পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি
২৩৫৪. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, বনী আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল যে, সে যিনা করেছে। এরপর সে নিজের বিরূদ্ধে চার বার সাক্ষ্য দিল যে, নিশ্চয় সে যিনা করেছে। ফলে তিনি তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) করার আদেশ দিলেন। আর সে ছিল বিবাহিত।[1]
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৭০; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯১ (১৬)
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০৯৪, ৪৪৪০ তে।
بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ زَنَى فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ زَنَى أَرْبَعًا فَأَمَرَ بِرَجْمِهِ وَكَانَ قَدْ أُحْصِنَ
পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি
২৩৫৫. জাবির ইবন সামুরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মায়িয ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে আনা হলো। তিনি ছিলেন বেঁটে প্রকৃতির, ইযার পরিহিত, তার গায়ে ছিল কোনো চাদর ছিল না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বামদিকে বালিশে হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর তিনি তার সাথে কথা বললেন। তবে আমি জানিনা তিনি তার সাথে কী কথা বললেন। কারণ, আমি তাঁর থেকে বেশ দূরে ছিলাম, আর আমার ও তাঁর মাঝে কয়েকজন লোক ছিল। যাহোক, এরপর তিনি বললেন, “তোমরা একে নিয়ে গিয়ে রজম করো।”
এরপর তিনি আবার বললেন: “তোমরা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসো।” অতঃপর তিনি তার সাথে কথা বললেন। আর আমি তাদের কথা শুনছিলাম। তবে (আমি জানিনা তিনি তার সাথে কী কথা বললেন।) কারণ, আর আমার ও তাঁর মাঝে কয়েকজন লোক ছিল। । যাহোক, এরপর তিনি বললেন, “তোমরা একে নিয়ে গিয়ে রজম করো।” এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং আমি তা শুনছিলাম। তিনি বললেন: “আমরা যখনই আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে বের হই তখন তাদের মধ্য হতে কেউ না কেউ পিছনে থেকে যায় এবং পাঁঠার ন্যায় আওয়ায করে বেড়ায়। সে তখন কোন নারীকে অল্পই দুধ প্রদান করে (অর্থাৎ বীর্য্য প্রদান করে তথা ব্যভিচার করে)। আল্লাহ যদি আমাকে তাদের কারো উপর ক্ষমতা প্রদান করেন, তবে নিশ্চয়ই আমি তাকে এমন শাস্তি প্রদান করবো যা (অন্যদের জন্য) দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৬৯২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৪৪৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৬ তে।
بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ عَنْ سِمَاكٍ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ سَمُرَةَ يَقُولُ أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ رَجُلٍ قَصِيرٍ فِي إِزَارٍ مَا عَلَيْهِ رِدَاءٌ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئٌ عَلَى وِسَادَةٍ عَلَى يَسَارِهِ فَكَلَّمَهُ فَمَا أَدْرِي مَا يُكَلِّمُهُ بِهِ وَأَنَا بَعِيدٌ مِنْهُ بَيْنِي وَبَيْنَهُ الْقَوْمُ ثُمَّ قَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ثُمَّ قَالَ رُدُّوهُ فَكَلَّمَهُ أَيْضًا وَأَنَا أَسْمَعُ غَيْرَ أَنَّ بَيْنِي وَبَيْنَهُ الْقَوْمَ فَقَالَ اذْهَبُوا بِهِ فَارْجُمُوهُ ثُمَّ قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَ وَأَنَا أَسْمَعُهُ ثُمَّ قَالَ كُلَّمَا نَفَرْنَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ خَلَفَ أَحَدُهُمْ لَهُ نَبِيبٌ كَنَبِيبِ التَّيْسِ يَمْنَحُ إِحْدَاهُنَّ الْكُثْبَةَ مِنْ اللَّبَنِ وَاللَّهِ لَا أَقْدِرُ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ إِلَّا نَكَّلْتُ بِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি
২৩৫৬. আবু হুরাইরা এবং যায়িদ ইবন খালিদ ও শিবলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম থেকে বর্ণিত, তারা বলেন, এক লোক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে হুকুম প্রদান করুন। তখন তার প্রতিপক্ষ অপর ব্যক্তি যে তার চেযে অধিক বুদ্ধিমান ছিল বলল, সত্যিই আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করুন। তবে এর আগে আমাকে (কথা বলার) অনুমতি প্রদান করুন, ইয়া রাসূলুল্লাহ। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ, বলো । লোকটি বললো, আমার এক ছেলে ঐ ব্যক্তির বাড়িতে চাকর ছিল। আর সে তার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যাভিচার করেছে। অতএব, আমি উহার বিনিময়ে প্রদান করলাম একশ, ছাগল ও একটি দাসী। এরপর আমি এ ব্যাপারে আলেমগণের কাছে জিজ্ঞাসা করলাম।
তখন তারা আমাকে বললেনঃ যে, আমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছর কাল নির্বাসনের হুকুম রয়েছে। আর ঐ লোকের স্ত্রীর উপর রজম (পাথর নিক্ষেপ) এর হুকুম কার্যকর হবে। তিনি তখন বললেনঃ “সেই মহান সত্তার শপথ! যার হস্তে আমার জীবন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা করে দেব। সুতরাং দাসী এবং ছাগল তুমি ফিরে পাবে। আর তোমার ছেলের উপর একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসনের হুকুম কার্যকর হবে। হে উনাইস! তুমি আগামীকাল প্রতূষ্যে ঐ মহিলার কাছে গমন করবে এবং এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করবে । যদি সে তা স্বীকার করে তবে তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ) করে হত্যা করবে।” রাবী বলেনঃ (পরদিন মহিলাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে) সে তা স্বীকার করলো।অতঃপর তিনি তাকে (মহিলাকে) পাথর মারলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, ওয়াকাত ২৩১৪, ২৩১৫; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯৭, ১৬৯৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৩৭ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৩০ তে।
بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَزَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَشِبْلٍ قَالُوا جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَنْشُدُكَ اللَّهَ إِلَّا قَضَيْتَ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ فَقَالَ خَصْمُهُ وَكَانَ أَفْقَهَ مِنْهُ صَدَقَ اقْضِ بَيْنَنَا بِكِتَابِ اللَّهِ وَأْذَنْ لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُلْ فَقَالَ إِنَّ ابْنِي كَانَ عَسِيفًا عَلَى أَهْلِ هَذَا فَزَنَى بِامْرَأَتِهِ فَافْتَدَيْتُ مِنْهُ بِمِائَةِ شَاةٍ وَخَادِمٍ وَإِنِّي سَأَلْتُ رِجَالًا مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فَأَخْبَرُونِي أَنَّ عَلَى ابْنِي جَلْدَ مِائَةٍ وَتَغْرِيبَ عَامٍ وَأَنَّ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا الرَّجْمَ فَقَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَأَقْضِيَنَّ بَيْنَكُمَا بِكِتَابِ اللَّهِ الْمِائَةُ شَاةٍ وَالْخَادِمُ رَدٌّ عَلَيْكَ وَعَلَى ابْنِكَ جَلْدُ مِائَةٍ وَتَغْرِيبُ عَامٍ وَيَا أُنَيْسُ اغْدُ عَلَى امْرَأَةِ هَذَا فَسَلْهَا فَإِنْ اعْتَرَفَتْ فَارْجُمْهَا فَاعْتَرَفَتْ فَرَجَمَهَا