পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৫-(৯/৯০৪) ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় ভীষণ গরমের দিনে একবার সূর্যগ্রহণ লাগল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাতে কিয়াম এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, লোকেরা পড়ে যেতে লাগল। অতঃপর রুকূ’ করলেন এবং তাও খুব লম্বা করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। আবার রুকূ’তে গেলেন এবং লম্বা রুকূ’ করলেন। তারপর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর দুটি সিজদা করলেন। এরপর দাঁড়িয়ে পূর্বের ন্যায় কিয়াম ও রুকূ করলেন। এতে চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা ছিল। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সেসব স্থানে প্রবেশ করবে যে সব স্থান আমাকে দেখানো হয়েছে। আমার সামনে জান্নাত পেশ করা হয়েছিল। আমি সেখান থেকে একটি আঙ্গুর ধরতে চেয়েছিলাম। অথবা তিনি বলেছেন, একটি শাখা ধরতে চাইলে আমার হাত সে পর্যন্ত পৌছতে পারেনি এবং আমার সম্মুখে জাহান্নামও পেশ করা হয়েছিল। সেখানে বনী ইসরাঈলের একটি মহিলাকে দেখতে পেলাম। তাকে একটা বিড়ালের কারণে শাস্তি দেয়া হয়েছে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল, খানাপানি কিছু দেয়নি। আর ছেড়েও দেয়নি যে তা জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করত (এভাবে অনাহারে বিড়ালটি মারা গেল)। এছাড়াও জাহান্নামে আবূ সুমামাহ আমর ইবনু মালিককেও দেখলাম, সে তার নাড়িভুড়ি টানাটানি করছে। আরবরা বলত যে, চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কোন মহান ব্যক্তির মৃত্যুর কারণেই সংঘটিত হয়ে থাকে। অথচ এ দুটি আল্লাহর দু’টি নিদর্শন যা আল্লাহ তোমাদেরকে দেখান। অতএব যখন চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ লাগে, তোমরা সালাত আদায় কর যে পর্যন্ত তা পরিষ্কার না হয়ে যায়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৯, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৬)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي يَوْمٍ شَدِيدِ الْحَرِّ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصْحَابِهِ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى جَعَلُوا يَخِرُّونَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ رَفَعَ فَأَطَالَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَصَنَعَ نَحْوًا مِنْ ذَاكَ فَكَانَتْ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ثُمَّ قَالَ " إِنَّهُ عُرِضَ عَلَىَّ كُلُّ شَىْءٍ تُولَجُونَهُ فَعُرِضَتْ عَلَىَّ الْجَنَّةُ حَتَّى لَوْ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا أَخَذْتُهُ - أَوْ قَالَ تَنَاوَلْتُ مِنْهَا قِطْفًا - فَقَصُرَتْ يَدِي عَنْهُ وَعُرِضَتْ عَلَىَّ النَّارُ فَرَأَيْتُ فِيهَا امْرَأَةً مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ تُعَذَّبُ فِي هِرَّةٍ لَهَا رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ وَرَأَيْتُ أَبَا ثُمَامَةَ عَمْرَو بْنَ مَالِكٍ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ . وَإِنَّهُمْ كَانُوا يَقُولُونَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَخْسِفَانِ إِلاَّ لِمَوْتِ عَظِيمٍ وَإِنَّهُمَا آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُرِيكُمُوهُمَا فَإِذَا خَسَفَا فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ "
Jabir b. 'Abdullah reported:
The sun eclipsed on one extremely hot day during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) prayed along with his Companions. He prolonged his qiyam (standing posture in prayer) till they (his Companions) began to fall down. He then observed a long ruku'. He raised his head (and stood up for long) and then observed a long ruku'. He then raised (his head and stood up) for a long time and then made two prostrations. He then stood up and did like this and thus he observed four ruku's and four prostrations (in two rak'ahs) and then said: All these things were brought to me in which you will be made to enter. Paradise was brought to me till (I was so close to it) that if I (had intended) to pluck a bunch (of grapes) out of it. I would have got it, or he (the Holy Prophet) said: I intended to get a bunch (out of that) but my hand could not reach it. Hell was also brought to me and I saw in it a woman belonging to the tribe of Israel who was tormented for a cat whom she had tied, but did not give it food nor set it free to eat the creatures of the earth; and I saw Abu Thumama 'Amr b. Malik who was dragging his intestines in Hell. They (the Arabs) used to say that the sun and the moon do not eclipse but on the death of some great person; but (in reality) both these (the sun and the moon) are among the signs of Allah which are shown to you; so when there is an eclipse, observe prayer till it (the sun or the moon) brightens.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৬-(.../...) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ (রহঃ) ..... হিশাম (রহঃ) থেকে একই সানাদে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কেবল ব্যতিক্রম এই যে, তিনি বলেন, আমি জাহান্নামের মধ্যে হিমইয়ারিয়্যাহ গোত্রের একটি দীর্ঘাকায় কালো মেয়েলোককে দেখতে পেলাম। এতে তিনি বনী ইসরাঈলের কথা উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭০, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৭)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِيهِ أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الصَّبَّاحِ، عَنْ هِشَامٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ إِلاَّ أَنَّهُ قَالَ " وَرَأَيْتُ فِي النَّارِ امْرَأَةً حِمْيَرِيَّةً سَوْدَاءَ طَوِيلَةً " . وَلَمْ يَقُلْ " مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ " .
This hadith has been narrated by Hisham with the same chain of transmitters except this" I saw a dark woman with a tail stature and loud voice," but he made no mention of" from among Bani Israel".
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৭-(১০/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) [তাদের দু’জনের শব্দ প্রায় কাছাকাছি] ..... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় অর্থাৎ যেদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয় পুত্র ইবরাহীম মৃত্যুবরণ করেন, সূর্যগ্রহণ লেগেছিল। এতে লোকেরা বলতে লাগল ইবরাহীমের মৃত্যুর কারণে সূর্যগ্রহণ লেগেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে গিয়ে উপস্থিত লোকদের নিয়ে ছয় রুকূ’ ও চার সাজদায় সালাত আদায় করলেন। সূচনাতে তাকবীর উচ্চারণ করলেন পরে কিরআত পাঠ করলেন এবং কিরআত বেশ লম্বা করলেন। অতঃপর রুকূ করলেন। রুকূ’তে কিয়ামের সমপরিমাণ সময় অবস্থান করলেন। অতঃপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠালেন এবং কিয়ামে প্রথম কিরআত অপেক্ষা কিছু ছোট কিরআত পাঠ করলেন। অতঃপর কিয়ামের সমপরিমাণ সময় রুকূ’তে কাটালেন। তারপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে কিরআত পাঠ করলেন যা পূর্বের কিরআত অপেক্ষা ছোট ছিল। অতঃপর রুকূ’তে গিয়ে কিয়ামের পরিমাণ সময় অতিবাহিত করলেন। এরপর রুকূ’ থেকে মাথা উঠিয়ে সাজদায় গেলেন এবং দুটি সিজদা করলেন। তারপর দাঁড়িয়ে আরো তিনটি রুকূ করলেন যাতে কোন রাকাআত ছিল না। শেষের তিন রুকূ’ এরূপ ছিল যে, প্রত্যেক রুকূ’ পূর্ববর্তী রুকূ’ অপেক্ষা ছোট এবং পরবর্তী রুকূ’ অপেক্ষা দীর্ঘ ছিল। আর প্রতিটি রুকূর সময় সাজদার সমপরিমাণ ছিল।
অতঃপর তিনি একটু পিছনে সরে আসলেন আর তার পিছনের সারিগুলোও পিছনে সরে গিয়ে আমরা পৌছে গেলাম। আবূ বকর বলেনঃ মহিলাদের কাতার পর্যন্ত পৌছে গেলেন। অতঃপর তিনি সামনে এগিয়ে গেলেন এবং তার সাথে সব লোক সামনে এগিয়ে গেল। অবশেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়িয়ে সালাত শেষ করলেন। এদিকে সূর্য তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এল। সালাত শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) উপস্থিত লোকদেরকে সম্বোধন করে বললেন, হে লোক সকল! চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। আর এ দুটি কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে গ্রাসপ্রাপ্ত হয় না। আবূ বকর-এর বর্ণনায় (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন), "কোন মানুষের মৃত্যুর কারণে" (এ দুটি গ্রহণ হয় না)। অতএব, তোমরা যখন এরূপ কিছু ঘটতে দেখ তখন সালাত আদায় কর যে পর্যন্ত সূর্য স্পষ্ট হয়ে না যায়। তোমাদের কাছে যে সব বিষয় সম্পর্কে ওয়াদা করা হয়েছে তার প্রতিটি আমি আমার সালাতের মধ্যে দেখতে পেয়েছি। আমার কাছে জাহান্নাম তুলে ধরা হয়েছে। আর এটা তখন যখন তোমরা আমাকে দেখেছ যে, আমি পিছনে সরে এসেছি এর লেলিহান শিখা আমাকে স্পর্শ করার ভয়ে।
অবশেষে আমি জাহান্নামের মধ্যে লৌহশলাকাধারীকে (আমর ইবনু মালিক) দেখলাম, সে জাহান্নামের মধ্যে নিজের নাড়ীভুড়ি টানছে। এ ব্যক্তি নিজ লাঠি দ্বারা হাজ যাত্রীদের মালপত্র চুরি করত। এরপর যদি ধরা পড়ে যেত তখন বলত আহ! আমার শলাকার সাথে লেগে গেছে। আর কেউ অসাবধান থাকলে তা নিয়ে যেত। এছাড়া জাহান্নামের মধ্যে ঐ মহিলাকেও দেখতে পেলাম যে, একটি বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল। এরপর এটাকে আহারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে জীবন ধারণ করতে পারত। শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি ক্ষুধায় ছটফট করে মারা গেল। অতঃপর আমার সামনে জান্নাত তুলে ধরা হয়েছে। আর এটা তখন দৃষ্ট হয়েছে, যখন তোমরা আমাকে দেখতে পেয়েছ যে, আমি সামনে এগিয়ে গেছি এবং নিজস্থানে দাঁড়িয়েছি। আমি আমার হাত প্রসারিত করলাম এবং এর ফল তুলে নেবার ইচ্ছা করলাম যাতে তোমরা তা দেখতে পাও। অতঃপর এরূপ না করাই স্থিরকৃত হ’ল। যেসব বিষয় তোমাদের জানানো হয়েছিল তার প্রতিটি বিষয় আমি আমার এ সালাতে থাকাকালীন দেখতে পেয়েছি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭১, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৮)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ ابْنُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ النَّاسُ إِنَّمَا انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ . فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى بِالنَّاسِ سِتَّ رَكَعَاتٍ بِأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ بَدَأَ فَكَبَّرَ ثُمَّ قَرَأَ فَأَطَالَ الْقِرَاءَةَ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَرَأَ قِرَاءَةً دُونَ الْقِرَاءَةِ الثَّانِيَةِ ثُمَّ رَكَعَ نَحْوًا مِمَّا قَامَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ثُمَّ انْحَدَرَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ سَجْدَتَيْنِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ أَيْضًا ثَلاَثَ رَكَعَاتٍ لَيْسَ فِيهَا رَكْعَةٌ إِلاَّ الَّتِي قَبْلَهَا أَطْوَلُ مِنَ الَّتِي بَعْدَهَا وَرُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ سُجُودِهِ ثُمَّ تَأَخَّرَ وَتَأَخَّرَتِ الصُّفُوفُ خَلْفَهُ حَتَّى انْتَهَيْنَا - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ حَتَّى انْتَهَى إِلَى النِّسَاءِ - ثُمَّ تَقَدَّمَ وَتَقَدَّمَ النَّاسُ مَعَهُ حَتَّى قَامَ فِي مَقَامِهِ فَانْصَرَفَ حِينَ انْصَرَفَ وَقَدْ آضَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ - وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لِمَوْتِ بَشَرٍ - فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْ ذَلِكَ فَصَلُّوا حَتَّى تَنْجَلِيَ مَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ لَقَدْ جِيءَ بِالنَّارِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ مَخَافَةَ أَنْ يُصِيبَنِي مِنْ لَفْحِهَا وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَ الْمِحْجَنِ يَجُرُّ قُصْبَهُ فِي النَّارِ كَانَ يَسْرِقُ الْحَاجَّ بِمِحْجَنِهِ فَإِنْ فُطِنَ لَهُ قَالَ إِنَّمَا تَعَلَّقَ بِمِحْجَنِي . وَإِنْ غُفِلَ عَنْهُ ذَهَبَ بِهِ وَحَتَّى رَأَيْتُ فِيهَا صَاحِبَةَ الْهِرَّةِ الَّتِي رَبَطَتْهَا فَلَمْ تُطْعِمْهَا وَلَمْ تَدَعْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ حَتَّى مَاتَتْ جُوعًا ثُمَّ جِيءَ بِالْجَنَّةِ وَذَلِكُمْ حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَقَدَّمْتُ حَتَّى قُمْتُ فِي مَقَامِي وَلَقَدْ مَدَدْتُ يَدِي وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَتَنَاوَلَ مِنْ ثَمَرِهَا لِتَنْظُرُوا إِلَيْهِ ثُمَّ بَدَا لِي أَنْ لاَ أَفْعَلَ فَمَا مِنْ شَىْءٍ تُوعَدُونَهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي صَلاَتِي هَذِهِ " .
Jabir reported that the sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) on that very day when Ibrahim (the Prophet's son) died. The Apostle of Allah (ﷺ) stood up and led people in (two rak'ahs of) prayer with six ruku's and four prostrations. He commenced (the prayer) with takbir (Allah-o-Akbar) and then recited and prolonged his recital. He then bowed nearly the (length of time) that he stood up. He then raised his head from the ruku' and recited but less than the first recital. He then bowed (to the length of time) that he stood up. He then raised his head from the ruku' and again recited but less than the second recital. He then bowed (to the length of time) that he stood up. He then lifted his head from the ruku'. He then fell in prostration and observed two prostrations. He stood up and then bowed, observing six ruku's like it, without (completing) the rak'ah in them, except (this difference) that the first (qiyam of ruku') was longer than the later one, and the ruku' was nearly (of the same length) as prostration. He then moved backward and the rows behind him also moved backward till we reached the extreme (Abu Bakr said:
till he reached near the women) He then moved forward and the people also moved forward along with him till he stood at his (original) place (of worship). He then completed the prayer as it was required to complete and the sun brightened and he said: O people! verily the sun and the moon are among the signs of Allah and they do not eclipse at the death of anyone among people (Abu Bakr said: On the death of any human being). So when you see anything like it (of the nature of eclipse), pray till it is bright. There is nothing which you have been promised (in the next world) but I have seen it in this prayer of mine. Hell was brought to me as you saw me moving back on account of fear lest its heat might affect me; and I saw the owner of the curved staff who dragged his intestines in the fire, and he used to steal (the belongings) of the pilgrims with his curved staff. If he (the owner of the staff) became aware, he would say: It got (accidentally) entangled in my curved staff, but if he was unaware of that, he would take that away. I also saw in it (in Hell) the owner of a cat whom she had tied and did not feed her nor set her free so that she could eat the creatures of the earth, till the cat died of starvation. Paradise was brought to me, and it was on that occasion that you saw me moving forward till I stood at my place (of worship). I stretched my hand as I wanted to catch hold of its fruits so that you may see them. Then I thought of not doing it. Nothing which you have been promised was there that I did not see in this prayer of mine.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৮-(১১/৯০৫) মুহাম্মাদ ইবনু আ’লা আল হামদানী (রহঃ) ..... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ লাগে। তখন আমি আয়িশাহ্ (রাযিঃ) এর নিকট গিয়ে দেখি তিনি সালাত আদায় করছে। আমি বললাম কি ব্যাপার। লোকেরা সালাত আদায় করছে? আয়িশাহ (রাযিঃ) মাথা নেড়ে আসমানের দিকে ইশারা করলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, একি বিশেষ কোন ঘটনা? তিনি বললেন, হ্যাঁ। এদিকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত লম্বা কিয়াম করলেন যে, আমার মাথার চক্কর এসে গেল। তখন আমি আমার পাশে রাখা পানির মশক নিয়ে আমার মাথায় অথবা চেহারায় পানি ঢালতে আরম্ভ করলাম। আসমা বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত শেষ করার সাথে সাথে সূর্য উজ্জ্বল হয়ে গেল। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের উদ্দেশে খুতবাহ দিলেন। আল্লাহর হামদ ও নাত আদায় করার পর তিনি বললেন, আম্মাবাদ, যে সব বস্তু আমি ইতিপূর্বে দেখিনি তা আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে দেখতে পেলাম। এমনকি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখলাম।
আর এ মুহুর্তে আমার নিকট অবতীর্ণ করা হয়েছে যে, অচিরেই তোমরা কবরে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। অথবা বলেছেন, মাসীহ দাজ্জালের ফিৎনার ন্যায় ফিৎনায় পতিত হবে। (রাবী বলেন,) আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছে। এরপর তোমাদের প্রত্যেককে হাজির করে জিজ্ঞেস করা হবে "এ ব্যক্তি সম্পর্কে তোমার কি জানা আছে?" এ সময় ঈমানদার ব্যক্তি অথবা বলেছে "মু’মিন দৃঢ় বিশ্বাসী ব্যক্তি (আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছেন) বলবে, ইনি মুহাম্মাদ , ইনি রসূলুল্লাহ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুস্পষ্ট প্রমাণাদি ও হিদায়াতের বিষয়বস্তু নিয়ে এসেছেন। তাই আমরা তার আহবানে সাড়া দিয়েছি এবং তার অনুসরণ করেছি। তিনবার সে এ কথা উচ্চারণ করবে। তখন তাকে বলা হবে। ঘুমাও, আমরা জানতাম তুমি তার প্রতি ঈমান বজায় রেখেছো। ভালরূপে ঘুমাও। কিন্তু মুনাফিক অথবা মুরতাদ (সংশয়বাদী আমার জানা নেই আসমা এর কোনটা বলেছেন) বলবে, আমি তো কিছু জানি না। লোকদের কিছু বলাবলি করতে শুনেছি আমিও তা-ই বলেছি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭২, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭৯)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ وَهِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ يُصَلُّونَ فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا إِلَى السَّمَاءِ فَقُلْتُ آيَةٌ قَالَتْ نَعَمْ . فَأَطَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْقِيَامَ جِدًّا حَتَّى تَجَلاَّنِي الْغَشْىُ فَأَخَذْتُ قِرْبَةً مِنْ مَاءٍ إِلَى جَنْبِي فَجَعَلْتُ أَصُبُّ عَلَى رَأْسِي أَوْ عَلَى وَجْهِي مِنَ الْمَاءِ - قَالَتْ - فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ مَا مِنْ شَىْءٍ لَمْ أَكُنْ رَأَيْتُهُ إِلاَّ قَدْ رَأَيْتُهُ فِي مَقَامِي هَذَا حَتَّى الْجَنَّةَ وَالنَّارَ وَإِنَّهُ قَدْ أُوحِيَ إِلَىَّ أَنَّكُمْ تُفْتَنُونَ فِي الْقُبُورِ قَرِيبًا أَوْ مِثْلَ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيُؤْتَى أَحَدُكُمْ فَيُقَالُ مَا عِلْمُكَ بِهَذَا الرَّجُلِ فَأَمَّا الْمُؤْمِنُ أَوِ الْمُوقِنُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ هُوَ مُحَمَّدٌ هُوَ رَسُولُ اللَّهِ جَاءَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَالْهُدَى فَأَجَبْنَا وَأَطَعْنَا . ثَلاَثَ مِرَارٍ فَيُقَالُ لَهُ نَمْ قَدْ كُنَّا نَعْلَمُ إِنَّكَ لَتُؤْمِنُ بِهِ فَنَمْ صَالِحًا وَأَمَّا الْمُنَافِقُ أَوِ الْمُرْتَابُ - لاَ أَدْرِي أَىَّ ذَلِكَ قَالَتْ أَسْمَاءُ - فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي سَمِعْتُ النَّاسَ يَقُولُونَ شَيْئًا فَقُلْتُ " .
Asma' reported:
The sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). As I went to 'A'isha who was busy in prayer. I said: What is the matter with the people that they are praying (a special prayer)? She ('A'isha) pointed towards the sky with her head. I said: Is it (an unusual) sign? She said: Yes. The Messenger of Allah (ﷺ) stood up for prayer for such a long time that I was about to faint. I caught hold of a waterskin lying by my side, and began to pour water over my head, or (began to sprinkle water) on my face. The Messenger of Allah (ﷺ) then finished and the sun had brightened. The Messenger of Allah (ﷺ) then addressed the people, (after) praising Allah and lauding Him, and then said: There was no such thing as I did not see earlier, but I saw it at this very place of mine. I ever saw Paradise and Hell. It was also revealed to me that you would be tried in the graves, as you would he tried something like the turmoil of the Dajjal. Asma' said: I do not know which word he actually used (qariban or mithl), and each one of you would be brought and it would be said: What is your knowledge about this man? If the person is a believer, (Asma' said: I do not know whether it was the word al-Mu'min or al-Mu'qin) he would say: He is Muhammad and he is the Messenger of Allah. He brought to us the clear signs and right guidance. So we responded and obeyed him. (He would repeat this three times), and it would be said to him: You should go to sleep. We already knew that you are a believer in him. So the pious man would go to sleep. So far as the hypocrite or sceptic is concerned (Asma' said: I do not know which word was that: al-Munafiq (hypocrite) or al-Murtad (doubtful) he would say: I do not know. I only uttered whatever I heard people say.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৮৯-(১২/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) এর নিকট এসে দেখলাম, লোকেরা সালাতে দাঁড়ানো এবং আয়িশাহ (রাযিঃ)-ও সালাত আদায় করছেন না। আমি বললাম, লোকদের কি অবস্থা? হাদীসটি হিশাম-এর সূত্রে বর্ণিত। ইবনু নুমায়র-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮০)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ أَتَيْتُ عَائِشَةَ فَإِذَا النَّاسُ قِيَامٌ وَإِذَا هِيَ تُصَلِّي فَقُلْتُ مَا شَأْنُ النَّاسِ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ عَنْ هِشَامٍ
Asma' said:
I came to 'A'isha when the people were standing (in prayer) and she was also praying. I said: What is this excitement of the people for? And the rest of the hadith was narrated like one, (narrated above).
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯০(১৩/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উরওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনكَسَفَتِ الشَّمْسُ বলবে না, বরং خَسَفَتِ الشَّمْسُ বলো। অর্থ একই সূর্যগ্রহণ লেগেছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৪, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮১)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ لاَ تَقُلْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَلَكِنْ قُلْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ
'Urwa said: Do not say Kasafat-ush-Shamsu, but say Khasafat-ush-Shamsu.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯১-(১৪/৯০৬) ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী (রহঃ) ..... আসমা বিনতু আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন অর্থাৎ- যেদিন সূর্যগ্রহণ লেগেছিল, এরূপ আতঙ্কগ্রস্ত হলেন যে, চাদর নিতে গিয়ে ভুলে (মহিলাদের) বড় চাদর উঠিয়ে নিলেন। পরে তার চাদরই তাকে পৌছে দেয়া হ’ল। অতঃপর তিনি লোকদের নিয়ে সালাত শুরু করে দিলেন এবং বেশ লম্বা কিয়াম করলেন। যদি কোন লোক তার কাছে আসত বুঝত পারত না যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ করেছেন (রুকূর পর) দীর্ঘ কিয়ামের কারণে। যে পর্যন্ত কেউ প্রকাশ না করে দিত যে, তিনি রুকূ’ করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৫, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮২)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، حَدَّثَنِي مَنْصُورُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أُمِّهِ، صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ فَزِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا - قَالَتْ تَعْنِي يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ - فَأَخَذَ دِرْعًا حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ فَقَامَ لِلنَّاسِ قِيَامًا طَوِيلاً لَوْ أَنَّ إِنْسَانًا أَتَى لَمْ يَشْعُرْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَكَعَ مَا حَدَّثَ أَنَّهُ رَكَعَ مِنْ طُولِ الْقِيَامِ .
Asma' bint Abu Bakr said:
The Apostle of Allah (ﷺ) was one day (i. e. on the day when the sun eclipsed) so perturbed that he (in haste) took hold of the outer garment (of a female member of his family) and it was later on that his (own) cloak was sent to him. He stood in prayer along with people for such a long time that if a man came he did not realise that the Messenger of Allah (ﷺ) had observed ruku', as it has been narrated about ruku' in connection with long qiyam.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯২-(১৫/...) সাঈদ ইবনু ইয়াহইয়া আল উমাবী (রহঃ) ..... ইবনু জুরায়জ (রহঃ) একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এতে আসমা (রাযিঃ) বলেছেন, দীর্ঘ সময় কিয়াম করে পরে রুকূ’ করেছেন। বর্ণনাকারী এ কথাটুকু বাড়িয়েছেন- “আমি মহিলাদের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, আমার চেয়ে বয়স্কা মহিলাও আছে আর আমার চেয়ে অধিক রুগ্না মহিলাও রয়েছে।" (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৩)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الأُمَوِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ وَقَالَ قِيَامًا طَوِيلاً يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ وَزَادَ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى الْمَرْأَةِ أَسَنَّ مِنِّي وَإِلَى الأُخْرَى هِيَ أَسْقَمُ مِنِّي .
Abu Juraij narrated this hadith with the same chain of transmitters (but with the addition of these words):
" It was for a long duration that he (the Holy Prophet) observed qiyam and he would then observe ruku'. (The narrator also added) I (Asma') looked at a woman who was older than I, and at another who was weaker than I.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯৩-(১৬/...) আহমাদ ইবনু সাঈদ আদ দারিমী (রহঃ) ..... আসমা বিনতু আবূ বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় একবার সূর্যগ্রহণ লাগলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঘাবড়ে গেলেন। যে কারণে তিনি ভুল করে নিজের চাদর নিতে গিয়ে (মহিলাদের) বড় চাদর নিয়ে গেলেন। অবশ্য পরে তার চাদর পৌছিয়ে দেয়া হ’ল। আসমা (রাযিঃ) বলেন, আমি আমার প্রয়োজন সেরে আসলাম এবং এসে মসজিদে প্রবেশ করলাম। ঢুকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম দাঁড়িয়ে আছেন। আমিও তার সাথে দাঁড়ালাম, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এমনকি আমি মনে মনে ভাবছিলাম বসে পড়ব কিনা, অতঃপর তাকিয়ে দেখলাম একটি দুর্বল মহিলা। তখন মনে মনে বললাম, এ মেয়েলোকটি তো আমার চেয়েও দুর্বল। অতএব দাঁড়িয়ে থাকলাম। দীর্ঘ সময় পর তিনি রুকূ’তে গেলেন এবং রুকূ’ও দীর্ঘ করলেন, অতঃপর তিনি মাথা উঠালেন। রুকূ’ থেকে উঠেও দীর্ঘ কিয়াম করলেন। এমনকি কোন ব্যক্তি এসে দেখলে মনে করত তিনি রুকূ’ই করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৭, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৪)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا مَنْصُورٌ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَفَزِعَ فَأَخْطَأَ بِدِرْعٍ حَتَّى أُدْرِكَ بِرِدَائِهِ بَعْدَ ذَلِكَ قَالَتْ فَقَضَيْتُ حَاجَتِي ثُمَّ جِئْتُ وَدَخَلْتُ الْمَسْجِدَ فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا فَقُمْتُ مَعَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ أَجْلِسَ ثُمَّ أَلْتَفِتُ إِلَى الْمَرْأَةِ الضَّعِيفَةِ فَأَقُولُ هَذِهِ أَضْعَفُ مِنِّي . فَأَقُومُ فَرَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ حَتَّى لَوْ أَنَّ رَجُلاً جَاءَ خُيِّلَ إِلَيْهِ أَنَّهُ لَمْ يَرْكَعْ .
Asma' daughter of Abu Bakr reported:
The sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) ; so he felt perturbed and he, by mistake, took hold of the outer garment of a woman till he was given his own cloak. After this I satisfied my need and then came and entered the mosque. I saw the Messenger of Allah (ﷺ) standing in prayer. I stood along with him. He prolonged his qiyam till I wished to sit down. Then I cast a glance towards an old woman. So I said: She is older than I. I, therefore, kept standing. He (the Holy Prophet) then observed ruku', and prolonged his ruku'. He then raised his head. He then prolonged his qiyam to such an extent that if a person happened to come he would have thought that he had not observed the ruku'.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯৪-(১৭/৯০৭) সুওয়াইদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় একবার সূর্যগ্রহণ লেগেছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সাথে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। সালাত শুরু করে তিনি লম্বা কিয়াম করলেন প্রায় সূরাহ আল বাক্কারাহ পড়ার সমপরিমাণ সময় অতঃপর রুকূ করলেন লম্বা রুকূ’। অতঃপর (রুকূ’ থেকে) মাথা উঠালেন। আবার লম্বা কিয়াম করলেন যা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কিছুটা ছোট। অতঃপর লম্বা রুকু করলেন যা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা কিছু কম। অতঃপর সিজদা করলেন। সিজদা থেকে উঠে আবার লম্বা কিয়াম করলেন যা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। আবার লম্বা রুকূ’ করলেন যা প্রথম রুকূর চেয়ে কিছু কম। অতঃপর সিজদা করলেন সিজদা থেকে উঠে আবার লম্বা কিয়াম করলেন যা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কিছু কম। তারপর মাথা উঠিয়ে দীর্ঘ সময় কিয়াম করলেন যা প্রথম কিয়াম অপেক্ষা কম। অতঃপর আবার দীর্ঘ রুকূ’ করলেন যা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা সংক্ষিপ্ত। অতঃপর সিজদা করে সালাত সমাপ্ত করলেন। এতক্ষণে সূর্য স্পষ্ট হয়ে গেল।
এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর দু’টি নিদর্শন। এগুলো কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে গ্রাসপ্রাপ্ত হয় না। অতএব তোমরা যখন এরূপ কিছু দেখ, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর। সার্থীগণ বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা আপনাকে দেখলাম, আপনি এ স্থানে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে নিতে যাচ্ছেন। আবার একটু পর দেখলাম হাত ফিরিয়ে নিলেন? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি জান্নাত দেখতে পেলাম। অতএব জান্নাত থেকে ফলের একটি ছড়া নিতে যাচ্ছিলাম। যদি তা নিয়ে নিতাম তাহলে তোমরা তা পৃথিবী কিয়াম থাকা পর্যন্ত খেতে পারতে।
আমি জাহান্নামও দেখতে পেলাম এবং আজকের ন্যায় এমন ভয়াবহ দৃশ্য আর কখনও দেখিনি। আমি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে বেশীর ভাগ দেখলাম মহিলা। সাথীরা জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণ হে আল্লাহ রসূল! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে। তিনি বলেন, তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে এবং অনুগ্রহকে অস্বীকার করে। তুমি যদি তাদের কারো সারাজীবনও উপকার কর, অতঃপর যদি কখনও তোমার থেকে কোন ক্রটি দেখে তখন বলে ফেলে, আমি তোমার কাছ থেকে কখনও কোন কল্যাণ দেখতে পাইনি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৮, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৫)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَسْلَمَ، عَنْ عَطَاءِ، بْنِ يَسَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالنَّاسُ مَعَهُ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً قَدْرَ نَحْوِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ فَقَامَ قِيَامًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ وَقَدِ انْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ ذَلِكَ فَاذْكُرُوا اللَّهَ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ رَأَيْنَاكَ تَنَاوَلْتَ شَيْئًا فِي مَقَامِكَ هَذَا ثُمَّ رَأَيْنَاكَ كَفَفْتَ . فَقَالَ " إِنِّي رَأَيْتُ الْجَنَّةَ فَتَنَاوَلْتُ مِنْهَا عُنْقُودًا وَلَوْ أَخَذْتُهُ لأَكَلْتُمْ مِنْهُ مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا وَرَأَيْتُ النَّارَ فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ مَنْظَرًا قَطُّ وَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ " . قَالُوا بِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُفْرِهِنَّ " . قِيلَ أَيَكْفُرْنَ بِاللَّهِ قَالَ " بِكُفْرِ الْعَشِيرِ وَبِكُفْرِ الإِحْسَانِ لَوْ أَحْسَنْتَ إِلَى إِحْدَاهُنَّ الدَّهْرَ ثُمَّ رَأَتْ مِنْكَ شَيْئًا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ " .
Ibn 'Abbas reported:
There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah, (ﷺ) prayed accompanied by the people. He stood for a long time, about as long as it would take to recite Surah al-Baqara; then he bowed for a long time; then he raised his head and stood for a long time, but it was less than the first qiyam. He then bowed for a long time but for a shorter while than the first. He then prostrated and then stood for a long time, but it was less than the first qiyam. He then bowed for a long time, but it was less than the first bowing. He then raised (his head) and stood for a long time, but it was less than the first qiyam. He then bowed for a long time but it was less than the first bowing. He then observed prostration, and then he finished, and the sun had cleared (by that time). He (the Holy Prophet) then said: The sun and moon are two signs from the signs of Allah. These two do not eclipse on account of the death of anyone or on account of the birth of anyone. So when you see that, remember Allah. They (his Companions) said: Messenger of Allah, we saw you reach out to something, while you were standing here, then we saw you restrain yourself. He said: I saw Paradise and reached out to a bunch of its grapes; and had I taken it you would have eaten of it as long as the world endured. I saw Hell also. No such (abominable) sight have I ever seen as that which I saw today; and I observed that most of its inhabitants were women. They said: Messenger of Allah, on what account is it so? He said: For their ingratitude or disbelief (bi-kufraihinna). It was said: Do they disbelieve in Allah? He said: (Not for their disbelief in God) but for their ingratitude to their husbands and ingratitude to kindness. If you were to treat one of them kindly for ever, but if she later saw anything (displeasing) in you, she would say: I have never seen any good in you.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূর্যগ্রহণের সালাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জান্নাত ও জাহান্নামের যা কিছু উত্থাপন করা হয়েছে
১৯৯৫-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... যায়দ ইবনু আসলাম (রহঃ) থেকে একই সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে। কেবল ব্যতিক্রম এই যে, তিনি বলেছেনঃ "অতঃপর আপনাকে দেখলাম হাত গুটিয়ে নিলেন।" (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৭৯, ইসলামীক সেন্টার ১৯৮৬)
باب مَا عُرِضَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْكُسُوفِ مِنْ أَمْرِ الْجَنَّةِ وَالنَّارِ
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، - يَعْنِي ابْنَ عِيسَى - أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ ثُمَّ رَأَيْنَاكَ تَكَعْكَعْتَ .
This hadith has been narrated on the authority of Zaid b. Aslam with the same chain of transmitters except with this difference that he (the narrator said):
" then we saw you keeping aloof (back)."