পরিচ্ছেদঃ ৫৪. ফারাইযে 'আউল' বা বর্ধিত সংখ্যার বন্টন প্রক্রিয়া
৩২০২. আতা হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ফারাইযের ছয়টি ভাগ, আমরা একে ’আউল’ করব (বাড়াব) না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/২৮২ নং ১১২৩৬; আব্দুর রাযযাক ১৯০৩৫ (মুনকাতি’ ও সম্ভবত মু’দাল সনদে); সাঈদ ইবনু মানসূর নং ৩৫ সহীহ সনদে।
باب فِي عَوْلِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ الْفَرَائِضُ مِنْ سِتَّةٍ لَا نُعِيلُهَا
পরিচ্ছেদঃ ৫৪. ফারাইযে 'আউল' বা বর্ধিত সংখ্যার বন্টন প্রক্রিয়া
৩২০৩. শুরাইহ ইবনুল হারিছ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মৃত স্ত্রীলোকের) দু’ কন্যা, পিতা-মাতা ও স্বামীর অংশের ব্যাপারে (কুফার কাযী) শুরাইহ (রহঃ) এর নিকট অভিযোগ উত্থাপিত হলে তিনি তাদের মাঝে ফায়সালা করে দিলেন। এরপর স্বামী মসজিদে গিয়ে তার (শুরাইহ’র) ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে লাগলো। তখন আব্দুল্লাহ ইবনু রাবাহ লোক পাঠিয়ে তাকে ধরে এনে শুরাইহ’র নিকট পাঠিয়ে দিলেন। আর বললেন, দেখেন তো, এ লোকটি (আপনার সম্পর্কে) কী বলে? তখন তিনি (শুরাইহ) বললেন, এ লোকটি মনে করে যে আমি যালিম, আর আমি মনে করি এ লোকটি ফাসিক-ফাজির (পাপী)। সে প্রকাশ্যে অভিযোগ পেশ করছে এবং প্রচলিত ফায়সালাকে গোপন করছে। তখন লোকটি জিজ্ঞেস করলো, দু’ কন্যা, পিতা-মাতা এবং স্বামী সম্পর্কে আপনার ফায়সালা কী? তিনি বললেন, স্বামী পাবে পুরো সম্পদের এক চতুর্থাংশ, পিতা-মাতা পাবে দুই ষষ্ঠাংশ এবং বাকী সম্পদ দু’ কন্যা পাবে।
তাহলে আপনি আমাকে কম দিলেন কেন? তিনি বললেন, আমি তোমাকে কম দেইনি, বরং আল্লাহই তোমাকে কম দিয়েছেন। দু’ কন্যা পাবে দুই তৃতীয়াংশ, পিতা-মাতা পাবে দুই ষষ্ঠাংশ এবং স্বামী পাবে এক চতুর্থাংশ। ফলে পুরো সম্পদকে সাড়ে সাত ভাগে ভাগ করতে হবে। আর তোমার অংশ হবে ’আওল’কৃত।[1]
তাখরীজ: এটি আমি এ বর্ণনা পরম্পরায় পাইনি; তবে ওয়াকী তার কিতাব ‘আখবারুল কাযাহ’ ২/৩৬৪ এ মুহাম্মদ ইবনু সীরীন হতে, তিনি শুরাইহ হতে অনুরূপ ঘটনা বর্ণনা করেছেন যার সনদ সহীহ।
باب فِي عَوْلِ الْفَرَائِضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِمْرَانَ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ مَيْسَرَةَ بْنِ شُرَيْحٍ عَنْ أَيُّوبَ بْنِ الْحَارِثِ قَالَ اخْتُصِمَ إِلَى شُرَيْحٍ فِي بِنْتَيْنِ وَأَبَوَيْنِ وَزَوْجٍ فَقَضَى فِيهَا فَأَقْبَلَ الزَّوْجُ يَشْكُوهُ فِي الْمَسْجِدِ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَبَاحٍ فَأَخَذَهُ وَبَعَثَ إِلَى شُرَيْحٍ فَقَالَ مَا يَقُولُ هَذَا قَالَ هَذَا يَخَالُنِي امْرَأً جَائِرًا وَأَنَا إِخَالُهُ امْرَأً فَاجِرًا يُظْهِرُ الشَّكْوَى وَيَكْتُمُ قَضَاءً سَائِرًا فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ مَا تَقُولُ فِي بِنْتَيْنِ وَأَبَوَيْنِ وَزَوْجٍ فَقَالَ لِلزَّوْجِ الرُّبُعُ مِنْ جَمِيعِ الْمَالِ وَلِلْأَبَوَيْنِ السُّدُسَانِ وَمَا بَقِيَ فَلِلِابْنَتَيْنِ قَالَ فَلِأَيِّ شَيْءٍ نَقَصْتَنِي قَالَ لَيْسَ أَنَا نَقَصْتُكَ اللَّهُ نَقَصَكَ لِلِابْنَتَيْنِ الثُّلُثَانِ وَلِلْأَبَوَيْنِ السُّدُسَانِ وَلِلزَّوْجِ الرُّبُعُ فَهِيَ مِنْ سَبْعَةٍ وَنِصْفٍ فَرِيضَةً فَرِيضَتُكَ عَائِلَةٌ