পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৩৫-(৬৮/৫৬১) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধের সময় বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব গাছের কোন একটি খায় অর্থাৎ- রসুন বা অনুরূপ স্বাদ ও গন্ধের কোন কিছু খায়* সে যেন মসজিদে না আসে।
যুহায়র তার বর্ণনাতে "কোন একটি যুদ্ধের কথা উল্লেখ" করেছেন। তিনি খায়বার যুদ্ধের নাম উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১২৮, ইসলামীক সেন্টার, ১১৩৭)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، - وَهُوَ الْقَطَّانُ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ - يَعْنِي الثُّومَ - فَلاَ يَأْتِيَنَّ الْمَسَاجِدَ " . قَالَ زُهَيْرٌ فِي غَزْوَةٍ . وَلَمْ يَذْكُرْ خَيْبَرَ .
Ibn 'Umar reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said during the battle of Khaybar: He who ate of this plant, i. e. garlic, should not come to the mosques. In the narration of Zubair, there is only a mention of" battle" and not of Khaybar.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৩৬-(৬৯/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (শব্দগুলো তার) (রহঃ) ..... ’আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ এসব সবজি অর্থাৎ রসুন ইত্যাদি খেলে (মুখ থেকে) তার গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন আমার মসজিদের কাছে না আসে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১২৯, ইসলামীক সেন্টার ১১৩৮)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسَاجِدَنَا حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا " . يَعْنِي الثُّومَ .
Ibn 'Umar reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: He who eats of this (offensive) plant must not approach our mosque, till its odor dies: (plant signifies) garlic.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৩৭-(৭০/৫৬২) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... ’আবদুল আযীয ইবনু সুহায়ব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুন খাওয়া সম্পর্কে আনাস (ইবনু মালিক) (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সে বা যারা এসব সবজি (দুর্গন্ধ জাতীয় গাছ) খায় সে বা তারা যেন আমাদের কাছে না আসে* এবং আমাদের সাথে সালাত আদায় না করে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩০, ইসলামীক সেন্টার ১১৩৯)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ عُلَيَّةَ - عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ، - وَهُوَ ابْنُ صُهَيْبٍ - قَالَ سُئِلَ أَنَسٌ عَنِ الثُّومِ، فَقَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّا وَلاَ يُصَلِّي مَعَنَا " .
Ibn Suhaib reported:
Anas was asked about the garlic; he stated that the Messenger of Allah (ﷺ) had said: He who eats of this plant (garlic) should not approach us and pray along with us.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৩৮-(৭১/৫৬৩) মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ ও ’আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব গাছ অর্থাৎ- উদ্ভিদ খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটেও না আসে এবং রসুনের গন্ধ দ্বারা আমাদেরকে কষ্ট না দেয়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩১, ইসলামীক সেন্টার ১১৪০)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ عَبْدٌ أَخْبَرَنَا وَقَالَ ابْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا وَلاَ يُؤْذِيَنَّا بِرِيحِ الثُّومِ " .
Abu Huraira reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: He who eats of this plant (garlic) should not approach our mosque and should not harm us with the odour of garlic.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৩৯-(৭২/৫৬৪) আবূ বকর ইবনু শায়বাহ (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিয়াজ ও গোরসুন* খেতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু কোন এক সময় প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে তা খেলে তিনি বললেনঃ কেউ এসব দুর্গন্ধযুক্ত গাছ (উদ্ভিদ) খেলে সে যেন আমার মসজিদের নিকটে না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিসে কষ্ট পায় মালাকগণও (ফেরেশতামণ্ডলী) সেসব জিনিসে কষ্ট পায়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩২, ইসলামীক সেন্টার ১১৪১)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ هِشَامٍ، عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَكْلِ الْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ . فَغَلَبَتْنَا الْحَاجَةُ فَأَكَلْنَا مِنْهَا فَقَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْمُنْتِنَةِ فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ الإِنْسُ " .
Jabir reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) forbade eating of onions and leek. When we were overpowered by a desire (to eat) we ate them. Upon this he (the Holy Prophet) said: He who eats of this offensive plant must not approach our mosque, for the angels are harmed by the same things as men.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪০-(৭৩/...) আবুত তহির ও হারমালাহ্ (রহঃ) ...... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। আবুত তাহির এর বর্ণনায়أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ এবং হারমালা এর বর্ণনায় أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ زَعَمَ উল্লেখিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন ও পিয়াজ খায় তার উচিত আমাদের থেকে দূরে থাকা অথবা আমাদের মসজিদ থেকে সরে থাকা কিংবা বাড়ীতে বসে থাকা। কোন এক সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে শাক-সবজি ভর্তি একটি ডেকচি আনা হলে তিনি তাতে খাবার গন্ধ দেখে তাতে কি আছে জানার জন্য জিজ্ঞেস করলেন। তাতে কি ধরনের সবজি আছে তাকে তা জানানো হলে তিনি তখন তার কোন সাহাবীর কাছে তা নিয়ে যেতে বললেন। এ কথা জেনে সাহাবীও তা খাওয়া পছন্দ করলেন না। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন তুমি খেতে পার। কারণ আমি যার (মালায়িকাহ) সাথে কথা বলি তোমাকে তো তার সাথে কথা বলতে হয় না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৩, ইসলামীক সেন্টার ১১৪২)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ - وَفِي رِوَايَةِ حَرْمَلَةَ وَزَعَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا وَلْيَقْعُدْ فِي بَيْتِهِ " . وَأَنَّهُ أُتِيَ بِقِدْرٍ فِيهِ خَضِرَاتٌ مِنْ بُقُولٍ فَوَجَدَ لَهَا رِيحًا فَسَأَلَ فَأُخْبِرَ بِمَا فِيهَا مِنَ الْبُقُولِ فَقَالَ " قَرِّبُوهَا " . إِلَى بَعْضِ أَصْحَابِهِ فَلَمَّا رَآهُ كَرِهَ أَكْلَهَا قَالَ " كُلْ فَإِنِّي أُنَاجِي مَنْ لاَ تُنَاجِي " .
Jabir reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: He who eats garlic or onion should remain away from us or from our mosque and stay in his house. A kettle was brought to him which had (cooked) vegetables in it, He smelt (offensive) odour in it. On asking he was informed of the vegetables (cooked in it). He said: Take it to such and such Companion. When he saw it, he also disliked eating it. (Upon this). he (the Holy Prophet) said: You may eat it, for I converse wkh one with whom you do not converse.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪১-(৭৪/...) মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে এ রসুন জাতীয় উদ্ভিদ খাবে- কোন কোন সময় আবার তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পিয়াজ, রসুন বা মূলা খাবে সে যেন আমার মসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায় মালাকগণও সেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৪, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৩)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। মাসজিদে প্রবেশ করার পূর্বে যে ব্যক্তি কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন, ইত্যাদি দুর্গন্ধ জাতীয় কিছু খাবে, সে ব্যক্তির জন্য মাসজিদে প্রবেশ করা কঠোরতার সহিত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাতে সে তার দুর্গন্ধের দ্বারা অন্য মুসল্লিদেরকে কষ্ট না দেয়। কেননা যে ব্যক্তি নিজের দুর্গন্ধের দ্বারা মুসল্লিদেরকে কষ্ট দেয়, সে ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে ফেরেশতাগণকেই কষ্ট দিয়ে থাকে।
২। যে ব্যক্তির শরীরের দুর্গন্ধের দ্বারা মুসল্লিদের কষ্ট হবে, সে ব্যক্তির জন্য মাসজিদে প্রবেশ করা জায়েজ নয়। সুতরাং দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, যে ব্যক্তির শরীরের মধ্যে ধুমপান অথবা বিড়ি, সিগারেট, তামাক ইত্যাদির দুর্গন্ধ থাকবে অথবা তার শরীরের পোশাক, জামাকাপড়, কিংবা পায়ের মোজা দুর্গন্ধযুক্ত হবে, সে ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করবে না। তাই মুসল্লি ব্যক্তি যেন মাসজিদে প্রবেশ করার পূর্বে নিজের শরীর, শরীরের পোশাক, জামাকাপড় ইত্যাদি ভালোভাবে দেখে নেয় বা পরিদর্শন নেয়। যাতে সে মাসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লিদেরকে এবং ফেরেশতাগণকে কষ্ট না দেয়। আর পুণ্যের বদলে পাপকারী না হয়ে যায়।
৩। এই হাদীসটি মুসলিম ব্যক্তিকে এই বিষয়টির প্রতি উৎসাহ প্রদান করে যে, সে যেন মাসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করার গুরুত্ব অনুভব করে এবং মাসজিদে উপস্থিত হওয়ার সময় এবং নামাজ পড়ার সময় সুসজ্জিত হয়ে মাসজিদে প্রবেশ করে। সুতরাং সে মাসজিদে যাওয়ার পূর্বে পবিত্রতার্জন করবে, বিশুদ্ধতা বজায় রাখবে, দরকারে যত্নসহকারে ওজু ও গোসল বা স্নান করবে, সুগন্ধি ব্যবহার করবে, প্রসাধন করবে এবং সুসজ্জিত হয়ে পরিষ্কার ও সুন্দর কাপড় পরিধান করবে। অতঃপর মাসজিদে প্রবেশ করবে।
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ الثُّومِ - وَقَالَ مَرَّةً مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ - فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ " .
Jabir b. 'Abdullah reported the Messenger of Allah (ﷺ) mying:
He who eats of this (offensive) plant, i. e garlic, and sometirres he said: He who eats onion and garlic and leek, should not approach our mosque for the angels are harmed by the same things as the children of Adam.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪২-(৭৫/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি’ (রহঃ) ..... ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে একই সানাদে বর্ণিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব সবজি জাতীয় গাছ অর্থাৎ- রসুন খাবে সে যেন আমার মসজিদে- আমাদের কাছে না আসে। তবে তিনি (ইবনু জুরায়জ) বর্ণিত হাদীসে পিয়াজ ও গো-রসুনের কথা উল্লেখ করেননি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৫, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৪)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، ح قَالَ وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، قَالاَ جَمِيعًا أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ - يُرِيدُ الثُّومَ - فَلاَ يَغْشَنَا فِي مَسْجِدِنَا " . وَلَمْ يَذْكُرِ الْبَصَلَ وَالْكُرَّاثَ .
Ibn Juraij has narrated it with the same chain of transmitters:
He who eats of this plant, i. e. garlic, should not come to us in our mosque, and he made no mention of onions or leek.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪৩-(৭৬/৫৬৫) আমর আন নাকিদ (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খায়বার বিজিত হলো। আমরা এখনো ফিরে আসিনি। ইতোমধ্যে আমরা, অর্থাৎ- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ ঐ সবজি অর্থাৎ— রসুনের উপর ঝাপিয়ে পড়লাম। কারণ লোকজন সবাই ছিল ক্ষুধার্ত। এরপর আমরা মসজিদে গেলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রসুনের গন্ধ পেয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি এ কদৰ্য গাছ তথা সবজি খাবে সে যেন মসজিদে আমাদের নিকটেও না আসে। এ কথা শুনে সবাই বলতে শুরু করল রসুন হারাম হয়ে গিয়েছে। রসুন হারাম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ খবর পৌছলে তিনি লোকজনকে সাক্ষ্য করে বললেনঃ হে লোক সকল! আমার জন্য আল্লাহ তা’আলা যা হালাল করে দিয়েছেন তা হারাম করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে রসুন এমন একটি সবজি (গাছ) যার গন্ধ আমি অপছন্দ করি। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৬, ইসলামীক সেন্টার. ১১৪৫)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ لَمْ نَعْدُ أَنْ فُتِحَتْ، خَيْبَرُ فَوَقَعْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي تِلْكَ الْبَقْلَةِ الثُّومِ وَالنَّاسُ جِيَاعٌ فَأَكَلْنَا مِنْهَا أَكْلاً شَدِيدًا ثُمَّ رُحْنَا إِلَى الْمَسْجِدِ فَوَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرِّيحَ فَقَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْخَبِيثَةِ شَيْئًا فَلاَ يَقْرَبَنَّا فِي الْمَسْجِدِ " . فَقَالَ النَّاسُ حُرِّمَتْ حُرِّمَتْ . فَبَلَغَ ذَاكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهُ لَيْسَ بِي تَحْرِيمُ مَا أَحَلَّ اللَّهُ لِي وَلَكِنَّهَا شَجَرَةٌ أَكْرَهُ رِيحَهَا " .
Abu Sa'id reported:
We made no transgression but Khaybar was conquered. We, the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ), fell upon this plant. i e. garlic. because the people were hungry. We ate it to our heart's content and then made our way towards the mosque. The Messenger of Allah (ﷺ) sensed its odour and he said: He who takes anything of this offensive plant must not approach us in the mosque. The people said: Its (use) has been forbidden; its (use) bu been forbidden. This reached the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: O people, I cannot forbid (the use of a thing) which Allah has made lawful, but (this garlic) is a plant the odour of which is repugnant to me.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪৪-(৭৭/৫৬৬) হারূন ইবনু সাঈদ আল আয়লী ও আহমাদ ইবনু ঈসা (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি পিয়াজের ক্ষেতে গেলেন। সাথে তার সাহাবীগণও ছিলেন। কিছু সংখ্যক সাহাবী ঐ ক্ষেতের পিয়াজ খেলেন এবং অবশিষ্ট সাহাবীগণ খেলেন না। এরপর আমরা সবাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। কিন্তু যারা পিয়াজ খেয়েছিলেন না তিনি তাদেরকে প্রথমে কাছে ডেকে নিলেন। আর অন্যদেরকে যারা পিয়াজ খেয়েছিল পিয়াজের গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত কাছে ডাকলেন না। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৭, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৬)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الأَشَجِّ، عَنِ ابْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَرَّ عَلَى زَرَّاعَةِ بَصَلٍ هُوَ وَأَصْحَابُهُ فَنَزَلَ نَاسٌ مِنْهُمْ فَأَكَلُوا مِنْهُ وَلَمْ يَأْكُلْ آخَرُونَ فَرُحْنَا إِلَيْهِ فَدَعَا الَّذِينَ لَمْ يَأْكُلُوا الْبَصَلَ وَأَخَّرَ الآخَرِينَ حَتَّى ذَهَبَ رِيحُهَا .
Abu Sa'id al-Khudri reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) along with his Companions happened to pass by a field in which onions were sown. The people stopped there and ate out of that, but some of them did not eat. Then they (Propbet's Companions) went to him. He (first) called those who had not eaten the onions and kept the others (who had taken onions) waiting till its odour vanished.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪৫-(৭৮/৫৬৭) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... মা’দান ইবনু আবূ ত্বলহাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। (তিনি বলেছেনঃ) কোন এক জুমুআর দিন উমর ইবনুল খাত্ত্বাব খুতবাহ প্রদান করলেন। সে বক্তৃতায় তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকরের কথা উল্লেখ করে বললেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন একটি মোরগ আমাকে তিনটি ঠোকর দিল। আমি মনে করি এ স্বপ্নের অর্থ আমার মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। কিছু সংখ্যক লোক বলছে আমি যেন পরবর্তী খালীফাহ্ মনোনীত করে যাই (কিন্তু আমি যদি পরবর্তী খালীফাহ্ মনোনীত না করেও যাই তাহলেও কোন ক্ষতি নেই)। কেননা, (আমি বিশ্বাস করি) মহান আল্লাহ এ দীনকে এবং তার খিলাফাত ব্যবস্থাকে বরবাদ করবেন না। কিংবা যা দিয়ে তিনি তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঠিয়েছি তাও ব্যর্থ করে দিবেন না। খুব শীঘ্রই যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত যাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন তাদের এ ছয়জনের* মধ্যে থেকে পরামর্শের ভিত্তিতে খিলাফাতের ব্যাপারে ফায়সালা হবে।
আমি জানি কিছু সংখ্যক লোক এ ব্যাপারে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। আমি তাদের এ জন্য আমার নিজের এ হাতে শাস্তি দিয়েছি এরপরে আবারও যদি তারা অনুরূপ কাজ করে (এ ব্যাপারে ইসলামের বদনাম করে) তাহলে তারা আল্লাহর শত্রু, কাফির ও গোমরাহ। এছাড়া আরো একটি বিষয় আছে আমার পরে আমার দৃষ্টিতে কালালাহ বা উত্তরাধিকারবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদের বিষয় ছাড়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোন বিষয়ই রেখে যাচ্ছি না।
(জেনে রেখো!) আমি কালালাহ বা উত্তরাধিকারবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে যত বেশি জিজ্ঞেস করেছি অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে এত জিজ্ঞেস করিনি আর তিনিও এ বিষয়ে আমাকে যত কঠোরভাবে বলেছেন আর কোন বিষয়েই তত কঠোরভাবে বলেননি। এমনকি তিনি আমার বুকের উপর তার আঙ্গুল ঠেসে ধরে বলেছেনঃ হে উমার! সূরাহ আন নিসার শেষের যে আয়াতটি গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ হয়েছিল (এ ব্যাপারে) সে আয়াতটিই কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি যদি আরো কিছু দিন বেঁচে থাকতাম তাহলে এ বিষয়ে (কালালাহ) এমন একটি ফায়সালা করতাম যা প্রত্যেকের মনের মতো হত। চাই সে কুরআন মাজীদ পড়ে থাকুন বা না পড়ে থাকুক।
তিনি [উমার (রাযিঃ) বললেনঃ হে আল্লাহ! আমি তোমাকে বিভিন্ন জনপদের উমারাদের (শাসনকর্তা) ব্যাপারে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাদের উদ্দেশ্য ঐসব এলাকার লোকদের শাসনকর্তা করে পাঠিয়েছি যে তারা তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করবে, লোকদের দীন সম্পর্কে শিক্ষাদান করবে, নবীর সুন্নাত সম্পর্কে অবহিত করবে এবং "ফাই" বা যুদ্ধের ময়দানে বিনাযুদ্ধে লব্ধ সম্পদ (সঠিকভাবে) বন্টন করে দিবে। আর তাদের কোন ব্যাপার কঠিন বা সমস্যাপূর্ণ হলে তা আমার কাছে জেনে নিবে।
হে লোকজন! আরেকটি কথা হলো, তোমরা দুটি (সবজি জাতীয়) গাছ খেয়ে থাকো; অর্থাৎ- পিয়াজ ও রসুন। আমি এ দুটি জিনিসকে অরুচিকর বলে মনে করি। আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদের কোন লোকের মুখ থেকে ঐ দু’টি জিনিসের গন্ধ পেলে তাকে বের করে দিতে আদেশ করতেন। আর তাদেরকে বাকীর দিকে বের করে দেয়া হত। তবে কেউ এ দুটি জিনিস (পিয়াজ ও রসুন) খেতে চাইলে যেন রান্না করে গন্ধ দূর করে নেয়। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৮, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৭)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، خَطَبَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَذَكَرَ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ أَبَا بَكْرٍ قَالَ إِنِّي رَأَيْتُ كَأَنَّ دِيكًا نَقَرَنِي ثَلاَثَ نَقَرَاتٍ وَإِنِّي لاَ أُرَاهُ إِلاَّ حُضُورَ أَجَلِي وَإِنَّ أَقْوَامًا يَأْمُرُونَنِي أَنْ أَسْتَخْلِفَ وَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَكُنْ لِيُضَيِّعَ دِينَهُ وَلاَ خِلاَفَتَهُ وَلاَ الَّذِي بَعَثَ بِهِ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم فَإِنْ عَجِلَ بِي أَمْرٌ فَالْخِلاَفَةُ شُورَى بَيْنَ هَؤُلاَءِ السِّتَّةِ الَّذِينَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَنْهُمْ رَاضٍ وَإِنِّي قَدْ عَلِمْتُ أَنَّ أَقْوَامًا يَطْعَنُونَ فِي هَذَا الأَمْرِ أَنَا ضَرَبْتُهُمْ بِيَدِي هَذِهِ عَلَى الإِسْلاَمِ فَإِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَأُولَئِكَ أَعْدَاءُ اللَّهِ الْكَفَرَةُ الضُّلاَّلُ ثُمَّ إِنِّي لاَ أَدَعُ بَعْدِي شَيْئًا أَهَمَّ عِنْدِي مِنَ الْكَلاَلَةِ مَا رَاجَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شَىْءٍ مَا رَاجَعْتُهُ فِي الْكَلاَلَةِ وَمَا أَغْلَظَ لِي فِي شَىْءٍ مَا أَغْلَظَ لِي فِيهِ حَتَّى طَعَنَ بِإِصْبَعِهِ فِي صَدْرِي فَقَالَ " يَا عُمَرُ أَلاَ تَكْفِيكَ آيَةُ الصَّيْفِ الَّتِي فِي آخِرِ سُورَةِ النِّسَاءِ " . وَإِنِّي إِنْ أَعِشْ أَقْضِ فِيهَا بِقَضِيَّةٍ يَقْضِي بِهَا مَنْ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَمَنْ لاَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ثُمَّ قَالَ اللَّهُمَّ إِنِّي أُشْهِدُكَ عَلَى أُمَرَاءِ الأَمْصَارِ وَإِنِّي إِنَّمَا بَعَثْتُهُمْ عَلَيْهِمْ لِيَعْدِلُوا عَلَيْهِمْ وَلِيُعَلِّمُوا النَّاسَ دِينَهُمْ وَسُنَّةَ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم وَيَقْسِمُوا فِيهِمْ فَيْئَهُمْ وَيَرْفَعُوا إِلَىَّ مَا أَشْكَلَ عَلَيْهِمْ مِنْ أَمْرِهِمْ ثُمَّ إِنَّكُمْ أَيُّهَا النَّاسُ تَأْكُلُونَ شَجَرَتَيْنِ لاَ أَرَاهُمَا إِلاَّ خَبِيثَتَيْنِ هَذَا الْبَصَلَ وَالثُّومَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا وَجَدَ رِيحَهُمَا مِنَ الرَّجُلِ فِي الْمَسْجِدِ أَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ إِلَى الْبَقِيعِ فَمَنْ أَكَلَهُمَا فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا .
Ma'dan b. Talha reported:
'Umar b. Khattab, delivered the Friday sermon and he made a mention of the Messenger of Allah (ﷺ) and Abu Bakr. He (further) said: I saw in a dream that a cock pecked me twice, and I perceive that my death is near. Some people have suggested me to appoint my successor. And Allah would not destroy His religion. His caliphate and that with which He sent His Apostle (ﷺ) If death approaches me soon, the (issue) of Caliphate (would be decided) by the consent of these six men with whom the Messenger of Allah (ﷺ) remained well pleased till his death. And I know fully well that some people would blame me that I killed with these very hands of mine some persons who apparently professed (Islam). And if they do this (blame me) they are the enemies of Allah, and are non-believers and have gone astray. And I leave not after me anything which to my mind seems more important than Kalala. And I never turned towards the Messenger of Allah (ﷺ) (for guidance) more often than this Kalala, and he (the Holy Prophet) was not annoyed with me on any other (issue) than this: (And he was so perturbed) that he struck his fingers on my chest and said: Does this verse. that is at the end of Surat al-Nisa'. which was revealed in the hot season not suffice you? And if I live longer I would decide this (problem so clearly) that one who reads the Qur'an, or one who does not read it, would be able to take (correct), decisions (under its light). He ('Umar) further said: Allah! I call You witness on these governors of lands, that I sent them to (the peoples of these lands) so that they should administer justice amongst them, teach them their religion and the Sunnah of the Messenger of Allah (ﷺ), and distribute amongst them the spoils of war and refer to me that which they find difficult to perform. O people. you eat 'these two plants and these are onions and garlic. and I find them nothing but repugnant for I saw that when the Messenger of Allah (ﷺ) sensed the odour of these two from a person in a mosque, he was made to go to al-Baqi'. So he who eats it should (make its odour) die by cooking it well.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. রসুন, পিয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় (দুর্গন্ধযুক্ত) দ্রব্য আহার করে (মসজিদে প্রবেশ) নিষিদ্ধ
১১৪৬-(.../...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, যুহায়র ইবনু হারব ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... কতাদাহ (রহঃ) থেকে (পূর্ব-বর্ণিত হাদীসের) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১১৩৯, ইসলামীক সেন্টার ১১৪৮)
باب نَهْىِ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً أَوْ كُرَّاثًا أَوْ نَحْوَهَا عَنْ حُضُورِ الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، كِلاَهُمَا عَنْ شَبَابَةَ بْنِ سَوَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، جَمِيعًا عَنْ قَتَادَةَ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .
This hadith has been narrated by Qatada with the same chain of transmitters.