পরিচ্ছেদঃ ৮০। নবী করীম (ﷺ) এর উপর মিথ্যারোপ করার গুনাহ
১০৮। আবুল ওয়ালিদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আমার পিতা যুবাইরকে বললামঃ আমি তো আপনাকে অমুক অমুকের ন্যায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদিস বর্ণনা করতে শুনি না। তিনি বললেনঃ জেনে রাখ, আমি তাঁর থেকে দূরে থাকিনি, কিন্তু (হাদিস বর্ণনা করি না এজন্য যে) আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যে আমার উপর মিথ্যারোপ করবে সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।
باب إِثْمِ مَنْ كَذَبَ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ إِنِّي لاَ أَسْمَعُكَ تُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا يُحَدِّثُ فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ. قَالَ أَمَا إِنِّي لَمْ أُفَارِقْهُ وَلَكِنْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ " مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ
The sin of a person who tells a lie against the Prophet (saws)
Narrated `Abdullah bin Az-Zubair:
I said to my father, 'I do not hear from you any narration (Hadith) of Allah s Apostle as I hear (his narration) from so and so?" Az-Zubair replied. l was always with him (the Prophet) and I heard him saying "Whoever tells a lie against me (intentionally) then (surely) let him occupy, his seat in Hellfire.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৭১. নদী-নালায় বাঁধ দেওয়া
২২০৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক আনসারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে যুবাইর (রাঃ) এর সঙ্গে হাররার নালার পানির ব্যাপারে ঝগড়া করলো, যে পানি দ্বারা খেজুর বাগান সিঞ্চন করত। আনসারী বলল, নালার পানি ছেড়ে দিন, যাতে তা (প্রবাহিত থাকে) কিন্তু যুবাইর (রাঃ) তা দিতে অস্বীকার করেন। তারা দুজনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে এই নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইর (রাঃ) কে বললেন, হে যুবাইর! তোমার যমীনে (প্রথমে) সিঞ্চন করে নেও। এরপর তোমার প্রতিবেশীর দিকে পানি ছেড়ে দাও।
এতে আনসারী অসন্তুষ্ট হয়ে বলল, সে তো আপনার কুফাত ভাই। এতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারায় অসন্তুষ্টির লক্ষণ প্রকাশ পেল। এরপর তিনি বললেন, হে যুবাইর! তুমি নিজের জমি সিঞ্চন কর। এরপর পানি আটকিয়ে রাখ, যাতে তা বাঁধ পর্যন্ত পেৌছে। যুবাইর (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমার মনে হয়, এ আয়াতটি এ সম্পর্কে নাযিল হয়েছেঃ (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ) কিন্তু না, তোমার রবের কসম! তারা মু’মিন হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পণ না করে (৪ঃ ৬৫)।
باب سَكْرِ الأَنْهَارِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ، فَاخْتَصَمَا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ، ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاء إِلَى جَارِكَ ". فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ، فَقَالَ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ. فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ، ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ، حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ ". فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ).
Narrated `Abdullah bin Az-Zubair:
An Ansari man quarreled with Az-Zubair in the presence of the Prophet (ﷺ) about the Harra Canals which were used for irrigating the date-palms. The Ansari man said to Az-Zubair, "Let the water pass' but Az-Zubair refused to do so. So, the case was brought before the Prophet (ﷺ) who said to Az-Zubair, "O Zubair! Irrigate (your land) and then let the water pass to your neighbor." On that the Ansari got angry and said to the Prophet, "Is it because he (i.e. Zubair) is your aunt's son?" On that the color of the face of Allah's Messenger (ﷺ) changed (because of anger) and he said, "O Zubair! Irrigate (your land) and then withhold the water till it reaches the walls between the pits round the trees." Zubair said, "By Allah, I think that the following verse was revealed on this occasion": "But no, by your Lord They can have No faith Until they make you judge In all disputes between them." (4.65)
পরিচ্ছেদঃ ১৯৫৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ইসলামী শাসকদের সঙ্গী হয়ে যুদ্ধ অংশ গ্রহণকারী যোদ্ধাদের সম্পদ, জীবনে ও মৃত্যুর পরে যে বরকত সৃষ্টি হয়েছে
২৯০৯। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উষ্ট্রযুদ্ধের দিন যুবায়র (রাঃ) যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গ্রহণ করে আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে বললেন, হে পুত্র! আজকের দিন জালিম অথবা মাজলুম ব্যতীত কেউ নিহত হবে না। আমার মনে হয়, আমি আজ মাজলুম হিসেবে নিহত হব। আর আমি আমার ঋণ সম্পর্কে বেশি চিন্তিত। তুমি কি মনে কর যে, আমার ঋণ আদায় করার পর আমার সম্পদে কিছু অবশিষ্ট থাকবে? তারপর তিনি বললেন, হে পুত্র! আমার সম্পদ বিক্রয় করে আমার ঋন পরিশোধ করে দিও। তিনি এক তৃতীয়াংশের ওসীয়্যাত করেন। আর সেই এক তৃতীয়াংশের এক তৃতীয়াংশ ওসীয়াত করেন। তাঁর (আবদুল্লাহ ইবন যুবায়রের) পুত্রদের জন্য তাঁর অর্থাৎ আবদুল্লাহ, তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশকে এক তৃতীয়াংশে বিভক্ত করবে ঋণ পরিশোধ করার পর যদি আমার সম্পদের কিছু উদ্ধৃত্ত থাকে, তবে তার এক তৃতীয়াংশ তোমার পুত্রদের জন্য।
হিশাম (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর কোন কোন পুত্র যুবায়র (রাঃ)-এর পুত্রদের সমবয়সী ছিলেন। যেমন খুবায়েদ ও আব্বাদ। আর মৃত্যুকালে তাঁর নয় পুত্র ও নয় কন্যা ছিল। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, তিনি আমাকে তাঁর ঋণ সম্পর্কে ওসীয়্যাত করেছিলেন এবং বলেছিলেন, হে পুত্র! যদি এ সবের কোন বিষয়ে তুমি অক্ষম হও, তবে এ ব্যাপারে আমার মাওলার সাহায্য চাইবে। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি বুঝে উঠতে পারি নি যে, তিনি মাওলা দ্বারা কাকে উদ্দেশ্য করেছেন। অবশেষে আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে পিতা! আপনার মাওলা কে? তিনি উত্তর দিলেন, আল্লাহ। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি যখনই তাঁর ঋণ আদায়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি, তখনই বলেছি, হে যুবায়রের মাওলা! তাঁর পক্ষ থেকে তাঁর ঋণ আদায় করে দিন। আর তাঁর কর্য শোধ হয়ে যেত।
এরপর যুবায়র (রাঃ) শহীদ হলেন এবং তিনি নগদ কোন দ্বীনার রেখে যাননি আর না কোন দিরহাম। তিনি কিছু জমি রেখে যান যার মধ্যে একটি হল গাবা। আরো রেখে যান মদিনায় এগারোটি বাড়ী, বসরায় দু’টি, কূফায় একটি ও মিসরে একটি। আবূদল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, যুবায়র (রাঃ)-এর ঋণ থাকার কারণ এই ছিল যে, তাঁর নিকট কেউ যখন কোন মাল আমানত রাখতে আসতো তখন যুবায়র (রাঃ) বলতেন, না, এভাবে নয়’ তুমি তা আমার কাছে ঋণ হিসাবে রেখে যাও। কেননা, আমি ভয় করছি যে, তোমার মাল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। যুবায়র (রাঃ) কখনো কোন প্রশাসনিক ক্ষমতা বা কর আদায়কারী অথবা অন্য কোন কাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেননি। অবশ্যই তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গী হয়ে অথবা আবূ বকর, উমর ও উসমান (রাঃ) এর সঙ্গী হয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, তারপর আমি তাঁর ঋণের পরিমাণ হিসাব করলাম এবং দেখলাম তাঁর ঋণের পরিমাণ বাইশ লাখ পেলাম। রাবী বলেন, সাহাবী হাকিম ইবনু হিযাম (রাঃ) আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাত করে বলেন, হে ভাতিজা। বল তো আমার ভাইয়ের কত ঋণ আছে? তিনি তা প্রকাশ না করে বললেন, এক লাখ। তখন হাকিম ইবনু হিযাম (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! এ সম্পদ দ্বারা এ পরিমাণ ঋণ শোধ হতে পারে, আমি এরূপ মনে করি না। তখন আবূদল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাকে বললেন, যদি ঋণের পরিমাণ বাইশ লাখ হয়, তবে কি ধারণা করেন? হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি না যে, তোমরা এ সামর্থ রাখ। যদি তোমরা এ বিষয়ে সক্ষম হও, তবে আমার সহযোগীতা গ্রহণ করবে।
আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, যুবায়র (রাঃ) গাবাস্থিত ভূমিটি এক লাখ সত্তর হাজারে কিনেছিলেন। আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তা ষোল লাখের বিনিময়ে বিক্রয় করেন। আর দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, যুবায়র (রাঃ)-এর নিকট কারা পাওনাদার রয়েছে, তারা আমার সঙ্গে গাবায় এসে মিলিত হবে। তখন আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাঃ) তাঁর নিকট এলেন। যুবায়র (রাঃ) এর নিকট তাঁর চার লাখ পাওনা ছিল। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ)-কে বললেন, তোমরা চাইলে আমি তা তোমাদের জন্য ছেড়ে দিব। আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, না। আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাঃ) বললেন, যদি তোমরা তা পরে দিতে চাও, তবে তা পরে পরিশোধের অন্তর্ভুক্ত করতে পার। আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, না। তখন আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাঃ) বললেন, তবে আমাকে এক টুকরা ভূমি দাও। আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, এখান থেকে ওখান পর্যন্ত জমি আপনার।
রাবী বলেন, তারপর আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) গাবার জমি থেকে বিক্রয় করে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করেন। তখনও তাঁর নিকট গাবার জমির সাড়ে চার অংশ অবশিষ্ট থেকে যায়। তারপর তিনি মু’আবিয়া (রাঃ)-এর কাছে এলেন। সে সময় তাঁর কাছে আমর ইবনু উসমান, মুনযির ইবনু যুবায়র ও আবদুল্লাহ ইবনু যামআ (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। মু’আবিয়া (রাঃ) তাঁকে বললেন, গাবার মূল্য কত নির্ধারিত হয়েছে? তিনি বললেন, প্রত্যেক অংশ এক লাখ হারে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কত অবশিষ্ট আছে? আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, সাড়ে চার অংশ। তখন মুনযির ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, আমি এক অংশ এক লাখে নিলাম। আমর ইবনু উসমান (রাঃ) বললেন, আমি একাংশ এক লাখে নিলাম। আর আবদুল্লাহ ইবনু যামআ (রাঃ) বললেন, আমি একাংশ এক লাখে নিলাম। তখন মু’আবিয়া (রাঃ) বললেন, আর কি পরিমাণ অবশিষ্ট আছে? আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, দেড় অংশ অবশিষ্ট রয়েছে। মু’আবিয়া (রাঃ) বললেন, আমি তা দেড় লাখে নিলাম।
রাবী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রাঃ) তাঁর অংশ মু’আবিয়া (রাঃ)-এর নিকট ছয় লাখে বিক্রয় করেন। তারপর যখন ইবনু যুবায়র (রাঃ) তাঁর পিতার ঋণ পরিশোধ করে সারলেন, তখন যুবায়র (রাঃ) এর পুত্ররা বললেন, আমাদের মীরাস ভাগ করে দিন। তখন আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের মাঝে ভাগ করব না, যতক্ষণ আমি চারটি হাজ্জ (হজ্জ) মৌসুমে এ ঘোষণা প্রচার না করি যে, যদি কেউ যুবায়র (রাঃ) এর কাছে ঋণ পাওনা থাকে, সে যেন আমাদের কাছে আসে, আমরা তা পরিশোধ করব। রাবী বলেন, তিনি প্রতি হাজ্জের (হজ্জ) মৌসুমে ঘোষণা প্রচার করেন। তারপর যখন চার বছর অতিবাহিত হল, তখন তিনি তা তাদের মধ্যে ভাগ করে দিলেন। রাবী বলেন, যুবায়র (রাঃ)-এর চার স্ত্রী ছিলেন। এক তৃতীয়াংশ পৃথক করে রাখা হল। প্রত্যেক স্ত্রী বার লাখ করে পেলেন। আর যুবায়র (রাঃ) এর মোট সম্পত্তি পাঁচ কোটি দু’লাখ ছিল
باب بَرَكَةِ الْغَازِي فِي مَالِهِ حَيًّا وَمَيِّتًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَوُلاَةِ الأَمْرِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ قُلْتُ لأَبِي أُسَامَةَ أَحَدَّثَكُمْ هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ لَمَّا وَقَفَ الزُّبَيْرُ يَوْمَ الْجَمَلِ دَعَانِي، فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَقَالَ يَا بُنَىِّ، إِنَّهُ لاَ يُقْتَلُ الْيَوْمَ إِلاَّ ظَالِمٌ أَوْ مَظْلُومٌ، وَإِنِّي لاَ أُرَانِي إِلاَّ سَأُقْتَلُ الْيَوْمَ مَظْلُومًا، وَإِنَّ مِنْ أَكْبَرِ هَمِّي لَدَيْنِي، أَفَتُرَى يُبْقِي دَيْنُنَا مِنْ مَالِنَا شَيْئًا فَقَالَ يَا بُنَىِّ بِعْ مَالَنَا فَاقْضِ دَيْنِي. وَأَوْصَى بِالثُّلُثِ، وَثُلُثِهِ لِبَنِيهِ، يَعْنِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ يَقُولُ ثُلُثُ الثُّلُثِ، فَإِنْ فَضَلَ مِنْ مَالِنَا فَضْلٌ بَعْدَ قَضَاءِ الدَّيْنِ شَىْءٌ فَثُلُثُهُ لِوَلَدِكَ. قَالَ هِشَامٌ وَكَانَ بَعْضُ وَلَدِ عَبْدِ اللَّهِ قَدْ وَازَى بَعْضَ بَنِي الزُّبَيْرِ خُبَيْبٌ وَعَبَّادٌ، وَلَهُ يَوْمَئِذٍ تِسْعَةُ بَنِينَ وَتِسْعُ بَنَاتٍ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ فَجَعَلَ يُوصِينِي بِدَيْنِهِ وَيَقُولُ يَا بُنَىِّ، إِنْ عَجَزْتَ عَنْهُ فِي شَىْءٍ فَاسْتَعِنْ عَلَيْهِ مَوْلاَىَ. قَالَ فَوَاللَّهِ مَا دَرَيْتُ مَا أَرَادَ حَتَّى قُلْتُ يَا أَبَتِ مَنْ مَوْلاَكَ قَالَ اللَّهُ. قَالَ فَوَاللَّهِ مَا وَقَعْتُ فِي كُرْبَةٍ مِنْ دَيْنِهِ إِلاَّ قُلْتُ يَا مَوْلَى الزُّبَيْرِ، اقْضِ عَنْهُ دَيْنَهُ. فَيَقْضِيهِ، فَقُتِلَ الزُّبَيْرُ ـ رضى الله عنه ـ وَلَمْ يَدَعْ دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا، إِلاَّ أَرَضِينَ مِنْهَا الْغَابَةُ، وَإِحْدَى عَشْرَةَ دَارًا بِالْمَدِينَةِ، وَدَارَيْنِ بِالْبَصْرَةِ، وَدَارًا بِالْكُوفَةِ، وَدَارًا بِمِصْرَ. قَالَ وَإِنَّمَا كَانَ دَيْنُهُ الَّذِي عَلَيْهِ أَنَّ الرَّجُلَ كَانَ يَأْتِيهِ بِالْمَالِ فَيَسْتَوْدِعُهُ إِيَّاهُ فَيَقُولُ الزُّبَيْرُ لاَ وَلَكِنَّهُ سَلَفٌ، فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْهِ الضَّيْعَةَ، وَمَا وَلِيَ إِمَارَةً قَطُّ وَلاَ جِبَايَةَ خَرَاجٍ وَلاَ شَيْئًا، إِلاَّ أَنْ يَكُونَ فِي غَزْوَةٍ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ مَعَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ ـ رضى الله عنهم ـ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ فَحَسَبْتُ مَا عَلَيْهِ مِنَ الدَّيْنِ فَوَجَدْتُهُ أَلْفَىْ أَلْفٍ وَمِائَتَىْ أَلْفٍ قَالَ فَلَقِيَ حَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ يَا ابْنَ أَخِي، كَمْ عَلَى أَخِي مِنَ الدَّيْنِ فَكَتَمَهُ. فَقَالَ مِائَةُ أَلْفٍ. فَقَالَ حَكِيمٌ وَاللَّهِ مَا أُرَى أَمْوَالَكُمْ تَسَعُ لِهَذِهِ. فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ أَفَرَأَيْتَكَ إِنْ كَانَتْ أَلْفَىْ أَلْفٍ وَمِائَتَىْ أَلْفٍ قَالَ مَا أُرَاكُمْ تُطِيقُونَ هَذَا، فَإِنْ عَجَزْتُمْ عَنْ شَىْءٍ مِنْهُ فَاسْتَعِينُوا بِي. قَالَ وَكَانَ الزُّبَيْرُ اشْتَرَى الْغَابَةَ بِسَبْعِينَ وَمِائَةِ أَلْفٍ، فَبَاعَهَا عَبْدُ اللَّهِ بِأَلْفِ أَلْفٍ وَسِتِّمِائَةِ أَلْفٍ ثُمَّ قَامَ فَقَالَ مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيْرِ حَقٌّ فَلْيُوَافِنَا بِالْغَابَةِ، فَأَتَاهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، وَكَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيْرِ أَرْبَعُمِائَةِ أَلْفٍ فَقَالَ لِعَبْدِ اللَّهِ إِنْ شِئْتُمْ تَرَكْتُهَا لَكُمْ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ. قَالَ فَإِنْ شِئْتُمْ جَعَلْتُمُوهَا فِيمَا تُؤَخِّرُونَ إِنْ أَخَّرْتُمْ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ. قَالَ قَالَ فَاقْطَعُوا لِي قِطْعَةً. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَكَ مِنْ هَا هُنَا إِلَى هَا هُنَا. قَالَ فَبَاعَ مِنْهَا فَقَضَى دَيْنَهُ فَأَوْفَاهُ، وَبَقِيَ مِنْهَا أَرْبَعَةُ أَسْهُمٍ وَنِصْفٌ، فَقَدِمَ عَلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ وَالْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَابْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ لَهُ مُعَاوِيَةُ كَمْ قُوِّمَتِ الْغَابَةُ قَالَ كُلُّ سَهْمٍ مِائَةَ أَلْفٍ. قَالَ كَمْ بَقِيَ قَالَ أَرْبَعَةُ أَسْهُمٍ وَنِصْفٌ. قَالَ الْمُنْذِرُ بْنُ الزُّبَيْرِ قَدْ أَخَذْتُ سَهْمًا بِمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ عَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ قَدْ أَخَذْتُ سَهْمًا بِمِائَةِ أَلْفٍ. وَقَالَ ابْنُ زَمْعَةَ قَدْ أَخَذْتُ سَهْمًا بِمِائَةِ أَلْفٍ. فَقَالَ مُعَاوِيَةُ كَمْ بَقِيَ فَقَالَ سَهْمٌ وَنِصْفٌ. قَالَ أَخَذْتُهُ بِخَمْسِينَ وَمِائَةِ أَلْفٍ. قَالَ وَبَاعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ نَصِيبَهُ مِنْ مُعَاوِيَةَ بِسِتِّمِائَةِ أَلْفٍ، فَلَمَّا فَرَغَ ابْنُ الزُّبَيْرِ مِنْ قَضَاءِ دَيْنِهِ قَالَ بَنُو الزُّبَيْرِ اقْسِمْ بَيْنَنَا مِيرَاثَنَا. قَالَ لاَ، وَاللَّهِ لاَ أَقْسِمُ بَيْنَكُمْ حَتَّى أُنَادِيَ بِالْمَوْسِمِ أَرْبَعَ سِنِينَ أَلاَ مَنْ كَانَ لَهُ عَلَى الزُّبَيْرِ دَيْنٌ فَلْيَأْتِنَا فَلْنَقْضِهِ. قَالَ فَجَعَلَ كَلَّ سَنَةٍ يُنَادِي بِالْمَوْسِمِ، فَلَمَّا مَضَى أَرْبَعُ سِنِينَ قَسَمَ بَيْنَهُمْ قَالَ فَكَانَ لِلزُّبَيْرِ أَرْبَعُ نِسْوَةٍ، وَرَفَعَ الثُّلُثَ، فَأَصَابَ كُلَّ امْرَأَةٍ أَلْفُ أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفٍ، فَجَمِيعُ مَالِهِ خَمْسُونَ أَلْفَ أَلْفٍ وَمِائَتَا أَلْفٍ.
Narrated `Abdullah bin Az-Zubair:
When Az-Zubair got up during the battle of Al-Jamal, he called me and I stood up beside him, and he said to me, "O my son! Today one will be killed either as an oppressor or as an oppressed one. I see that I will be killed as an oppressed one. My biggest worry is my debts. Do you think, if we pay the debts, there will be something left for us from our money?" Az-Zubair added, "O my son! Sell our property and pay my debts." Az-Zubair then willed one-third of his property and willed one-third of that portion to his sons; namely, `Abdullah's sons. He said, "One-third of the one third. If any property is left after the payment of the debts, one-third (of the one-third of what is left) is to be given to your sons." (Hisham, a sub-narrator added, "Some of the sons of `Abdullah were equal in age to the sons of Az-Zubair e.g. Khubaib and `Abbas. `Abdullah had nine sons and nine daughters at that time." (The narrator `Abdullah added:) My father (Az-Zubair) went on drawing my attention to his debts saying, "If you should fail to pay part of the debts, appeal to my Master to help you." By Allah! I could not understand what he meant till I asked, "O father! Who is your Master?" He replied, "Allah (is my Master)." By Allah, whenever I had any difficulty regarding his debts, I would say, "Master of Az-Zubair! Pay his debts on his behalf ." and Allah would (help me to) pay it. Az-Zubair was martyred leaving no Dinar or Dirham but two pieces of land, one of which was (called) Al-Ghaba, and eleven houses in Medina, two in Basra, one in Kufa and one in Egypt. In fact, the source of the debt which he owed was, that if somebody brought some money to deposit with him. Az-Zubair would say, "No, (i won't keep it as a trust), but I take it as a debt, for I am afraid it might be lost." Az-Zubair was never appointed governor or collector of the tax of Kharaj or any other similar thing, but he collected his wealth (from the war booty he gained) during the holy battles he took part in, in the company of the Prophet, Abu Bakr, `Umar, and `Uthman. (`Abdullah bin Az-Zubair added:) When I counted his debt, it turned to be two million and two hundred thousand. (The sub-narrator added:) Hakim bin Hizam met `Abdullah bin Zubair and asked, "O my nephew! How much is the debt of my brother?" `Abdullah kept it as a secret and said, "One hundred thousand," Hakim said, "By Allah! I don't think your property will cover it." On that `Abdullah said to him, "What if it is two million and two hundred thousand?" Hakim said, "I don't think you can pay it; so if you are unable to pay all of it, I will help you." Az- Zubair had already bought Al-Ghaba for one hundred and seventy thousand. `Abdullah sold it for one million and six hundred thousand. Then he called the people saying, "Any person who has any money claim on Az-Zubair should come to us in Al-Ghaba." There came to him `Abdullah bin Ja`far whom Az-Zubair owed four hundred thousand. He said to `Abdullah bin Az-Zubair, "If you wish I will forgive you the debt." `Abdullah (bin Az-Zubair) said, "No." Then Ibn Ja`far said, "If you wish you can defer the payment if you should defer the payment of any debt." Ibn Az-Zubair said, "No." `Abdullah bin Ja`far said, "Give me a piece of the land." `Abdullah bin AzZubair said (to him), "Yours is the land extending from this place to this place." So, `Abdullah bin Az-Zubair sold some of the property (including the houses) and paid his debt perfectly, retaining four and a half shares from the land (i.e. Al-Ghaba). He then went to Mu'awlya while `Amr bin `Uthman, Al-Mundhir bin Az- Zubair and Ibn Zam`a were sitting with him. Mu'awiya asked, "At what price have you appraised Al- Ghaba?" He said, "One hundred thousand for each share," Muawiya asked, "How many shares have been left?" `Abdullah replied, "Four and a half shares." Al-Mundhir bin Az-Zubair said, "I would like to buy one share for one hundred thousand." `Amr bin `Uthman said, "I would like to buy one share for one hundred thousand." Ibn Zam`a said, "I would like to buy one share for one hundred thousand." Muawiya said, "How much is left now?" `Abdullah replied, "One share and a half." Muawiya said, "I would like to buy it for one hundred and fifty thousand." `Abdullah also sold his part to Muawiya six hundred thousand. When Ibn AzZubair had paid all the debts. Az-Zubair's sons said to him, "Distribute our inheritance among us." He said, "No, by Allah, I will not distribute it among you till I announce in four successive Hajj seasons, 'Would those who have money claims on Az-Zubair come so that we may pay them their debt." So, he started to announce that in public in every Hajj season, and when four years had elapsed, he distributed the inheritance among the inheritors. Az-Zubair had four wives, and after the one-third of his property was excluded (according to the will), each of his wives received one million and two hundred thousand. So the total amount of his property was fifty million and two hundred thousand.
পরিচ্ছেদঃ ২০৯২. যুবাইর ইবন আওয়াম (রাঃ) এর মর্যাদা। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, তিনি নবী (সাঃ) এর হাওয়ারী ছিলেন। (বিশেষ সাহায্যকারী) (কুরআন মাজীদে উল্লেখিত) হাওয়ারীকে তাদের কাপড় সাদা হওয়ার কারনে এই নামকরণ করা হয়েছে
৩৪৫৩। আহমদ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন খন্দক যুদ্ধ চলাকালে আমি এবং উমর ইবনু আবূ সালামা (স্বল্প বয়সের কারণে) মহিলাদের দলে চলছিলাম। হঠাৎ (আমার পিতা) যুবায়েরকে দেখতে পেলাম যে, তিনি অশ্বারোহণ করে বনী কুরায়যা গোত্রের দিকে দু’বার অথবা তিন বার আসা যাওয়া করেছেন। যখন ফিরে আসলাম তখন বললাম, হে আব্বা আমি আপনাকে (বনী কুরায়যার দিকে) কয়েকবার যাতায়াত করতে দেখেছি। তিনি বললেন, হে প্রিয় পুত্র, তুমি কি আমাকে দেখতে পেয়েছিলে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন কে বনী কুরায়যা গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের খবরা-খবর জেনে আসবে? তখন (সে কাজে) আমিই গিয়েছিলাম। (সংবাদ নিয়ে) যখন আমি ফিরে আসলাম তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য তাঁর মাতা-পিতাকে একত্র করে বললেন, আমার মাতা-পিতা তোমার জন্য কুরবান হোক।
باب مَنَاقِبُ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ هُوَ حَوَارِيُّ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسُمِّيَ الْحَوَارِيُّونَ لِبَيَاضِ ثِيَابِهِمْ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا (عَبْدُ اللَّهِ) أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ كُنْتُ يَوْمَ الأَحْزَابِ جُعِلْتُ أَنَا وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، فِي النِّسَاءِ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِالزُّبَيْرِ، عَلَى فَرَسِهِ، يَخْتَلِفُ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا، فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ يَا أَبَتِ، رَأَيْتُكَ تَخْتَلِفُ. قَالَ أَوَهَلْ رَأَيْتَنِي يَا بُنَىَّ قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يَأْتِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَيَأْتِينِي بِخَبَرِهِمْ ". فَانْطَلَقْتُ، فَلَمَّا رَجَعْتُ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ " فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي ".
Narrated `Abdullah bin Az-Zubair:
During the battle of Al-Ahzab, I and `Umar bin Abi-Salama were kept behind with the women. Behold! I saw (my father) Az-Zubair riding his horse, going to and coming from Bani Quraiza twice or thrice. So when I came back I said, "O my father! I saw you going to and coming from Bani Quraiza?" He said, "Did you really see me, O my son?" I said, "Yes." He said, "Allah's Messenger (ﷺ) said, 'Who will go to Bani Quraiza and bring me their news?' So I went, and when I came back, Allah's Apostle mentioned for me both his parents saying, "Let my father and mother be sacrificed for you."'
পরিচ্ছেদঃ ২২৩২. বনী তামীমের উপগোত্র বনী আম্বারের বিরুদ্ধে উয়াইনা ইবন হুসন ইবন হুযায়ফাহ ইবন বদরের যুদ্ধ। ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেন, নবী (সাঃ) উয়াইনা (রাঃ) কে এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পাঠিয়েছেন। তারপর তিনি রাতের শেষ ভাগে তাদের উপর আক্রমন চালিয়ে কিছু লোককে হত্যা করেন এবং তাদের মহীলাদের বন্দী করেন
৪০২৮। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, বনী তামীম গোত্র থেকে একটি অশ্বারোহী দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে আসল। (তাঁরা তাদের একজনকে সেনাপতি নিযুক্ত করার প্রার্থনা জানালে) আবূ বকর (রাঃ) প্রস্তাব দিলেন, কা’কা ইবনু মা’বাদ ইবনু যারারা (রাঃ) কে এদের আমীর নিযুক্ত করে দিন। উমর (রাঃ) বললেন, বরং আকরা ইবনু হাবিস (রাঃ) কে আমীর বানিয়ে দিন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি কেবল আমার বিরোধিতাই করতে চাও। উমর (রাঃ) বললেন, আপনার বিরোধিতা করার ইচ্ছা আমি কখনো করিনা। এর উপর দু’জনের বাক-বিতন্ডা চলতে চলতে শেষ পর্যায়ে উভয়ের আওয়াজ উচ্চতর হল। ফলে এ সম্পর্কে আয়াত নাযিল হল, "হে মু’মিনগন! আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের সামনে তোমরা কোন ব্যাপারে অগ্রনী হয়োনা। বরং আল্লাহ্ কে ভয় করো, আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। হে মু’মিনগন! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর নিজেদের কন্ঠস্বর উঁচু করোনা। এবং নিজেদের মধ্যে যেভাবে উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরুপ উচ্চস্বরে কথা বলোনা। কারন এতে তোমাদের আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে তোমাদের অজ্ঞাতসারে। (৪৯ঃ ১-২)
باب قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ غَزْوَةُ عُيَيْنَةَ بْنِ حِصْنِ بْنِ حُذَيْفَةَ بْنِ بَدْرٍ بَنِي الْعَنْبَرِ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ بَعَثَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فَأَغَارَ وَأَصَابَ مِنْهُمْ نَاسًا وَسَبَى مِنْهُمْ نِسَاءً
حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُمْ أَنَّهُ، قَدِمَ رَكْبٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَمِّرِ الْقَعْقَاعَ بْنَ مَعْبَدِ بْنِ زُرَارَةَ. قَالَ عُمَرُ بَلْ أَمِّرِ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ. قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَا أَرَدْتَ إِلاَّ خِلاَفِي. قَالَ عُمَرُ مَا أَرَدْتُ خِلاَفَكَ. فَتَمَارَيَا حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا فَنَزَلَ فِي ذَلِكَ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تُقَدِّمُوا) حَتَّى انْقَضَتْ.
Narrated Ibn Abi Mulaika:
`Abdullah bin Az-Zubair said that a group of riders belonging to Banu Tamim came to the Prophet, Abu Bakr said (to the Prophet (ﷺ) ), "Appoint Al-Qa'qa bin Mabad bin Zurara as (their) ruler." `Umar said (to the Prophet). "No! But appoint Al-Aqra bin H`Abis." Thereupon Abu Bakr said (to `Umar). "You just wanted to oppose me." `Umar replied. "I did not want to oppose you." So both of them argued so much that their voices became louder, and then the following Divine Verses were revealed in that connection:-- "O you who believe ! Do not be forward in the presence of Allah and His Apostle..." (till the end of Verse)...(49.1)
পরিচ্ছেদঃ ২২৯৪. আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশদিন প্রতীক্ষায় থাকবে। যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত (২ঃ ২৩৪)
৪১৭৪। উমাইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উসমান ইবনু ’আফফান (রাঃ) কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে বললাম যে, এ আয়াত তো অন্য আয়াত দ্বারা মানসুখ (রহিত) হয়ে গেছে। অতএব উক্ত আয়াত আপনি মুসহাফে লিখেছেন (অথবা রাবী বলেন) কেন বর্জন করছেন না, তখন তিনি [উসমান (রাঃ)] বললেন, হে ভাতিজা আমি মুসহাফের স্থান থেকে কোন জিনিস পরিবর্তন করব না।
باب والذين يتوفون منكم ويذرون أزواجا يتربصن بأنفسهن أربعة أشهر وعشرا فإذا بلغن أجلهن فلا جناح عليكم فيما فعلن في أنفسهن بالمعروف والله بما تعملون خبير يعفون يهبن
حَدَّثَنِي أُمَيَّةُ بْنُ بِسْطَامٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ حَبِيبٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ قُلْتُ لِعُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ (وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا) قَالَ قَدْ نَسَخَتْهَا الآيَةُ الأُخْرَى فَلِمَ تَكْتُبُهَا أَوْ تَدَعُهَا قَالَ يَا ابْنَ أَخِي، لاَ أُغَيِّرُ شَيْئًا مِنْهُ مِنْ مَكَانِهِ.
Narrated Ibn Az-Zubair:
I said to `Uthman bin `Affan (while he was collecting the Qur'an) regarding the Verse:-- "Those of you who die and leave wives ..." (2.240) "This Verse was abrogated by an other Verse. So why should you write it? (Or leave it in the Qur'an)?" `Uthman said. "O son of my brother! I will not shift anything of it from its place."
পরিচ্ছেদঃ ২৩৮৩. আল্লাহর বাণীঃ তুমি ক্ষমাপরায়নতা অবলম্বন কর, সৎ কাজের নির্দেশ দাও এবং অজ্ঞদের উপেক্ষা কর (৭ঃ ১৯৯)
৪২৮৮। ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেছেন,خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ আয়াতটি আল্লাহ তা’আলা মানুষের চরিত্র সম্পর্কেই নাযিল করেছেন।
আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ বলেন, আবূ উসামা আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা তাঁর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মানুষের আচরণ সম্পর্কে ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
باب خذ العفو وأمر بالعرف وأعرض عن الجاهلين العرف المعروف
حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، (خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ) قَالَ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلاَّ فِي أَخْلاَقِ النَّاسِ.
وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ أَمَرَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْخُذَ الْعَفْوَ مِنْ أَخْلاَقِ النَّاسِ. أَوْ كَمَا قَالَ.
Narrated `Abdullah bin AzZubair:
(The Verse) "Hold to forgiveness; command what is right..." was revealed by Allah except in connection with the character of the people.
`Abdullah bin Az-Zubair said:
Allah ordered His Prophet to forgive the people their misbehavior (towards him).
পরিচ্ছেদঃ ২১. সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম
১১৮৫। মুহাম্মাদ ইবনু মা’মার ইবনু রিবঈ আল-কায়সী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুুয যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে বসতেন, বাম পা-খানি বিছিয়ে দিতেন। এবং বাম হাত বাম উরুর উপর ও ডান হাত খানি ডান উরুর উপর রাখতেন, আর আঙ্গুল (তর্জনী) দ্বারা ইশারা করতেন।
باب صِفَةِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلاَةِ وَكَيْفِيَّةِ وَضْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الْفَخِذَيْنِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَعْمَرِ بْنِ رِبْعِيٍّ الْقَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو هِشَامٍ الْمَخْزُومِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْوَاحِدِ، - وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ حَكِيمٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَعَدَ فِي الصَّلاَةِ جَعَلَ قَدَمَهُ الْيُسْرَى بَيْنَ فَخِذِهِ وَسَاقِهِ وَفَرَشَ قَدَمَهُ الْيُمْنَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ الْيُسْرَى وَوَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ .
Abdullah b. Zubair narrated on the authority of his father:
When the Messenger of Allah (ﷺ) sat in prayer. he placed the left foot between his thigh and shank and stretched the right foot and placed his left hand on his left knee and placed his right hand on his right thigh, and raised his finger.
পরিচ্ছেদঃ ২১. সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম
১১৮৬। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দুআ করার জন্য বসতেন, তখন ডান হাত ডান উরুর উপর রাখতেন এবং বাম হাত বাম উরুর উপর। শাহাদাত আংগুলি (তর্জনী) দ্বারা ইশারা করতেন এবং অঙ্গুদুষ্ঠকে মধ্যমার উপর রাখতেন। আর বামহাতের তালূ দ্বারা বাম হাঁটু আকড়িয়ে ধরতেন।
باب صِفَةِ الْجُلُوسِ فِي الصَّلاَةِ وَكَيْفِيَّةِ وَضْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الْفَخِذَيْنِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، ح قَالَ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا قَعَدَ يَدْعُو وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُمْنَى وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ السَّبَّابَةِ وَوَضَعَ إِبْهَامَهُ عَلَى إِصْبَعِهِ الْوُسْطَى وَيُلْقِمُ كَفَّهُ الْيُسْرَى رُكْبَتَهُ .
'Abdullah b. Zubair narrated on the authority of his father that when the Messenger of Allah (ﷺ) sat for supplication, i. e. tashahhud (blessing and supplication), he placed his right hand on his right thigh and his left hand on his left thigh, and pointed with his forefinger, and placed his thumb on his (milddle) finger, and covered his knee with the palm of his left hand.
পরিচ্ছেদঃ ৩২. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণ ওয়াজিব হওয়া
৫৯০১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, আনসারদের এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে যুবায়র (রাঃ) এর সঙ্গে মদিনার হাররা (অঞ্চলের) নালা নিয়ে বিবাদে লিপ্ত হল, যা থেকে তারা খেজুর বাগানে সেচ দিত। আনসারী লোকটি বলল, পানি ছেড়ে দাও, (আমার জমিনে) প্রবহমান থাকুক। যুবায়র (রাঃ) মানলেন না। শেষ পর্যন্ত সবাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে তর্ক করলে তিনি যুবায়রকে বললেন, হে যুবায়র! তুমি পানি ব্যবহার করে তোমার পড়শীর জন্য ছেড়ে দাও।
তখন আনসারী লোকটি রেগে গিয়ে বল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যুবায়র তো আপনার ফুফাতো ভাই! এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারার রং বদলে গেলো। তিনি বললেনঃ হে যুবায়র! নিজের গাছগুলোকে পানি দাও এবং পানি আটকে রাখো, যতক্ষন না পানি বাঁধ পর্যন্ত পৌছে যায়। যুবায়র (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম! আমার মনে হয় এ আয়াত সে সম্পকেই অবতীর্ণ হয়ঃ
’তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বিবাদের বিষয়ে আপনাকে বিচারক মেনে নেয়, অতঃপর (আপনার বিচারে) তাদের অন্তরে কোন সংকট অনুভব না করে ...... (৪ঃ ৬৫)।
باب وُجُوبِ اتِّبَاعِهِ صلى الله عليه وسلم .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ . يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِمْ فَاخْتَصَمُوا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ ( فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا)
'Urwa b. Zubair reported that 'Abdullah b. Zubair had narrated to him that a person from the Ansar disputed with Zubair in the presence of Allah's Messenger (ﷺ) in regard to the watering places of Harra from which they watered the date-palms. The Ansari said:
Let the water flow, but he (Zubair) refused to do this and the dispute was brought to Allah's Messenger (ﷺ) and he said to Zubair: Zubair, water (your date-palms), then let the water flow to your neighbor. The Ansari was enraged and said: Allah's Messenger, (you have given this decision) for he is the son of your father's sister. The face of Allah's Apostle (ﷺ) underwent a change, and then said: Zubair, water (your date-palms), then hold it until it rises up to the walls. Zubair said: I think, by Allah, that this verse:" Nay, by the Lord, they will not (really) (believe) until they make thee a judge of what is in dispute among them, and find in this no dislike of what thou decidest and submit with full submission" (iv. 65).
পরিচ্ছেদঃ ৬. তালহা ও যুবায়র (রাঃ) এর ফযীলত
৬০২৭। ইসমাঈল ইবনু খলীল ও সুয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ খন্দকের দিন আমি এবং উমর ইবনু আবূ সালামা, হাসসান (ইবনু সাবিত) এর কিল্লায় মহিলাদের সাথে ছিলাম। কখনো সে আমার দিকে ঝুকে পড়ত (পিঠ নিচু করে দিত), তখন আমি দেখতাম, আর কোন সময় আমি তার জন্য নিচু হতাম, তখন সে দেখত। আমার পিতাকে আমি চিনে ফেলতাম, যখন তিনি সমস্ত্র অবস্থায় ঘোড়ায় চড়ে বনূ কুরায়যার দিকে যেতেন। অন্য সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, আমি পিতার কাছে এ কথার উল্লেখ করলাম। তিনি বললেন, বাছা, তুমি আমায় দেখেছিলে,? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! সেদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য তাঁর পিতামাতা উভয়কে একত্রে উল্লেখ করেছেন। আর বলেছেনঃ তোমার জন্য আমার মা-বাবা উৎসর্গ হোন।
باب مِنْ فَضَائِلِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ رضى الله عنهما
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ الْخَلِيلِ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ مُسْهِرٍ، قَالَ إِسْمَاعِيلُ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ كُنْتُ أَنَا وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَعَ النِّسْوَةِ فِي أُطُمِ حَسَّانٍ فَكَانَ يُطَأْطِئُ لِي مَرَّةً فَأَنْظُرُ وَأُطَأْطِئُ لَهُ مَرَّةً فَيَنْظُرُ فَكُنْتُ أَعْرِفُ أَبِي إِذَا مَرَّ عَلَى فَرَسِهِ فِي السِّلاَحِ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ . قَالَ وَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي فَقَالَ وَرَأَيْتَنِي يَا بُنَىَّ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ أَبَوَيْهِ فَقَالَ " فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي " .
'Abdullah b. Zubair reported on the Day of the Battle of the Trench:
I and Umar b. Abu Salama were with women folk in the fort of Hassan (b. Thabit). He at one time leaned for me and I cast a glance and at anothertime I leaned for him and he would see and I recognised my father as he rode on his horse with his arms towards the tribe of Quraizah. 'Abdullah b. 'Urwa reported from Abdullah b. Zubair: I made a mention of that to my father, whereupon he said: My son, did you see me (on that occasion)? He said: Yes. Thereupon he said: By Allah, Allah's Messenger (ﷺ) addressed me saying: I would sacrifice for thee my father and my mother.
পরিচ্ছেদঃ ৬. তালহা ও যুবায়র (রাঃ) এর ফযীলত
৬০২৮। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের দিন আমি এবং উমর ইবনু আবূ সালামা (রাঃ) ঐ কিল্লায় ছিলাম, যেখানে মহিলারা ছিলেন অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (পরিবারের) নারীগণ। এ সনদেই ইবনু মুসহিরের হাদীসের সমার্থক হাদীস বর্ণনা করেন। তবে তিনি হাদীসে আবদুল্লাহ ইবনু উরওয়ার উল্লেখ করেননি। কিন্তু হিশাম তাঁর পিতা সুত্রে ইবনু যুবায়র থেকে বর্ণিত হাদীসে এ ঘটনাটি হাদীসের মাঝে প্রবিষ্ট করে বিবৃত করেছেন।
باب مِنْ فَضَائِلِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ رضى الله عنهما
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ الْخَنْدَقِ كُنْتُ أَنَا وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ فِي الأُطُمِ الَّذِي فِيهِ النِّسْوَةُ يَعْنِي نِسْوَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ ابْنِ مُسْهِرٍ فِي هَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُرْوَةَ فِي الْحَدِيثِ وَلَكِنْ أَدْرَجَ الْقِصَّةَ فِي حَدِيثِ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ ابْنِ الزُّبَيْرِ .
'Abdullah b. Zubair reported:
When it was the Day of the Battle of the Ditch I and 'Umar b. Salama were in the fort in which there were women, i. e. the wives of Allah's Apostle (ﷺ) ; the rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান
১০/১৪২৫। আব্দুল্লাহ ইবন যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি প্রতিটি নামাযের পশ্চাতে যখন সালাম ফিরতেন, তখন এই দো’আটি পড়তেন,
“লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু অহদাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর। লা হাউলা অলা ক্বুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু অলা না’বুদু ইল্লা ইয়্যা-হু লাহুন্নি’মাতু অলাহুল ফাযবলু অলাহুস সানা-উল হাসান, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু মুখলিস্বীনা লাহুদ্দ্বীনা অলাউ কারিহাল কা-ফিরূন।”
অর্থাৎ এক অদ্বিতীয় আল্লাহ ব্যতীত আর কোন সত্য উপাস্য নেই। তাঁর কোন শরীক নেই। (বিশাল) রাজ্যের তিনিই সার্বভৌম অধিপতি। তাঁরই যাবতীয় স্তুতিমালা এবং সমস্ত বস্তুর উপর তিনি ক্ষমতাবান। আল্লাহর প্রেরণা দান ছাড়া পাপ থেকে ফিরার এবং সৎকাজ করার (নড়া-চড়ার) শক্তি নেই। আল্লাহ ব্যতীত কেউ সত্য উপাস্য নেই। তাঁর ছাড়া আমরা আর কারো ইবাদত করিনা, তাঁরই যাবতীয় সম্পদ, তাঁরই যাবতীয় অনুগ্রহ, এবং তাঁরই যাবতীয় সু-প্রশংসা, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমরা বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁরই উপাসনা করি, যদিও কাফের দল তা অপছন্দ করে।
ইবনে যুবাইর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উক্ত দো’আটি প্রত্যেক নামাযের পর পড়তেন। (মুসলিম) [1]
(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ
وَعَنْ عَبدِ الله بنِ الزُّبَيْرِ رَضِيَ الله تَعَالَى عَنهُمَا أَنَّه كَانَ يَقُولُ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ، حِيْنَ يُسَلِّمُ: «لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَريكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ . لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ، وَلاَ نَعْبُدُ إِلاَّ إيَّاهُ، لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الفَضْلُ وَلَهُ الثَّنَاءُ الحَسَنُ، لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الكَافِرُونَ». قَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ: وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يُهَلِّلُ بِهِنَّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ . رواه مسلم
(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah
It has been reported that 'Abdullah bin Zubair (May Allah be pleased with them) used to recite after Taslim at the conclusion of every Salat (prayer):
"La ilaha illallahu wahdahu la sharika lahu, lahul- mulku, wa lahul-hamdu, wa Huwa 'ala kulli shai'in Qadir. La hawla wa la quwwata illa billah. La ilaha illallahu, wa la na'budu illa iyyahu, Lahun-ni'matu, wa lahul-fadlu, wa lahuth-thana'ul-hasan. La ilaha ilallahu, mukhlisina, lahud-dina, wa lau karihal-kafirun (there is no true god except Allah; He is One. To Him belongs the dominion and to Him is all praise, and He is Powerful over all things. There is no power and might except with (the help of) Allah. There is no God but Allah and we worship none except Him, to Him belongs the bounty and to Him belongs the grace, and to Him belongs all excellent praise; there is no deity but Allah. We reserve our devotion exclusively for Him though the disbelievers may detest it)." Ibn Az-Zubair said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to celebrate Allah's Greatness in those terms after every Salat (prayer).
[Muslim].
Commentary: The invocation mentioned in this Hadith is ordained by the Prophet (PBUH) and was his practice. To recite Shahadah repeatedly after Salat and to offer benediction and salutations to the Prophet (PBUH) collectively is a self-invented formula and is not consonant with the practice of the Prophet (PBUH). It is, therefore, a heresy and will have no merit. Every Muslim has to follow only the preachings and practice of the Prophet (PBUH).
পরিচ্ছেদঃ ১২৯. জুমুআর দিনের গোসল সম্পর্কে।
৩৪৮. উছমান ইবনু আবূ শায়বা ..... আবদুল্লাহ্ ইবনুয-যুবায়ের (রাঃ) থেকে আয়িশা (রাঃ) এর সূরে বর্ণিত। তিনি (আয়শা) তাকে (ইবনু যুবায়ের) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চারটি কাজের জন্য গোসল করতেন- স্ত্রী সহবাসের পর, জুমুআর দিন, শিংগা লাগানোর পর এবং মৃত ব্যক্তির গোসল দেওয়ার পর। (তা ছাড়াও তিনি ইহরাম, কা’বায় প্রবেশের পূর্বে ও অন্যন্য কাজের জন্যও গোসল করতেন।)
باب فِي الْغُسْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ شَيْبَةَ، عَنْ طَلْقِ بْنِ حَبِيبٍ الْعَنَزِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَغْتَسِلُ مِنْ أَرْبَعٍ مِنَ الْجَنَابَةِ وَيَوْمِ الْجُمُعَةِ وَمِنَ الْحِجَامَةِ وَمِنْ غُسْلِ الْمَيِّتِ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Prophet (ﷺ) would take a bath because of sexual defilement on Friday, after opening a vein and after washing a dead body.
পরিচ্ছেদঃ ১৯২. তাশাহুদের মধ্যে (আঙ্গুল দ্বারা) ইশারা করা।
৯৮৯. ইবরাহীম ইবনুল হাসান (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনুয যুবায়ের (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাহাদাত আংগুল দ্বারা ইশারা করতেন বলে উল্লেখ আছে, যখন তিনি তাশাহহুদ পাঠ করতেন এবং এ সময় তিনি আংগুল হেলাতেন না। (দুর্বল)
অপর বর্ণনায় আছে যে, আমের (রহঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শাহাদাত আংগুল দ্বারা ইশারা করতে দেখেছেন এবং নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাম হাত দ্বারা বাম পায়ের রান ধরতেন। (সহীহ)
باب الإِشَارَةِ فِي التَّشَهُّدِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْحَسَنِ الْمِصِّيصِيُّ، حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ زِيَادٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُشِيرُ بِأُصْبُعِهِ إِذَا دَعَا وَلاَ يُحَرِّكُهَا . قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ وَزَادَ عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَامِرٌ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو كَذَلِكَ وَيَتَحَامَلُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُسْرَى عَلَى فَخِذِهِ الْيُسْرَى .
Narrated Abdullah ibn az-Zubayr:
The Prophet (ﷺ) used to point with his finger (at the end of the tashahhud) and he would not move it.
Ibn Juraij said: "And 'Amr bin Dinar added: 'He (Ziyad) said: "'Amir informed me from his father that he saw the Prophet (ﷺ) supplicating like that. And the Prophet (ﷺ) would brace himself with his left hand on his left knee.
পরিচ্ছেদঃ ২১১. গোসলের সময় মৃত ব্যক্তির লজ্জাস্থান আবৃত রাখা সম্পর্কে।
৩১২৭. নুফায়লী (রহঃ) .... আবদুল্লাহ্ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আইশা (রাঃ)-কে এরূপ বলতে শুনেছিঃ যখন সাহাবীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গোসল দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁরা বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! আমরা বুঝতে পারছি না যে, আমরা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাপড় খুলে ফেলব, যেমন আমরা আমাদের অন্যান্য মৃত ব্যক্তির কাপড় খুলে ফেলি অথবা আমরা তাকে কাপড় পরা অবস্থায় গোসল দেব? যখন তারা মতভেদ করলো, তখন আল্লাহ্ তাদের সকলকে তন্দ্রাচ্ছন্ন করে ফেলেন, এমন কি তাদের একজনও এমন ছিল না (নিদ্রার কারণে) যার থুতনী তার বক্ষের উপর আপতিত হয়নি।
এ সময় জনৈক ব্যক্তি ঘরের এক কোণা হতে বলল, তাঁরা জানত না-তিনি কে? তোমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর পরিধেয় কাপড়সহ গোসল দাও। তখন সাহাবীগণ উঠে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কাপড়সহ গোসল দিতে শুরু করেন। এ সময় তাঁর দেহ তাঁর পবিত্র জামা ছিল। তাঁরা জামার উপর পানি ঢেলে, ঐ জামা দিয়ে তাঁর দেহ ঘর্ষণ করেন এবং তাঁরা তাঁর দেহে হাত লাগান নি।
আইশা (রাঃ) বলেনঃ আমি যদি আগে বুঝতে পারতাম, যা আমি পরে বুঝতে পারি, তবে তাঁকে তাঁর বিবিগণ ছাড়া আর কেউ-ই গোসল দিতে পারত না।
باب فِي سَتْرِ الْمَيِّتِ عِنْدَ غَسْلِهِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ عَبَّادٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَبَّادِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ قَالَ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ لَمَّا أَرَادُوا غَسْلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالُوا وَاللَّهِ مَا نَدْرِي أَنُجَرِّدُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ ثِيَابِهِ كَمَا نُجَرِّدُ مَوْتَانَا أَمْ نُغَسِّلُهُ وَعَلَيْهِ ثِيَابُهُ فَلَمَّا اخْتَلَفُوا أَلْقَى اللَّهُ عَلَيْهِمُ النَّوْمَ حَتَّى مَا مِنْهُمْ رَجُلٌ إِلاَّ وَذَقْنُهُ فِي صَدْرِهِ ثُمَّ كَلَّمَهُمْ مُكَلِّمٌ مِنْ نَاحِيَةِ الْبَيْتِ لاَ يَدْرُونَ مَنْ هُوَ أَنِ اغْسِلُوا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهِ ثِيَابُهُ فَقَامُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَغَسَلُوهُ وَعَلَيْهِ قَمِيصُهُ يَصُبُّونَ الْمَاءَ فَوْقَ الْقَمِيصِ وَيُدَلِّكُونَهُ بِالْقَمِيصِ دُونَ أَيْدِيهِمْ وَكَانَتْ عَائِشَةُ تَقُولُ لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا غَسَّلَهُ إِلاَّ نِسَاؤُهُ .
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
By Allah, we did not know whether we should take off the clothes of the Messenger of Allah (ﷺ) as we took off the clothes of our dead, or wash him while his clothes were on him. When they (the people) differed among themselves, Allah cast slumber over them until every one of them had put his chin on his chest.
Then a speaker spoke from a side of the house, and they did not know who he was: Wash the Prophet (ﷺ) while his clothes are on him. So they stood round the Prophet (ﷺ) and washed him while he had his shirt on him. They poured water on his shirt, and rubbed him with his shirt and not with their hands. Aisha used to say: If I had known beforehand about my affair what I found out later, none would have washed him except his wives.
পরিচ্ছেদঃ ৩৯২. বাদী-বিবাদী কাযীর সামনে কিরূপে বসবে?
৩৫৪৯. আহমদ ইবন মানী (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ্ ইবন যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ফয়সালা দিয়েছেন যে, (বিচারের সময়) বাদী-বিবাদী উভয়েই কাযীর সামনে বসা থাকবে।
باب كَيْفَ يَجْلِسُ الْخَصْمَانِ بَيْنَ يَدَىِ الْقَاضِي
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ الْخَصْمَيْنِ يَقْعُدَانِ بَيْنَ يَدَىِ الْحَكَمِ .
Narrated Abdullah ibn az-Zubayr:
The Messenger of Allah (ﷺ) gave the decision that the two adversaries should be made to sit in front of the judge.
পরিচ্ছেদঃ ৪১৪. বিচার সম্পর্কে আরো আলোচনা।
৩৫৯৮. আবূল ওয়ালীদ তিয়ালিসী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ জনৈক ব্যক্তি যুবায়র (রাঃ)-এর সঙ্গে প্রস্তরময় যমীনের উপর প্রবাহিত নর্দমার ব্যাপারে ঝগড়া করে। যা দিয়ে ক্ষেতে পানি দেওয়া হতো। আনসার ব্যক্তিটি পানির নর্দমা খুলে দেওয়ার জন্য বলতো যাতে তা প্রবাহিত হতে পারে, কিন্তু যুবায়র (রাঃ) তা খুলে দিতে অস্বীকার করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়র (রাঃ)-কে বলেনঃ হে যুবায়র! তুমি তোমার ক্ষেত ভর্তি করে পানি দেওয়ার পর তা তোমার প্রতিবেশীর জন্য খুলে দেবে। একথা শুনে আনসার লোকটি রাগান্বিত হয়ে বলেঃ যুবায়র কি আপনার ফুফীর ছেলে নন? তার কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা রাগে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এর পরও তিনি বলেনঃ হে যুবায়র! তোমার ক্ষেত পানিতে ভর্তি হওয়ার পরও তুমি পানি ততক্ষণ আটকে রাখবে যতক্ষণ না তা আইলের (বাঁধের) সমান হয়। যুবায়র (রাঃ) বলেনঃ আমার ধারণা পরবর্তী আয়াতটি এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয়। যার অর্থ হলোঃ "আপনার রবের কসম! তারা ততক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা আপনাকে তাদের মামলার বিচারক নিযুক্ত করে এবং আপনার দেওয়া ফয়সালাকে নিজের অন্তরে মেনে নেয়।" (নিসাঃ ৬৫)
باب فِي الْقَضَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً خَاصَمَ الزُّبَيْرَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ . فَأَبَى عَلَيْهِ الزُّبَيْرُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلْ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ ( فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ ) الآيَةَ .
Narrated Abdullah ibn az-Zubayr:
A man disputed with az-Zubayr about streamlets in the lava plain which was irrigated by them. The Ansari said: Release the water and let it run, but az-Zubayr refused. The Holy Prophet (ﷺ) said to az-Zubayr: Water (your ground), Zubayr, then let the water run to your neighbour. The Ansari then became angry and said: Messenger of Allah! it is because he is your cousin! Thereupon the face of the Messenger of Allah (ﷺ) changed colour and he said: Water (your ground), then keep back the water till it returns to the embankment. Az-Zubayr said: By Allah! I think this verse came down about that: "But no , by thy Lord! they can have no (real) faith, until they make thee judge....."
পরিচ্ছেদঃ ৪১৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কে কোন মিথ্যা কথা বলার কঠোর পরিণতি।
৩৬০৯. আমর ইবন আওন (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আমার পিতাকে জিজ্ঞাসা করি যে, কোন জিনিস আপনাকে বাধা দেয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাদীছ বর্ণনা করতে, যেমন তাঁর পক্ষ হতে আপনার অন্য সাথীরা হাদীছ বর্ণনা করে থাকেন? তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে আমার বিশেষ ধরনের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু একদা আমি তাঁকে এরূপ বলতে শুনিঃ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ব্যাপারে মিথ্যা বলে, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে বানিয়ে নেয়। (একারণেই সতর্কতা হেতু আমি কম হাদীছ বর্ণনা করি।)
باب فِي التَّشْدِيدِ فِي الْكَذِبِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - الْمَعْنَى - عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ، - قَالَ مُسَدَّدٌ أَبُو بِشْرٍ - عَنْ وَبَرَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَامِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ لِلزُّبَيْرِ مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُحَدِّثَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَمَا يُحَدِّثُ عَنْهُ أَصْحَابُهُ فَقَالَ أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ لِي مِنْهُ وَجْهٌ وَمَنْزِلَةٌ وَلَكِنِّي سَمِعْتُهُ يَقُولُ " مَنْ كَذَبَ عَلَىَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " .
`Abd Allah bin al-Zubair said on the authority of the father :
I asked al-Zubair : What prevents you from narrating traditions from the Messenger of Allah (ﷺ) as his Companions narrate from him? He said: By Allah I was very close to him. But I heard him (ﷺ) say: He who lies about me deliberately will certainly come to his abode in Hell.
পরিচ্ছেদঃ ৫. দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করা সম্পর্কে।
৪৭১২. ইয়াকূব ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এ আয়াতেঃ (অর্থ) হে নবী! আপনি ক্ষমা করুন এবং জাহিলদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিন,- নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে লোকদের দোষ-ক্রটি ক্ষমা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
باب فِي الْعَفْوِ وَالتَّجَاوُزِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطُّفَاوِيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ الزُّبَيْرِ - فِي قَوْلِهِ ( خُذِ الْعَفْوَ ) قَالَ أُمِرَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْخُذَ الْعَفْوَ مِنْ أَخْلاَقِ النَّاسِ .
Explaining the Qur’anic verse “Hold to forgiveness”, `Abd Allah b. Al-Zubair said:
The Prophet of Allah (ﷺ) was commanded to hold to forgiveness from the conduct of the people.