পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩২৯৫. কাবীসা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সুফিয়ান (রহঃ) কে বলতে শুনেছি, যদি কেউ ওয়ারিসের জন্য এবং ওয়ারিস ব্যতীত অন্য কারো জন্য একশত দিরহাম (ওয়াসীয়াতের) স্বীকৃতি দেয়, তবে তিনি বলেন, আমার মত হলো, আমি এ উভয়টিই বাতিল করে দেব।[1]
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইনি।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ قَالَ سَمِعْتُ سُفْيَانَ يَقُولُ إِذَا أَقَرَّ لِوَارِثٍ وَلِغَيْرِ وَارِثٍ بِمِائَةِ دِرْهَمٍ أَرَى أَنْ أُبْطِلَهُمَا جَمِيعًا
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩২৯৬. ইবনু সীরীন হতে বর্ণিত, শুরাইহ বলেন, ওয়ারিসের জন্য (ওয়াসীয়াতের) ঘোষণা দেওয়া জায়িয (বৈধ) নয়। তিনি বলেন, হাসান (রহঃ) বলেন, মানুষের জন্য বৈধ (কথার) মধ্যে সর্বাধিক সঠিক (কথা) হলো তার মৃত্যুকালীন কথা (তথা ওয়াসীয়াত)। এটি আখিরাতের দিনগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম দিন এবং দুনিয়ার দিনগুলির মধ্যে সর্বশেষ দিন।[1]
তাখরীজ: শুরাইহ’র কথাটি: বাইহাকী, ইকরার ৬/৮৫ সনদ যয়ীফ; ইবনু আবী শাইবা ৬/১৯৬ নং ৭৮৭, ৭৯১।
আর হাসানের বক্তব্যটি: বাইহাকী, ইকরার ৬/৮৫ বুখারীর বরাতে।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ شُرَيْحٍ قَالَ لَا يَجُوزُ إِقْرَارٌ لِوَارِثٍ قَالَ وَقَالَ الْحَسَنُ أَحَقُّ مَا جَازَ عَلَيْهِ عِنْدَ مَوْتِهِ أَوَّلَ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الْآخِرَةِ وَآخِرَ يَوْمٍ مِنْ أَيَّامِ الدُّنْيَا
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩২৯৭. আবী কিলাবাহ (রহঃ) বলেন, ওয়ারিসের জন্য ওয়াসীয়াত করা জায়িয নয়।[1]
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইনি।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ عَنْ خَالِدٍ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ قَالَ لَا يَجُوزُ لِوَارِثٍ وَصِيَّةٌ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩২৯৮. হুমাইদ হতে বর্ণিত, আবু ছাবিত নামক এক ব্যক্তি তার মৃত্যুর সময় স্বীকৃতি দিল যে, তার স্ত্রী মোহরাণা বাবদ তার নিকট চারশত দিরহাম পাওনা রয়েছে। তখন হাসান তার স্বীকৃতিকে অনুমোদন করলেন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইনি।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ حُمَيْدٍ أَنَّ رَجُلًا يُكْنَى أَبَا ثَابِتٍ أَقَرَّ لِامْرَأَتِهِ عِنْدَ مَوْتِهِ أَنَّ لَهَا عَلَيْهِ أَرْبَعَ مِائَةِ دِرْهَمٍ مِنْ صَدَاقِهَا فَأَجَازَهُ الْحَسَنُ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩২৯৯. ’আমর ইবনে খারিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (আরোহী) উটের নিচে অবস্থান করছিলাম। আর সেসময় উটটি জাবর কাটছিল আর তার মুখের লালা আমার দু’কাঁধের মাঝখান দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছিল। এমতাবস্থায় আমি তাঁকে বলতে শুনেছি: “আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক হকদারকে তার হক দিয়ে দিয়েছেন সুতরাং ওয়ারিসের জন্য ওয়াসীয়াত নেই।”[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ২৫৬৪ নং এ। ((তিরমিযী, ওয়াসাইয়া ২১২১; নাসাঈ ৬/২৪৭; ইবনু মাজাহ ২/৯০৫ নং ২৭১২।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَنْمٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ خَارِجَةَ قَالَ كُنْتُ تَحْتَ نَاقَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ تَقْصَعُ بِجِرَّتِهَا وَلُعَابُهَا يَنُوصُ بَيْنَ كَتِفَيَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ أَلَا إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعْطَى كُلَّ ذِي حَقٍّ حَقَّهُ فَلَا يَجُوزُ وَصِيَّةٌ لِوَارِثٍ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩৩০০. হাম্মাম হতে বর্ণিত, মহান আল্লাহর বাণী: “যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয়, সে যদি সম্পদ রেখে যায়, তবে ন্যায়ানুগ প্রথামত তার পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াসীয়াত করার বিধান তোমাদের দেওয়া হলো।” (সুরা বাকারা: ১৮০) (এ আয়াত সম্পর্কে) কাতাদা বলেন, উল্লিখিত আয়াতে পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াসীয়াত নির্ধারিত ছিল। পরে সুরা নিসার আয়াতের মাধ্যমে তা প্রত্যাহার করা হয়। ফলে পিতা-মাতা উভয়ের জন্য অংশ নির্ধারিত হয়েছে। আর মীরাছের হকদারদেরও এতে অংশ নির্ধারিত রয়েছে। ফলে তাদের জন্য কোনো ওয়াসীয়াত নেই। ফলে যে ব্যক্তি ওয়ারিস নয়, কেবল এমন নিকট আত্মীয় ও অন্যদের জন্য এখন ওয়াসীয়াতের বিধান স্থির হয়ে গেল।[1]
তাখরীজ: আব্দ ইবনু হুমাইদ, বরাতে ইবনুল জাউযী, নাসিখুল কুরআন ওয়া মানসূখাহ-নাওয়াসিখুল কুরআন পৃ. ১৯৩ আমাদের তাহক্বীক্বকৃত; দেখুন, তাফসীর তাবারী ২/১১৭।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمْ الْمَوْتُ إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ فَأَمَرَ أَنْ يُوصِيَ لِوَالِدَيْهِ وَأَقَارِبِهِ ثُمَّ نُسِخَ بَعْدَ ذَلِكَ فِي سُورَةِ النِّسَاءِ فَجَعَلَ لِلْوَالِدَيْنِ نَصِيبًا مَعْلُومًا وَأَلْحَقَ لِكُلِّ ذِي مِيرَاثٍ نَصِيبَهُ مِنْهُ وَلَيْسَتْ لَهُمْ وَصِيَّةٌ فَصَارَتْ الْوَصِيَّةُ لِمَنْ لَا يَرِثُ مِنْ قَرِيبٍ وَغَيْرِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩৩০১. ইবনু ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী) হিসেবে সম্পদ পেতো সন্তান আর পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়ের জন্য ছিল ওয়াসীয়াত। অতঃপর আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পছন্দ মত এ বিধান রহিত করে ছেলের অংশ মেয়ের দ্বিগুণ, পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য এক ষষ্ঠাংশ ও এক তৃতীয়াংশ, স্ত্রীর জন্য এক অষ্টমাংশ, এক চতুর্থাংশ এবং স্বামীর জন্য অর্ধেক, এক চতুর্থাংশ নির্ধারণ করেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ওয়াসাইয়া ২৭৪৭, তাফসীর ৪৫৭৮, ফারাইয ৬৭৩৯;বাইহাকী, ওয়াসাইয়া ৬/২৬৩।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنْ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ الْمَالُ لِلْوَلَدِ وَكَانَتْ الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ فَنَسَخَ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ مَا أَحَبَّ فَجَعَلَ لِلذَّكَرِ مِثْلَ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ وَجَعَلَ لِلْأَبَوَيْنِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا السُّدُسَ وَالثُّلُثَ وَجَعَلَ لِلْمَرْأَةِ الثُّمُنَ وَالرُّبُعَ وَلِلزَّوْجِ الشَّطْرَ وَالرُّبُعَ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. ওয়ারিসের (উত্তরাধিকারী’র) জন্য ওয়াসীয়াত
৩৩০২. ইকরিমাহ ও হাসান (রহঃ) হতে বর্ণিত, মহান আল্লাহর বাণী: “সে যদি সম্পদ রেখে যায়, তবে ন্যায়ানুগ প্রথামত তার পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনের জন্য ওয়াসীয়াত করার বিধান তোমাদের দেওয়া হলো।” (সুরা বাকারা: ১৮০) (এ আয়াত সম্পর্কে) কাতাদা বলেন, উল্লিখিত আয়াতে এরূপ (পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য) ওয়াসীয়াত নির্ধারিত ছিল। পরবর্তীতে মীরাছের আয়াতের মাধ্যমে তা রহিত হলো।[1]
তাখরীজ: তাফসীর তাবারী ২/১১৯ তাবারীর শাইখ যয়ীফ। আগের টীকাটি দেখুন।
باب الْوَصِيَّةِ لِلْوَارِثِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا أَبُو تُمَيْلَةَ عَنْ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ عَنْ يَزِيدَ عَنْ عِكْرِمَةَ وَالْحَسَنِ إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ لِلْوَالِدَيْنِ وَالْأَقْرَبِينَ وَكَانَتْ الْوَصِيَّةُ كَذَلِكَ حَتَّى نَسَخَتْهَا آيَةُ الْمِيرَاثِ