পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে
৩৫৬৮-(১৮/১৪৭৩) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... হিশাম দাসতাওয়ায়ী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়াহইয়া ইবনু আবূ কাসীর (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্রে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে (লিখিতরূপে) বর্ণনা করেছেন যে, তিনি (সাঈদ) বলেছেন যে, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম করা সম্বন্ধে বলতেন যে, তা কসম (ইয়ামীন) সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারাহ আদায় করবে।
ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) (এ প্রসঙ্গে) আরো বলেছেন, (পবিত্র কুরআনের)لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ (আয়াত উদ্ধৃত করে) "তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ" (সূরা আল আহযাব ৩৩ঃ ২১)। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪০, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৩৯)
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ هِشَامٍ، - يَعْنِي الدَّسْتَوَائِيَّ - قَالَ كَتَبَ إِلَىَّ يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ يُحَدِّثُ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا . وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ ( لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ) .
Ibn Abbas (Allah be pleased with them) reported about (declaring of one's woman) unlawful as an oath which must be atoned, and Ibn 'Abbas said:
Verily, there is in the Messenger of Allah (ﷺ) a model pattern for you.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে
৩৫৬৯-(১৯/...) ইয়াহইয়া ইবনু বিশ্র আল হারীরী (রহঃ) ..... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, কোন পুরুষ তার স্ত্রীকে নিজের জন্য হারাম (ঘোষণা) করলে তা কসম সাব্যস্ত হবে, তার কাফফারাহ আদায় করবে। তিনি আরো বলেছেন, তোমাদের জন্য রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪১, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪০)
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بِشْرٍ الْحَرِيرِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، قَالَ إِذَا حَرَّمَ الرَّجُلُ عَلَيْهِ امْرَأَتَهُ فَهْىَ يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا وَقَالَ ( لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ)
Ibn Abbas (Allah be pleased with them) reported:
When a man declares his wife unlawful for himself that is an oath which must be atoned, and he said: There is in the Messenger of Allah (ﷺ) a noble pattern for you.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে
৩৫৭০-(২০/১৪৭৪) মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... উবায়দ ইবনু উমায়র (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ) কে এ মর্মে হাদীসের খবর প্রদান করতে শুনেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আসর পরবর্তী সময় হুজরাসমূহে আবর্তন কালে) যায়নাব বিনত জাহশ (রাযিঃ) এর গৃহে অবস্থান করে সেখানে মধু পান করেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেন, আমি ও হাফসাহ মিলে এরূপ যুক্তি-পরামর্শ করলাম যে, আমাদের দু’জনের মাঝে যার কাছেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (প্রথমে) আগমন করবেন সে বলবে- “আমি আপনার মুখে মাগাফীর’-এর দুর্গন্ধ পাচ্ছি।* আপনি মাগাফীর খেয়েছেন।” পরে তিনি এদের কোন একজনের কাছে গেলে সে তাকে অনুরূপ বলল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বরং আমি তো যায়নাব বিনতু জাহশ এর ঘরে মধু পান করেছি এবং পুনরায় কখনো পান করব না। তখন নাযিল হল-
(অর্থঃ) “হে নবী। আল্লাহ আপনার জন্য যা বৈধ করেছেন, আপনি তা হারাম করছেন কেন? আপনি আপনার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনা করছেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। আল্লাহ তোমাদের শপথ হতে মুক্তি লাভের ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ তোমাদের সহায়; তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। স্মরণ কর-নবী তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন। অতঃপর যখন সে তা অন্যকে বলে দিয়েছিল এবং আল্লাহ নবীকে তা জানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন নবী এ বিষয় কিছু ব্যক্ত করলেন; কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা তার সে স্ত্রীকে জানালেন তখন সে বলল, কে আপনাকে তা অবহিত করল? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত। যদি তোমরা উভয়ে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যেহেতু তোমাদের হৃদয় ঝুঁকে পড়েছে- আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন"- (সূরা আত তাহরীম ৬৬ঃ ১-৪)।
এতে “যদি তোমরা উভয়ে তওবা কর (অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর) দ্বারা ’আয়িশাহ ও হাফসাহ্ (রাযিঃ) উদ্দেশ্য। এবং "যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার স্ত্রীদের একজনকে গোপনে কিছু বলেছিলেন" দ্বারা বরং আমি মধুপান করেছি এবং আর কখনো পান করবো না উদ্দেশ্য"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪২, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪১)
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، أَنَّهُ سَمِعَ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يُخْبِرُ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، تُخْبِرُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَمْكُثُ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَيَشْرَبُ عِنْدَهَا عَسَلاً قَالَتْ فَتَوَاطَأْتُ أَنَا وَحَفْصَةُ أَنَّ أَيَّتَنَا مَا دَخَلَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلْتَقُلْ إِنِّي أَجِدُ مِنْكَ رِيحَ مَغَافِيرَ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَدَخَلَ عَلَى إِحْدَاهُمَا فَقَالَتْ ذَلِكَ لَهُ . فَقَالَ " بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ وَلَنْ أَعُودَ لَهُ " . فَنَزَلَ ( لِمَ تُحَرِّمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لَكَ) إِلَى قَوْلِهِ ( إِنْ تَتُوبَا) لِعَائِشَةَ وَحَفْصَةَ ( وَإِذْ أَسَرَّ النَّبِيُّ إِلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ حَدِيثًا) لِقَوْلِهِ " بَلْ شَرِبْتُ عَسَلاً " .
'A'isha (Allah be pleased with her) narrated that Allah's Apostle (ﷺ) used to spend time with Zainab daughter of Jahsh and drank honey at her house. She ('A'isha further) said:
I and Hafsa agreed that one whom Allah's Apostle (ﷺ) would visit first should say: I notice that you have an odour of the Maghafir (gum of mimosa). He (the Holy Prophet) visited one of them and she said to him like this, whereupon he said: I have taken honey in the house of Zainab bint Jabsh and I will never do it again. It was at this (that the following verse was revealed): 'Why do you hold to be forbidden what Allah has made lawful for you... (up to). If you both ('A'isha and Hafsa) turn to Allah" up to:" And when the Prophet confided an information to one of his wives" (lxvi. 3). This refers to his saying: But I have taken honey.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে
৩৫৭১-(২১/...) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনুল ’আলা ও হারূন ইবনু আবদুল্লাহ (রহিমাহুমাল্লাহ) (আবূ উসামাহ সূত্রে) ..... হিশামের পিতা (উরওয়াহ্) সূত্রে আয়িশাহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিষ্ট দ্রব্য (হালুয়া) ও মধু পছন্দ করতেন। তার নিয়ম ছিল- আসরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায়ের পরে স্ত্রীদের ঘরে ঘরে এক চক্কর গিয়ে আসতেন এবং তাদের সান্নিধ্যে-সন্নিকটে গমন করতেন। এভাবে তিনি হাফসাহ (রাযিঃ) এর কাছে গেলেন এবং তার কাছে স্বাভাবিকভাবে আবদ্ধ থাকার সময়ের চেয়ে অধিক সময় আবদ্ধ রইলেন। আমি (আয়িশাহ্) এ বিষয় জিজ্ঞেস করলে আমাকে বলা হল- তাকে (হাফসাকে) তার গোত্রের কোন মহিলা এক পাত্র মধু হাদিয়া দিয়েছিল। তাই সে তা থেকে কিছু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পান করিয়েছিল।
(আয়িশাহ বলেন) আমি বললাম, ওহে আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই তার জন্য কৌশলের ফাঁদ পাতব। আমি বিষয়টি সাওদাহ্ এর সঙ্গে আলোচনা করলাম এবং তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমার কাছে আগমন করলে তিনি তো তোমার সন্নিকটে আসবেন, তখন তুমি তাকে বলবে, হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন। তখন তিনি তো তোমাকে বলবেন- ’না’। তখন তুমি তাকে বলবে, (তবে) এ দুর্গন্ধ কিসের?- আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হতে দুৰ্গন্ধ পাওয়া যাবে- এটা ছিল তার কাছে অতি অসহনীয় বিষয়। তখন তিনি তোমাকে বলবেন- হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। তুমি তখন তাকে বলবে, ঐ মধুর মৌমাছি- উরফুত (গাছের কষ) চুষেছে।" আর আমিও তাকে এভাবেই বলব। আর তুমিও হে সফিয়াহ! তাই বলবে।
পরে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাওদাহ (রাযিঃ)-এর কাছে গেলেন- ’আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ্ (রাযিঃ) এর বর্ণনা- “কসম সে সত্তার যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছিলে তা তার কাছে প্রকাশ করেই দিচ্ছিলাম প্রায় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন দরজায়- তোমার ভয়ে (তা আর করা হল না)। পরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকটবর্তী হলে সে বলল, “হে আল্লাহর রসূল! আপনি মাগাফীর খেয়েছেন? তিনি বললেন, ’না’। সে (সাওদাহ্) বলল, তবে এ ঘ্রাণ কিসের? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাফসাহ আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে। সাওদাহ্ বলল, (তবে তাই) তার মৌমাছি উরফুত বা মাগাফিরের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করেছে।”
পরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আগমন করলে আমিও তাকে অনুরূপ বললাম। অতঃপর সফিয়্যাহ্ (রাযিঃ) এর কাছে গেলে সেও অনুরূপ বলল। পরে (আবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসাহ এর নিকট গেলে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আপনাকে তা পান করতে দিব না? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তার প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই।” আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, সাওদাহ (রাযিঃ) বলতে লাগল, আল্লাহর কসম আমরা তো তাকে (একটি প্রিয় পানীয় হতে) বঞ্চিত করে দিয়েছি। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, চুপ থাক। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪২)
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ فَكَانَ إِذَا صَلَّى الْعَصْرَ دَارَ عَلَى نِسَائِهِ فَيَدْنُو مِنْهُنَّ فَدَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ فَاحْتَبَسَ عِنْدَهَا أَكْثَرَ مِمَّا كَانَ يَحْتَبِسُ فَسَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقِيلَ لِي أَهْدَتْ لَهَا امْرَأَةٌ مِنْ قَوْمِهَا عُكَّةً مِنْ عَسَلٍ فَسَقَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهُ شَرْبَةً فَقُلْتُ أَمَا وَاللَّهِ لَنَحْتَالَنَّ لَهُ . فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِسَوْدَةَ وَقُلْتُ إِذَا دَخَلَ عَلَيْكِ فَإِنَّهُ سَيَدْنُو مِنْكِ فَقُولِي لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ لاَ . فَقُولِي لَهُ مَا هَذِهِ الرِّيحُ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَشْتَدُّ عَلَيْهِ أَنْ يُوجَدَ مِنْهُ الرِّيحُ - فَإِنَّهُ سَيَقُولُ لَكِ سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ . فَقُولِي لَهُ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ وَسَأَقُولُ ذَلِكَ لَهُ وَقُولِيهِ أَنْتِ يَا صَفِيَّةُ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى سَوْدَةَ قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ وَالَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ لَقَدْ كِدْتُ أَنْ أُبَادِئَهُ بِالَّذِي قُلْتِ لِي وَإِنَّهُ لَعَلَى الْبَابِ فَرَقًا مِنْكِ فَلَمَّا دَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَكَلْتَ مَغَافِيرَ قَالَ " لاَ " . قَالَتْ فَمَا هَذِهِ الرِّيحُ قَالَ " سَقَتْنِي حَفْصَةُ شَرْبَةَ عَسَلٍ " . قَالَتْ جَرَسَتْ نَحْلُهُ الْعُرْفُطَ . فَلَمَّا دَخَلَ عَلَىَّ قُلْتُ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ دَخَلَ عَلَى صَفِيَّةَ فَقَالَتْ بِمِثْلِ ذَلِكَ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَى حَفْصَةَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ أَسْقِيكَ مِنْهُ قَالَ " لاَ حَاجَةَ لِي بِهِ " . قَالَتْ تَقُولُ سَوْدَةُ سُبْحَانَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ حَرَمْنَاهُ . قَالَتْ قُلْتُ لَهَا اسْكُتِي .
'A'isha (Allah be pleased with her) reported Allah's Messenger (ﷺ) liked sweet (dish) and honey. After saying the afternoon prayer he used to visit his wives going close to them. So he went to Hafsa and stayed with her more than what was his usual stay. I ('A'isha) asked about that. It was said to me:
A woman of her family had sent her a small vessel of honey as a gift, and she gave to Allah's Messenger (ﷺ) from that a drink. I said: By Allah, we would also contrive a device for him. I mentioned that to Sauda, and said: When he (Allah's Apostle) would visit you and draw close to you, say to him: Allah's Messenger, have you taken maghafir? And he would'say to you: No. Then say to him: What is this odour? And Allah's Messenger (ﷺ) felt it very much that unpleasant odour should emit from him. So he would say to you: Hafsa has given me a drink of honey. Then you should say to him: The honey-bees might have sucked 'Urfut, and I would also say the same to him and. Safiyya, you should also say this. So when he (the Holy Prophet) came to Sauda, she said: By Him besides whom there is no god, it was under compulsion that I had decided to state that which you told me when he would be at a little distance at the door. So when Allah's Messenger (ﷺ) came near, she said: Messenger of Allah, did you eat Maghafir? He said: No. She (again) said: Then what is this odour? He said: Hafsa gave me honey to drink. She said: The honey-bee might have sucked 'Urfut. When he came to me I told him like this. He then visited Safiyya and she also said to him like this. When he (again) visited Hafsa, she said: Messenger of Allah, should I not give you that (drink)? He said: I do not need that. Sauda said: Hallowed be Allah, by Him we have (contrived) to make that (honey) unlawful for him. I said to her: Keep quiet.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ত্বলাকের নিয়্যাত না করে স্ত্রীকে হারাম সাব্যস্ত করলে তার উপর কাফফারাহ্ ওয়াজিব হবে
৩৫৭২-(.../...) (ইমাম মুসলিম এর শাগরিদ) আবূ ইসহাক ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, হাসান ইবনু বিশর (রহঃ) আবূ উসামাহ্ (রহঃ) এর সূত্রে আমাকে অবিকল এ হাদীস শুনিয়েছেন। সুওয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) আলী ইবনু মিসহার ও হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (রহঃ) এর সূত্রে ঐ সানাদে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৫৪৩, ইসলামীক সেন্টার ৩৫৪৩)
باب وُجُوبِ الْكَفَّارَةِ عَلَى مَنْ حَرَّمَ امْرَأَتَهُ وَلَمْ يَنْوِ الطَّلاَقَ
قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، بِهَذَا سَوَاءً وَحَدَّثَنِيهِ سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ .
This hadith has been narrated on the authority of 'Urwa with the same chain of transmitters.