পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৪-(১/৯০১) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ্ (রহঃ) [শব্দাবলী তার] ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একবার সূর্য গ্রহণ হ’ল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে লাগলেন। সালাতের মধ্যে তিনি বেশ দীর্ঘ এবং বেশ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকলেন। অতঃপর রুকূ করলেন এবং তা খুব দীর্ঘায়িত করলেন। অতঃপর আবার রুকূ করলেন এবং রুকূ’ বেশ দীর্ঘায়িত করলেন, যা প্রথম রুকূ’ থেকে কিছু কম, অতঃপর সাজদায় গেলেন। সিজদা থেকে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় কিয়াম (দণ্ডায়মান হওয়া) করলেন। যা প্রথমবারের কিয়াম অপেক্ষা কিছুটা কম ছিল। অতঃপর রুকূ’তে গেলেন এবং এতে দীর্ঘ সময় কাটালেন। অবশ্য তা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা কম ছিল। অতঃপর দীর্ঘ রুকূ’ করলেন, অবশ্য তা প্রথম রুকূ’র চেয়ে কম ছিল। অতঃপর সিজদা করলেন। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন। এতক্ষণে সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল।
তিনি লোকদের সামনে খুতবাহ দিলেন। খুতবাহ প্রসঙ্গে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করলেন। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর দুটি নিদর্শন। আর চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ কারো জন্ম ও মৃত্যুর কারণে সংঘটিত হয় না। অতএব তোমরা যখন চন্দ্র গ্রহণ ও সূর্য গ্রহণ দেখতে পাও, তখন তাকবীর পড় আর আল্লাহর কাছে দু’আ কর এবং সালাত আদায় কর ও সাদাকা কর। হে উম্মাতে মুহাম্মাদ! মনে রেখ, এমন কেউ নেই যে মহান আল্লাহ থেকে অধিক আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন, যখন তার দাস বা দাসী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় (তখন তিনি শাস্তি না দিয়ে থাকেন না)। হে উম্মাতী মুহাম্মাদী! আল্লাহর কসম, যদি তোমরা জানতে যা আমি জানি, তবে তোমরা অবশ্যই অধিক পরিমাণে কান্না-কাটি করতে এবং খুব কম হাসতে। আমি কি আল্লাহর বাণী পৌছিয়ে দিয়েছি?
মালিকের রিওয়ায়াতে এ বাক্যটি এভাবে উদ্ধৃত হয়েছে- সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর বিশেষ কুদরাতের নিদর্শনাবলী। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৫৯, ইসলামীক সেন্টার, ১৯৬৬)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، ح. وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَكَبِّرُوا وَادْعُوا اللَّهَ وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ إِنْ مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرَ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَلَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " . وَفِي رِوَايَةِ مَالِكٍ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ " .
'A'isha reported that there was a solar eclipse in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He stood up to pray and prolonged his stand very much. He then bowed and prolonged very much his bowing. He then raised his head and prolonged his stand much, but it was less than the (duration) of the first stand. He then bowed and prolonged bowing much, but it was less than the duration of his first bowing. He then prostrated and then stood up and prolonged the stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged his bowing, but it was less than the first bowing. He then lifted his head and then stood up and prolonged his stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged bowing and it was less than the first bowing. He then prostrated himself; then he turned about, and the sun had become bright, and he addressed the people. He praised Allah and landed Him and said:
The sun and the moon are two signs of Allah; they are not eclipsed on account of anyones death or on account of anyone's birth. So when you see them, glorify and supplicate Allah, observe prayer, give alms. O Ummah of Muhammad, none is more indignant than Allah When His servant or maid commits fornication. O people of Muhammad, by Allah, if you knew what I know, you would weep much and laugh little.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৫-(২/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... হিশাম ইবনু উরওয়াহ্ (রহঃ) থেকে একই সানাদে বর্ণিত। তবে হিশাম এ কথাটুকু বাড়িয়েছেঃ "অতঃপর সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত" এবং এ কথাটুকুও বাড়িয়েছেনঃ “অতঃপর তিনি উভয় হাত উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি তোমার বাণী পৌছিয়ে দিয়েছি?" (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১৯৬০, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৭)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ " . وَزَادَ أَيْضًا ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ " اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ " .
This hadith has been narrated by Hisham b. 'Urwa with the same chain of transmitters but with this addition:
" Verily the sun and the moon are among the signs of Allah." And similarly this addition was made:" He then lifted his hands and said: O Allah! have I not conveyed it?"
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৬-(৩/...) হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া, আবূত তহির ও মুহাম্মাদ ইবনু সালামাহ আল মুরাদী (রহঃ) ..... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় সূর্য গ্রহণ লেগেছিল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে চলে গেলেন এবং দাঁড়িয়ে তাকবীর উচ্চারণ করলেন। আর লোকজন তার পিছনে সারিবদ্ধ ছিল। তারপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন। অতঃপর তাকবীর বলে রুকূতে গেলেন এবং লম্বা রুকূ করলেন, অতঃপর মাথা উঠিয়ে "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ" বললেন। এরপর দাঁড়িয়ে লম্বা কিরআত পাঠ করলেন যা প্রথম কিরআত অপেক্ষা ছোট ছিল। এরপর তাকবীর বলে রুকূতে গেলেন এবং লম্বা রুকূ’ করলেন যা প্রথম রুকূ’ অপেক্ষা ছোট ছিল। অতঃপর তিনি "সামি’আল্ল-হু লিমান হামিদাহ, রব্বানা- ওয়ালাকাল হামদ" বলে সাজদায় গেলেন। আবূত তহির এর বর্ণনায় অবশ্য "সিজদা"র কথাটি উল্লেখ নেই। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাকাআতেও অনুরূপ করলেন। এভাবে তিনি চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা করলেন। (দু রাকাআত সালাত আদায় করলেন) তিনি সালাত শেষ করার আগেই সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল।
অতঃপর বললেন, চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো জন্ম মৃত্যুর কারণে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হয় না। অতএব, যখন তোমরা এ অবস্থা দেখতে পাও দ্রুত সালাতে ধাবিত হও। এরূপও বলেছেনঃ "এবং সালাত আদায় করতে থাক যে পর্যন্ত তোমাদের থেকে এ অবস্থার দূরীভূত না হয়। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি আমার এ স্থানে দাঁড়িয়ে তোমাদের নিকট ওয়াদাকৃত প্রতিটি বস্তু দেখতে পেলাম। এমনকি আমি নিজেকে যেন দেখতে পেলাম জান্নাতের এক ছড়া ফল নিতে যাচ্ছিলাম। এমনকি তোমরা আমাকে সামনে অগ্রসর হতে দেখেছ। রাবী মুরাদী (রহঃ) বলেছেন আমি অবশ্যই জাহান্নামকে (এরূপ ভয়াবহ অবস্থায়) দেখলাম যে, এর একাংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলেছে, এমনকি তোমরা আমাকে দেখলে আমি পিছনে সরে যাচ্ছি। আমি জাহান্নামে (আমর) ইবনু লুহাইকে দেখতে পেলাম। সে সর্বপ্রথম প্রতিমার উদ্দেশে পশু ছেড়েছিল। আবূত তহির এর হাদীস তার এ কথা পর্যন্ত শেষ হয়েছে- “ফাফযা-উ লিসসলা-ত" তিনি পরবর্তী অংশ উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬১, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৮)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ وَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ سَجَدَ - وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ ثُمَّ سَجَدَ - ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى اسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَقَالَ أَيْضًا " فَصَلُّوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَنْكُمْ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أُقَدِّمُ - وَقَالَ الْمُرَادِيُّ أَتَقَدَّمُ - وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ " . وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ " فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .
'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). So, the Messenger of Allah (may peace he upon him) went to the mosque and stood up and glorified Allah, and the people formed themselves in rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) made a long recital (of the Qur'an) and then pronounced takbir and then observed a long ruku'. He then raised his head and said:
Allah listened to him who praised Him: our Lord, praise is due to Thee. He then again stood up and made a long recital, which was less than the first recital. He pronounced takbir and observed a long ruku', and it was less than the first one. He again said: Allah listened to him who praised Him; our Lord, praise is due to Thee. (Abu Tahir, one of the narrators) made no mention of:" He then prostrated himself." He did like this in the second rak'ah, till he completed four rak'ahs and four prostrations and the sun became bright before he deported. He then stood up and addressed people, after lauding Allah as He deserved, and then said: The sun and the moon are two signs among the signs of Allah These do not eclipse either on the death of anyone or on his birth. So when you see them, hasten to prayer. He also said this: Observe prayer till Allah dispels the anxiety (of this extraordinary phenomenon) from you. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I saw in my place everything which you have been promised. I even saw myself desiring to pluck a bunch (of grapes) from Paradise (and it was at the time) when you saw me moving forward. And I saw Hell and some of its parts crushing the others, when you saw me moving back; and I saw in it Ibn Luhayy and he was the person who made the she-camels loiter about. In the hadith transmitted by Abu Tahir the words are:" He hastened to prayer," and he made no mention of what follows.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৭-(৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু মিহরান আর রায়ী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় একবার সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। তিনি জনৈক ব্যক্তিকে এ ঘোষণা দেয়ার উদ্দেশে পাঠিয়ে দিলেনঃ الصَّلاَةَ جَامِعَةً "জামা’আতে সালাত" অনুষ্ঠিত হচ্ছে। (ঘোষণা শুনে) সবাই একত্রিত হলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হয়ে তাকবীর উচ্চারণ করলেন এবং দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন। দু’ রাকাআতে চারটি রুকূ’ ও চারটি সিজদা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬২, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৯)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ أَبُو عَمْرٍو وَغَيْرُهُ سَمِعْتُ ابْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الشَّمْسَ، خَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ مُنَادِيًا " الصَّلاَةَ جَامِعَةً " . فَاجْتَمَعُوا وَتَقَدَّمَ فَكَبَّرَ . وَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ .
'A'isha reported that there was a solar eclipse during the lifetime of the Messenger of Allah (way peace be upon him) and he sent the announcer (to summon them) for congregational prayer. The people gathered together and he pronounced takbir and he observed four rak'ahs, in the form of two rak'ahs (i. e. he observed two qiyams and two ruku's in one rak'ah) and four prostrations.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৮-(৫/...) মুহাম্মদ ইবনু মিহরান (রহঃ) ..... ’আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চন্দ্রগ্রহণের সালাতেকিরআত উচ্চস্বরে পড়েছেন এবং তিনি দু’ রাকাআত সালাতে চারটি রুকু এবং চারটি সেজদা দিয়েছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭০)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَهَرَ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ بِقِرَاءَتِهِ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ
'A'isha reported that the Messenger of Allah (ﷺ) recited loudly in the eclipse prayer, and he observed four rak'ahs in the form of two rak'ahs and four prostrations.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৭৯-(.../৯০২) যুহরী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চার রুকূ এবং চার সাজদাতে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৩, ইসলামীক সেন্টার ১৯৭০)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ
Zuhri said:
Kathir b. 'Abbas narrated on the authority of Ibn 'Abbas that the Messenger of Allah (ﷺ) observed four rak'ahs and four prostrations in two rak'ahs.
পরিচ্ছেদঃ ১. সূর্যগ্রহণের সালাত
১৯৮০-(.../...) হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ..... কাসীর ইবনু আব্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) সূর্যগ্রহণের দিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত সম্পর্কে ঠিক ঐরূপ বর্ণনা করেছেন যেরূপ উরওয়াহ আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৬৪, ইসলামীক সেন্টার, ১৯৭১)
باب صَلاَةِ الْكُسُوفِ
وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ كَانَ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ بِمِثْلِ مَا حَدَّثَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ .
Zuhri said:
Kathir b. Abbas used to narrate that Ibn 'Abbas used to relate about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) in regard to the eclipse of the sun like that what was narrated by 'Urwa on the authority of 'A'isha.