পরিচ্ছেদঃ ১. তিন ব্যক্তির উপর হতে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে
২৩৩৫. আয়িশাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাথেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তিন ব্যক্তির উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে: ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়; নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। আর অধস্তন রাবী হাম্মাদ (রহ.)-এর বর্ণনায় আছে : “বিকৃতমস্তিষ্ক ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪০০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৪২ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৪৯৬ তে। এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা ৫/২৬৮; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৮/২৭৯; বাইহাকী, মাকাতীব ১০/৩১৭।
((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯৮; তিরমিযী, হুদুদ ১৪২৩; নাসাঈ, তালাক বাব ২১; ইবনু মাজাহ, তালাক ২০৪১; আহমাদ ১/১০১, ১১৮, ১৪০, ১৫৫, ১৫৮।-ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২২৯৫ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
بَاب رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ الْأَسْوَدِ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنْ الصَّغِيرِ حَتَّى يَحْتَلِمَ وَعَنْ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ وَقَدْ قَالَ حَمَّادٌ أَيْضًا وَعَنْ الْمَعْتُوهِ حَتَّى يَعْقِلَ
পরিচ্ছেদঃ ২. যার মাধ্যমে কোনো মুসলিমের রক্ত (হত্যা করা) হালাল করে
২৩৩৬. উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “এই তিনটি কারণের কোনো একটি ছাড়া কোনো মুসলিম ব্যক্তির রক্ত হালাল নয়- ইসলাম গ্রহণের পর যদি মুরতাদ হয়ে যায়; কিংবা বিবাহ করার পর যিনা করলে বা বা অন্যায়ভাবে যদি কাউকে হত্যা করে আর সে জন্য তাকে হত্যা করা হয়।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ নং ৪৩৭, ৪৫২; তার পূত্র আহমাদ, যাওয়াইদ আলাল মুসনাদ নং ৪৩৮; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৫০২; তিরমিযী, ফিতান ২১৫৯; নাসাঈ, তাহরীমুদ দাম ৭/৯১-৯২; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৩৩; তায়ালিসী, মানিহাতুল মা’বুদ ১/২৯০ নং ১৪৭২; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৮৩৬; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৫৯-১৬০; মুশকিলিল আছার ২/৩২১; ইবনু সা’দ, আত তাবাকাত ৩/১/৪৬; ইবনু আবী আসিম, আল আহাদ ওয়াল মাছানী নং ১৪৯; বাইহাকী, মুরতাদ ৮/১৯৪; আরও দেখুন, ইলালুল হাদীস নং ১৩৫১ এবং পরবর্তী হাদীসটি।
بَاب مَا يَحِلُّ بِهِ دَمُ الْمُسْلِمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ عُثْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ بِكُفْرٍ بَعْدَ إِيمَانٍ أَوْ بِزِنًى بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوْ يَقْتُلُ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ فَيُقْتَلُ
পরিচ্ছেদঃ ২. যার মাধ্যমে কোনো মুসলিমের রক্ত (হত্যা করা) হালাল করে
২৩৩৭. আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহলে তিনটি কারণের কোনো একটি কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (যথা) জানের বদলে জান, বিবাহিত ব্যভিচারী, আর নিজের দ্বীন ত্যাগকারী মুসলিম জামাআত থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ব্যক্তি।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, দিয়াত ৬৮৭৮; মুসলিম, কাসামাহ ১৬৭৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২০২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০৭, ৪৪০৮ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ১১৯ তে। এছাড়াও, তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৬০; মুশকিলিল আছার ২/৩২১; বাইহাকী, মুরতাদ ৮/১৯৪-১৯৫; ইবনু আবী শাইবা ৯/৪১৩ নং ৭৯৫০।
بَاب مَا يَحِلُّ بِهِ دَمُ الْمُسْلِمِ
حَدَّثَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَحِلُّ دَمُ رَجُلٍ يَشْهَدُ أَنَّ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا أَحَدَ ثَلَاثَةِ نَفَرٍ النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ الزَّانِي وَالتَّارِكُ لِدِينِهِ الْمُفَارِقُ لِلْجَمَاعَةِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. চুরি করার পর চোরকে তার চুরি করা মাল দান করা
২৩৩৮. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ সাফওয়ান ইবনু উমাইয়া মসজিদে (তার চাদর মাথার নীচে রেখে) ঘুমাচ্ছিলেন। এক ব্যক্তি এলো, তখনও তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। এর সে তার চাদর তার মাথার নিচ থেকে আস্তে আস্তে চুরি করলো। তিনি সেটি খেয়াল করলেন, অত:পর তিনি দৌড় দিয়ে চোরকে ধরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়ে আসলেন। এরপর বললেন: ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি মসজিদে নিদ্রিত ছিলাম। এ ব্যক্তি এসে আমার মাথার নিচ থেকে আমার চাদরটি উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং পরে আমি দৌড়ে তাকে ধরে ফেলি। তখন তিনি তার হাত কাটার আদেশ দান করলেন। তখন সাফওয়ান তাঁকে বললেনঃ ”ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার চাদরটি এর উপযোগী নয় যে, এর বিনিময়ে একজনের হাত কাটা যেতে পারে। তিনি বললেনঃ “তাকে নিয়ে আমার কাছে আসার আগে কেন একথা মনে করনি?”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কিতাবুস সারিক্ব ৮/৬৮; কুবরা নং ৭৩৬৮, ৭৩৬৯; তাবারাণী, কাবীর ৮/৫৫ নং ৭৩২৬ (সহীহ সনদে), ৭৩২৭ ও ১১/২৭০ নং ১১৩০৭; হাকিম ৪/৩৮০; হাকিম একে সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন; আহমাদ ৬/৪৬৫, ৪৬৬; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯৪; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/১৩৫; বুখারী, কাবীর ৪/৩০৪; ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৮২৮; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৬৫; মিযযী, তাহযীবুল কামাল ৭/৪১৭ হাসান সনদে; আব্দুর রাযযাক নং ১৮৯৩৯; ইবনু আবী শাইবা ১৪/২৩১ নং ১৮১৯০; সাঈদ ইবনু মানসূর, সুনান নং ২৩৫২; মালিক, হুদুদ ২৮; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৫।
আর এর মুতাবি’আত হাদীস রয়েছে মুহাম্মদ ইবনু আবী হাফসা মালিক হতে মুরসাল হিসেবে আহমাদ ৩/৪০১ ও ৬/৪৬৫; তাবারাণী, কাবীর নং ৭৩৩৮ তে যা একে শক্তিশালী করে। আল্লাহই ভাল জানেন।
بَاب السَّارِقِ يُوهَبُ مِنْهُ السَّرِقَةُ بَعْدَ مَا سَرَقَ
أَخْبَرَنَا سَعْدُ بْنُ حَفْصٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَ صَفْوَانُ بْنُ أُمَيَّةَ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَاهُ رَجُلٌ وَهُوَ نَائِمٌ فَاسْتَلَّ رِدَاءَهُ مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ فَنَبِهَ بِهِ فَلَحِقَهُ فَأَخَذَهُ فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ كُنْتُ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَانِي هَذَا فَاسْتَلَّ رِدَائِي مِنْ تَحْتِ رَأْسِي فَلَحِقْتُهُ فَأَخَذْتُهُ فَأَمَرَ بِقَطْعِهِ فَقَالَ لَهُ صَفْوَانُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ رِدَائِي لَمْ يَبْلُغْ أَنْ يُقْطَعَ فِيهِ هَذَا قَالَ فَهَلَّا قَبْلَ أَنْ تَأْتِيَنِي بِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪. কী পরিমাণ (মাল চুরির) কারণে হাত কাটা যাবে
২৩৩৯. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দীনারের চার ভাগের এক ভাগ বা এর অধিক (মূল্যের সম্পদ) চুরি করলে তাতে হাত কাটা যাবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৮৯; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৪।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৪১১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫৫, ৪৪৫৯, ৪৪৬০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ২৮১, ২৮২ তে।
بَاب مَا تُقْطَعُ فِيهِ الْيَدُ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تُقْطَعُ الْيَدُ فِي رُبْعِ دِينَارٍ فَصَاعِدًا
পরিচ্ছেদঃ ৪. কী পরিমাণ (মাল চুরির) কারণে হাত কাটা যাবে
২৩৪০. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন দিরহাম মূল্যের একটি ঢাল চুরির জন্য হাত কেটে দেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৯৫; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫৮৩৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৬১, ৪৪৬২ তে।
بَاب مَا تُقْطَعُ فِيهِ الْيَدُ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَيُّوبَ وَإِسْمَعِيلَ بْنِ أُمَيَّةَ وَعُبَيْدِ اللَّهِ وَمُوسَى بْنِ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَطَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مِجَنٍّ قِيمَتُهُ ثَلَاثَةُ دَرَاهِمَ
পরিচ্ছেদঃ ৫. শাসকের সামনে ‘হাদ্দ’ (নির্ধারিত শাস্তি)-এর ব্যাপারে সুপারিশ করা প্রসঙ্গে
২৩৪১. আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। মাখযূম গোত্রের এক নারী চুরি করে ধরা পড়লে তার বিষয়টি কুরায়শদেরকে অত্যন্ত বিচলিত করে তোলে। তারা বলাবলি করতে লাগলো যে, বিষয়টি নিয়ে কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কথা বলতে পারে? তারা বলাবলি করলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রিয়পাত্র উসামা ইবনু যায়িদ ছাড়া আর কে এমন দুঃসাহস করতে পারে? অতঃপর উসামা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “তুমি কি আল্লাহ’র নির্ধারিত হদ্দের ব্যাপারে সুপারিশ করছো?” অতঃপর তিনি দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং বললেনঃ “তোমাদের পূর্ববর্তীরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের মধ্যকার কোন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি চুরি করলে তারা তাকে ছেড়ে দিতো এবং কোন দুর্বল অসহায় ব্যক্তি চুরি করলে তাকে শাস্তি দিতো। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদের কন্যা ফাতেমাও যদি চুরি করতো, তাহলে আমি অবশ্যই তার হাতও কেটে দিতাম।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলু আসহাবিন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৩৭৩২, ৩৭৩৩; মুসলিম, হুদুদ ১৬৮৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৫৪৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪০২ তে।
بَاب فِي الشَّفَاعَةِ فِي الْحَدِّ دُونَ السُّلْطَانِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ قُرَيْشًا أَهَمَّهُمْ شَأْنُ الْمَرْأَةِ الْمَخْزُومِيَّةِ الَّتِي سَرَقَتْ فَقَالُوا مَنْ يُكَلِّمُ فِيهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالُوا وَمَنْ يَجْتَرِئُ عَلَيْهِ إِلَّا أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ حِبُّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمَهُ أُسَامَةُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَشْفَعُ فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ ثُمَّ قَامَ فَاخْتَطَبَ فَقَالَ إِنَّمَا هَلَكَ الَّذِينَ قَبْلَكُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا إِذَا سَرَقَ فِيهِمْ الشَّرِيفُ تَرَكُوهُ وَإِذَا سَرَقَ فِيهِمْ الضَّعِيفُ أَقَامُوا عَلَيْهِ الْحَدَّ وَايْمُ اللَّهِ لَوْ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ مُحَمَّدٍ سَرَقَتْ لَقَطَعْتُ يَدَهَا
পরিচ্ছেদঃ ৬. চুরির বিষয়ে স্বীকৃতিদানকারী হতে হবে
২৩৪২. আবূ উমাইয়্যা আল মাখযুমী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক চোরকে উপস্থিত করা হলে সে তার অপরাধের স্বীকারোক্তি করলো। কিন্তু তার কাছে চুরিকৃত মাল পাওয়া গেলো না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আমার তো মনে হয় না যে, তুমি চুরি করেছো।” সে বললো, হাঁ (চুরি করেছি)। তিনি আবার বললেনঃ “আমার তো মনে হয় না যে, তুমি চুরি করেছো।” সে বললো, হাঁ (চুরি করেছি)। অতঃপর তিনি বললেন: “একে নিয়ে গিয়ে তার হাত কেটে দাও এরপর তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (লোকটিকে) বললেনঃ “তুমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তাঁর কাছে তাওবা কর।” সে বললোঃ ‘‘আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তওবা করছি’’। তখন তিনি বললেনঃ ‘‘হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো। হে আল্লাহ! তুমি তার তওবা কবুল করো।”[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ২২/৩৬০ নং ৯০৫; আহমাদ ৫/২৯৩; আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৮০; নাসাঈ, কুবরা নং ৭৩৬৩; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/১৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৭; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ৩/১৬৮-১৬৯; বাইহাকী, আল মা’রিফাহ নং ১৭২২৮; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৭৬।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে হাকিম ৪/৩৮১; দারুকুতনী ৩/১০২; বাইহাকী, সারিকাহ ৮/২৭১ তে; হাকিম একে মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন এবং যাহাবী চুপ থেকেছেন।
আমরা বলছি: বরং এর রাবীগণ বুখারী মুসলিমের রাবী। আল্লাহই ভাল জানেন।
بَاب الْمُعْتَرِفِ بِالسَّرِقَةِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَبِي الْمُنْذِرِ مَوْلَى أَبِي ذَرٍّ عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ الْمَخْزُومِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِسَارِقٍ اعْتَرَفَ اعْتِرَافًا لَمْ يُوجَدْ مَعَهُ مَتَاعٌ فَقَالَ مَا إِخَالُكَ سَرَقْتَ قَالَ بَلَى قَالَ مَا إِخَالُكَ سَرَقْتَ قَالَ بَلَى قَالَ فَاذْهَبُوا فَاقْطَعُوا يَدَهُ ثُمَّ جِيئُوا بِهِ فَقَطَعُوا يَدَهُ ثُمَّ جَاءُوا بِهِ فَقَالَ اسْتَغْفِرْ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ فَقَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ اللَّهُمَّ تُبْ عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৩. রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]
তাখরীজ: তাবারাণী, কাবীর ৪/২৬০ নং ৪৩৩৯। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৮৮; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৯; নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯৩; মালিক, হুদুদ হা/৩২।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২৩০৪ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৬৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫০৫ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪১১ তে।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ أَخْبَرَهُ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৪. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮; এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি। পরের হাদীসটি দেখুন।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৫. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ عَمِّهِ وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৬. (অপর সনদে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৭; তাবারাণী, কাবীর ৪/২৬০ নং ৪৩৪০। এটি পূর্বের হাদীসের পূনরাবৃত্তি।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৭. (অপর সূত্রে) রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “ফল এবং খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”
তিনি বলেন, তা হলো খেজুর গাছের মজ্জা। আর ‘কাছর’ অর্থ মজ্জা।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ وَالثَّقَفِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي ثَمَرٍ وَلَا كَثَرٍ قَالَ وَهُوَ شَحْمُ النَّخْلِ وَالْكَثَرُ الْجُمَّارُ
পরিচ্ছেদঃ ৭. যে সকল ফল-ফলাদি চুরির কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৮. রাফি’ ইবনু খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “খেজুর গাছের মজ্জা চুরিতে হাত কাটা নেই।”[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন: আবূ উসামাহ’র মতই এ বিষয়ে (সঠিক) মত।
তাখরীজ: নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮। আগের হাদীস দেখুন।
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ فِيهِ مِنْ الثِّمَارِ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ أَبِي مَيْمُونٍ عَنْ رَافِعِ بْنِ خَدِيجٍ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا قَطْعَ فِي كَثَرٍ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْقَوْلُ مَا قَالَ أَبُو أُسَامَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৮. যে সকল চোরাই মালের কারণে হাত কাটা হবে না
২৩৪৯. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “লুণ্ঠনকারী, ছিনতাইকারী ও আত্মসাৎকারীর হাত কর্তন করা হবে না।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫৬, ৪৪৫৭, ৪৪৫৮ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫০২, ১৫০৩, ১৫০৪ তে।
((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৩৯১; তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৮; নাসাঈ, ক্বতঈস সারিক্ব ৮/৮৮-৮৯; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৯১।- ফাওয়ায আহমেদের তাহক্বীক্ব, দারেমী হা/২৩১০ এর টীকা হতে।-অনুবাদক))
بَاب مَا لَا يُقْطَعُ مِنْ السُّرَّاقِ
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ قَالَ جَابِرٌ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ عَلَى الْمُنْتَهِبِ وَلَا عَلَى الْمُخْتَلِسِ وَلَا عَلَى الْخَائِنِ قَطْعٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মদপানের হাদ্দ বা শাস্তি সম্পর্কে
২৩৫০. আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এক ব্যক্তিকে আনা হল। সে মদ পান করেছিল। তখন তিনি তাকে দুইটি খেজুর ডাল দিয়ে (প্রায় চল্লিশ) ঘা মারেন। পরবর্তীতে আবূ বাকর রাদিয়াল্লাহু আনহু ও অনুরূপ করেন। এরপর যখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু খলীফা হলেন তখন তিনি এ বিষয়ে লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। আবদুর রহমান ইবন আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সর্বনিম্ন হদ্দ হল আশি ঘা বেত মারা। তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ সংখ্যক হদ্দ কার্যকরী করেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৭৭৩; মুসলিম, হুদুদ ১৭০৬।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৮৯৪, ৩০১৫, ৩০৫৩, ৩১২৭, ৩২১৯ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৮, ৪৪৪৯, ৪৪৫০ তে।
بَاب فِي حَدِّ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِرَجُلٍ قَدْ شَرِبَ خَمْرًا فَضَرَبَهُ بِجَرِيدَتَيْنِ ثُمَّ فَعَلَ أَبُو بَكْرٍ مِثْلَ ذَلِكَ فَلَمَّا كَانَ عُمَرُ اسْتَشَارَ النَّاسَ فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ أَخَفُّ الْحُدُودِ ثَمَانِينَ قَالَ فَفَعَلَ
পরিচ্ছেদঃ ৯. মদপানের হাদ্দ বা শাস্তি সম্পর্কে
২৩৫১. হুসাইন ইবনুল মুনযির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় ওয়ালিদ ইবনু উকবাকে আনা হলো। (সাক্ষ্য-প্রমাণে তার মদ্যপানের অপরাধ প্রমাণিত হলে তিনি ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে তার উপর হদ্দ কার্যকর করতে বলেন।) তখন ‘আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মদ্যপকে) চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন, আবূ বাকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও চল্লিশ বেত্রাঘাত করেছেন এবং উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আশি বেত্রাঘাত করেছেন। এ সবই সুন্নাত।”[1]
তাখরীজ: মুসলিম, হুদুদ ১৭০৭।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫০৪, ৪৯৮ তে।
بَاب فِي حَدِّ الْخَمْرِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الْمُخْتَارِ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ الدَّانَاجُ حَدَّثَنَا حُضَيْنُ بْنُ الْمُنْذِرِ الرَّقَاشِيُّ قَالَ شَهِدْتُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ وَأُتِيَ بِالْوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ فَقَالَ عَلِيٌّ جَلَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِينَ وَجَلَدَ أَبُو بَكْرٍ أَرْبَعِينَ وَعُمَرُ ثَمَانِينَ وَكُلٌّ سُنَّةٌ
পরিচ্ছেদঃ ১০. মদপান কারীকে যখন চতুর্থবার নিয়ে আসা হবে
২৩৫২. আমর ইবনু শারীদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “তোমাদের কেউ মদপান করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে পুনরায় বেত্রাঘাত করো, সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। এরপর সে চতুর্থবার মাদক গ্রহণ করলে তাকে হত্যা করো।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ৫৩০১; তাবারাণী, কাবীর ৭/৩১৭ নং ৭২৪৪; আহমাদ ৪/৩৮৮-৩৮৯; হাকিম ৪/৩৭২; হাকিম বলেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ..।’ এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আমরা বলছি: হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী নয়; আর এর সনদ মোটেও সহীহ নয়।
তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৭ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৭ তে। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৪৮৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭২ (আলবানী (রহঃ) একে সহীহ বলেছেন); আহমাদ ৭৭০৪, ৭৮৫১, ১০১৬৯, ১০৩৫১।-অনুবাদক))
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে মু’আবি’য়া ইবনু আবু সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৬৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৯ তে। ((তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭৩ ,আলবানীর তাহক্বীক্বে হাদীসটি হাসান।-অনুবাদক))
بَاب فِي شَارِبِ الْخَمْرِ إِذَا أُتِيَ بِهِ الرَّابِعَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُ
পরিচ্ছেদঃ ১১. অন্যান্য পাপের ক্ষেত্রে তিরস্কার বা শাসনমুলক শাস্তির পরিমাণ
২৩৫৩. আবূ বুরদা ইবনু নিয়ার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “আল্লাহর নির্দিষ্ট হাদ্দসমূহের কোন হাদ্দ ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে দশ বেত্রাঘাতের বেশি দন্ড দেয়া যাবে না।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, হুদুদ ৬৮৪৮; মুসলিম, হুদুদ ১৭০৮।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৫২, ৪৪৫৩ তে।
بَاب التَّعْزِيرِ فِي الذُّنُوبِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ هُوَ ابْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَشَجِّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ هُوَ ابْنُ جَابِرٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ نِيَارٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحِلُّ لِأَحَدٍ أَنْ يَضْرِبَ أَحَدًا فَوْقَ عَشَرَةِ أَسْوَاطٍ إِلَّا فِي حَدٍّ مِنْ حُدُودِ اللَّهِ
পরিচ্ছেদঃ ১২. (যিনাকারী কর্তৃক) যিনার স্বীকারোক্তি
২৩৫৪. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, বনী আসলাম গোত্রের এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল যে, সে যিনা করেছে। এরপর সে নিজের বিরূদ্ধে চার বার সাক্ষ্য দিল যে, নিশ্চয় সে যিনা করেছে। ফলে তিনি তাকে রজম (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) করার আদেশ দিলেন। আর সে ছিল বিবাহিত।[1]
তাখরীজ: বুখারী, নিকাহ ৫২৭০; মুসলিম, হুদুদ ১৬৯১ (১৬)
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০৯৪, ৪৪৪০ তে।
بَاب الِاعْتِرَافِ بِالزِّنَا
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي ابْنُ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَجُلًا مِنْ أَسْلَمَ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَدَّثَهُ أَنَّهُ زَنَى فَشَهِدَ عَلَى نَفْسِهِ أَنَّهُ زَنَى أَرْبَعًا فَأَمَرَ بِرَجْمِهِ وَكَانَ قَدْ أُحْصِنَ