পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৫. মুসলিম ইবনু সাবীহ হতে বর্ণিত, যে হায়িযগ্রস্ত মহিলা (তিলাওয়াতের) সাজদা শুনতে পায়- তার সম্পর্কে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সে সিজদা করবে না। কারণ সিজদাই সালাত।[1] (আর সালাত আদায় তার জন্য নিষিদ্ধ)
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/১৪।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صُبَيْحٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدَةَ قَالَ لَا تَسْجُدُ لِأَنَّهَا صَلَاةٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৬. হাসান ইবনু উবাইদুল্লাহ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম এবং আবু দুহা (রাহি.) উভয়ে বলেন: সে (হায়েযগ্রস্ত মহিলা) সিজদা করবে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/১৪।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَأَبِي الضُّحَى قَالَا لَا تَسْجُدُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৭. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম ও সাঈদ ইবনু জুবাইর রাহি. উভয়ে বলেন, তার (হায়িযগ্রস্ত মহিলার) ও উপর এটি (সাজদা) ওয়াজিব নয়। অথচ সালাত তো এর চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।[1] (সেই সালাতই জন্য জায়েয নয়।)
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/১৩।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَا لَيْسَ عَلَيْهَا ذَاكَ الصَّلَاةُ أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ
إسناده ضعيف فيه حجاج وهو: ابن أرطاة وهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৮. ইবনু জুরাইজ হতে বর্ণিত, আতা রাহি. বলেন, তাকে তো এর চেয়েও অধিক উত্তম বিষয় থেকে নিষেধ করা হয়েছে। আর তা হলো: ফরয সালাত।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/১৪; আব্দুর রাযযাক নং ১২৩০; আগের টীকাটি দেখুন দেখুন, কেননা, আগের এবং পরের হাদীসগুলি একে শক্তিশালী করে।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ مُنِعَتْ خَيْرًا مِنْ ذَلِكَ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ
إسناده ضعيف ابن جريج قد عنعن وهو مدلس
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৯. আশ’আছ হতে বর্ণিত, হাসান রাহি. বলেন, সে (হায়েযগ্রস্ত মহিলা) সাজদা করবে না।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত আর কোনখানে পাইনি। তবে আব্দুর রাযযাক নং ১২৩১ টি দেখতে পারেন।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ عَنْ أَشْعَثَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ لَا تَسْجُدُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৪০. ইউনুস হতে বর্ণিত, ’যে মহিলা (হায়িযের মধ্যে) পবিত্রাবস্থা লক্ষ্য করলো, তারপর সে (তিলাওয়াতের) সিজদা শুনতে পেলো, এমন মহিলা সম্পর্কে যুহুরী রাহি. বলেন, ’সে গোসল না করা পর্যন্ত সিজদা করবে না।[1]
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইন। তবে আব্দুর রাযযাক নং ১২৩১ হাদীসটি দেখতে পারেন।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ فِي الْمَرْأَةِ تَرَى الطُّهْرَ فَتَسْمَعُ السَّجْدَةَ قَالَ لَا تَسْجُدُ حَتَّى تَغْتَسِلَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৪১. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারীদের সম্পর্কে বলেন: “তোমরা সাদাকা করো, কেননা, তোমাদের অধিকাংশই জাহান্নামের বাসিন্দা হবে। সম্ভ্রান্ত শ্রেণির নয়, এমন এক মহিলা বলে উঠলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা কি কারণে? অথবা, কিসের জন্য? কিংবা কোন্ বিষয়ে? তিনি বললেন: “তোমরা অধিক পরিমাণে লা’নত (অভিশাপ) দাও এবং স্বামীর নাফরমানী কর।” তিনি (বর্ণনাকারী) বলেন: আর আব্দুল্লাহ বললেন: নারীদের চেয়ে দীন ও বুদ্ধির ঘাটতি সম্পন্ন আর এমন কেউ নেই, যে পুরুষদের উপরে তাদের কাজকর্মে প্রাধান্য বিস্তার করে। তখন একজন লোক জিজ্ঞেস করলো: তাদের বুদ্ধির ঘাটতির বিষয়টা কী? তিনি বললেন: দু’জন নারীর সাক্ষ্যকে একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান করা হয়েছে। তাকে আবার জিজ্ঞেস করা হলো: আর তাদের দীনের ঘাটতির বিষয়টা কী রকম? তিনি বললেন: সে এত দিন এত রাত বিরত থাকে, আল্লাহর জন্য কোনো সালাতই সে আদায় করতে পারে না।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১১২; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৩২৩ এবং মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৮১৮; মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯২ এবং এতে টীকাও সংযোজন করেছি।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَبُو زَيْدٍ سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الْحَكَمِ قَالَ سَمِعْتُ ذَرًّا عَنْ وَائِلِ بْنِ مُهَانَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لِلنِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّكُنَّ أَكْثَرُ أَهْلِ النَّارِ فَقَالَتْ امْرَأَةٌ لَيْسَتْ مِنْ عِلْيَةِ النِّسَاءِ لِمَ أَوْ بِمَ أَوْ فِيمَ قَالَ إِنَّكُنَّ تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ قَالَ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ مَا مِنْ نَاقِصِي الدِّينِ وَالْعَقْلِ أَغْلَبَ لِلرِّجَالِ ذَوِي الْأَمْرِ عَلَى أَمْرِهِمْ مِنْ النِّسَاءِ قَالَ رَجُلٌ لِعَبْدِ اللَّهِ مَا نُقْصَانُ عَقْلِهَا قَالَ جُعِلَتْ شَهَادَةُ امْرَأَتَيْنِ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ قَالَ سُئِلَ مَا نُقْصَانُ دِينِهَا قَالَ تَمْكُثُ كَذَا وَكَذَا مِنْ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ لَا تُصَلِّي لِلَّهِ صَلَاةً
إسناده حسن من أجل وائل بن مهانة