পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৬৬-(১৬৬/৬১০) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ, ইবনু রুমূহ (রহঃ) ..... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) একদিন আসরের সালাত আদায় করতে দেরী করলে উরওয়াহ (রহঃ) তাকে বললেনঃ একদিন জিবরীল (আঃ) এসে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইমাম হয়ে সালাত আদায় করলেন। এ কথা শুনে উমর ইবনু আবদুল ’আযীয উরওয়াহকে বললেনঃ উরওয়াহ! তুমি যা বলছ তা ভালমতো চিন্তাভাবনা করে বলো। উরওয়াহ বললেনঃ আমি বাশীর ইবনু আবূ মাসউদকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ আমি আবূ মাসউদকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন যে, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। একদিন জিবরীল (আঃ) এসে আমার ইমামতি করলেন। আমি তার সাথে সালাত আদায় করলাম। তারপর আমি তার সাথে সালাত আদায় করলাম। তারপর পুনরায় আমি তার সাথে সালাত আদায় করলাম। এরপর আমি আবার তার সাথে সালাত আদায় করলাম। তারপর আমি আরো একবার তার সাথে সালাত আদায় করলাম। এভাবে তিনি আঙ্গুল গুণে পাঁচ (ওয়াক্ত) সালাতের কথা বললেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৪, ইসলামীক সেন্টার ১২৬৭)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا ابْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخَّرَ الْعَصْرَ شَيْئًا فَقَالَ لَهُ عُرْوَةُ أَمَا إِنَّ جِبْرِيلَ قَدْ نَزَلَ فَصَلَّى إِمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَقَالَ لَهُ عُمَرُ اعْلَمْ مَا تَقُولُ يَا عُرْوَةُ . فَقَالَ سَمِعْتُ بَشِيرَ بْنَ أَبِي مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " نَزَلَ جِبْرِيلُ فَأَمَّنِي فَصَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ ثُمَّ صَلَّيْتُ مَعَهُ " . يَحْسُبُ بِأَصَابِعِهِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ .
Ibn Shibab reported:
'Umar b. 'Abd al-'Aziz deferred the afternoon prayer somewhat and 'Urwa said to him: Gabriel came down and he led the Messenger of Allah (ﷺ) in prayer. 'Umar said to him: O 'Urwa, are you aware of what you are saying? Upon this he ('Urwa) said: I heard Bashir b. Abu Mas'ud say that he heard Abu Mas'ud say that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: Gabriel came down and acted as my Imam, then I prayed with him, then I prayed with him, then I prayed with him. then I prayed with him. then I prayed with him. reckoning with his fingers five times of prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৬৭-(১৬৭/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী (রহঃ) ... ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ উমার ইবনু আবদুল ’আযীয (রহঃ) একদিন সালাত আদায় করতে (বেশ দেরী করে ফেললেন) তাই উরওয়াহ ইবনু মাসউদ তার কাছে গিয়ে বললেন, কুফায় (গভর্নর) থাকাকালীন একদিন মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রহঃ) (আসরের) সালাত আদায় করতে করতে দেরী করে ফেললেন। আবূ মাসউদ আল আনসারী (রাযিঃ) গিয়ে তাকে বললেন, মুগীরাহ! একি করছ তুমি? তুমি কি জানো না যে, এক সময় জিবরীল (আঃ) এসে সালাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে সালাত আদায় করলেন। তিনি জিবরীল (আঃ) আবার (আরেক ওয়াক্তের) সালাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে আবার সালাত আদায় করলেন।
তিনি জিবরীল (আঃ) পুনরায় (আরেক ওয়াক্তের) সালাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় এ সালাত তার সাথে আদায় করলেন। তিনি জিবরীল (আঃ) আবারও (আরেক ওয়াক্তের) সালাত আদায় করলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত তার সাথে আদায় করলেন। এরপর জিবরীল (আঃ) বললেন, আপনি এভাবে সালাত আদায় করতে আদিষ্ট হয়েছেন। এ কথা শুনে উমার ইবনু আবদুল আযীয উরওয়াহ ইবনু যুবায়রকে বললেনঃ উরওয়াহ! তুমি কি বলছ তা কি চিন্তা করে দেখেছে? জিবরীল (আঃ) নিজে কি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাতের সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন? জবাবে উরওয়াহ বলেন, বাশীর ইবনু আবূ মাসউদ তার পিতা আবূ মাসউদের নিকট থেকে তো এরূপই (সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া) বর্ণনা করতেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৫, ইসলামীক সেন্টার, ১২৬৮)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا فَدَخَلَ عَلَيْهِ عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ فَأَخْبَرَهُ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَخَّرَ الصَّلاَةَ يَوْمًا وَهُوَ بِالْكُوفَةِ فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو مَسْعُودٍ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ مَا هَذَا يَا مُغِيرَةُ أَلَيْسَ قَدْ عَلِمْتَ أَنَّ جِبْرِيلَ نَزَلَ فَصَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَلَّى فَصَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " بِهَذَا أُمِرْتُ " . فَقَالَ عُمَرُ لِعُرْوَةَ انْظُرْ مَا تُحَدِّثُ يَا عُرْوَةُ أَوَإِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ هُوَ أَقَامَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقْتَ الصَّلاَةِ فَقَالَ عُرْوَةُ كَذَلِكَ كَانَ بَشِيرُ بْنُ أَبِي مَسْعُودٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ .
Ibn Shihab reported:
Umar b. 'Abd al-'Aziz one day deferred the prayer. 'Urwa b. Zubair came to him and informed him that one day as Mughira b. Shu'ba was in Kufa (as its governor), he deferred the prayer, Abu Mas'ud al-Ansari came to him and said: What is this, O Mughira? Did you know that it was Gabriel who came and said prayer and (then) the Messenger of Allah (ﷺ) said the prayer (along with him), then (Gabriel) prayed and the Messenger of Allah (ﷺ) also prayed, then (Gabriel) prayed and the Messenger of Allah (ﷺ) also prayed, then (Gabriel) prayed and the Messenger of Allah (ﷺ) prayed (along with him). then Gabriel prayed and the Messenger of Allah (ﷺ) also prayed (along with him) and then said: This is how I have been ordered to do. 'Umar (b. 'Abd al-'Aziz) said. O 'Urwa be mindful of what you are saying that Gabriel (peace be upon him) taught the Messenger of Allah (ﷺ) the times of prayer. Upon this 'Urwa said: This is how Bashir b. Abu Mas'ud narrated on the authority of his father
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৬৮-(১৬৮/৬১১) উরওয়াহ বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যখন সূর্য কিরণ তার কামরার মধ্যে থাকত, তখনো তা দেয়ালের উপর উঠে যেত না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৫, ইসলামীক সেন্টার, ১২৬৮)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
قَالَ عُرْوَةُ وَلَقَدْ حَدَّثَتْنِي عَائِشَةُ، زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا قَبْلَ أَنْ تَظْهَرَ .
'Urwah (also) said:
'A'isha?, the wife of the Apostle (ﷺ) narrated it to me that the Messenger of Allah (ﷺ) used to say the afternoon prayer, when the light of the sun was there in her apartment before it went out (of it).
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৬৯-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন সময় আসরের সালাত আদায় করতেন যে, তখনো সূর্য কিরণ আমাদের কামরার মধ্যে ঝলমল করত। বেশ কিছুক্ষণ পরও কামরার মধ্যে ছায়া পড়ত না। আবূ বকর বলেছেনঃ এরপরও বেশ কিছুক্ষণ উপরে উঠত না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৬, ইসলামীক সেন্টার ১২৬৯)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَمْرٌو النَّاقِدُ، قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ طَالِعَةٌ فِي حُجْرَتِي لَمْ يَفِئِ الْفَىْءُ بَعْدُ . وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ بَعْدُ .
A'isha reported:
The Apostle of Allah (ﷺ) said the afternoon" prayer as the sun shone in my apartment, and the afternoon shadow did not extend further. Abu Bakr said: The afternoon shadow did not appear to extend further.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭০-(১৬৯/...) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) .... রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সময় আসরের সালাত আদায় করতেন তখনো সূর্যের কিরণ তার কামরার মধ্যে থাকত এবং তা কামরার মধ্যে থেকে উপরের দিকে (দেয়ালে) উঠে যেত না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৭, ইসলামীক সেন্টার ১২৭০)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ فِي حُجْرَتِهَا لَمْ يَظْهَرِ الْفَىْءُ فِي حُجْرَتِهَا .
'A'isha, the wife of the Apostle (ﷺ), said that the Messenger of Allah (ﷺ) said the afternoon prayer (at the time) when the sun shone in her apartment and its shadow did not extend beyond her apartment.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭১-(১৭০/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সময় আসরের সালাত আদায় করতেন সূর্যের কিরণ তখনো আমার কামরার মধ্যেই থাকত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৮, ইসলামীক সেন্টার ১২৭১)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ وَاقِعَةٌ فِي حُجْرَتِي .
A'isha reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said the afternoon prayer (at a time) when the (light) of the sun was there in my apartment.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭২-(১৭১/৬১২) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যখন ফজরের সালাত আদায় করবে তখন জেনে রেখে ফজরের সালাতের সময় হলো সূর্যের প্রান্তভাগ বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত। তোমরা যখন ঘুহরের সালাত আদায় করবে তখন জেনে রেখো যে, এর সময় হলো- আসরের ওয়াক্ত শুরু না হওয়া পর্যন্ত। তোমরা যখন আসরের সালাত আদায় করবে তখন জেনে রেখো আসরের সালাতের সময় হলো সূর্য বিবর্ণ হয়ে হলুদ (সোনালী বা তাম্রবর্ণও বলা যেতে পারে) বর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত।* তোমরা যখন মাগরিবের সালাত আদায় করবে তখন জেনে রেখো যে, মাগরিবের সালাতের সময় থেকে পশ্চিম দিগন্তের রক্তিম আভা বা লালিমা অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত। আর তোমরা যখন ইশার সালাত আদায় করবে তখন জেনে রেখ ইশার সালাতের সময় থাকে অর্ধেক রাত পর্যন্ত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৫৯, ইসলামীক সেন্টার ১২৭২)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا صَلَّيْتُمُ الْفَجْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَطْلُعَ قَرْنُ الشَّمْسِ الأَوَّلُ ثُمَّ إِذَا صَلَّيْتُمُ الظُّهْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَحْضُرَ الْعَصْرُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْعَصْرَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْمَغْرِبَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى أَنْ يَسْقُطَ الشَّفَقُ فَإِذَا صَلَّيْتُمُ الْعِشَاءَ فَإِنَّهُ وَقْتٌ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ " .
It was narrated from 'Abdullah bin 'Amr that the Prophet (ﷺ) said:
"When you pray Fajr, its time is until the first part of the sun appears. When you pray Zuhr, its time is until 'Asr comes. When you pray 'Asr, its time is until the sun turns yellow. When you pray Maghrib, its time is until the twilight has disappeared. When you pray 'Isha, its time is until half of the night has passed."
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৩-(১৭২/...) উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয আল আম্বারী (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আসরের সালাতের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত যুহরের সালাতের ওয়াক্ত থাকে। আর সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালী বা তাম্রবর্ণ ধারণ করা পর্যন্ত আসরের সালাতের ওয়াক্ত থাকে। সন্ধ্যাকালীন গোধূলি বা পশ্চিম দিগন্তের রক্তিম আভা অন্তৰ্হিত না হওয়া পর্যন্ত মাগরিবের সালাতের ওয়াক্ত থাকে। ইশার সালাতের সময় থাকে অর্ধ-রাত্রি পর্যন্ত। আর ফজরের সালাতের সময় থাকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬০, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৩)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، - وَاسْمُهُ يَحْيَى بْنُ مَالِكٍ الأَزْدِيُّ وَيُقَالُ الْمَرَاغِيُّ وَالْمَرَاغُ حَىٌّ مِنَ الأَزْدِ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَقْتُ الظُّهْرِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَسْقُطْ ثَوْرُ الشَّفَقِ وَوَقْتُ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ وَوَقْتُ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ " .
Abdullah b. 'Amr reported the Apostle (ﷺ) saying:
The time of the noon prayer (lasts) as long as it is not afternoon, and the time of the afternoon prayer (lasts) as long as the sun does not turn pale and the time of the evening prayer (lasts) as long as the spreading appearance of the redness above the horizon after sunset does not sink down, and the, time of the night prayer (lasts) by midnight and the time of the morning prayer (lasts) as long as the sun dots not rise.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৪-(.../...) যুহায়র ইবনু হারব ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ... আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ও ইয়াহইয়া ইবনু আবূ বুকায়র (রহঃ) উভয়ই শুবাহ (রহঃ)-এর মাধ্যমে একই সানাদে হাদীসটি শু’বাহ মারফু হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে একের অধিকবার মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬১, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৪)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ . وَفِي حَدِيثِهِمَا قَالَ شُعْبَةُ رَفَعَهُ مَرَّةً وَلَمْ يَرْفَعْهُ مَرَّتَيْنِ .
Abu Bakr b Abu Shaiban and Yahya b Abu Bukair both of them narrated this hadith with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৫-(১৭৩/...) আহমাদ ইবনু ইবরাহীম আদ দাওরাকী (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যুহরের সালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় যখন সূর্য (মাথার উপর থেকে পশ্চিম দিকে) হেলে পড়ে এবং মানুষের ছায়া তার দৈর্ঘ্যের সমান হয়। আর আসরের সালাতের সময় না হওয়া পর্যন্ত তা থাকে। আসরের সালাতের সময় থাকে সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালী বা তাম্রবর্ণ ধারণ না করা পর্যন্ত। মাগরিবের সালাতের সময় থাকে সূর্যাস্তের পর সন্ধ্যা গোধূলি বা পশ্চিম দিগন্তে উদ্ভাসিত লালিমা অন্তর্হিত না হওয়া পর্যন্ত। ইশার সালাতের সময় থাকে অর্ধরাত্রি অর্থাৎ- মধ্যরাত পর্যন্ত। আর ফজরের সালাতের সময় শুরু হয় ফাজর বা উষার উদয় থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত। অতএব সূর্যোদয়ের সময় সালাত আদায় করা বন্ধ রাখবে। কারণ সূর্য শায়তনের দু শিংয়ের মধ্যখানে উদিত হয়*। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬২, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৫)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " وَقْتُ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ وَكَانَ ظِلُّ الرَّجُلِ كَطُولِهِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ مَا لَمْ يَغِبِ الشَّفَقُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ الأَوْسَطِ وَوَقْتُ صَلاَةِ الصُّبْحِ مِنْ طُلُوعِ الْفَجْرِ مَا لَمْ تَطْلُعِ الشَّمْسُ فَإِذَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَأَمْسِكْ عَنِ الصَّلاَةِ فَإِنَّهَا تَطْلُعُ بَيْنَ قَرْنَىْ شَيْطَانٍ " .
'Abdullah b. 'Amr reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: The time of the noon prayer is when the sun passes the meridian and a man's shadow is the same (length) as his height, (and it lasts) as long as the time for the afternoon prayer has not come; the time for the afternoon prayer is as long as the sun has not become pale; the time of the evening prayer is as long as the twilight has not ended; the time of the night prayer is up to the middle of the average night and the time of the morning prayer is from the appearance of dawn, as long as the sun has not risen; but when the sun rises, refrain from prayer for it rises between the horns of the devil.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৬-(১৭৪/...) আহমাদ ইবনু ইউসুফ আল আয্দী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি বললেনঃ সূর্যের উপর দিকের প্রান্তভাগ দেখা না যাওয়া পর্যন্ত ফাজর সালাতের সময় থাকে। যুহরের সালাতের সময় থাকে আকাশের মধ্যভাগ থেকে সূর্য গড়িয়ে আসরের সময় না হওয়া পর্যন্ত। আসরের সালাতের সময় থাকে সূর্য বিবর্ণ হয়ে সোনালী বা তাম্রবর্ণ ধারণ করার পর উপরের প্রান্তভাগ অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত। মাগরিবের সালাতের সময় থাকে সূর্যাস্ত থেকে সান্ধ্যকালীন গোধূলি বা পশ্চিম দিগন্তের লালিমা অদৃশ্য না হওয়া পর্যন্ত। আর ইশার সালাতের সময় থাকে অর্ধ-রাত্রি পর্যন্ত। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৩, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৬)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْدِيُّ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَزِينٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، - يَعْنِي ابْنَ طَهْمَانَ - عَنِ الْحَجَّاجِ، - وَهُوَ ابْنُ حَجَّاجٍ - عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ وَقْتِ الصَّلَوَاتِ فَقَالَ " وَقْتُ صَلاَةِ الْفَجْرِ مَا لَمْ يَطْلُعْ قَرْنُ الشَّمْسِ الأَوَّلُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الظُّهْرِ إِذَا زَالَتِ الشَّمْسُ عَنْ بَطْنِ السَّمَاءِ مَا لَمْ يَحْضُرِ الْعَصْرُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعَصْرِ مَا لَمْ تَصْفَرَّ الشَّمْسُ وَيَسْقُطْ قَرْنُهَا الأَوَّلُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْمَغْرِبِ إِذَا غَابَتِ الشَّمْسُ مَا لَمْ يَسْقُطِ الشَّفَقُ وَوَقْتُ صَلاَةِ الْعِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ " .
'Abdullah b. 'Amr b. al-'As reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) was asked about the times of prayers. He said: The time for the morning prayer (lasts) as long as the first visible part of the rising sun does not appear and the time of the noon prayer is when the sun declines from the zenith and there is not a time for the afternoon prayer and the time for the afternoon prayer is so long as the sun does not become pale and its first visible part does not set, and the time for the evening prayer is that when the sun disappears and (it lasts) till the twilight is no more and the time for the night prayer is up to the midnight.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৭-(১৭৫/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামিমী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে, দৈহিক আরাম উপভোগের সাথে জ্ঞানার্জন কখনও সম্ভব নয়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৪, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৭)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، لاَ يُسْتَطَاعُ الْعِلْمُ بِرَاحَةِ الْجِسْمِ .
'Abdullah narrated it on the authority of his father Yahya:
Knowledge cannot be acquired with sloth.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৮-(১৭৬/৬১৩) যুহায়র ইবনু হারব ও উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... বুরায়দাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি আমাদের সাথে দু’দিন সালাত আদায় কর (লোকটি তাই করল)। সূর্য যখন মাথার উপর থেকে হেলে পড়ল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলালকে আযান দিতে আদেশ করলেন। বিলাল আযান দিলেন। অতঃপর তিনি তাকে ইকামাত দিতে বললে তিনি যুহরের সালাতের ইকামাত দিলাম (অর্থাৎ- তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করলেন)। এরপর (আসরের সময় হলে) তিনি তাকে আসরের সালাতের ইকামাত দিতে বললেন। বিলাল ইকামাত দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন আসরের সালাত আদায় করলেন। সূর্য তখনও বেশ উপরে ছিল এবং পরিষ্কার ও আলো ঝলমল দেখাচ্ছিল। তারপর আদেশ দিলে বিলাল মাগরিবের আযান দিলেন এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাত আদায় করলেন তখন সূর্য ডুবে গেছে।
এরপর তিনি বিলালকে ইশার সালাতের ইকামাত দিতে বললেন বিলাল ইকামাত দিলেন এবং সূর্যাস্তের পর পশ্চিম দিগন্তে যে সান্ধ্যকালীন লালিমা বা রক্তিম আভা দেখা যায় তা অন্তৰ্হিত হওয়ার পরপরই ইশার সালাত আদায় করলেন। পরে বিলালকে তিনি ফজরের সালাতের ইকামাত দিতে বললেন এবং উষার অভ্যুদয়ের সাথে সাথেই ফজরের সালাত আদায় করলেন। দ্বিতীয় দিনে তিনি বিলালকে আদেশ করলেন এবং বেশ দেরী করে যুহরের সালাত আদায় করলেন। (দ্বিতীয় দিনে) তিনি এমন সময় আসরের সালাত আদায় করলেন সূর্য তখনও বেশ উপরে ছিল। তবে আগের দিনের তুলনায় বেশ দেরী করে পড়লেন। তিনি সান্ধ্যকালীন গোধূলি বা লালিমা অন্তৰ্হিত হওয়ার পূর্বক্ষণে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন।
আর রাতের এক তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হওয়ার পর ইশার সালাত আদায় করলেন এবং সর্বশেষ বেশ ফর্সা হয়ে গেলে ফজরের সালাত আদায় করলেন। এরপর জিজ্ঞেস করলেনঃ সালাতের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞেসকারী ব্যক্তি কোথায়? লোকটি তখন বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি উপস্থিত আছি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে বললেনঃ দুদিন যে দু’টি সময়ে আমি সালাত আদায় করলাম এরই মধ্যবর্তী সময়টুকু হলো সালাতের ওয়াক্তসমূহ। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৫, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৮)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ الأَزْرَقِ، - قَالَ زُهَيْرٌ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَجُلاً سَأَلَهُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ لَهُ " صَلِّ مَعَنَا هَذَيْنِ " . يَعْنِي الْيَوْمَيْنِ فَلَمَّا زَالَتِ الشَّمْسُ أَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ حِينَ غَابَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ فَلَمَّا أَنْ كَانَ الْيَوْمُ الثَّانِي أَمَرَهُ فَأَبْرَدَ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ بِهَا فَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ بِهَا وَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ أَخَّرَهَا فَوْقَ الَّذِي كَانَ وَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ وَصَلَّى الْعِشَاءَ بَعْدَ مَا ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ وَصَلَّى الْفَجْرَ فَأَسْفَرَ بِهَا ثُمَّ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ وَقْتِ الصَّلاَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " وَقْتُ صَلاَتِكُمْ بَيْنَ مَا رَأَيْتُمْ " .
Sulaiman b. Buraida narrated it on the authority of his father that a person asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the time of prayer. Upon this he said:
Pray with us these two, meaning two days. When the sun passed the meridian, he gave command to Bilal who uttered the call to prayer. Then he commanded him and pronounced Iqama for noon prayer (Then at the time of the afternoon prayer) he again commanded and Iqama for the afternoon prayer was pronounced when the sun was high, white and clear. He then commanded and Iqama for the evening prayer was pronounced, when the sun had set. He then commanded him and the Iqama for the night prayer was pronounced when the twilight had disappeared. He then commanded him and the Iqama for the morning prayer was pronounced, when the dawn had appeared. When it was the next day, he commanded him to delay the noon prayer till the extreme heat had passed and he did so, and he allowed it to be delayed till the extreme heat had passed. He observed the afternoon prayer when the sun was high, delaying it beyond the time he had previously observed it. He observed the evening prayer before the twilight had vanished; he observed the night prayer when a third of the night had passed; and he observed the dawn prayer when there was clear daylight. He (the Holy Prophet) then said: Where is the man who inquired about the time of prayer? He (the inquirer) said: Messenger of Allah, here I am. He (the Holy Prophet) said: The time for your prayer is within the limits of what you have seen.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৭৯-(১৭৭/...) ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আর’আরাহ আস সামী (রহঃ) ..... বুরায়দাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে সালাতের সময় সম্পর্কে এসে জিজ্ঞেস করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি আমাদের সাথে সালাত আদায় করো (জানতে পারবে)।
অতঃপর ফজরের সালাতের জন্য বিলালকে আযান দিতে আদেশ করলে তিনি (বিলাল) বেশ কিছু অন্ধকার থাকতে আযান দিলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উষার আলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে ফজরের সালাত আদায় করলেন। পরে সূর্য আকাশের মধ্যভাগ থেকে হেলে পড়লে তিনি বিলালকে যুহরের সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং যুহরের সালাত আদায় করলেন)। অতঃপর সূর্য কিছু উপরে থাকতেই তিনি বিলালকে আসরের সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং আসরের সালাত আদায় করলেন)। তারপর সান্ধ্যকালীন গোধূলি (বা সূর্যাস্তের পর পশ্চিম দিগন্তে দৃশ্যমান রক্তিম আভা) অন্তৰ্হিত হওয়ার সাথে সাথে বিলালকে ইশার আযান দিতে বললেন (এবং ইশার সালাত আদায় করলেন)।
পরদিন প্রত্যুষে বেশ ফর্সা হয়ে গেলে তিনি বিলালকে ফজরের সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন)। তারপর যুহরের সালাতের আযান দিতে বললেন এবং বেশ দেরী করে (সূর্যের উত্তাপ কমলে) যুহরের সালাত আদায় করলেন। এরপর সূর্য তাম্রবর্ণ ধারণ করার পূর্বেই এর আলো পরিষ্কার এবং ঝলমলে থাকতেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আসরের সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং আসরের সালাত আদায় করলেন) এরপর সন্ধ্যা-গোধূলি অদৃশ্য হওয়ার পূর্বক্ষণে মাগরিবের সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং মাগরিবের সালাত আদায় করলেন)। অতঃপর রাতের এক তৃতীয়াংশ অথবা কিছু অংশ (বর্ণনাকার হারামী ইবনু উমারাহ সন্দেহ করেছেন) অতিবাহিত হওয়ার পর ইশার সালাতের আযান দিতে বললেন (এবং ইশার সালাত আদায় করলেন)।
পরদিন সকালে তিনি জিজ্ঞেস করলেন (সালাতের সময় সম্পর্কে) প্রশ্নকারী কোথায়? (দু’দিন সালাত আদায়ের) সময়ের মধ্যে তুমি যে ব্যবধান দেখলে তার মাঝখানেই হলো সালাতের সময়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন, ১২৬৬, ইসলামীক সেন্টার ১২৭৯)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
وَحَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَرْعَرَةَ السَّامِيُّ، حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ " اشْهَدْ مَعَنَا الصَّلاَةَ " . فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَذَّنَ بِغَلَسٍ فَصَلَّى الصُّبْحَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ عَنْ بَطْنِ السَّمَاءِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَجَبَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ حِينَ وَقَعَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ الْغَدَ فَنَوَّرَ بِالصُّبْحِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ لَمْ تُخَالِطْهَا صُفْرَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ قَبْلَ أَنْ يَقَعَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ عِنْدَ ذَهَابِ ثُلُثِ اللَّيْلِ أَوْ بَعْضِهِ - شَكَّ حَرَمِيٌّ - فَلَمَّا أَصْبَحَ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ مَا بَيْنَ مَا رَأَيْتَ وَقْتٌ " .
Buraida narrated on the authority of his father that a man came to the Prophet (ﷺ) and asked about the times of prayer. He said:
You observe with us the prayer. He commanded Bilal, and he uttered the call to prayer in the darkness of night preceding daybreak and he said the morning prayer till dawn had appeared. He then commanded him (Bilal) to call for the noon prayer when the sun had declined from the zenith. He then commanded him (Bilal) to call for the afternoon prayer when the sun was high. He then commanded him for the evening prayer when the sun had set. He then commanded him for the night prayer when the twilight had disappeared. Then on the next day he commanded him (to call for prayer) when there was light in the morning. He then commanded him (to call) for the noon prayer when the extreme heat was no more. He then commanded him for the afternoon prayer when the sun was bright and clear and yellowness did not blend with it. He then commanded him to observe the sunset prayer. He then commanded him for the night prayer when a third part of the night bad passed or a bit less than that. Harami (the narrator of this hadith) was in doubt about that part of the mentioned hadith which concerned the portion of the night. When it was dawn, he (the Holy Prophet) said: Where is the inquirer (who inquired about the times of prayer and added): Between (these two extremes) is the time for prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৮০-(১৭৮/৬১৪) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে সালাতের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জবাব দিলেন না তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাজের মাধ্যমে তাকে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। বর্ণনাকার সাহাবী আবূ মূসা বলেন, উষার আগমনের সাথে সাথেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করলেন। তখনও অন্ধকার এতটা ছিল যে লোকজন একে অপরকে দেখে চিনতে পারছিল না। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আযান দিতে আদেশ করলেন এবং লোকজন বলাবলি করছিল যে, দুপুর হয়েছে। অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ বিষয়ে তাদের চেয়ে বেশী অবহিত। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসরের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় আসরের সালাত আদায় করলেন যখন সূর্য আকাশের বেশ উপরের দিকে ছিল। অতঃপর তিনি মাগরিবের সালাতের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় সালাত আদায় করলেন যখন সবেমাত্র সূর্যাস্ত হয়েছে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইশার সালাতের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় ইশার সালাত আদায় করলেন যখন সান্ধ্যকালীন দিগন্ত লালিমা সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে।
এর পরদিন সকালে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের সালাত দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, যখন সালাত শেষ করলেন তখন লোকজন বলাবলি করছিল- সূর্যোদয় ঘটেছে বা সূর্যোদয়ের উপক্রম হয়েছে। এরপর যুহরের সালাত এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, গত দিনের আসরের সালাত যে সময় আদায় করেছিলেন প্রায় সে সময় এসে গেল। অতঃপর আসরের সালাতটাও এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, সালাত শেষ করলে লোকজন বলাবলি করতে লাগল- সূর্য রক্তিন বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর মাগরিবের সালাতও দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করলেন যে সান্ধ্যকালীন দিগন্ত লালিমা তখন অন্তর্নিহিত হয়ে যাচ্ছিল। এরপর ইশার সালাতও দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হয়ে গেল এবং অতিক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হলো।
অতঃপর সকাল বেলা প্রশ্নকারীকে ডেকে বললেনঃ এ দু’টি সময়ের মধ্যবর্তী সময়টুকুই সালাতসমূহের সময় (অর্থাৎ- দু’ দিনে আমি একই সময়ে সালাত আদায় না করে একই সালাতের সময়ের মধ্যে কিছু তারতম্য করে আদায় করলাম। এ উভয় সময়ের মধ্যকার সময়টুকুই প্রত্যেক ওয়াক্তের প্রকৃত সময়)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৭, ইসলামীক সেন্টার ১২৮০)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَتَاهُ سَائِلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ وَالنَّاسُ لاَ يَكَادُ يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ انْتَصَفَ النَّهَارُ وَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ كَادَتْ ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ حَتَّى كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الأَوَّلُ ثُمَّ أَصْبَحَ فَدَعَا السَّائِلَ فَقَالَ " الْوَقْتُ بَيْنَ هَذَيْنِ " .
Abu Musa narrated on the authority of his father that a person came to the Messenger of Allah (ﷺ) for inquiring about the times of prayers. He (the Holy Prophet) gave him no reply (because he wanted to explain to him the times by practically observing these prayers). He then said the morning player when it was daybreak, but the people could hardly recognise one another. He then commanded and the Iqama for the noon prayer was pronounced when the tan had passed the meridian and one would say that it was midday but he (the Holy Prophet) knew batter than them. He then again commanded and the Iqama for the afternoon prayer was pronounced when the sun was high. He then commanded and Iqama for the evening prayer was pronounced when the sun had sunk. He then commanded and Iqama for the night prayer was pronounced when the twilight had disappeared. He then delayed the morning prayer on the next day (so much so) that after returning from it one would say that the sun had risen or it was about to rise. He then delayed the noon prayer till it was near the time of afternoon prayer (as it was observed yesterday). He then delayed the afternoon prayer till one after returning from it would say that the sun had become red. He then delayed the evening prayer till the twilight was about to disappear. He then delayed the night prayer till it was one-third of the night. He then called the inquirer in the morning and said:
The time for prayers is between these two (extremes).
পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৮১-(১৭৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ... আবূ মূসা আল আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাকে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল পরবর্তী অংশ উপরোক্ত হাদীসের মতো। তবে এ হাদীসের বর্ণনাকারী বলেছেন যে, দ্বিতীয় দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সান্ধ্যকালীন দিগন্ত লালিমা অন্তৰ্হিত হওয়ার পূর্বে মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৮, ইসলামীক সেন্টার ১২৮১)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ بَدْرِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَبِي مُوسَى، سَمِعَهُ مِنْهُ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ سَائِلاً، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ . بِمِثْلِ حَدِيثِ ابْنِ نُمَيْرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ قَبْلَ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي .
Abu Musa reported on the authority of his father that an Inquirer came to the Prophet (ﷺ) and asked him about the times of prayers, and the rest of the hadith is the same (as narrated above) but for these words:
" On the second day he (the Holy Prophet) observed the evening prayer before the disappearance of the twilight."