পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৪-(১৩৯/৭৪৬) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আল আনাযী (রহঃ) ..... যুরারাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। সা’দ ইবনু হিশাম ইবনু আমির (রহঃ) আল্লাহর পথে (আজীবন) লড়াই করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। তাই তিনি মদীনায় আগমন করলেন। তিনি চাচ্ছিলেন এ উদ্দেশে তিনি তার জমি-জমা বিক্রি করে তা দ্বারা অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের ঘোড়া কিনবেন এবং রোমান অর্থাৎ খৃষ্টানদের বিরুদ্ধে আমৃত্যু জিহাদ করবেন। তাই মদীনায় এসে তিনি মদীনাহবাসী কিছু লোকের সাথে সাক্ষাৎ করলে তারা তাকে ঐরুপ করতে নিষেধ করলেন। তারা তাকে এ কথাও জানালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় ছয়জন লোকের একটি দল এ একই কাজ করতে চাইলে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করতে নিষেধ করেছিলেন; আমার জীবন ও কর্মে কি তোমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ নেই?
তারা (মদীনাহবাসী) যখন তাকে এ কথাটি শুনালেন তখন তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিলেন (রুজ’আত করলেন) এবং কিছু লোককে এ ব্যাপারে সাক্ষী রাখলেন। কেননা এ কাজের (জিহাদের) জন্য তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন। এরপর তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস এর কাছে এসে তাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস তাকে বললেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী জানে আমি এমন একজন লোকের সন্ধান কি তোমাকে দিব না? তিনি (সাদ ইবনু হিশাম ইবনু আমির) বললেনঃ তিনি কে? আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস বললেনঃ তিনি হলেন আয়িশাহ (রাযিঃ)। তার কাছে গিয়ে তুমি জিজ্ঞেস করবে, তারপর তোমাকে দেয়া তার জবাব আমাকে এসে জানাবে।
আমি তখন তার কাছে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম। প্রথমে আমি হাকীম ইবনু আফলাহ-র কাছে গেলাম। আমি তাকে আমার সাথে তার (আয়িশাহ) এ দু’ দলের ব্যাপারে কোন কিছু বলতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে বরং একটি পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। সা’দ ইবনু হিশাম ইবনু আমির বলেনঃ তখন আমি তাকে কসম দিয়ে যেতে বললাম। তাই তিনি যেতে রাজি হলেন। আমরা আয়িশাহ (রাযিঃ) এর কাছে গিয়ে তাকে অবহিত করলে তিনি আমাদেরকে অনুমতি দান করলেন। আমরা তার কাছে গেলে তিনি হাকীম আফলাহকে চিনতে পারলেন। তাই বললেনঃ আরে, এ যে হাকীম? তিনি (হাকীম ইবনু আফলাহ) বললেনঃ হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার সাথে কে আছে? তিনি বললেনঃ সা’দ ইবনু হিশাম (ইবনু আমির)। তিনি প্রশ্ন করলেন। কোন হিশাম? হাকীম ইবনু আফলাহ বললেনঃ ’আমিরের পুত্র হিশাম। এ কথা শুনে তিনি তার প্রতি খুব স্নেহপ্রবণ হলেন এবং তার ব্যাপারে ভাল মন্তব্য করলেন।
কাতাদাহ্ বর্ণনা করলেনঃ আফলাহ উহুদের যুদ্ধে শাহীদ হয়েছিলেন। এরপর আমি বললামঃ হে উন্মুল মুমিনীন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আখলাক সম্পর্কে আমাকে কিছু অবহিত করুন। এ কথা শুনে তিনি আমাকে বললেনঃ তুমি কি কুরআন পড় না? আমি বললাম- হ্যাঁ, পড়ি। তিনি বললেন, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আখলাক তো ছিল কুরআন।
সা’দ ইবনু হিশাম ইবনু আমির বলেছেন : আমি তখন মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম উঠে চলে আসি এবং মৃত্যু পর্যন্ত এ ব্যাপারে আর কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করি। কিন্তু আমার মনে আবার একটি নতুন ধারণা জাগল। তাই আমি বললামঃ আমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাতের ইবাদাত (কিয়ামুল লায়ল) সম্পর্কে কিছু অবহিত করুন। তিনি এবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সূরাহ "ইয়া আইইয়্যুহাল মুয্যাম্মিল" পড় না? আমি বললাম- হ্যাঁ পড়ি। তিনি বললেনঃ মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ এ সূরার প্রথমভাগে “কিয়ামুল লাইল" বা রাতের ইবাদাত বন্দেগী ফারয (ফরয) করে দিয়েছেন। তাই এক বছর পর্যন্ত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ রাতের বেলা ইবাদাত করেছেন। মহান আল্লাহ বারো মাস পর্যন্ত এ সূরার শেষাংশ আসমানে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন (অর্থাৎ বারো মাস পর্যন্ত এ সূরার শেষাংশ অবতীর্ণ করেননি)। অবশেষে (বারো মাস পরে) এ সূরার শেষে আল্লাহ তা’আলা রাতের ইবাদাতের হুকুম লঘু করে আয়াত অবতীর্ণ করলেন। আর এ কারণে রাত জেগে ইবাদাত যেখানে ফারয (ফরয) ছিল সেখানে তা নাফল বা ঐচ্ছিক হয়ে গেল।
সা’দ ইবনু হিশাম বলেনঃ আমি বললাম, হে উন্মুল মু’মিনীন! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে আমাকে কিছু অবহিত করুন। তিনি বললেনঃ আমরা তার জন্য মিসওয়াক এবং ওযুর পানি প্রস্তুত করে রাখতাম। অতঃপর রাতের বেলা মহান আল্লাহ যখন চাইতেন তখন তাকে জাগিয়ে দিতেন। তিনি উঠে মিসওয়াক করতেন। ওযু করতেন এবং নয় রাকাআত (বিতর) সালাত আদায় করতেন। এতে অষ্টম রাকাআত ছাড়া বসতেন না। এ বৈঠকে তিনি আল্লাহকে স্মরণ করতেন, তার প্রশংসা করতেন এবং তার কাছে প্রার্থনা করতেন। অতঃপর এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যে আমরা তা শুনতে পেতাম। এবার সালাম ফিরানোর পর ঘরে বসেই তিনি দু’ রাকাআত সালাত আদায় করতেন।
তারপর বললেনঃ হে বৎস! এ এগার রাকাআত সালাত তিনি রাতে আদায় করতেন। পরবর্তী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স বেড়ে গিয়েছিল এবং শরীরও কিছুটা ভারী হয়ে গিয়েছিল তখন তিনি সাত রাকাআত বিতর আদায় করতেন। এক্ষেত্রেও তিনি শেষের দু রাকাআত সালাত পূর্বের মতো করেই আদায় করতেন। হে বৎস! এভাবে তিনি নয় রাকাআত সালাত আদায় করতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সালাত আদায় করলে তা সর্বদা নিয়মিত আদায় করা পছন্দ করতেন। যখন ঘুমের প্রাবল্য বা ব্যথা-বেদনার কারণে তিনি রাতে ইবাদাত (সালাত আদায়) করতে পারতেন না, তখন দিনের বেলা বারো রাকাআত সালাত আদায় করতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে পুরো কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করেছেন বা সকাল পর্যন্ত সারা রাত আদায় করেছেন কিংবা রমযান মাস ছাড়া সারা মাস সিয়াম (রোযা) পালন করেছেন এমনটি আমি কখনো দেখিনি।
সা’দ ইবনু হিশাম ইবনু আমির বর্ণনা করেছেন পরে আমি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে এসে আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি বর্ণনা করলে তিনি বললেনঃ তিনি সঠিক বলেছেন। আমি যদি তার কাছে থাকতাম বা তার কাছে যেতাম তাহলে নিজে তার মুখ থেকে হাদীসটি শুনতে পেতাম। সা’দ ইবনু হিশাম বললেনঃ আমার যদি জানা থাকত যে, আপনি তার কাছে যান না, তাহলে আপনাকে আমি তার কথা বলতাম না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬০৯, ইসলামীক সেন্টার ১৬১৬)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامِ بْنِ عَامِرٍ، أَرَادَ أَنْ يَغْزُوَ، فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَدِمَ الْمَدِينَةَ فَأَرَادَ أَنْ يَبِيعَ عَقَارًا لَهُ بِهَا فَيَجْعَلَهُ فِي السِّلاَحِ وَالْكُرَاعِ وَيُجَاهِدَ الرُّومَ حَتَّى يَمُوتَ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ لَقِيَ أُنَاسًا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ فَنَهَوْهُ عَنْ ذَلِكَ وَأَخْبَرُوهُ أَنَّ رَهْطًا سِتَّةً أَرَادُوا ذَلِكَ فِي حَيَاةِ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَهَاهُمْ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ " أَلَيْسَ لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ " . فَلَمَّا حَدَّثُوهُ بِذَلِكَ رَاجَعَ امْرَأَتَهُ وَقَدْ كَانَ طَلَّقَهَا وَأَشْهَدَ عَلَى رَجْعَتِهَا فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَسَأَلَهُ عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَعْلَمِ أَهْلِ الأَرْضِ بِوِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَالَ عَائِشَةُ . فَأْتِهَا فَاسْأَلْهَا ثُمَّ ائْتِنِي فَأَخْبِرْنِي بِرَدِّهَا عَلَيْكَ فَانْطَلَقْتُ إِلَيْهَا فَأَتَيْتُ عَلَى حَكِيمِ بْنِ أَفْلَحَ فَاسْتَلْحَقْتُهُ إِلَيْهَا فَقَالَ مَا أَنَا بِقَارِبِهَا لأَنِّي نَهَيْتُهَا أَنْ تَقُولَ فِي هَاتَيْنِ الشِّيعَتَيْنِ شَيْئًا فَأَبَتْ فِيهِمَا إِلاَّ مُضِيًّا . - قَالَ - فَأَقْسَمْتُ عَلَيْهِ فَجَاءَ فَانْطَلَقْنَا إِلَى عَائِشَةَ فَاسْتَأْذَنَّا عَلَيْهَا فَأَذِنَتْ لَنَا فَدَخَلْنَا عَلَيْهَا . فَقَالَتْ أَحَكِيمٌ فَعَرَفَتْهُ . فَقَالَ نَعَمْ . فَقَالَتْ مَنْ مَعَكَ قَالَ سَعْدُ بْنُ هِشَامٍ . قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قَالَ ابْنُ عَامِرٍ فَتَرَحَّمَتْ عَلَيْهِ وَقَالَتْ خَيْرًا - قَالَ قَتَادَةُ وَكَانَ أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ . فَقُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ الْقُرْآنَ قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ خُلُقَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ الْقُرْآنَ . - قَالَ - فَهَمَمْتُ أَنْ أَقُومَ وَلاَ أَسْأَلَ أَحَدًا عَنْ شَىْءٍ حَتَّى أَمُوتَ ثُمَّ بَدَا لِي فَقُلْتُ أَنْبِئِينِي عَنْ قِيَامِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ أَلَسْتَ تَقْرَأُ ( يَا أَيُّهَا الْمُزَّمِّلُ) قُلْتُ بَلَى . قَالَتْ فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ افْتَرَضَ قِيَامَ اللَّيْلِ فِي أَوَّلِ هَذِهِ السُّورَةِ فَقَامَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ حَوْلاً وَأَمْسَكَ اللَّهُ خَاتِمَتَهَا اثْنَىْ عَشَرَ شَهْرًا فِي السَّمَاءِ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ فِي آخِرِ هَذِهِ السُّورَةِ التَّخْفِيفَ فَصَارَ قِيَامُ اللَّيْلِ تَطَوُّعًا بَعْدَ فَرِيضَةٍ . - قَالَ - قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ أَنْبِئِينِي عَنْ وِتْرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَتْ كُنَّا نُعِدُّ لَهُ سِوَاكَهُ وَطَهُورَهُ فَيَبْعَثُهُ اللَّهُ مَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَهُ مِنَ اللَّيْلِ فَيَتَسَوَّكُ وَيَتَوَضَّأُ وَيُصَلِّي تِسْعَ رَكَعَاتٍ لاَ يَجْلِسُ فِيهَا إِلاَّ فِي الثَّامِنَةِ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يَنْهَضُ وَلاَ يُسَلِّمُ ثُمَّ يَقُومُ فَيُصَلِّي التَّاسِعَةَ ثُمَّ يَقْعُدُ فَيَذْكُرُ اللَّهَ وَيَحْمَدُهُ وَيَدْعُوهُ ثُمَّ يُسَلِّمُ تَسْلِيمًا يُسْمِعُنَا ثُمَّ يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ بَعْدَ مَا يُسَلِّمُ وَهُوَ قَاعِدٌ فَتِلْكَ إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً يَا بُنَىَّ فَلَمَّا أَسَنَّ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَخَذَ اللَّحْمَ أَوْتَرَ بِسَبْعٍ وَصَنَعَ فِي الرَّكْعَتَيْنِ مِثْلَ صَنِيعِهِ الأَوَّلِ فَتِلْكَ تِسْعٌ يَا بُنَىَّ وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى صَلاَةً أَحَبَّ أَنْ يُدَاوِمَ عَلَيْهَا وَكَانَ إِذَا غَلَبَهُ نَوْمٌ أَوْ وَجَعٌ عَنْ قِيَامِ اللَّيْلِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً وَلاَ أَعْلَمُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِي لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ . - قَالَ - فَانْطَلَقْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسِ فَحَدَّثْتُهُ بِحَدِيثِهَا فَقَالَ صَدَقَتْ لَوْ كُنْتُ أَقْرَبُهَا أَوْ أَدْخُلُ عَلَيْهَا لأَتَيْتُهَا حَتَّى تُشَافِهَنِي بِهِ . - قَالَ - قُلْتُ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا حَدَّثْتُكَ حَدِيثَهَا .
Sa'd b. Hisham b. 'Amir decided to participate in the expedition for the sake of Allah, so he came to Medina and he decided to dispose of his property there and buy arms and horses instead and fight against the Romans to the end of his life. When he came to Medina, he met the people of Medina. They dissuaded him to do such a thing, and informed him that a group of six men had decided to do so during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and the Messenger of Allah (ﷺ) forbade them to do it, and said:
Is there not for you a model pattern in me? And when they narrated this to him (Sa'd b. Hisham), he returned to his wife, though he had divorced her and made (people) witness to his reconciliation. He then came to Ibn 'Abbas and asked him about the Witr of the Messenger of Allah (ﷺ). Ibn 'Abbas said: Should I not lead you to one who knows best amongst the people of the world about the Witr of the Messenger of Allah (ﷺ)? He said: Who is it? He (Ibn 'Abbas) said: It is 'A'isha. So go to her and ask her (about Witr) and then come to me and inform me about her answer that she would give you. So I came to Hakim b. Aflah and requested him to take me to her. He said: I would not go to her, for I forbade her to speak anything (about the conflict) between the two groupS, but she refused (to accept my advice) and went (to participate in that corflict). I (requested) him (Hakim) with an oath to lead me to her. So we went to 'A'isha and we begged permission to meet her. She granted us permission and we went in. She said: Are you Hakim? (She recognised him.) He replied: Yes. She said: Who is there with you? He said: He is Sa'd b. Hisham. She said: Which Hisham? He said: He is Hisham b. 'Amir. She blessed him ('Amir) with mercy from Allah and spoke good of him (Qatada said that he died as a martyr in Uhud). I said: Mother of the Faithful, tell me about the character of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: Don't you read the Qur'an? I said: Yes. Upon this she said: The character of the Messenger of Allah (ﷺ) was the Qur'an. He said: I felt inclined to get up and not ask anything (further) till death. But then I changed my mind and said: Inform me about the observance (of the night prayer) of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: Did you not recite:" O thou wrapped up"? He said: Yes. She said: Allah, the Exalted and the Glorious, made the observance of the night prayer at the beginning of this Surah obligatory. So the Messenger of Allah (may peace be upon him and his Companions around him observed this (night prayer) for one year. Allah held back the concluding portion of this Surah for twelve months in the Heaven till (at the end of this period) Allah revealed the concluding verses of this Surah which lightened (the burden of this prayer), and the night prayer became a supererogatory prayer after being an obligatory one. I said: Mother of the Faithful, inform me about the Witr of the Messenger of Allah (ﷺ). She said: I used to prepare tooth stick for him and water for his ablution, and Allah would rouse him to the extent He wished during the night. He would use the tooth stick, and perform ablution, and would offer nine rak'ahs, and would not sit but in the eighth one and would remember Allah, and praise Him and supplicate Him, then he would get up without uttering the salutation and pray the ninth rak'ah. He would then sit, remember, praise Him and supplicate Him and then utter a salutation loud enough for us to hear. He would then pray two rak'ahs sitting after uttering the salutation, and that made eleven rak'ahs. O my son, but when the Messenger of Allah (ﷺ) grew old and put on flesh, he observed Witr of seven, doing in the two rak'ahs as he had done formerly, and that made nine. O my son, and when the Messenger of Allah (ﷺ) observed prayer, he liked to keep on observing it, and when sleep or pain overpowered him and made it impossible (for him) to observe prayer in the night, he prayed twelve rak'ahs daring the day. I am not aware of Allah's Prophet (ﷺ) having recited the whole Qur'an during one single night, or praying through the night till morning, or fasting a complete month, except Ramadan. He (the narrator) said: I then went to Ibn 'Abbas and narrated to him the hadith (transmitted from her), and he said: She says the truth If I went to her and got into her presence, I would have listened to it orally from her. He said: If I were to know that you do not go to her. I would not have transmitted this hadith to you narrated by her.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৫-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে নিজের জমিজমা বিক্রি করার জন্য মদীনায় আসলেন ...... পূর্বোক্ত হাদীসের মতো বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১০, ইসলামীক সেন্টার ১৬১৭)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى الْمَدِينَةِ لِيَبِيعَ عَقَارَهُ . فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Zurara b. Aufa said that Sa'd b. Hisham divorced his wife, and then proceeded to Medina to sell his property, and the rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৬-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে গিয়ে তাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিতর সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। এ পর্যন্ত বর্ণনা করার পর তিনি হাদীসটি হুবহু পূর্বে বর্ণিত হাদীসের মতো বর্ণনা করলেন। তবে এতে তিনি এ কথাও বর্ণনা করেছেন যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) বললেনঃ কোন হিশাম? তখন আমি বললাম ’আমির এর পুত্র হিশাম। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ ’আমির কত উত্তম মানুষ ছিলেন। তিনি উহুদ যুদ্ধে শাহাদাত লাভ করেছিলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১১, ইসলামীক সেন্টার ১৬১৮)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، أَنَّهُ قَالَ انْطَلَقْتُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَسَأَلْتُهُ عَنِ الْوِتْرِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ وَقَالَ فِيهِ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قُلْتُ ابْنُ عَامِرٍ . قَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ عَامِرٌ أُصِيبَ يَوْمَ أُحُدٍ .
Sa'd b. Hisham reported:
I went to 'Abdullah b. 'Abbas and asked him about the Witr prayer, and the rest of the hadith is the same as recorded in this event. She (Hadrat 'A'isha) said: Who is that Hisham? I said: Son of 'Amir. She said: What a fine man 'Amir was! He died as a martyr in the Battle of Uhud.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৭-(.../...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... যুরারাহ ইবনু আওফা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। সা’দ ইবনু হিশাম (রহঃ) ছিলেন তার প্রতিবেশী। তিনি যুরারাহকে স্বীয় স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কথা জানালেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি সাঈদ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ অর্থবোধক হাদীস বর্ণনা করলেন যাতে এ কথাও বর্ণিত হয়েছে যে, আয়িশাহ (রাযিঃ) জিজ্ঞেস করলেনঃ কোন হিশাম এর কথা বলছ? তখন হাকীম ইবনু আফলাহ বললেনঃ ’আমিরের পুত্র হিশামের কথা বলছি। এ কথা শুনে ’আয়িশাহ বলে উঠলেন- ’আমির কত ভাল লোক ছিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে উহুদ যুদ্ধে শারীক হয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। এ হাদীসে এ কথাও বর্ণিত হয়েছে যে, হাকীম ইবনু আফলাহ বললেনঃ যদি আমার জানা থাকত যে, আপনি আয়িশাহ (রাযিঃ) এর কাছে যান না তাহলে আমি আপনাকে তার সম্পর্কে বলতাম না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১২, ইসলামীক সেন্টার ১৬১৯)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، أَنَّ سَعْدَ بْنَ هِشَامٍ، كَانَ جَارًا لَهُ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ، طَلَّقَ امْرَأَتَهُ . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ سَعِيدٍ وَفِيهِ قَالَتْ مَنْ هِشَامٌ قَالَ ابْنُ عَامِرٍ . قَالَتْ نِعْمَ الْمَرْءُ كَانَ أُصِيبَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ . وَفِيهِ فَقَالَ حَكِيمُ بْنُ أَفْلَحَ أَمَا إِنِّي لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكَ لاَ تَدْخُلُ عَلَيْهَا مَا أَنْبَأْتُكَ بِحَدِيثِهَا .
Zurara b. Aufa reported that Sa'd b. Hisham was his neighbour and he informed him that he had divorced his wife and he narrated the hadith like the one transmitted by Sa'd. She ('A'isha) said:
Who is Hisham? He said: The son of 'Amir. She said: What a fine man he was; he participated in the Battle of Uhud along with the Messenger of Allah (ﷺ). Hakim b. Aflah said: If I ever knew that you do not go to 'A'isha, I would not have informed you about her hadith (So that you would have gone to her and heard it from her orally).
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৮-(১৪০/...) সাঈদ ইবনু মানসূর ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। ব্যথা-বেদনা বা অন্য কোন কারণে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রাত্রিকালীন কোন সালাত কাযা হয়ে গেলে দিনের বেলা তিনি বারো রাকাআত সালাত আদায় করে নিতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১৩, ইসলামীক সেন্টার ১৬২০)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، قَالَ سَعِيدٌ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا فَاتَتْهُ الصَّلاَةُ مِنَ اللَّيْلِ مِنْ وَجَعٍ أَوْ غَيْرِهِ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً .
'A'isha reported that when the Messenger of Allah (ﷺ) missed the night prayer due to pain or any other reason, he observed twelve rak'ahs during the daytime.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬২৯-(১৪১/...) ’আলী ইবনু খশরাম (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন আমল বা কাজ করলে তা সর্বদা অর্থাৎ নিয়মিতভাবে করতেন। আর রাতের বেলা ঘুমিয়ে পড়লে বা অসুস্থ হলে পরিবর্তে দিনের বেলা বারো রাকাআত সালাত আদায় করে নিতেন। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কখনো ভোর পর্যন্ত সারারাত জেগে ইবাদাত করতে এবং রমযান মাস ছাড়া এক নাগাড়ে পুরো মাস সিয়াম পালন করতে দেখিনি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১৪, ইসলামীক সেন্টার ১৬১১)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
وَحَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ، أَخْبَرَنَا عِيسَى، - وَهُوَ ابْنُ يُونُسَ - عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَمِلَ عَمَلاً أَثْبَتَهُ وَكَانَ إِذَا نَامَ مِنَ اللَّيْلِ أَوْ مَرِضَ صَلَّى مِنَ النَّهَارِ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ رَكْعَةً . قَالَتْ وَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَامَ لَيْلَةً حَتَّى الصَّبَاحِ وَمَا صَامَ شَهْرًا مُتَتَابِعًا إِلاَّ رَمَضَانَ .
'A'isha reported that when the Messenger of Allah (ﷺ) decided upon doing any act, he continued to do it, and when he slept at night or fell sick he observed twelve rak'ahs during the daytime. I am not aware of Allah's Messenger (ﷺ) observing prayer during the whole of the night till morning, or observing fast for a whole month continuously except that of Ramadan.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. রাত্রিকালীন সালাত- আর যে ঘুমিয়ে পড়ে অথবা অসুস্থ হয়ে পড়ে
১৬৩০-(১৪২/৭৪৭) হারূন ইবনু মা’রূফ এবং আবূত তহির ও হারমালাহ (রহঃ) ..... উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ তার (রাতের বেলার) অযীফাহ্ বা করণীয় কাজ কিংবা তার কিছু অংশ করতে ভুলে গেলে তা যদি সে ফাজর ও যুহরের সালাতের মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে আদায় করে নেয় তাহলে তা এমনভাবে তার জন্য লিখে নেয়া হবে যেন সে তা রাতের বেলায়ই সম্পন্ন করেছে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৬১৫, ইসলামীক সেন্টার ১৬১২)
باب جَامِعِ صَلاَةِ اللَّيْلِ وَمَنْ نَامَ عَنْهُ أَوْ مَرِضَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، وَعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَاهُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ الْقَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ أَوْ عَنْ شَىْءٍ مِنْهُ فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلاَةِ الْفَجْرِ وَصَلاَةِ الظُّهْرِ كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ " .
'Umar b. Khattab reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Should anyone fall asleep and fail to recite his portion of the Qur'an, or a part of it, if he recites it between the dawn prayer and the noon prayer, it will be recorded for him as though he had recited it during the night.