পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮০. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কুরআনকে তুলে নেওয়ার পূর্বে তোমরা বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত কর। লোকেরা বললো, এ কুরআনের মাসহাফসমূহকে না হয় তুলে নেওয়া হলো, কিন্তু লোকদের অন্তরে যে মুখস্ত কুরআন রয়েছে, তা কিভাবে তুলে নেওয়া হবে? তিনি বললেন, এক রাতে তার নিকট আগমণকারী আসবে (এবং তাদের থেকে কুরআনকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে), অতঃপর তারা সকালে ঘুম থেকে উঠবে নিঃস্ব (কুরআন হীন) অবস্থায়। এমনকি তারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ কালিমাও ভুলে যাবে। তখন তারা জাহিলী যুগের কথাবার্তা-ও কাব্য-কবিতাতে মত্ত হবে। আর এ সময় তাদের উপর প্রতিশ্রুতি (কিয়ামত) সংঘটিত হবে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, কাবীর ৮/১০৭-১০৮ সংক্ষিপ্তাকারে প্রথম অংশটুকু।
ইবনুল মুবারাক, আয যুহদ নং ৮০৩ যয়ীফ সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৩৪ নং ১০২৪২; ইবনু মানসূর ২/৩৩৫ নং ৯৭; হাকিম ৪/৫০৪; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৮১; তাবারাণী, কাবীর ৯/১৫৩ নং ৮৬৯৮, ৮৬৯৯, ৮৭০০ এর সনদ উত্তম।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُبَيْدَةَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ سُلَيْمٍ عَنْ نَاجِيَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ أَكْثِرُوا تِلَاوَةَ الْقُرْآنِ قَبْلَ أَنْ يُرْفَعَ قَالُوا هَذِهِ الْمَصَاحِفُ تُرْفَعُ فَكَيْفَ بِمَا فِي صُدُورِ الرِّجَالِ قَالَ يُسْرَى عَلَيْهِ لَيْلًا فَيُصْبِحُونَ مِنْهُ فُقَرَاءَ وَيَنْسَوْنَ قَوْلَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَيَقَعُونَ فِي قَوْلِ الْجَاهِلِيَّةِ وَأَشْعَارِهِمْ وَذَلِكَ حِينَ يَقَعُ عَلَيْهِمْ الْقَوْلُ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮১. ইবনু আবী মুতী’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাতাদা বলতেন, তোমরা তোমাদের অন্তরগুলোকে তা দ্বারা আবাদ করো এবং তোমাদের ঘর-বাড়িগুলোকেও তা দ্বারা আবাদ কর। আমার (রাবী ইবনু আবী মুতী’) ধারণা, ’তা’ বলতে তিনি কুরআনকে বুঝিয়েছেন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا سَلَّامٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي مُطِيعٍ قَالَ كَانَ قَتَادَةُ يَقُولُ اعْمُرُوا بِهِ قُلُوبَكُمْ وَاعْمُرُوا بِهِ بُيُوتَكُمْ قَالَ أُرَاهُ يَعْنِي الْقُرْآنَ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮২. যির হতে বর্ণিত, ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক রাত্রিতে আগন্তুক এসে কুরআনকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে, ফলে কুরআনের মুসহাফে এবং কোন লোকের অন্তরে কুরআনের একটি আয়াতও বিদ্যমান থাকবে না।[1]
তাখরীজ: দীঘাকারে ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী শাইবা ১০/৫৩৪ নং ১০২৪২; আব্দুর রাযযাক নং ৫৯৮০; বুখারী, খালকু আফ’আলিল ইবাদ পৃ: ৮৬ সহীহ সনদে। আগের টীকাটি দেখুন।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ زِرٍّ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ لَيُسْرَيَنَّ عَلَى الْقُرْآنِ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَلَا يُتْرَكُ آيَةٌ فِي مُصْحَفٍ وَلَا فِي قَلْبِ أَحَدٍ إِلَّا رُفِعَتْ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৩. আব্দুল্লাহ ইবনু ওয়াকিদ হতে বর্ণিত, কাতাদা বলেন, ’যে ব্যক্তি কুরআনের নিকট বসে, অত:পর সেখান থেকে উঠে যায়, সে হয় লাভবান হয় অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ অত:পর তিনি তিলাওয়াত করেন, অর্থ: “আর আমি কুরআন নাযিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য আরোগ্য ও দয়া। কিন্তু তা সীমালঙ্ঘনকারীদের কেবল ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” [সুরা বনী ইসরাঈল (ইসরা): ৮২][1]
তাখরীজ: আবূ উবাইদ, ফাযাইল পৃ:৫৬-৫৭।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ مَا جَالَسَ الْقُرْآنَ أَحَدٌ فَقَامَ عَنْهُ إِلَّا بِزِيَادَةٍ أَوْ نُقْصَانٍ ثُمَّ قَرَأَ وَنُنَزِّلُ مِنْ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إِلَّا خَسَارًا
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৪. ছাবিত ইবনু আজলান আল-আনসারী হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, তার নিকট বর্ণনা করা হতো যে, আল্লাহ তা’আলা জমিনবাসীদের উপর শাস্তি প্রদানের ইচ্ছা করেন, কিন্তু যখন তিনি অল্প বয়স্ক যুবকদের হিকমাহ’ শিক্ষা করতে দেখেন, তখন তাদের উপর থেকে তা উঠিয়ে নেন। মারওয়ান বলেন, হিকমাহ অর্থ: আল-কুরআন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا رِفْدَةُ الْغَسَّانِيُّ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ عَجْلَانَ الْأَنْصَارِيُّ قَالَ كَانَ يُقَالُ إِنَّ اللَّهَ لَيُرِيدُ الْعَذَابَ بِأَهْلِ الْأَرْضِ فَإِذَا سَمِعَ تَعْلِيمَ الصِّبْيَانِ الْحِكْمَةَ صَرَفَ ذَلِكَ عَنْهُمْ قَالَ مَرْوَانُ يَعْنِي بِالْحِكْمَةِ الْقُرْآنَ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৫. আবী আমর নামক এক বৃদ্ধ হতে বর্ণিত, মু’আয ইবনু জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, পোশাক যেমন জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যায়, তদ্রূপ অচিরেই লোকদের অন্তরে কুরআন ও জীর্ণ-পুরাতন হয়ে যাবে। ফলে তার অবক্ষয়-অবনতি ঘটবে। তারা কুরআন পড়বে কিন্তু তাতে কোনো মজা ও স্বাদ অনুভব করবে না। যেন নেকড়ের অন্তরের উপর তারা ভেড়ার চামড়া পরিধান করবে (তাদের অন্তর নেকড়ের মত ধূর্ত হলেও উপরে তারা মেষের চামড়ার মতে পশম-কোমল পোশাক পরবে)। তাদের আমলসমূহ অত্যন্ত লোভনীয় হবে, কিন্তু তাতে ভয় মিশ্রিত থাকবে না; তারা (আমলে) শিথিলতা-অবহেলা করলেও তারা বলবে, আমরা তো অচিরেই (জান্নাতে) পৌঁছে যাব। আর যখন তারা মন্দ কাজ করবে, তখন বলবে, আমাদেরকে তো ক্ষমা করাই হবে। কেননা, আমরা তো আল্লাহর সাথে কোনো কিছু শরীক করি নি।[1]
তাখরীজ: ((মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ করেননি। তবে মুহাম্মদ ইবনু নাসর, কিয়ামুল লাইল এ আবী লাইলা হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ফাতহুল মান্নান হা/৩৬১০ দ্র:–অনুবাদক))
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ جَابِرٍ حَدَّثَنَا شَيْخٌ يُكَنَّى أَبَا عَمْرٍو عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ سَيَبْلَى الْقُرْآنُ فِي صُدُورِ أَقْوَامٍ كَمَا يَبْلَى الثَّوْبُ فَيَتَهَافَتُ يَقْرَءُونَهُ لَا يَجِدُونَ لَهُ شَهْوَةً وَلَا لَذَّةً يَلْبَسُونَ جُلُودَ الضَّأْنِ عَلَى قُلُوبِ الذِّئَابِ أَعْمَالُهُمْ طَمَعٌ لَا يُخَالِطُهُ خَوْفٌ إِنْ قَصَّرُوا قَالُوا سَنَبْلُغُ وَإِنْ أَسَاءُوا قَالُوا سَيُغْفَرُ لَنَا إِنَّا لَا نُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৬. ’আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং, তোমরা কুরআন তিলাওয়াত করতে থাক কেননা, উটের রশি থেকে উটের পলায়নের চেয়েও তা মানুষের অন্তর থেকে দ্রুত গতিতে চলে যায়।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫০৩২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মুাউসিলী নং ৫১৩৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬২; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯১; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৮৪ তে। এছাড়াও, নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬৪, ৬৭।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بِئْسَمَا لِأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ وَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَسْرَعُ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنْ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৭. উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর, আর তার ব্যাপারে যত্নবান হও এবং তা সুন্দর আওয়াজে পাঠ কর এবং তার (জ্ঞান) অর্জন করতে থাকো। কেননা যার হাতে আমার জীবন, অথবা, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম- অবশ্যই রশি ছিড়ে পলায়নপর উটের চেয়েও তা অধিক পলায়নপর।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১০/৪৭৭ নং ১০০৪০; আহমাদ ৪/১৪৬, ১৫০, ১৫৩; নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৫৯,৬০; মাওকুফ হিসেবে। পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী হাদীসটি দেখুন।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا مُوسَى يَعْنِي ابْنَ عُلَيٍّ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ يَقُولُ تَعَلَّمُوا كِتَابَ اللَّهِ وَتَعَاهَدُوهُ وَتَغَنَّوْا بِهِ وَاقْتَنُوهُ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ أَوْ فَوَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنْ الْمَخَاضِ فِي الْعُقُلِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৮. (অপর সনদে) উকবাহ ইবনু আমির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা আল্লাহর কিতাব শিক্ষা কর, আর তার ব্যাপারে যত্নবান হও, তা সংরক্ষণ কর এবং তা সুন্দর আওয়াজে পাঠ করতে থাকো। কেননা যার হাতে আমার জীবন, অথবা, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন তাঁর কসম- অবশ্যই রশি ছিড়ে পলায়নপর উটের চেয়েও তা অধিক পলায়নপর।[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, ফাযাইলুল কুরআন নং ৬০; তাবারাণী, কাবীর ১৭/২৯০, ২৯১ নং ৮০০, ৮০১, ৮০২; আওসাত নং ৩২১১।
আমাদের বক্তব্য: হাদীসটি সহীহ। আগের টীকাটি দেখুন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১১৯; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৭৮৮ তে।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَعَلَّمُوا كِتَابَ اللَّهِ تَعَالَى وَتَعَاهَدُوهُ وَاقْتَنُوهُ وَتَغَنَّوْا بِهِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَهُوَ أَشَدُّ تَفَلُّتًا مِنْ الْمَخَاضِ فِي الْعُقُلِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৮৯. ইবনু আবী মুলাইকা (রহঃ) হতে বর্ণিত, ইকরিমাহ ইবনু আবূ জাহল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কুরআনকে তার মুখমণ্ডলের উপর রেখে বলতেন, ’আমার রবের কিতাব, আমার রবের কিতাব।’[1]
তাখরীজ: হাকিম, ৩/২৪৩; বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান ২২২৯; তাবারাণী, কাবীর ১৭/৩৭১ নং ১০১৮।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ أَنَّ عِكْرِمَةَ بْنَ أَبِي جَهْلٍ كَانَ يَضَعُ الْمُصْحَفَ عَلَى وَجْهِهِ وَيَقُولُ كِتَابُ رَبِّي كِتَابُ رَبِّي
পরিচ্ছেদঃ ৪. কুরআন (সংরক্ষণের) প্রতি যত্নবান হওয়া
৩৩৯০. ছাবিত হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা (রহঃ) ফজর সালাত আদায় করার পর সুর্য্য উদিত হওয়া পর্যন্ত কুরআন পড়তেন। রাবী বলেন, ছাবিতও এরূপ করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৬/৭৫।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ قَالَ كَانَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ قَرَأَ الْمُصْحَفَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ قَالَ وَكَانَ ثَابِتٌ يَفْعَلُهُ