পরিচ্ছেদঃ ২৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ পালন
১৮৭৩. আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাছ’আম গোত্রের এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, ইসলাম আমার পিতার নিকট (এর ফরয হাক্ক সহ) পৌঁছে গেছে। আমার পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ। তিনি বাহনে আরোহন করতে সক্ষম নন। আর তার উপর হাজ্জ ফরয হয়েছে। এমতাবস্থায় আমি কি আমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করতে পারি?
তিনি বলেনঃ “তুমি কি তার সবচেয়ে বড়সন্তান?” সে বললো: হাঁ। তিনি বললেন: “আচ্ছা, তোমার পিতার দায়িত্বে কোন ঋণ থাকতো, আর তুমি যদি তা পরিশোধ করতে, তবে সেটি তার পক্ষ হতে আদায় হয়ে যেতো কি-না?” সে বললো, হাঁ। তিনি বললেন: “অতএব, তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হজ্জ করো।”[1]
তাখরীজ: আবূ ইয়ালা মাউসিলী নং ৬৮১৩; বাইহাকী, হাজ্জ ৪/৩২৯; তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২২১ জাইয়্যেদ সনদে। ((নাসাঈ, হাজ্জ, ৫/১১৭-১১৮; আহমাদ ৫/৪।- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৮৩৬ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))
এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা মুসনাদুল মাউসিলী তে। এছাড়া, ইবনু আবী শাইবা ১/৪/৪৪১।
بَاب الْحَجِّ عَنْ الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ يُوسُفَ بْنِ الزُّبَيْرِ مَوْلًى لِآلِ الْزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ خَثْعَمَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ أَبِي أَدْرَكَهُ الْإِسْلَامُ وَهُوَ شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ رُكُوبَ الرَّحْلِ وَالْحَجُّ مَكْتُوبٌ عَلَيْهِ أَفَأَحُجُّ عَنْهُ قَالَ أَنْتَ أَكْبَرُ وَلَدِهِ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكَ دَيْنٌ فَقَضَيْتَهُ عَنْهُ أَكَانَ ذَلِكَ يُجْزِئُ عَنْهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَاحْجُجْ عَنْهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৪. মৃত ব্যক্তির পক্ষ হতে হজ্জ পালন
১৮৭৪. সাওদা বিনতে যাম’আহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, আমার পিতা অতি বৃদ্ধ মানুষ। তিনি হাজ্জ সম্পাদন করতে সক্ষম নন। তিনি বললেন: আচ্ছা, যদি তোমার পিতার কোন ঋণ থাকতো, আর তুমি তা পরিশোধ করতে, তবে তা কবুল করা হতো কি-না? সেবললো, হাঁ।
তিনি বললেন: আল্লাহ হলেন সর্বাধিক দয়াশীল! তুমি তোমার পিতার পক্ষ থেকে হাজ্জ করো।”[1]
তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ৩/২২১; ((আহমাদ; তাবারাণী, আল কাবীর, বাইহাকী; হাইছামী বলেন: এর রাবীগণ বিশ্বস্ত।’-- ফাওয়ায আহমেদের দারেমী হা/১৮৩৭ এর টীকা হতে।– অনুবাদক))
এর তাখরীজ দিয়েছি আমরা মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৮১৮ ও মাযমাউয যাওয়াইদ নং ৫৭৫৬ তে।
بَاب الْحَجِّ عَنْ الْمَيِّتِ
أَخْبَرَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ هُوَ ابْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ مَوْلَى ابْنِ الزُّبَيْرِ يُقَالُ لَهُ يُوسُفُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَوْ الزُّبَيْرُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ قَالَتْ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَحُجَّ قَالَ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ عَلَى أَبِيكَ دَيْنٌ فَقَضَيْتَهُ عَنْهُ قُبِلَ مِنْهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ اللَّهُ أَرْحَمُ حُجَّ عَنْ أَبِيكَ