পরিচ্ছেদঃ ৩. ঝঞাবায়ু ও মেঘ দেখে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা আর বৃষ্টি বর্ষণে খুশি হওয়া
১৯৬৯-(১৪/৮৯৯) ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ ইবনু কা’নাব (রহঃ) ..... আতা ইবনু আবূ রবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অবস্থা এরূপ ছিল যে, যখন কোন সময় দমকা হাওয়া ও মেঘের ঘনঘটা দেখা দিত, তার চেহারায় একটা আতঙ্কের ভাব ফুটে উঠত এবং তিনি আগে পিছনে উদ্বিগ্ন হয়ে চলাফেরা করতেন। এরপর যখন বৃষ্টি হ’ত খুশি হয়ে যেতেন, আর তার থেকে এ অস্থিরতা দূর হয়ে যেত। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমার আশঙ্কা হয় যে, আমার উম্মাতের ওপর কোন আযাব এসে পতিত হয় নাকি। তিনি বৃষ্টি দেখলে বলতেন, এটা (আল্লাহর) রহমত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৫৪, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬১)
باب التَّعَوُّذِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الرِّيحِ وَالْغَيْمِ وَالْفَرَحِ بِالْمَطَرِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ بْنِ قَعْنَبٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ بِلاَلٍ - عَنْ جَعْفَرٍ، - وَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ - عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ يَوْمُ الرِّيحِ وَالْغَيْمِ عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرَّ بِهِ وَذَهَبَ عَنْهُ ذَلِكَ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ " إِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَكُونَ عَذَابًا سُلِّطَ عَلَى أُمَّتِي " . وَيَقُولُ إِذَا رَأَى الْمَطَرَ " رَحْمَةٌ" .
'Ata' b. Abi Rabah reported that he heard 'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (way peace be upon him), as saying:
When there was on any day windstorm or dark cloud (its effects) could be read on the face of the Messenger of Allah (ﷺ), and he moved forward and backward (in a state of anxiety) ; and when it rained, he was delighted and it (the state of restlessness) disappeared. 'A'isha said: I asked him the reason of this anxiety and he said: I was afraid that it might be a calamity that might fall upon my Ummah, and when he saw rainfall he said: It is the mercy (of Allah).
পরিচ্ছেদঃ ৩. ঝঞাবায়ু ও মেঘ দেখে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা আর বৃষ্টি বর্ষণে খুশি হওয়া
১৯৭০-(১৫/...) আবুত তহির (রহঃ) ..... ’আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যখন বাতাস প্রবল আকার ধারণ করত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে দু’আ করতেনঃ
“আল্ল-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খয়রাহা- ওয়া খয়রা মাকীহা- ওয়া খয়রা মা-ফীহা ওয়া খয়রা মা- উরসিলাত বিহী, ওয়া আউয়ুবিকা মিন শাররিহা- ওয়া শাররি মা- ফীহা- ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহী”
- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মেঘের কল্যাণ কামনা করছি ও এর মধ্যে যে কল্যাণ নিহিত আছে এবং যে কল্যাণের সাথে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং তোমার কাছে এর অকল্যাণ ও এর মধ্যে যে অকল্যাণ নিহিত আছে এবং যে অকল্যাণ নিয়ে এসেছে তা থেকে আশ্রয় চাই)।
আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, যখন আসমানে মেঘ বিদ্যুৎ ছেয়ে যেত তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত এবং তিনি ভিতরে বাইরে আগে পিছনে ইতস্ততঃ চলাফেরা শুরু করে দিতেন। এরপর যখন বৃষ্টি হত তার এ অবস্থা দূর হয়ে যেত। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেনঃ এ অবস্থা বুঝতে পেরে আমি তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন, হে ’আয়িশাহ! আমার আশঙ্কা এরূপ হয় নাকি যেরূপ ’আদ সম্প্রদায় বলেছিল। যেমন কুরআনে উদ্ধৃত হয়েছে, “যখন তারা এটাকে তাদের প্রান্তর অভিমুখে মেঘের আকারে এগিয়ে আসতে দেখল, তারা বলল, এ মেঘ আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষাবে (পক্ষান্তরে তা ছিল আসমানী গজব)"- (সূরাহ আল আহকা-ফ ৪৬ঃ ২৪)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৫৫, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬২)
باب التَّعَوُّذِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الرِّيحِ وَالْغَيْمِ وَالْفَرَحِ بِالْمَطَرِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ جُرَيْجٍ، يُحَدِّثُنَا عَنْ عَطَاءِ، بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ " . قَالَتْ وَإِذَا تَخَيَّلَتِ السَّمَاءُ تَغَيَّرَ لَوْنُهُ وَخَرَجَ وَدَخَلَ وَأَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ فَعَرَفْتُ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ . قَالَتْ عَائِشَةُ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ " لَعَلَّهُ يَا عَائِشَةُ كَمَا قَالَ قَوْمُ عَادٍ ( فَلَمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا) " .
'Ata' b. Rabah reported on the authority of 'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (way peace be upon him), who said:
Whenever the wind was stormy, the Messenger of Allah (ﷺ) used to say: O Allah! I ask Thee for what is good in it, and the good which it contains, and the good of that which it was sent for. I seek refuge with Thee from what is evil in it, what evil it contains, and the evil of that what it was sent for; and when there was a thunder and lightning in the sky, his colour underwent a change, and he went out and in, backwards and forwards; and when the rain came, he felt relieved, and I noticed that (the sign of relief) on his face. 'A'isha asked him (about it) and he said: It may be as the people of 'Ad said: When they saw a cloud formation coming to their valley they said:" It is a cloud which would give us rain" (Qur'an, 46:24).
পরিচ্ছেদঃ ৩. ঝঞাবায়ু ও মেঘ দেখে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা আর বৃষ্টি বর্ষণে খুশি হওয়া
১৯৭১-(১৬/...) হারূন ইবনু মা’রূফ, আবুত তহির (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আমি কখনও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এরূপ পুরোপুরি হাসতে দেখিনি যাতে করে কণ্ঠনালী দেখা যায়। বরং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মুচকী হাসতেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, যখন কালেমেঘ বা দমকা হাওয়া দেখতেন, তার চেহারায় অস্থির ভাব ফুটে উঠত। আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি দেখি লোকেরা মেঘ দেখে বেশ খুশী হয়ে যায় এ আশায় যে এতে বৃষ্টি হবে। আর আপনাকে দেখি, আপনি যখন মেঘ দেখেন, আপনার চেহরায় আশঙ্কার ছাপ পরিলক্ষিত হয়। উত্তরে তিনি বলেন, হে ’আয়িশাহ! আমি এ কারণে নিরাপদ ও নিশ্চিন্তবোধ করি না যে, হতে পারে এর মধ্যে কোন আযাব থাকতে পারে। এক সম্পপ্রদায়কে দমকা হাওয়ার মাধ্যমে আযাব দেয়া হয়েছে। আরেক সম্প্রদায় আসমানী ’আযাব দেখে বলেছিল- এই যে মেঘ তা আমাদের ওপর বর্ষিত হবে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৫৬, ইসলামীক সেন্টার ১৯৬৩)
باب التَّعَوُّذِ عِنْدَ رُؤْيَةِ الرِّيحِ وَالْغَيْمِ وَالْفَرَحِ بِالْمَطَرِ
وَحَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، أَنَّ أَبَا النَّضْرِ، حَدَّثَهُ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُسْتَجْمِعًا ضَاحِكًا حَتَّى أَرَى مِنْهُ لَهَوَاتِهِ إِنَّمَا كَانَ يَتَبَسَّمُ - قَالَتْ- وَكَانَ إِذَا رَأَى غَيْمًا أَوْ رِيحًا عُرِفَ ذَلِكَ فِي وَجْهِهِ . فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَى النَّاسَ إذا رأوا الغيم فرحوا رجاء أن يكون فيه المطر وأراك إذا رأيته عرفت في وجهك الكراهية قالت فقال يا عائشة ما يؤمنني أن يكون فيه عذاب قد عذب قوم بالريح وقد رأى قوم العذاب فقالوا هذا عارض ممطرنا
'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported:
I never saw Allah's Messenger (ﷺ) laugh to such an extent that I could see his uvula-whereas he used to smile only-and when he saw dark clouds or wind, (the signs of fear) were depicted on his face. I said: Messenger of Allah, I find people being happy when they ace the dark cloud in the hope that it would bring rain, but I find that when you see that (the cloud) there is an anxiety on your face. He said: 'A'isha, I am afraid that there may be a calamity in it, for a people was afflicted with wind, when the people saw the calamity they said:" It is a cloud which would give us rain" (Qur'an. xlvi. 24).