পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৪৬-(৩০৯/৬৮০) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া আত তুজায়বী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার যুদ্ধ শেষে ফিরে আসার সময় রাতে সফররত ছিলেন। এক সময় রাতের শেষভাগে তাকে তন্দ্রায় পেয়ে বসলে তিনি সেখানেই অবতরণ করলেন। আর বিলালকে বললেনঃ “তুমি আজ রাতে আমাদের পাহারার কাজ করো। সুতরাং বিলাল যতটা সম্ভব রাতের বেলায় সালাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ ঘুমিয়ে পড়লেন। কিন্তু ফজরের সময় ঘনিয়ে আসলে বিলাল পূর্ব দিকে মুখ করে তার উটের সাথে হেলান দিলেন। এ সময় ঘুমে বিলালের দু’চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, বিলাল কিংবা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণের কারোরই নিদ্রা ভঙ্গ হলো না। এ অবস্থায় তাদের গায়ে সূর্যের আলো এসে পড়ল। প্রথমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। তিনি জেগে উঠে বিলালকে ডাকলেন, হে বিলাল! বিলাল বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, আপনি যে কারণে জাগতে পারেননি আমিও ঐ একই কারণে জগতে পারিনি।
তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুকুম দিলেন তাড়াতাড়ি যাত্রা করো। সুতরাং সবাই উটগুলো হাকিয়ে কিছু দূরে নিয়ে গেলে এবার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওযু করলেন এবং বিলালকে সালাতের জন্য আদেশ করলেন। বিলাল সালাতের ইকামাত দিলে তিনি তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সালাত শেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কেউ সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেছেন- “আমার স্মরণের জন্য সালাত আদায় করো"- (সূরাহ ত্ব-হা- ২০ঃ ১৪)। ইউনুস বলেছেনঃ ইবনু শিহাব لِذِكْرِي (লিযিক্রী)-এর স্থানে لِلذِّكْرَى (লিযযক্রা) আদায় করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩১, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪০)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى التُّجِيبِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ سَارَ لَيْلَهُ حَتَّى إِذَا أَدْرَكَهُ الْكَرَى عَرَّسَ وَقَالَ لِبِلاَلٍ " اكْلأْ لَنَا اللَّيْلَ " . فَصَلَّى بِلاَلٌ مَا قُدِّرَ لَهُ وَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ فَلَمَّا تَقَارَبَ الْفَجْرُ اسْتَنَدَ بِلاَلٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ مُوَاجِهَ الْفَجْرِ فَغَلَبَتْ بِلاَلاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يَسْتَيْقِظْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَلاَ بِلاَلٌ وَلاَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوَّلَهُمُ اسْتِيقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَىْ بِلاَلُ " . فَقَالَ بِلاَلٌ أَخَذَ بِنَفْسِي الَّذِي أَخَذَ - بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ - بِنَفْسِكَ قَالَ " اقْتَادُوا " . فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَوَضَّأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى الصَّلاَةَ قَالَ " مَنْ نَسِيَ الصَّلاَةَ فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ قَالَ ( أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي) " . قَالَ يُونُسُ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا لِلذِّكْرَى .
Abu Huraira reported that when the Messenger of Allah (ﷺ) returned from the expedition to Khaibar, he travelled one night, and stopped for rest when he became sleepy. He told Bilal to remain on guard during the night and he (Bilal) prayed as much as he could, while the Messenger of Allah (ﷺ) and his Companions slept. When the time for dawn approached Bilal leaned against his camel facing the direction from which the dawn would appear but he was overcome by sleep while he was leaning against his camel, and neither the Messenger of Allah (ﷺ) nor Bilal, nor anyone else among his Companions got up, till the sun shone on them. Allah's Messenger (ﷺ) was the first of them to awake and, being startled, he called to Bilal who said:
Messenger of Allah I may my father and mother be offered as ransom for thee, the same thing overpowered me which overpowered you. He (the Holy Prophet, then) said: Lead the beasts on: so they led their camels to some distance. The Messenger of Allah (ﷺ) then performed ablution and gave orders to Bilal who pronounced the Iqama and then led them in the morning prayer. When he finished the prayer he said: When anyone forgets the prayer, he should observe it when he remembers it, for Allah has said:" And observe the prayer for remembrance of Me" (Qur'an. xx. 14). Yunus said: Ibn Shilab used to recite it like this:" (And observe the prayer) for remembrance."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৪৭-(৩১০/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম ও ইয়াকুব ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে শেষ রাতে বিশ্রামের জন্য ঘুমালাম। কিন্তু সূর্যোদয়ের পূর্বে আমরা জাগিনি। (নিদ্রা থেকে জেগে উঠে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রত্যেকে নিজের উটের লাগাম টেনে নিয়ে যাও। কারণ এ স্থানে আমাদের মাঝে শয়তান এসে হাজির হয়েছে। বর্ণনাকারী আবূ হুরায়রাহ বলেছেনঃ আমরা তাই করলাম। অতঃপর তিনি পানি চেয়ে নিয়ে ওযু করলেন এবং দু’টি সিজদা করলেন (অর্থাৎ- দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন)।
ইয়াকুব বলেছেন, অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফজরের দু’ রাকাআত) সুন্নাত আদায় করলেন। অতঃপর সালাতের ইকামাত দেয়া হলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের (ফরয) সালাত আদায় করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩২, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪১)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، كِلاَهُمَا عَنْ يَحْيَى، - قَالَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ كَيْسَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ عَرَّسْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَسْتَيْقِظْ حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لِيَأْخُذْ كُلُّ رَجُلٍ بِرَأْسِ رَاحِلَتِهِ فَإِنَّ هَذَا مَنْزِلٌ حَضَرَنَا فِيهِ الشَّيْطَانُ " . قَالَ فَفَعَلْنَا ثُمَّ دَعَا بِالْمَاءِ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ - وَقَالَ يَعْقُوبُ ثُمَّ صَلَّى سَجْدَتَيْنِ - ثُمَّ أُقِيمَتِ الصَّلاَةُ فَصَلَّى الْغَدَاةَ .
Abu Huraira reported:
We stopped for rest along with the Messenger of Allah (ﷺ) and did not awake till the sun rose. The Apostle of Allah (ﷺ) then told us that everybody should take hold of his camel's nosestring (get out of this ground) for it was the place where devil had visited us. We did accordingly. He then called for water and performed ablution and then performed two prostrations. Ya'qub said: Then he prayed (performed) two prostrations. then takbir was pronounced for prayer and then he offered the morning prayer (in congregation).
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৪৮-(৩১১/৬৮১) শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... আবূ কাতাদাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন (যুদ্ধ থেকে ফেরার সময়) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে বক্তৃতা করলেন। তিনি বললেনঃ আজকের বিকাল থেকে সারারাত তোমাদেরকে পথ চলতে হবে এবং ইনশাআল্লাহ আগামীকাল সকালে পানির কাছে উপস্থিত হবে। সুতরাং লোকজন সেখান থেকে এভাবে যাত্রা করল যে, কেউ কারো দিকে ফিরেও তাকাচ্ছিল না। আবূ কতাদাহ্ বলেন- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও পথ চলছিল। এক সময় রাত্রি দ্বি-প্রহর হয়ে গেল। আমি তার পাশে পাশেই চলছিলাম। এ সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তন্দ্রায় ঝিমুচ্ছিলেন। ঘুমের প্রভাবে এক সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার সওয়ারীর উপর একদিকে ঝুঁকে পড়লেন। ঠিক সে সময় আমি তার কাছে গিয়ে তাঁকে ঠেলে ধরলাম (অর্থাৎ ঠেকনা দিলাম)। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সওয়ারীর উপর সোজা হয়ে বসলেন, কিন্তু তাকে জাগালাম না।
এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চলতে থাকলেন এবং এ অবস্থায় রাতের বেশীর ভাগ অতিক্রান্ত হলে সওয়ারীর উপর থেকে আবার একদিকে ঝুঁকে পড়লেন। তখন আবার আমি তাকে না জাগিয়ে ঠেলে ধরলাম। এভাবে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সওয়ারীর উপর সোজা হয়ে বসলেন। আবূ কতাদাহ বলেন- এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার চলতে থাকলেন। রাত ভোর হয়ে আসলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবার প্রথম দু’বারের চেয়েও বেশী করে একদিকে ঝুঁকে পড়লেন, এমনকি তার পড়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। তখন আমি পুনরায় ঠেস লাগিয়ে ধরলাম। এবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাথা উঠিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কে? আমি বললাম- আবূ কতাদাহ। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এভাবে তুমি আমার পাশে পাশে কতক্ষণ ধরে চলছ? আমি বললাম, আমি রাতের প্রথম থেকেই এভাবে আপনার সাথে চলছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তখন বললেনঃ আল্লাহ তোমাকে হিফাযাত করুন। কারণ তুমি তার নবীকে দেখাশুনা করছ।
তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি কাউকে দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ, এই তো একজন আরোহী। তারপর বললাম, এই তো আরো একজন আরোহী এসে উপস্থিত হলো। এভাবে আমরা সাতজন একত্র হলাম। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তা থেকে কিছু দূরে সরে গেলেন এবং মাটিতে মাথা রাখলেন (অর্থাৎ- শুয়ে পড়লেন)। এ সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের বললেনঃ সালাতের খেয়াল রেখো। কিন্তু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি নিদ্রা থেকে জাগ্রত হন আর তখন সূর্যের আলো তার পিঠের উপর এসে পড়েছিল।
আবূ কতাদাহ্ বলেন- এরপর আমরা সবাই ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠে পড়লাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সবাই যার যার সওয়ারীতে সওয়ার হও। তাই আমরা সওয়ারীতে চেপে যাত্রা করলাম। সূর্য বেশ কিছু উপরে উঠলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারী থেকে অবতরণ করে আমার কাছে অল্প পানিসহ যে ওযুর পাত্র ছিল তা চেয়ে নিয়ে অন্য সময়ের চেয়ে সংক্ষিপ্ত করে ওযু করলেন। আবূ কতাদাহ্ বললেন- এরপরও ঐ পাত্রে কিছু পানি অবশিষ্ট থাকল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবূ কাতাদাহ-কে বললেনঃ পাত্রটি রেখে দাও, দেখবে পরে বিস্ময়কর কান্ড ঘটবে।
তখন বিলাল সালাতের আযান দিলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে দুরাকাআত (সুন্নাত) সালাত আদায় করলেন এবং তারপর প্রতিদিনের মতো করে ফজরের ফারয (ফরয) সালাত আদায় করলেন। আবূ কাতাদাহ্ বলেন। অতঃপর সওয়ারীতে আরোহণ করলে আমরাও সওয়ারীতে আরোহণ করে তার সাথে রওয়ানা হলাম। এ সময়ে আমরা পরস্পর চুপিসারে বলাবলি করছিলাম যে, আমরা সালাতের ব্যাপারে যে অবহেলা প্রদর্শন করলাম তার কাফফারাহ বা ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার জীবন ও কাজ-কর্ম কি তোমাদের জন্য অনুসরণীয় আদর্শ নয়?
এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেনঃ ঘুমানোতে কোন দোষ বা অবহেলা নেই। অবহেলা তখনই বলা হবে যদি কোন ব্যক্তি সালাত না আদায় করে দেরী করে এবং অন্য সালাতের ওয়াক্ত হয়ে যায়। কোন সময়ে কারো এরূপ হয়ে গেলে সে যখন জাগ্রত হবে তখনই যেন সালাত আদায় করে নেয়। পরদিন সকালে যেন সে সময়মত সালাত আদায় করে। পরে তিনি বললেনঃ অন্য সবাই কী করেছে তা কি জান? সকালে লোকজন যখন তাদের নবীকে দেখতে পেল না তখন আবূ বকর ও উমার তাদেরকে বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের পিছনে আছেন। তিনি তোমাদেরকে পিছনে ফেলে যেতে পারেন না। কিন্তু লোকজন বললঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের সামনে আছেন। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) এ ব্যাপারে তারা যদি আবূ বকর ও উমার-এর কথা মানতো তাহলে সঠিক কাজ করত।
আবূ কতাদাহ বলেনঃ যখন বেলা বেড়ে দুপুর হলো এবং সবকিছু সূৰ্যতাপে উত্তপ্ত হয়ে উঠল তখন আমরা লোকজনের কাছে গিয়ে পৌছলাম। তখন তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলছিলঃ হে আল্লাহর রসূল! আমরা পিপাসায় মরে গেলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, তোমরা মরবে না। এরপর তিনি বললেনঃ আমার ছোট পেয়ালাটা আনো। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওযুর পাত্রটাও চেয়ে নিলেন। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেয়ালাতে পানি ঢালতে থাকলেন আর আবূ কতাদাহ পান করাতে থাকলেন। লোকজন যখন দেখল যে, পানি মাত্র একপাত্র আর এতগুলো লোক তখন তারা (পানি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে) ভিড় জমিয়ে তুলল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা ধীরে সুস্থে পানি পান করতে থাকো। সবাইকে তৃপ্তি সহকারে পানি পান করানো যাবে। সুতরাং লোকজন তাই করল।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি ঢালছিলেন আর আমি (আবূ কতাদাহ্) পান করাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া পানি পান করতে আর কেউ অবশিষ্ট রইল না। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেয়ালার পানি ঢেলে আমাকে বললেনঃ পান করো। আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আপনি পান না করা পর্যন্ত আমি পান করব না। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যিনি পানি পান করান তিনি সবার শেষে পান করেন। আবূ কতাদাহ বলেনঃ আমি তখন পানি পান করলাম। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পান করলেন। পরে অবশ্য লোকজন পানি পান করার ফলে শান্ত মনে তৃপ্তি সহকারে যেতে থাকল।
হাদীসের বর্ণনাকারী সাবিত বলেছেন যে, "আবদুল্লাহ ইবনু রাবাহ ও এ কথা শুনে বললেনঃ তাহলে তো আপনি এ হাদীসটি সম্পর্কে ভাল জানেন। তখন তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কোন কওমের লোক? আমি বললাম, আমি আনসারদের একজন। তিনি বললেন, তাহলে বর্ণনা কর। কেননা, তুমি তোমার হাদীস সম্পর্কে নিশ্চয়ই ভালভাবে অবহিত আছ। আবদুল্লাহ ইবনু রাবাহ বলেন- আমি ঐ রাতে কাফিলায় শরীক ছিলাম। তবে আমি জানতাম না যে, অন্য কেউও আমার মতো হাদীসটি স্মরণ করে রেখেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৩, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪২)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - حَدَّثَنَا ثَابِتٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " إِنَّكُمْ تَسِيرُونَ عَشِيَّتَكُمْ وَلَيْلَتَكُمْ وَتَأْتُونَ الْمَاءَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ غَدًا " . فَانْطَلَقَ النَّاسُ لاَ يَلْوِي أَحَدٌ عَلَى أَحَدٍ - قَالَ أَبُو قَتَادَةَ - فَبَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَسِيرُ حَتَّى ابْهَارَّ اللَّيْلُ وَأَنَا إِلَى جَنْبِهِ - قَالَ - فَنَعَسَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَالَ عَنْ رَاحِلَتِهِ فَأَتَيْتُهُ فَدَعَمْتُهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ أُوقِظَهُ حَتَّى اعْتَدَلَ عَلَى رَاحِلَتِهِ - قَالَ - ثُمَّ سَارَ حَتَّى تَهَوَّرَ اللَّيْلُ مَالَ عَنْ رَاحِلَتِهِ - قَالَ - فَدَعَمْتُهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ أُوقِظَهُ حَتَّى اعْتَدَلَ عَلَى رَاحِلَتِهِ - قَالَ - ثُمَّ سَارَ حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ السَّحَرِ مَالَ مَيْلَةً هِيَ أَشَدُّ مِنَ الْمَيْلَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ حَتَّى كَادَ يَنْجَفِلُ فَأَتَيْتُهُ فَدَعَمْتُهُ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " مَنْ هَذَا " . قُلْتُ أَبُو قَتَادَةَ . قَالَ " مَتَى كَانَ هَذَا مَسِيرَكَ مِنِّي " . قُلْتُ مَا زَالَ هَذَا مَسِيرِي مُنْذُ اللَّيْلَةِ . قَالَ " حَفِظَكَ اللَّهُ بِمَا حَفِظْتَ بِهِ نَبِيَّهُ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ تَرَانَا نَخْفَى عَلَى النَّاسِ " . ثُمَّ قَالَ " هَلْ تَرَى مِنْ أَحَدٍ " . قُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ . ثُمَّ قُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ آخَرُ . حَتَّى اجْتَمَعْنَا فَكُنَّا سَبْعَةَ رَكْبٍ - قَالَ - فَمَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الطَّرِيقِ فَوَضَعَ رَأْسَهُ ثُمَّ قَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلاَتَنَا " . فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالشَّمْسُ فِي ظَهْرِهِ - قَالَ - فَقُمْنَا فَزِعِينَ ثُمَّ قَالَ " ارْكَبُوا " . فَرَكِبْنَا فَسِرْنَا حَتَّى إِذَا ارْتَفَعَتِ الشَّمْسُ نَزَلَ ثُمَّ دَعَا بِمِيضَأَةٍ كَانَتْ مَعِي فِيهَا شَىْءٌ مِنْ مَاءٍ - قَالَ - فَتَوَضَّأَ مِنْهَا وُضُوءًا دُونَ وُضُوءٍ - قَالَ - وَبَقِيَ فِيهَا شَىْءٌ مِنْ مَاءٍ ثُمَّ قَالَ لأَبِي قَتَادَةَ " احْفَظْ عَلَيْنَا مِيضَأَتَكَ فَسَيَكُونُ لَهَا نَبَأٌ " . ثُمَّ أَذَّنَ بِلاَلٌ بِالصَّلاَةِ فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَلَّى الْغَدَاةَ فَصَنَعَ كَمَا كَانَ يَصْنَعُ كُلَّ يَوْمٍ - قَالَ - وَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَكِبْنَا مَعَهُ - قَالَ - فَجَعَلَ بَعْضُنَا يَهْمِسُ إِلَى بَعْضٍ مَا كَفَّارَةُ مَا صَنَعْنَا بِتَفْرِيطِنَا فِي صَلاَتِنَا ثُمَّ قَالَ " أَمَا لَكُمْ فِيَّ أُسْوَةٌ " . ثُمَّ قَالَ " أَمَا إِنَّهُ لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ عَلَى مَنْ لَمْ يُصَلِّ الصَّلاَةَ حَتَّى يَجِيءَ وَقْتُ الصَّلاَةِ الأُخْرَى فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَنْتَبِهُ لَهَا فَإِذَا كَانَ الْغَدُ فَلْيُصَلِّهَا عِنْدَ وَقْتِهَا " . ثُمَّ قَالَ " مَا تَرَوْنَ النَّاسَ صَنَعُوا " . قَالَ ثُمَّ قَالَ " أَصْبَحَ النَّاسُ فَقَدُوا نَبِيَّهُمْ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدَكُمْ لَمْ يَكُنْ لِيُخَلِّفَكُمْ . وَقَالَ النَّاسُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فَإِنْ يُطِيعُوا أَبَا بَكْرٍ وَعُمَرَ يَرْشُدُوا " . قَالَ فَانْتَهَيْنَا إِلَى النَّاسِ حِينَ امْتَدَّ النَّهَارُ وَحَمِيَ كُلُّ شَىْءٍ وَهُمْ يَقُولُونَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكْنَا عَطِشْنَا . فَقَالَ " لاَ هُلْكَ عَلَيْكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " أَطْلِقُوا لِي غُمَرِي " . قَالَ وَدَعَا بِالْمِيضَأَةِ فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُبُّ وَأَبُو قَتَادَةَ يَسْقِيهِمْ فَلَمْ يَعْدُ أَنْ رَأَى النَّاسُ مَاءً فِي الْمِيضَأَةِ تَكَابُّوا عَلَيْهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَحْسِنُوا الْمَلأَ كُلُّكُمْ سَيَرْوَى " . قَالَ فَفَعَلُوا فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُبُّ وَأَسْقِيهِمْ حَتَّى مَا بَقِيَ غَيْرِي وَغَيْرُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - ثُمَّ صَبَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " اشْرَبْ " . فَقُلْتُ لاَ أَشْرَبُ حَتَّى تَشْرَبَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّ سَاقِيَ الْقَوْمِ آخِرُهُمْ شُرْبًا " . قَالَ فَشَرِبْتُ وَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَأَتَى النَّاسُ الْمَاءَ جَامِّينَ رِوَاءً . قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ إِنِّي لأُحَدِّثُ هَذَا الْحَدِيثَ فِي مَسْجِدِ الْجَامِعِ إِذْ قَالَ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ انْظُرْ أَيُّهَا الْفَتَى كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي أَحَدُ الرَّكْبِ تِلْكَ اللَّيْلَةَ . قَالَ قُلْتُ فَأَنْتَ أَعْلَمُ بِالْحَدِيثِ . فَقَالَ مِمَّنْ أَنْتَ قُلْتُ مِنَ الأَنْصَارِ . قَالَ حَدِّثْ فَأَنْتُمْ أَعْلَمُ بِحَدِيثِكُمْ . قَالَ فَحَدَّثْتُ الْقَوْمَ فَقَالَ عِمْرَانُ لَقَدْ شَهِدْتُ تِلْكَ اللَّيْلَةَ وَمَا شَعَرْتُ أَنَّ أَحَدًا حَفِظَهُ كَمَا حَفِظْتُهُ .
Abu Qatida reported:
The Messenger of Allah (way peace be upon him) addressed us and said: You would travel In the evening and the might till (God willing) you would come in the morning to a place of water. So the people travelled (self absorbed) without paying any heed to one another, and the Messenger of Allah (ﷺ) also travelled till It was midnight. I was by his side. The Messenger of Allah (ﷺ) began to doze and leaned (to one side) of his camel. I came to him and I lent him support without awaking him till he sat poised on his ride. He went on travelling till a major part of the night was over and (he again) leaned (to one side) of his camel. I supported him without awaking him till he sat" bed on his ride. and then travelled till it was near dawn. He (again) leaned which was far more inclined than the two earlier leanings and he was about to fall down. So I came to him and supported him and he lifted his head and said; Who is this? I said: it is Abu Qatida. He (the Prophet again) said: Since how long have you been travelling along with me like this? I said: I have been travelling in this very state since the night. He said: May Allah protect you, as you have protected His Apostle (from falling down), and again said: Do you see that we are hidden from the people? - and again said: Do you see anyone? I said: Here is a rider. I again said: Here Is another rider till we gathered together and we were seven riders. The Messenger of Allah (ﷺ) stepped aside of the highway and placed his head (for sleep and said): Guard for us our prayers. The Messenger of Allah (ﷺ) was the first to wake up and the rays of the sun were falling on his back. We got up startled He (the Holy Prophet) said: Ride on So we rode on till the sun had (sufficiently) risen. He then came down from his camel and called for a jug of water which I had with me. There was a little water in that. He performed ablution with that which was less thorough as compared with his usual ablutions and some water of that had been left. He (the Holy Prophet) said to Abu Qatida: Keep a watch over your jug of water; it would have (a miraculous) condition about it. Then Bilal summoned (people) to prayer and then the Messenger of Allah (ﷺ) observed two rak'ahs and then said the morning prayer as he said every day. The Messenger of Allah (ﷺ) (then) rode on and we rode along with him and some of us whispered to the others saying: How would there be compensation for omission in our prayers? Upon this he (the Messenger of Allah) said: Is there not in me (my life) a model for you? There is no omission in sleeping. The (cognizable) emission is that one should not say prayer (intentionally) till the time of the other prayer comes. So he who did like it (omitted prayer in sleep or due to other unavoidable circumstances) should say prayer when he becomes aware of it and on the next day he should observe it at its prescribed time. He (the Holy Prophet) said: What do you think the people would have done (at this hour)? They would have in the morning found their Apostle missing from amongst them and then Abu Bakr and 'Umar would have told them that the Messenger of Allah (ﷺ) must be behind you, he cannot leave you behind (him), but the people said: The Messenger of Allah (ﷺ) is ahead of you. So if you had obeyed Abu Bakr and Umar, you would have gone on the right path. So we proceeded on till we came up to the people (from whom we had lagged behind) and the day had considerably risen and everything became hot, and they (the Companions of the Holy Prophet) said: Messenger of Allah, we are dying of thirst. Upon this he (the Holy Prophet) remarked: There is no destruction for you. And again said: Bring that small cup of mine and he then asked for the jug of water to be brought to him. The Messenger of Allah (ﷺ) began to pour water (in that small cup) and Abu Qatida gave them to drink. And when the people saw that there was (a little) water in the jug, they fell upon it. Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) said: Behave well; the water (is enough) to satiate all of you. Then they (the Companions) began to receive (their share of) water with calmness (without showing any anxiety) and the Messenger of Allah (ﷺ) began to fill (the cap), and I began to serve them till no one was left except me and the Messenger of Allah (ﷺ). He then filled (the cup) with water and said to me: Drink it. I said: Messenger of Allah, I would not drink till you drink. Upon this he said: The server of the people Is the last among them to drink. So I drank and the Messenger of Allah (ﷺ) also drank and the people came to the place of water quite happy and satiated. 'Abdullah b. Rabah said: I am going to narrate this hadith in the great mosque, when 'Imran b. Husain said: See, O young man, how will you narrate for I was also one of the riders on that night? I said: So you must be knowing this hadith well. He said: Who are you? I said: I am one of the Ansar. Upon this he said: You narrate, for you know your hadith better. I, therefore, narrated it to the people. 'Imran said: I was also present that night, but I know not anyone else who learnt it so well as you have learnt.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৪৯-(৩১২/৬৮২) আহমাদ ইবনু সাঈদ ইবনু সখর আদ দারিমী (রহঃ) ..... ’ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন এক সফরে তার সাথে ছিলাম। এক রাতে আমরা রাতের বেলায়ই পথ চলছিলাম। রাতের শেষ দিকে আমরা বিশ্রামের জন্য একস্থানে অবতরণ করলে ঘুমের প্রভাবে আমাদের চোখ বন্ধ হয়ে আসলো। এ অবস্থায় সূর্য উদিত হলো। ইমরান ইবনু হুসায়ন বলেন, আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেন তিনি আবূ বকর। আমাদের নীতি ছিল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর পর নিজে নিজেই যতক্ষণ না জাগতেন ততক্ষণ আমরা কেউ তাকে নিদ্রা থেকে জাগাতাম না। আবূ বকরের পর যিনি প্রথম জাগলেন তিনি ’উমার। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশ গিয়ে দাঁড়িয়ে উচ্চ শব্দে তাকবীর বলতে শুরু করলেন। এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠলেন।
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাথা উঠিয়ে দেখতে পেলেন সূর্য আগেই উদিত হয়েছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সবাইকে বললেনঃ তোমরা এখান থেকে যাত্রা শুরু করো। এরপর তিনিও আমাদের সাথে যাত্রা করলেন। অতঃপর সূর্যের কিরণ আরো পরিষ্কারভাবে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তিনি সওয়ারী থামিয়ে অবতরণ করলেন এবং আমাদেরকে সাথে করে ফজরের সালাত আদায় করলেন। কিন্তু জনৈক ব্যক্তি সবার থেকে দূরে থাকল এবং আমাদের সাথে সালাত আদায় করলেন না। সালাত শেষ করে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কী কারণে আমাদের সাথে সালাত আদায় করলে না? সে বলল- হে আল্লাহর নবী, আমার জন্য গোসল ফারয (ফরয) হয়েছে (তাই সালাত আদায় করতে পারলাম না)।
তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করতে বললেন। অতঃপর সে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করল। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে একদল লোকের সাথে সম্মুখের দিকে আগে আগে পাঠিয়ে দিলেন যাতে আমরা পানি খুঁজে বের করি। আমরা ইতোমধ্যেই যার পর নাই তৃষ্ণাৰ্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা পথ চলতে চলতে এক স্ত্রী লোককে দেখতে পেলাম। সে তার সওয়ারীর উপর দুটি চামড়ার মশকের উপর দু দিকে পা ঝুলিয়ে বসে ছিল। আমরা তাকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে পানি কোথায় পাওয়া যাবে? সে বলে উঠল হায়! হায়! এখানে তোমরা পানি কোথায় পাবে? আমরা তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, তোমার গোত্রের বসতি এলাকা থেকে পানি কত দূরে? সে বললঃ একদিন ও একরাতের পথের ব্যবধান। আমরা তাকে বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চলো। সে বললঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবার কী?
এরপর আমরা আর তাকে নিজের ইচ্ছামত কোন কিছুই করতে দিলাম না। বরং তাকে ধরে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে আসলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জিজ্ঞেস করলেন, সে আমাদেরকে যা বলেছিল তাকেও তাই বলল। সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আরো জানালেন যে, সে কয়েকজন ইয়াতীম শিশুর অভিভাবিকা। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উটকে বসাতে আদেশ করলে সেটিকে বসানো হলো এবং তিনি চামড়ার মশকের উপর দিকের মুখ দুটিতে কুল্লি করে দিলেন। এরপর উটটিকে দাঁড় করানো হলো। আমরা তৃষ্ণার্ত চল্লিশ জনে সবাই এবার তৃষ্ণা দূর করে পানি পান করলাম। আমরা আমাদের মশক ও পানির পাত্রগুলো ভর্তি করে নিলাম এবং আমাদের সঙ্গী লোকটিকেও গোসল করালাম। তবে কোন উটকে আমরা পানি পান করালাম না। অথচ মশক তখনও পানির চাপে ফেটে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছিল।
এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের যার কাছে যা আছে নিয়ে এসো। সুতরাং আমরা ঐ মহিলার জন্য খেজুর ও খেজুরের টুকরা এনে জমা করলে সেগুলো দিয়ে তার জন্য একটি পুটলি বাধা হলো। (এগুলো দিয়ে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এবার তুমি গিয়ে তোমার বাচ্চাদের খাওয়াও। আর মনে রেখ যে, আমরা তোমার পানি আদৌ নেইনি। সে তার লোকদের কাছে ফিরে গিয়ে বললঃ আমি সবচেয়ে বড় যাদুকরের সাক্ষাৎ পেয়েছি। অথবা সে সম্ভবত বলেছিল, একজন নবীর সাক্ষাৎ পেয়েছি। এমন-এমন বিস্ময়কর দেখলাম তার ব্যাপারটা আল্লাহ তা’আলা ঐ মহিলার দ্বারা উক্ত জনপদকে হিদায়াত দান করলেন। সুতরাং সেও ইসলাম গ্রহণ করল এবং উক্ত জনপদের লোকেরাও ইসলাম গ্রহণ করল। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৪, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৩)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ صَخْرٍ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ زَرِيرٍ الْعُطَارِدِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، قَالَ كُنْتُ مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَسِيرٍ لَهُ فَأَدْلَجْنَا لَيْلَتَنَا حَتَّى إِذَا كَانَ فِي وَجْهِ الصُّبْحِ عَرَّسْنَا فَغَلَبَتْنَا أَعْيُنُنَا حَتَّى بَزَغَتِ الشَّمْسُ - قَالَ - فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ مِنَّا أَبُو بَكْرٍ وَكُنَّا لاَ نُوقِظُ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ مَنَامِهِ إِذَا نَامَ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ ثُمَّ اسْتَيْقَظَ عُمَرُ فَقَامَ عِنْدَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَعَلَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ وَرَأَى الشَّمْسَ قَدْ بَزَغَتْ قَالَ " ارْتَحِلُوا " . فَسَارَ بِنَا حَتَّى إِذَا ابْيَضَّتِ الشَّمْسُ نَزَلَ فَصَلَّى بِنَا الْغَدَاةَ فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لَمْ يُصَلِّ مَعَنَا فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا فُلاَنُ مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَنَا " . قَالَ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ . فَأَمَرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَيَمَّمَ بِالصَّعِيدِ فَصَلَّى ثُمَّ عَجَّلَنِي فِي رَكْبٍ بَيْنَ يَدَيْهِ نَطْلُبُ الْمَاءَ وَقَدْ عَطِشْنَا عَطَشًا شَدِيدًا . فَبَيْنَمَا نَحْنُ نَسِيرُ إِذَا نَحْنُ بِامْرَأَةٍ سَادِلَةٍ رِجْلَيْهَا بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ فَقُلْنَا لَهَا أَيْنَ الْمَاءُ قَالَتْ أَيْهَاهْ أَيْهَاهْ لاَ مَاءَ لَكُمْ . قُلْنَا فَكَمْ بَيْنَ أَهْلِكِ وَبَيْنَ الْمَاءِ . قَالَتْ مَسِيرَةُ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ . قُلْنَا انْطَلِقِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَتْ وَمَا رَسُولُ اللَّهِ فَلَمْ نُمَلِّكْهَا مِنْ أَمْرِهَا شَيْئًا حَتَّى انْطَلَقْنَا بِهَا فَاسْتَقْبَلْنَا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهَا فَأَخْبَرَتْهُ مِثْلَ الَّذِي أَخْبَرَتْنَا وَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا مُوتِمَةٌ لَهَا صِبْيَانٌ أَيْتَامٌ فَأَمَرَ بِرَاوِيَتِهَا فَأُنِيخَتْ فَمَجَّ فِي الْعَزْلاَوَيْنِ الْعُلْيَاوَيْنِ ثُمَّ بَعَثَ بِرَاوِيَتِهَا فَشَرِبْنَا وَنَحْنُ أَرْبَعُونَ رَجُلاً عِطَاشٌ حَتَّى رَوِينَا وَمَلأْنَا كُلَّ قِرْبَةٍ مَعَنَا وَإِدَاوَةٍ وَغَسَّلْنَا صَاحِبَنَا غَيْرَ أَنَّا لَمْ نَسْقِ بَعِيرًا وَهِيَ تَكَادُ تَنْضَرِجُ مِنَ الْمَاءِ - يَعْنِي الْمَزَادَتَيْنِ - ثُمَّ قَالَ " هَاتُوا مَا كَانَ عِنْدَكُمْ " . فَجَمَعْنَا لَهَا مِنْ كِسَرٍ وَتَمْرٍ وَصَرَّ لَهَا صُرَّةً فَقَالَ لَهَا " اذْهَبِي فَأَطْعِمِي هَذَا عِيَالَكِ وَاعْلَمِي أَنَّا لَمْ نَرْزَأْ مِنْ مَائِكِ " . فَلَمَّا أَتَتْ أَهْلَهَا قَالَتْ لَقَدْ لَقِيتُ أَسْحَرَ الْبَشَرِ أَوْ إِنَّهُ لَنَبِيٌّ كَمَا زَعَمَ كَانَ مِنْ أَمْرِهِ ذَيْتَ وَذَيْتَ . فَهَدَى اللَّهُ ذَاكَ الصِّرْمَ بِتِلْكَ الْمَرْأَةِ فَأَسْلَمَتْ وَأَسْلَمُوا .
'Imran b. Husain reported:
I was with the Messenger of Allah (ﷺ) in a journey. We travelled the whole of the night, and when it was about to dawn, we got down for rest, and were overpowered (by sleep) till the sun shone. Abu Bakr was the first to awake amongst us. and we did not awake the Messenger of Allah (ﷺ) from his sleep allowing him to wake up (of his own accord). It was 'Umar who then woke up. He stood by the side of the Messenger of Allah (ﷺ) and recited takbir in a loud voice till the Messenger of Allah (ﷺ) woke up. When he lifted his head, he saw that the sun had arisen; he then said: Proceed on. He travelled along with us till the sun shone brightly. He came down (from his camel) and led us in the morning prayer. A person, however, remained away from the people and did not say, prayer along with us. After having completed the prayer, the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: O, so and so, what prevented you from observing prayer with us? He said: Apostle of Allah! I was not in a state of purity. The Messenger of Allah (ﷺ) ordered him arid lie performed Tayammum with dust and said prayer. He then urged me to go ahead immediately along with other riders to find out water, for we felt very thirsty. We were traveling when we came across a woman who was sitting (on a camel) with her feet hanging over two leathern water bags. We said to her: How far is water available? She, said: Far, very far, very far. You cannot get water. We (again) said: How much distance is there between (the residence of) your family and water? She said: It is a day and night journey. We said to her: You go to the Messenger of Allah (ﷺ). She said: Who is the Messenger of Allah? We somehow or the other managed to bring her to the Messenger of Allah (ﷺ) and he asked about her, and she informed him as she had informed us that she was a widow having orphan children. He ordered that her camel should be made to kneal down and he gargled in the opening (of her leathern water-bag). The camel was then raised up and we forty thirsty men drank water till we were completely satiated, and we filled up all leathern water-bags and water-skins that we had with us and we washed our companions, but we did not make any camel drink, and (the leathern water-bags) were about to burst (on account of excess of water). He then said: Bring whatever you have with you. So we collected the bits (of estable things) and dates and packed them up in a bundle, and said to her: Take it away. This is meant for your children, and know that we have not its any way done any loss to your water. W hen she came to her family she said: I have met the greatest magician amongst human beings, or he is an apostle, as he claims to be, and she then narrated what had happened and Allah guided aright those people through that woman. She affirmed her faith in Islam and so did the people embrace Islam.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫০-(.../...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী (রহঃ) ..... ইমরান ইবনু হুসায়ন (রাযিঃ) থেকে বণিত। তিনি বলেন, কোন এক সফরে আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। আমরা রাতের বেলা পথ চললাম। রাতের শেষভাগে ভোর অল্প কিছু পূর্বে আমরা এমনভাবে পড়লাম (অর্থাৎ- ক্লান্তিতে শরীর এলিয়ে দিলাম) যার চেয়ে অন্য কোন পড়াই কোন মুসাফিরের কাছে অধিক পছন্দনীয় বা সুখকর নয়। একমাত্র সূর্যতাপে আমরা জেগে উঠলাম। ..... এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি হাদীসটি সালাম ইবনু যারীর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ করে বর্ণনা করলেন। এ বর্ণনাতে তিনি হ্রাস-বৃদ্ধিও করলেন।
হাদীসটিতে তিনি উল্লেখ করেছেন- উমর ইবনু খাত্তাব জেগে উঠে যখন লোকদের অবস্থা দেখলেন তখন উচ্চস্বরে তাকবীর বলতে শুরু করলেন। উমার ছিলেন উঁচু কণ্ঠস্বরের লোক। তার গুরুগম্ভীর শব্দে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জেগে উঠলেন। তিনি জেগে উঠলে লোকজন তার কাছে তাদের অবস্থা জানিয়ে অভিযোগ করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ ঘুমে কোন ক্ষতি নেই। তোমরা এখান থেকে যাত্রা করো। এরপর তিনি হাদীসটি বর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৫, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৪)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ الأَعْرَابِيُّ، عَنْ أَبِي رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيِّ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ الْحُصَيْنِ، قَالَ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَسَرَيْنَا لَيْلَةً حَتَّى إِذَا كَانَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ قُبَيْلَ الصُّبْحِ وَقَعْنَا تِلْكَ الْوَقْعَةَ الَّتِي لاَ وَقْعَةَ عِنْدَ الْمُسَافِرِ أَحْلَى مِنْهَا فَمَا أَيْقَظَنَا إِلاَّ حَرُّ الشَّمْسِ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ سَلْمِ بْنِ زَرِيرٍ وَزَادَ وَنَقَصَ . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ وَكَانَ أَجْوَفَ جَلِيدًا فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِشِدَّةِ صَوْتِهِ بِالتَّكْبِيرِ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ ضَيْرَ ارْتَحِلُوا " . وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ .
'Imran b. Husain reported:
We were with the Messenger of Allah (ﷺ) in a journey and we travelled throughout the night till at the end, just before dawn, we lay down (for rest), and nothing is sweeter for a traveller than this and none awakened us but the heat of the sun, and the rest of the hadith is the same (as mentioned above) except this additien:" When 'Umar b. Khattab woke up, he saw what had happened to the people. And he was a man having a big belly and strongly built; he recited takbir in a loud voice till the Messenger of Allah (ﷺ) woke up by the loudness of his voice in takbir. When the Messenger of Allah (ﷺ) got up, the people told him what had happened. Upon this the Messenger of Allah (ﷺ) said: There is no harm; you better proceed further," and (the rest of the hadith) was narrated.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫১-(৩১৩/৬৮৩) ইসহাকু ইবনু ইবরাহীম আল হানযালী (রহঃ) ..... আবূ কাতাদাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফররত অবস্থায় রাতে ঘুম থেকে জাগ্রত হলে তার ডান কাতে শুয়ে থাকতেন। আর ভোরের কাছাকাছি সময়ে জাগ্রত হলে তার বাহু দাঁড় করিয়ে হাতের তালুতে ভর রেখে শুয়ে থাকতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন নেই, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৫)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي سَفَرٍ فَعَرَّسَ بِلَيْلٍ اضْطَجَعَ عَلَى يَمِينِهِ وَإِذَا عَرَّسَ قُبَيْلَ الصُّبْحِ نَصَبَ ذِرَاعَهُ وَوَضَعَ رَأْسَهُ عَلَى كَفِّهِ .
Abu Qatada reported that when the Messenger of Allah (ﷺ) was in a journey he got down for rest at night, and he used to lie down on his right side, and when he lay down for rest before the dawn, he used to stretch his forearm and place his head over his palm.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫২-(৩১৪/৬৮৪) হাদ্দাব ইবনু খালীদ (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ কোন সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে তখনই যেন সে তা আদায় করে নেয়। এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন কাফফারাহ তাকে দিতে হবে না।
হাদীসের বর্ণনাকারী কাতাদাহ্ তার বর্ণনায় "আমার স্মরণের জন্য সালাত আদায় করো"- (সূরাহ ত্ব-হা- ২০ঃ ১৪) এ আয়াতটি উল্লেখ করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৬, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৬)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ " . قَالَ قَتَادَةُ وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي .
Qatada reported from Anas b. Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
He who forgets the prayer should say it when he remembers it, there is no explation for it, except this. Qatada said: (Allah says)" And observe prayer for remembrance of Me"
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫৩-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, সাঈদ ইবনু মানসূর ও কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ আওয়ানাহ, কাতাদাহ ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) এর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে এ বর্ণনাতে “এর কাফফারাহ এ (স্মরণ হলেই আদায় করে নেয়া) ছাড়া আর কিছুই নয়"- কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৭, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৭)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَسَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلَمْ يَذْكُرْ " لاَ كَفَّارَةَ لَهَا إِلاَّ ذَلِكَ " .
This hadith has been narrated by Qatada, but here no mention has been made of" There is no explation for it except this."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫৪-(৩১৫/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, কেউ কোন সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে অথবা ঘুমিয়ে পড়লে তার কাফফারাহ হলো যখনই স্মরণ হবে তখনই তা আদায় করে নিবে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৮, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৮)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ نَسِيَ صَلاَةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَكَفَّارَتُهَا أَنْ يُصَلِّيَهَا إِذَا ذَكَرَهَا " .
Qatada narrated on the authority of Anas b. Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
He who forgets the prayer, or he slept (and it was omitted), its expiation is (only) that he should observe it when he remembers it.
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. যে সালাত আদায় করা সম্ভব হয়নি এবং তা করার (সম্পাদনের) ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব
১৪৫৫-(৩১৬/...) নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ ঘুম থেকে জাগতে না পারার কারণে সালাত আদায় করতে না পারলে অথবা সালাত আদায় করতে ভুলে গেলে যখনই স্মরণ হবে তখনই সালাত আদায় করবে। কেননা, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ "আমার স্মরণের জন্য সালাত আদায় করো"- (সূরাহ ত্ব-হা- ২০ঃ ১৪)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪৩৯, ইসলামীক সেন্টার ১৪৪৯)
باب قَضَاءِ الصَّلاَةِ الْفَائِتَةِ وَاسْتِحْبَابِ تَعْجِيلِ قَضَائِهَا
وَحَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْمُثَنَّى، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِي " .
Qatada reported it on the authority of Anas b. Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
When any one of you omits the prayer due to sleep or he forgets it, he should observe it when he remembers it, for Allah has said:" Observe prayer for remembrance of Me."