পরিচ্ছেদঃ ২৫. কোনো ব্যক্তিকে অন্যের অপরাধে পাকড়াও করা (বা শাস্তি দেওয়া) হবে না
২৪২৭. আবূ রিমছা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার এক ছেলেকে সাথে নিয়ে মদীনায় গমন করি। আর আমরা ইতিপূর্বে কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখিনি। এরপর আমরা যখন তাঁর নিকট এলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হয়ে এলেন। তখন তারঁ গায়ে ছিল সবুজ রংয়ের দু’টি চাদর। আমি তাঁর সিফাত (বাহ্যিক গুণাবলী বা চেহারা) দেখেই তাঁকে চিনে ফেললাম। ফলে আমি তাঁর নিকট গেলাম। তখন তিনি বলেনঃ “তোমার সঙ্গে যে রয়েছে সে কে? তিনি বলেনঃ কা’বার রবের শপথ! এ আমার ছেলে। তখন তিনি বলেনঃ “তোমার ছেলে?” আমি বললাম: এ ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি । তিনি বলেনঃ তাহলে ( জেনে রাখ!) তোমার এ ছেলের অপরাধের দায় তোমার উপর বর্তাবে না এবং তোমার অপরাধের দায়ও তার উপর বর্তাবে না।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৯৯৫ এবং ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫২২ তে।
بَاب لَا يُؤْخَذُ أَحَدٌ بِجِنَايَةِ غَيْرِهِ
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ يَعْنِي ابْنَ حَازِمٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ بْنَ عُمَيْرٍ حَدَّثَنِي إِيَادُ بْنُ لَقِيطٍ عَنْ أَبِي رِمْثَةَ قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ وَمَعِيَ ابْنٌ لِي وَلَمْ نَكُنْ رَأَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْتُهُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ فَلَمَّا رَأَيْتُهُ عَرَفْتُهُ بِالصِّفَةِ فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ مَنْ هَذَا الَّذِي مَعَكَ قُلْتُ ابْنِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ فَقَالَ ابْنُكَ فَقُلْتُ أَشْهَدُ بِهِ قَالَ فَإِنَّ ابْنَكَ هَذَا لَا يَجْنِي عَلَيْكَ وَلَا تَجْنِي عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৫. কোনো ব্যক্তিকে অন্যের অপরাধে পাকড়াও করা (বা শাস্তি দেওয়া) হবে না
২৪২৮. আবূ রিমছা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গমন করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার পিতাকে বলেনঃ “একি তোমার ছেলে?” তিনি বলেনঃ কা’বার রবের শপথ! হাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “সত্যিই?” আমার পিতা বলেনঃ এ ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য প্রদান করছি । তিনি বলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এজন্য মুচকি হাসেনি এজন্য যে, আমার চেহারার সাথে আমার পিতার চেহারার হুবহু মিল ছিল, তবুও আমার পিতা আমার ব্যাপারে শপথ করেন। এরপর তিনি বলেনঃ “জেনে রাখ! তোমার এ ছেলের অপরাধের দায় তোমার উপর বর্তাবে না এবং তোমার অপরাধের দায়ও তার উপর বর্তাবে না।” এরপর রাসূলুল্লাহ এ আয়াত পাঠ করেনঃ “একে অপরের (গুনাহের) বোঝা বহন করবে না।”[1]
তাখরীজ: এটি পুর্বের হাদীসটির পূনরাবৃত্তি। তবে আগের হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে কথোপকথনকারী ছিল আবূ রিমছা’; আর এখানে কথক হলেন আবূ রিমছা’র পুত্র।
بَاب لَا يُؤْخَذُ أَحَدٌ بِجِنَايَةِ غَيْرِهِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ إِيَادٍ حَدَّثَنَا إِيَادٌ عَنْ أَبِي رِمْثَةَ قَالَ انْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي نَحْوَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لِأَبِي ابْنُكَ هَذَا فَقَالَ إِي وَرَبِّ الْكَعْبَةِ قَالَ حَقًّا قَالَ أَشْهَدُ بِهِ قَالَ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ضَاحِكًا مِنْ ثَبَتِ شَبَهِي فِي أَبِي وَمِنْ حَلِفِ أَبِي عَلَيَّ فَقَالَ إِنَّ ابْنَكَ هَذَا لَا يَجْنِي عَلَيْكَ وَلَا تَجْنِي عَلَيْهِ قَالَ وَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى