পরিচ্ছেদঃ ১৯. ঈশার সালাতকে পিছিয়ে দেয়া মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৪৪. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈশার সালাত কে পিছিয়ে দিলেন, এমনকি রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ কিংবা তার কাছাকাছি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হলো। তারপর তিনি এলেন, লোকেরা তখন ছোট ছোট দলে (বিভক্ত হয়ে) বৃত্তাকারে ঘুমাচ্ছিলো, ফলে তিনি রাগান্বিত হলেন অত:পর বললেন:“যদি কোনো ব্যক্তি লোকদেরকে একটি মাংস ছাড়ানো হাড় কিংবা বর্শা (তথা খেলা-ধুলা)-এর দিকে আহবান করে- রাবী আমর বলেন, ডাকে, তবে অবশ্যই তারা সে আহবানে সাড়া দিতো। কিন্তু তারা এ সালাত (ঈশার সালাত) হতে পিছিয়ে থাকে। আর আমার ইচ্ছা হয়, আমি কোনো একজনকে লোকদেরকে নিয়ে সালাত আদায়ের নির্দেশ দেই, অত:পর এ সকল বাড়ীঘরের অধিবাসী যারা সালাত হতে পিছিয়ে রয়েছে (হাজির হয়নি), তাদের নিকট যাই এবং সেগুলি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেই।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬৪৪; সহীহ মুসলিম ৬৫১; এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৩৩৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২০৯৬-২০৯৮; হুমাইদী নং ৯৮৬।
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ الْعِشَاءِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ وَعَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ قَالَا حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَخَّرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الْعِشَاءِ ذَاتَ لَيْلَةٍ حَتَّى كَادَ أَنْ يَذْهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ أَوْ قَرِيبُهُ فَجَاءَ وَالنَّاسُ رُقَّدٌ وَهُمْ عِزُونَ وَهِيَ حِلَقٌ فَغَضِبَ فَقَالَ لَوْ أَنَّ رَجُلًا نَدَى النَّاسَ وَقَالَ عَمْرٌو نَدَبَ النَّاسَ إِلَى عَرْقٍ أَوْ مِرْمَاتَيْنِ لَأَجَابُوا إِلَيْهِ وَهُمْ يَتَخَلَّفُونَ عَنْ هَذِهِ الصَّلَاةِ لَهَمَمْتُ أَنْ آمُرَ رَجُلًا لِيُصَلِّيَ بِالنَّاسِ ثُمَّ أَتَخَلَّفَ عَلَى أَهْلِ هَذِهِ الدُّورِ الَّذِينَ يَتَخَلَّفُونَ عَنْ هَذِهِ الصَّلَاةِ فَأُضْرِمَهَا عَلَيْهِمْ بِالنِّيرَانِ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ঈশার সালাতকে পিছিয়ে দেয়া মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৪৫. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈশার সালাত কে রাত্রির এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে দিলেন। তখন উমার রা: তাঁকে এই বলে ডাকলেন যে, নারী ও শিশুরা তো ঘুমিয়ে পড়েছে। অত:পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেরিয়ে এসে বললেন: তোমরা ব্যতীত পৃথিবীর অধিবাসীদের মধ্যে আর কেউ নেই যে এ সালাত আদায় করছে।” আর তখন মদীনাবাসী ব্যতীত কেউ সালাত আদায় করতো না।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৫৬৬; সহীহ মুসলিম ৬৩৮; এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৫৩৫ এ।
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ الْعِشَاءِ
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْعِشَاءِ حَتَّى نَادَاهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَدْ نَامَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الْأَرْضِ يُصَلِّي هَذِهِ الصَّلَاةَ غَيْرَكُمْ وَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ يُصَلِّي يَوْمَئِذٍ غَيْرَ أَهْلِ الْمَدِينَةِ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ঈশার সালাতকে পিছিয়ে দেয়া মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৪৬. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈশার সালাত কে পিছিয়ে দিলেন। এমনকি রাত্রির প্রথম (এক-তৃতীয়) অংশ অতিবাহিত হয়ে গেলো। মসজিদে অবস্থানকারী লোকেরা ঘুমিয়ে পড়লো। অত:পর তিনি বের হলেন এবং ঈশার সালাত আদায় করলেন। তারপর বললেন: “যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে বলে আশংকা না করতাম, তবে এটিই এর (ঈশার সালাতের মুস্তাহাব) ওয়াক্ত ছিলো।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ২১১৪; আহমাদ ৬/১৫০; সহীহ মুসলিম ৬৩৮ (২১৯); নাসাঈ ৫৩৭; আবু আউয়ানাহ ১/৩৬২; বাইহাকী ১/৪৫০; আরও দেখুন, আগের টীকাটি।
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ الْعِشَاءِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ حَكِيمٍ أَنَّ أُمَّ كُلْثُومٍ بِنْتَ أَبِي بَكْرٍ أَخْبَرَتْهُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ أَعْتَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ حَتَّى ذَهَبَ عَامَّةُ اللَّيْلِ وَرَقَدَ أَهْلُ الْمَسْجِدِ فَخَرَجَ فَصَلَّاهَا فَقَالَ إِنَّهَا لَوَقْتُهَا لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي
পরিচ্ছেদঃ ১৯. ঈশার সালাতকে পিছিয়ে দেয়া মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)
১২৪৭. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈশার সালাত কে পিছিয়ে দিলেন। তখন তাঁকে বলা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ! নারী ও শিশুরা তো ঘুমিয়ে পড়েছে। অত:পর তিনি (মাথার) একপাশ হতে পানি মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসে বললেন: “যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর হবে বলে আশংকা না করতাম, তবে এটিই এর (ঈশার সালাতের মুস্তাহাব) ওয়াক্ত ছিলো।[1]
তাখরীজ: আবু ইয়ালা ২৩৯৮; হুমাইদী নং ৪৯৯; বুখারী ৫৭১; মুসলিম ৬৪২; এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১০৯৮, ১৫৩২, ১৫৩৩।
بَاب مَا يُسْتَحَبُّ مِنْ تَأْخِيرِ الْعِشَاءِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ ح وَابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَّرَ الصَّلَاةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلَاةَ نَامَ النِّسَاءُ وَالْوِلْدَانُ فَخَرَجَ وَهُوَ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ وَهُوَ يَقُولُ هُوَ الْوَقْتُ لَوْلَا أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي