমি তোমাদের ভোগ-সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সঙ্গে তোমাদের বিদায় দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তার রসূল ও আখিরাত কামনা কর তবে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মশীল আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন”— (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)।
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমি বললামঃ এ ব্যাপারে আবার আমার মা-বাপের সঙ্গে পরামর্শ করব? আমি তো আল্লাহ এবং তার রসূল ও আখিরাতকেই ইখতিয়ার করছি"। তিনি বলেন, পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যান্য স্ত্রীগণ তেমনই করেন যেমন আমি করেছিলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৪)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا أُمِرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَخْيِيرِ أَزْوَاجِهِ بَدَأَ بِي فَقَالَ " إِنِّي ذَاكِرٌ لَكِ أَمْرًا فَلاَ عَلَيْكِ أَنْ لاَ تَعْجَلِي حَتَّى تَسْتَأْمِرِي أَبَوَيْكِ " . قَالَتْ قَدْ عَلِمَ أَنَّ أَبَوَىَّ لَمْ يَكُونَا لِيَأْمُرَانِي بِفِرَاقِهِ قَالَتْ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَالَ ( يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ إِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا فَتَعَالَيْنَ أُمَتِّعْكُنَّ وَأُسَرِّحْكُنَّ سَرَاحًا جَمِيلاً * وَإِنْ كُنْتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا) قَالَتْ فَقُلْتُ فِي أَىِّ هَذَا أَسْتَأْمِرُ أَبَوَىَّ فَإِنِّي أُرِيدُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ . قَالَتْ ثُمَّ فَعَلَ أَزْوَاجُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ مَا فَعَلْتُ .
'A'isha (Allah be pleased with her) reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) was commanded to give option to his wives, he started it from me saying: I am going to mention to you a matter which you should not (decide) in haste until you have consulted your parents. She said that he already knew that my parents would never allow me to seek separation from him She said: Then he said: Allah, the Exalted and Glorious, said: Prophet, say to thy wives: If you desire this world's life and its adornment, then come, I will give you a provision and allow you to depart a goodly departing; and if you desire Allah and His Messenger and the abode of the Hereafter, then Allah has prepared for the doers of good among you a great reward She is reported to have said: About what should I consult my parents, for I desire Allah and His Messenger and the abode of the Hereafter? She ('A'isha) said: Then all the wives of Allah's Messenger (ﷺ) did as I had done.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৪-(২৩/১৪৭৬) সুরায়জ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ..... মুআযাহ আল আদাবিয়্যাহ্ (রহঃ) এর সূত্রে আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আপনি তাদের (স্ত্রীদের) মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা আপনার নিকট স্থান দিতে পারেন"- (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ৫১) আয়াত নাযিল হবার পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন এক স্ত্রীর পালার দিনে (অন্যদের জন্য) আমাদের কাছে অনুমতি চাইতেন। তখন মুআযাহ্ (রহঃ) তাকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার নিকট অনুমতি চাইলে আপনি তাকে কী বলতেন? তিনি বললেন, আমি বলতামঃ এ বিষয়টি আমার অধিকারে থাকলে তো কাউকে আমি আমার উপর অগ্রাধিকার দিতাম না। অর্থাৎ অনুমতি প্রার্থনার বিষয়টি অধিকারমূলক ছিল না। বরং তা ছিল নৈতিক ও রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সৌজন্যমূলক আচরণ মাত্র। সুতরাং সেখানে অনুমতি না দেয়ার অবকাশ ছিল না। অন্যথায় আমি অনুমতি প্রদানে রায়ী হতাম না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৫)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ مُعَاذَةَ الْعَدَوِيَّةِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسْتَأْذِنُنَا إِذَا كَانَ فِي يَوْمِ الْمَرْأَةِ مِنَّا بَعْدَ مَا نَزَلَتْ ( تُرْجِي مَنْ تَشَاءُ مِنْهُنَّ وَتُؤْوِي إِلَيْكَ مَنْ تَشَاءُ) فَقَالَتْ لَهَا مُعَاذَةُ فَمَا كُنْتِ تَقُولِينَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا اسْتَأْذَنَكِ قَالَتْ كُنْتُ أَقُولُ إِنْ كَانَ ذَاكَ إِلَىَّ لَمْ أُوثِرْ أَحَدًا عَلَى نَفْسِي .
'A'isha (Allah be pleased with her) reported that Allah's Messenger (ﷺ) sought our permission when he had a (turn to spend) a day with (one of his wives) amongst us (whereas he wanted to visit his other wives too). It was after this that this verse was revealed:
" Thou mayest put off whom thou pleasest of them, and take for thee whom thou pleasest" (xxxiii. 5). Mu'adha said to her: What did you say to Allah's Messenger (ﷺ) when he sought your permission? She said: I used to say: If it had the option in this I would not have (allowed anyone) to have precedence over me.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৫-(.../...) হাসান ইবনু ঈসা (রহঃ) ..... আসিম (রহঃ) এর সূত্রে পূর্বোক্ত সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৬)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنَاهُ الْحَسَنُ بْنُ عِيسَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . نَحْوَهُ .
The above hadith has likewise been narrated through another chain.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৬-(২৪/১৪৭৭) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা তা ত্বলাক (তালাক) মনে করিনি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৭)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ قَدْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَعُدَّهُ طَلاَقًا .
'A'isha reported:
Allah's Messenger (ﷺ) gave us the option (to get divorce) but we did not deem it as divorce.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৭-(২৫/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) ..... মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীকে ইখতিয়ার প্রদানে আমার কোন পরোয়া নেই- একবার শতবার কিংবা হাজারবার যদি সে আমাকে পছন্দ করে থাকে। আর আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করেছি। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এতে কি ত্বলাক (তালাক) হয়ে গিয়েছে? (না এতে ত্বলাক (তালাক) হয়নি) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৮, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৮)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي، خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ مَا أُبَالِي خَيَّرْتُ امْرَأَتِي وَاحِدَةً أَوْ مِائَةً أَوْ أَلْفًا بَعْدَ أَنْ تَخْتَارَنِي وَلَقَدْ سَأَلْتُ عَائِشَةَ فَقَالَتْ قَدْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَفَكَانَ طَلاَقًا.
Masruq reported:
I do not mind if I give option to my wife (to get divorce) once, hundred times, or thousand times after (knowing it) that she has chosen me (and would never seek divorce). I asked 'A'isha (Allah be pleased with her) (about it) and she said: Allah's Messenger (ﷺ) gave us the option, but did it imply divorce? (It was in fact not a divorce; it is effective when women actually avail themselves of it.)
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৮-(২৬/...) মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সহধর্মিণীগণকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। কিন্তু তা (ইখতিয়ার প্রদান করা) ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৯, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৯)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَيَّرَ نِسَاءَهُ فَلَمْ يَكُنْ طَلاَقًا.
'A'isha reported that Allah's Messenger (ﷺ) gave option to his wives, but it was not a divorce.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৭৯-(২৭/...) ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫০)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، وَإِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرْنَاهُ فَلَمْ يَعُدَّهُ طَلاَقًا .
'A'isha (Allah be pleased with her) reported:
Allah's Messenger (ﷺ) gave us the option (to get divorce) and we chose him and he did not count it a divorce.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৮০-(২৮/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহিমাহুমুল্লাহ) ...... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইখতিয়ার প্রদান করেছিলেন। এরপর আমরা তাকে গ্রহণ করলাম। এটা আমাদের উপর ত্বলাক (তালাক) বলে গণ্য হয়নি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫১)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَيَّرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاخْتَرْنَاهُ فَلَمْ يَعْدُدْهَا عَلَيْنَا شَيْئًا .
'A'isha (Allah be pleased with her) reported:
Allah's Messeinger (ﷺ) gave us the option (to get divorce), but me made a choice of him and he did not count anything (as divorce) in regard to us.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৮১-(.../...) আবূ রবী’ আয যাহরানী (রহঃ) ..... আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে আসওয়াদ (রহঃ) এর সূত্রে মাসরূক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত আছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫২)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّاءَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، وَعَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، بِمِثْلِهِ.
A hadith like this has been transmitted on the authority of 'A'isha through another chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৪. ইখতিয়ার প্রদান করলে ত্বলাকের নিয়্যাত না করলে ত্বলাক হবে না
৩৫৮২-(২৯/১৪৭৮) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর (রাযিঃ) এসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তিনি তার দরজায় অনেক লোককে উপবিষ্ট দেখতে পেলেন। তবে তাদের কাউকে ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন, এরপর তিনি আবূ বকর (রাযিঃ) কে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করলে তিনি প্রবেশ করলেন। এরপর উমর (রাযিঃ) এলেন এবং তিনি অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তাকেও প্রবেশের অনুমতি প্রদান করা হল। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে চিন্তাযুক্ত ও নীরব বসে থাকতে দেখলেন আর তখন তার চতুস্পার্শ্বে তার সহধর্মিণীগণ উপবিষ্টা ছিলেন। তিনি [বর্ণনাকারী জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ)] বলেন, “উমর (রাযিঃ) বললেন নিশ্চয়ই আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এমন কথা বলব যা তাকে হাসাবে।
এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি যদি খারিজাহ এর কন্যাকে [উমার (রাযিঃ) এর স্ত্রী] আমার কাছে খোরপোষ তলব করতে দেখতেন তাহলে (তৎক্ষণাৎ) আপনি তার দিকে অগ্রসর হয়ে তার স্কন্ধে আঘাত করতেন। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে উঠলেন এবং বললেন, আমার চতুস্পার্শ্বে তোমরা যাদের দেখতে পাচ্ছ তারা আমার কাছে খোরপোষ দাবী করছে। অমনি আবূ বকর (রাযিঃ) আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর দিকে ছুটলেন এবং তার গর্দানে আঘাত করলেন। উমার (রাযিঃ)ও দাঁড়িয়ে গেলেন এবং হাফসাহ (রাযিঃ) এর দিকে অগ্রসর হয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করলেন। তারা উভয়ে বললেন, তোমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এমন জিনিস দাবী করছ যা তার কাছে নেই। তখন তারা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ) বললেন, আল্লাহর কসম আমরা আর কখনো রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এমন জিনিস চাইব না যা তার কাছে নেই।
এরপর তিনি তাদের (তার সহধর্মিণীগণের) থেকে এক মাস কিংবা উনত্রিশ দিন পৃথক রইলেন। এরপর তার প্রতি এ আয়াত নাযিল হল- (অর্থ) "হে নবী! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলে দিন, তোমরা যদি পার্থিব জীবনের ভোগ ও এর বিলাসিতা কামনা কর, তাহলে এসো আমি তোমাদের ভোগ-বিলাসের ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদের বিদায় করে দেই। আর যদি তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূল ও পরকালকে কামনা কর তাহলে তোমাদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণা আল্লাহ তাদের জন্য মহা প্রতিদান প্রস্তুত করে রেখেছেন"- (সূরা আহযাব ৩৩ঃ ২৮-২৯)। তিনি [জাবির (রাযিঃ)] বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ’আয়িশাহ্ (রাযিঃ) কে দিয়ে (আয়াতের নির্দেশ তামীল করতে) শুরু করলেন।
তখন তিনি বললেন, হে আয়িশাহ্! আমি তোমার কাছে একটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয়ে আলাপ করতে চাই। তবে সে বিষয়ে তোমার পিতামাতার সঙ্গে পরামর্শ না করে তোমার ত্বরিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করাই আমি পছন্দ করি। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার ব্যাপারে আমি কি আমার পিতা-মাতার কাছে পরামর্শ নিতে যাব? (এর কোন প্রয়োজন নেই)। না, বরং আমি আল্লাহ, তার রসূল ও আখিরাতকেই বেছে নিয়েছি। তবে আপনার সকাশে আমার একান্ত নিবেদন, আমি যা বলেছি সে সম্পর্কে আপনি আপনার অন্যান্য সহধর্মিণীগণের কারো কাছে ব্যক্ত করবেন না। তিনি বললেন, তাদের যে কেউ সে বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি অবশ্যই তাকে তা বলে দিব। কারণ আল্লাহ আমাকে কঠোরতা আরোপকারী ও অত্যাচারীরূপে নয় বরং সহজ পন্থায় (শিক্ষাদানকারী) হিসেবে প্রেরণ করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৫৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৫৩)
باب بَيَانِ أَنَّ تَخْيِيرَ امْرَأَتِهِ لاَ يَكُونُ طَلاَقًا إِلاَّ بِالنِّيَّةِ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ دَخَلَ أَبُو بَكْرٍ يَسْتَأْذِنُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَجَدَ النَّاسَ جُلُوسًا بِبَابِهِ لَمْ يُؤْذَنْ لأَحَدٍ مِنْهُمْ - قَالَ - فَأُذِنَ لأَبِي بَكْرٍ فَدَخَلَ ثُمَّ أَقْبَلَ عُمَرُ فَاسْتَأْذَنَ فَأُذِنَ لَهُ فَوَجَدَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَالِسًا حَوْلَهُ نِسَاؤُهُ وَاجِمًا سَاكِتًا - قَالَ - فَقَالَ لأَقُولَنَّ شَيْئًا أُضْحِكُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ رَأَيْتَ بِنْتَ خَارِجَةَ سَأَلَتْنِي النَّفَقَةَ فَقُمْتُ إِلَيْهَا فَوَجَأْتُ عُنُقَهَا . فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " هُنَّ حَوْلِي كَمَا تَرَى يَسْأَلْنَنِي النَّفَقَةَ " . فَقَامَ أَبُو بَكْرٍ إِلَى عَائِشَةَ يَجَأُ عُنُقَهَا فَقَامَ عُمَرُ إِلَى حَفْصَةَ يَجَأُ عُنُقَهَا كِلاَهُمَا يَقُولُ تَسْأَلْنَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا لَيْسَ عِنْدَهُ . فَقُلْنَ وَاللَّهِ لاَ نَسْأَلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا أَبَدًا لَيْسَ عِنْدَهُ ثُمَّ اعْتَزَلَهُنَّ شَهْرًا أَوْ تِسْعًا وَعِشْرِينَ ثُمَّ نَزَلَتْ عَلَيْهِ هَذِهِ الآيَةُ ( يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لأَزْوَاجِكَ) حَتَّى بَلَغَ ( لِلْمُحْسِنَاتِ مِنْكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا) قَالَ فَبَدَأَ بِعَائِشَةَ فَقَالَ " يَا عَائِشَةُ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَعْرِضَ عَلَيْكَ أَمْرًا أُحِبُّ أَنْ لاَ تَعْجَلِي فِيهِ حَتَّى تَسْتَشِيرِي أَبَوَيْكِ " . قَالَتْ وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَتَلاَ عَلَيْهَا الآيَةَ قَالَتْ أَفِيكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَسْتَشِيرُ أَبَوَىَّ بَلْ أَخْتَارُ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الآخِرَةَ وَأَسْأَلُكَ أَنْ لاَ تُخْبِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِكَ بِالَّذِي قُلْتُ . قَالَ " لاَ تَسْأَلُنِي امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ إِلاَّ أَخْبَرْتُهَا إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْنِي مُعَنِّتًا وَلاَ مُتَعَنِّتًا وَلَكِنْ بَعَثَنِي مُعَلِّمًا مُيَسِّرًا " .
Jabir b. 'Abdullah (Allah be pleased with them) reported:
Abu Bakr (Allah be pleased with him) came and sought permission to see Allah's Messenger (ﷺ). He found people sitting at his door and none amongst them had been granted permission, but it was granted to Abu Bakr and he went in. Then came 'Umar and he sought permission and it was granted to him, and he found Allah's Apostle (ﷺ) sitting sad and silent with his wives around him. He (Hadrat 'Umar) said: I would say something which would make the Prophet (ﷺ) laugh, so he said: Messenger of Allah, I wish you had seen (the treatment meted out to) the daughter ofKhadija when you asked me some money, and I got up and slapped her on her neck. Allah's Messenger (mav peace be upon him) laughed and said: They are around me as you see, asking for extra money. Abu Bakr (Allah be pleased with him) then got up went to 'A'isha (Allah be pleased with her) and slapped her on the neck, and 'Umar stood up before Hafsa and slapped her saying: You ask Allah's Messenger (ﷺ) which he does not possess. They said: By Allah, we do not ask Allah's Messenger (ﷺ) for anything he does not possess. Then he withdrew from them for a month or for twenty-nine days. Then this verse was revealed to him:" Prophet: Say to thy wives... for a mighty reward" (xxxiii. 28). He then went first to 'A'isha (Allah be pleased with her) and said: I want to propound something to you, 'A'isha, but wish no hasty reply before you consult your parents. She said: Messenger of Allah, what is that? He (the Holy Prophet) recited to her the verse, whereupon she said: Is it about you that I should consult my parents, Messenger of Allah? Nay, I choose Allah, His Messenger, and the Last Abode; but I ask you not to tell any of your wives what I have said He replied: Not one of them will ask me without my informing her. God did not send me to be harsh, or cause harm, but He has sent me to teach and make things easy.