পরিচ্ছেদঃ ৩১. পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাতের সময়
১২৮০-(১৭৮/৬১৪) মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ..... আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে সালাতের সময় সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে জবাব দিলেন না তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাজের মাধ্যমে তাকে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। বর্ণনাকার সাহাবী আবূ মূসা বলেন, উষার আগমনের সাথে সাথেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায় করলেন। তখনও অন্ধকার এতটা ছিল যে লোকজন একে অপরকে দেখে চিনতে পারছিল না। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আযান দিতে আদেশ করলেন এবং লোকজন বলাবলি করছিল যে, দুপুর হয়েছে। অথচ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ বিষয়ে তাদের চেয়ে বেশী অবহিত। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আসরের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় আসরের সালাত আদায় করলেন যখন সূর্য আকাশের বেশ উপরের দিকে ছিল। অতঃপর তিনি মাগরিবের সালাতের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় সালাত আদায় করলেন যখন সবেমাত্র সূর্যাস্ত হয়েছে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইশার সালাতের আযান দিতে আদেশ করলেন এবং এমন সময় ইশার সালাত আদায় করলেন যখন সান্ধ্যকালীন দিগন্ত লালিমা সবেমাত্র অস্তমিত হয়েছে।
এর পরদিন সকালে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফজরের সালাত দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, যখন সালাত শেষ করলেন তখন লোকজন বলাবলি করছিল- সূর্যোদয় ঘটেছে বা সূর্যোদয়ের উপক্রম হয়েছে। এরপর যুহরের সালাত এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, গত দিনের আসরের সালাত যে সময় আদায় করেছিলেন প্রায় সে সময় এসে গেল। অতঃপর আসরের সালাতটাও এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে, সালাত শেষ করলে লোকজন বলাবলি করতে লাগল- সূর্য রক্তিন বর্ণ ধারণ করেছে। তারপর মাগরিবের সালাতও দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করলেন যে সান্ধ্যকালীন দিগন্ত লালিমা তখন অন্তর্নিহিত হয়ে যাচ্ছিল। এরপর ইশার সালাতও দেরী করে আদায় করলেন। এতটা দেরী করে আদায় করলেন যে রাতের প্রথম তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হয়ে গেল এবং অতিক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হলো।
অতঃপর সকাল বেলা প্রশ্নকারীকে ডেকে বললেনঃ এ দু’টি সময়ের মধ্যবর্তী সময়টুকুই সালাতসমূহের সময় (অর্থাৎ- দু’ দিনে আমি একই সময়ে সালাত আদায় না করে একই সালাতের সময়ের মধ্যে কিছু তারতম্য করে আদায় করলাম। এ উভয় সময়ের মধ্যকার সময়টুকুই প্রত্যেক ওয়াক্তের প্রকৃত সময়)। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১২৬৭, ইসলামীক সেন্টার ১২৮০)
باب أَوْقَاتِ الصَّلَوَاتِ الْخَمْسِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا بَدْرُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَتَاهُ سَائِلٌ يَسْأَلُهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَقَامَ الْفَجْرَ حِينَ انْشَقَّ الْفَجْرُ وَالنَّاسُ لاَ يَكَادُ يَعْرِفُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالظُّهْرِ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ انْتَصَفَ النَّهَارُ وَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ مِنْهُمْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْعَصْرِ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَخَّرَ الْفَجْرَ مِنَ الْغَدِ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدْ طَلَعَتِ الشَّمْسُ أَوْ كَادَتْ ثُمَّ أَخَّرَ الظُّهْرَ حَتَّى كَانَ قَرِيبًا مِنْ وَقْتِ الْعَصْرِ بِالأَمْسِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعَصْرَ حَتَّى انْصَرَفَ مِنْهَا وَالْقَائِلُ يَقُولُ قَدِ احْمَرَّتِ الشَّمْسُ ثُمَّ أَخَّرَ الْمَغْرِبَ حَتَّى كَانَ عِنْدَ سُقُوطِ الشَّفَقِ ثُمَّ أَخَّرَ الْعِشَاءَ حَتَّى كَانَ ثُلُثُ اللَّيْلِ الأَوَّلُ ثُمَّ أَصْبَحَ فَدَعَا السَّائِلَ فَقَالَ " الْوَقْتُ بَيْنَ هَذَيْنِ " .
Abu Musa narrated on the authority of his father that a person came to the Messenger of Allah (ﷺ) for inquiring about the times of prayers. He (the Holy Prophet) gave him no reply (because he wanted to explain to him the times by practically observing these prayers). He then said the morning player when it was daybreak, but the people could hardly recognise one another. He then commanded and the Iqama for the noon prayer was pronounced when the tan had passed the meridian and one would say that it was midday but he (the Holy Prophet) knew batter than them. He then again commanded and the Iqama for the afternoon prayer was pronounced when the sun was high. He then commanded and Iqama for the evening prayer was pronounced when the sun had sunk. He then commanded and Iqama for the night prayer was pronounced when the twilight had disappeared. He then delayed the morning prayer on the next day (so much so) that after returning from it one would say that the sun had risen or it was about to rise. He then delayed the noon prayer till it was near the time of afternoon prayer (as it was observed yesterday). He then delayed the afternoon prayer till one after returning from it would say that the sun had become red. He then delayed the evening prayer till the twilight was about to disappear. He then delayed the night prayer till it was one-third of the night. He then called the inquirer in the morning and said:
The time for prayers is between these two (extremes).