পরিচ্ছেদঃ ৭২. রুকূ’ ও সাজদায় ইমামের অগ্রগামী হওয়া নিষেধ
১৩৫১. মু’য়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আমি এখন আমি কিছুটা মোটা হয়ে গেছি। ফলে আমার পূর্বে তোমরা রুকূ’-সিজদা করবে না। (কখনো কখনো এরূপ হয় যে,) আমি তোমাদের যত আগেই রুকূ’তে যায় না কেন, তোমরা আমার মাথা উঠানোর পূর্বেই আমাকে পেয়ে যাও (ধরে ফেলো)। আবার আমি তোমাদের যত আগেই সিজদা করি না কেন, তোমরা আমাকে সিজদা হতে মাথা উঠানোর আগেই পেয়ে যাও।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২২২৯, ২২৩০; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৩৮২, ৩৮৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৬১৩ তে। (আহমাদ ৪/৯২; বাইহাকী ২/৯২; সহীহ ইবনু খুযাইমা ১৫৯৪; আবু দাউদ ৬১৯; ইবনু মাজাহ ৯৬৩; তাবারাণী, আল কাবীর ১৯/২৭৩-২৭৪ নং ৮৬২।- মুহাক্বিক্বের মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৩৮৩ এর টীকা হতে। - অনুবাদক)
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُبَادَرَةِ الْأَئِمَّةِ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنِّي قَدْ بَدَّنْتُ فَلَا تَسْبِقُونِي بِالرُّكُوعِ وَلَا بِالسُّجُودِ فَإِنِّي مَهْمَا أَسْبِقُكُمْ حِينَ أَرْكَعُ تُدْرِكُونِي حِينَ أَرْفَعُ وَمَهْمَا أَسْبِقُكُمْ حِينَ أَسْجُدُ تُدْرِكُونِي حِينَ أَرْفَعُ
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রুকূ’ ও সাজদায় ইমামের অগ্রগামী হওয়া নিষেধ
১৩৫২. আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যখন ইমামের পূর্বে মাথা উঠায় তখন সে কি ভয় করে না যে, তার মাথাকে আল্লাহ গাধার মাথায় পরিবর্তিত করে দেবেন কিংবা তার চেহারাকে গাধার চেহারায় রূপান্তরিত করে দেবেন?”[1]
তাখরীজ: বুখারী ৬৯১; মুসলিম ৪২৭; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২২৮২, ২২৮৩।
এছাড়া, বাইহাকী মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ৩৪৫৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ ৩/৪১৭ নং ৮৪৯; আবু নুয়াইম, যিকরু আখবারু আসবাহান ১/২৬৯, ২/৫৫, ২১৮, ২৯৯; উকাইলী, আদ দুয়া’ফা ২/৭৩; ইবনু আদী, আল কামিল ৩/১০৬১, ৪/১৫৬৬, ৬/২২৩৭; ইবনু হিব্বান, আল মাজরুহীন ২/৩৫-৩৬; তাবারাণী, আল আওসাত ৩৩৩০, ৩৬০৯, ৩৯৩০, ৫৯৫৯, ৭১৯৩; ও সগীর ১/১১০; আরও দেখুন, তালখীসুল হাবীর ২/২৮।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُبَادَرَةِ الْأَئِمَّةِ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا يَخْشَى أَحَدُكُمْ أَوْ أَلَا يَخْشَى أَحَدُكُمْ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَبْلَ الْإِمَامِ أَنْ يَجْعَلَ اللَّهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ أَوْ صُورَتَهُ صُورَةَ حِمَارٍ
পরিচ্ছেদঃ ৭২. রুকূ’ ও সাজদায় ইমামের অগ্রগামী হওয়া নিষেধ
১৩৫৩. আনাস ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে সালাতের ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করতেন এবং তিনি যখন তাদের ইমামতি করতেন তখন তাঁর পূর্বে রুকূ’ সিজদায় গমণ করতে তাদেরকে নিষেধ করতেন। এছাড়া তাঁর সালাত শেষ করার পূর্বেই তাদেরকে সালাত শেষ করতে যেতে নিষেধ করতেন। এবং তিনি বলেন: “আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক থেকেও দেখতে পাই, আর সামনের দিক থেকে তো দেখিই।”[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/৩২৮; মুসলিম ৪২৬; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৯৫২, ৩৯৫৭, ৩৯৬০, ৩৯৬৩;
এছাড়া, আবু আওয়ানাহ ২/১৩৬; বাইহাকী ২/৯১-৯২।
بَاب النَّهْيِ عَنْ مُبَادَرَةِ الْأَئِمَّةِ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ حَدَّثَنَا الْمُخْتَارُ بْنُ فُلْفُلٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَثَّهُمْ عَلَى الصَّلَاةِ وَنَهَاهُمْ أَنْ يَسْبِقُوهُ إِذَا كَانَ يَؤُمُّهُمْ بِالرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ وَأَنْ يَنْصَرِفُوا قَبْلَ انْصِرَافِهِ مِنْ الصَّلَاةِ وَقَالَ إِنِّي أَرَاكُمْ مِنْ خَلْفِي وَأَمَامِي