পরিচ্ছেদঃ ৯২. পবিত্রাবস্থার সর্বনিম্ন পরিমাণ সম্পর্কে
৮৭৭. সুফিয়ান বলেন, পবিত্রাবস্থা (এর সর্বনিম্ন সীমা) পনেরো দিন।[1]
তাখরীজ: আমি এটি এ শব্দে আর কোথাও পাইনি।
بَابٌ فِي أَقَلِّ الطُّهْرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ قَالَ قَالَ سُفْيَانُ الطُّهْرُ خَمْسُ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৯২. পবিত্রাবস্থার সর্বনিম্ন পরিমাণ সম্পর্কে
৮৭৮. ইবরাহীম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন কোনো মহিলার মাসে কিংবা চল্লিশ দিনে তিনবার হায়েয হয়, আর তিনজন ন্যায়পরায়ণা মহিলা এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় যে, সে তার থেকে এমনকিছু দেখেছে যা তার উপর সালাতকে হারাম করে দেয়, অর্থাৎ, হায়েযের রক্ত যা হায়েয হিসেবে সমধিক পরিচিত, তবে তার হায়েযের নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হয়ে যাবে।[1] (সে পবিত্র হয়ে যাবে)
তাখরীজ: ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/২৭২; আল হাফিজ ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ১/৪২৫ তে বলেন: দারেমীও এটি ইবরাহীম পর্যন্ত সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।...
بَابٌ فِي أَقَلِّ الطُّهْرِ
أَخْبَرَنَا الْمُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِذَا حَاضَتْ الْمَرْأَةُ فِي شَهْرٍ أَوْ فِي أَرْبَعِينَ لَيْلَةً ثَلَاثَ حِيَضٍ فَإِذَا شَهِدَ لَهَا الشُّهُودُ الْعُدُولُ مِنْ النِّسَاءِ أَنَّهَا رَأَتْ مَا يُحَرِّمُ عَلَيْهَا الصَّلَاةَ مِنْ طُمُوثِ النِّسَاءِ الَّذِي هُوَ الطَّمْثُ الْمَعْرُوفُ فَقَدْ خَلَا أَجَلُهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد سَمِعْت يَزِيدَ بْنَ هَارُونَ يَقُولُ أَسْتَحِبُّ الطُّهْرَ خَمْسَ عَشْرَةَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯২. পবিত্রাবস্থার সর্বনিম্ন পরিমাণ সম্পর্কে
৮৭৯. আমির রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা আলী রা: এর নিকট এলো সে তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করেছে আর তার স্বামী তাকে তালাক দিয়েছে। মহিলাটি বললো, আমার একমাসে তিনবার হায়েয হয়েছে। তখন আলী কাযী শুরাইহকে বললেন: এদের দু’জনের মাঝে ফায়সালা করে দাও। কাজী শুরাইহ বললেন: ইয়া আমীরুল মু’মিনীন! আপনিই তো এখানে রয়েছেন।’ তিনি আবারও বললেন: ’তুমি তাদের দু’জনের মধ্যে ফায়সালা করে দাও।’ তখন তিনি (শুরাইহ) বললেন, যদি এ মহিলার পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোনো মহিলা যার দীনদারী ও আমানতদারী গ্রহণযোগ্য, সে যদি দাবী করে যে এ মহিলার মাসে তিনবার হায়েয হয়েছে এবং প্রত্যেক হায়েযের নির্ধারিত মেয়াদ শেষে পবিত্র হয়েছে এবং সালাত আদায় করেছে, তবে তার জন্য এটা (তালাক) বৈধ হয়েছে। তা না হলে (তা বৈধ) নয়। তখন আলী রা: বললেন: ’ক্বালুন’। আর ’ক্বালুন’ শব্দটি রোমান ভাষার। যার অর্থ: তুমি সুন্দর (ফায়সালা) করেছো।[1]
তাখরীজ: সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৩০৯, ১৩১০; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ১০/৩৭২; বাইহাকী ৭/৪১৮-৪১৯।
بَابٌ فِي أَقَلِّ الطُّهْرِ
أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ عَنْ عَامِرٍ قَالَ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى عَلِيٍّ تُخَاصِمُ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا فَقَالَتْ قَدْ حِضْتُ فِي شَهْرٍ ثَلَاثَ حِيَضٍ فَقَالَ عَلِيٌّ لِشُرَيْحٍ اقْضِ بَيْنَهُمَا قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَأَنْتَ هَا هُنَا قَالَ اقْضِ بَيْنَهُمَا قَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ وَأَنْتَ هَا هُنَا قَالَ اقْضِ بَيْنَهُمَا قَالَ إِنْ جَاءَتْ مِنْ بِطَانَةِ أَهْلِهَا مِمَّنْ يُرْضَى دِينُهُ وَأَمَانَتُهُ تَزْعُمُ أَنَّهَا حَاضَتْ ثَلَاثَ حِيَضٍ تَطْهُرُ عِنْدَ كُلِّ قُرْءٍ وَتُصَلِّي جَازَ لَهَا وَإِلَّا فَلَا فَقَالَ عَلِيٌّ قَالُونُ وَقَالُونُ بِلِسَانِ الرُّومِ أَحْسَنْتَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯২. পবিত্রাবস্থার সর্বনিম্ন পরিমাণ সম্পর্কে
৮৮০. খালিদ আল হাযযা’ থেকে বর্ণিত, ইকরিমাহ রাহি. (وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ) অর্থ: “তাদের জন্য জায়েয নয় যে, তারা তা গোপন করবে, যা আল্লাহ তাদের গর্ভে সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা বাকারাহ: ২২৮) (এ আয়াত সম্পর্কে) বলেন: (এর অর্থ) হায়েয।
আবু মুহাম্মদ (আব্দুল্লাহ আদ-দারিমী)কে বলা হলো, আপনিও কি তাই বলেন? তিনি বললেন, না। আর আব্দুল্লাহকে শুরাইহ’-এর হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো: আপনিও কি অনুরূপ বলেন? তিনি বললেন, না। তিনি বলেন, একমাসে তিন বার হায়েয হওয়া কিভাবে সম্ভব?[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৫/২৩৪; সাঈদ ইবনু মানসূর ও বাইহাকী এটি বর্ণনা করেছেন বলে সুয়ূতী দূররে মানসূর ১/২৭৬ এ উল্লেখ করেছেন।
بَابٌ فِي أَقَلِّ الطُّهْرِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ عَنْ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ عِكْرِمَةَ وَلَا يَحِلُّ لَهُنَّ أَنْ يَكْتُمْنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ فِي أَرْحَامِهِنَّ قَالَ الْحَيْضُ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ أَتَقُولُ بِهَذَا قَالَ لَا سُئِلَ عَبْد اللَّهِ عَنْ حَدِيثِ شُرَيْحٍ تَقُولُ بِهِ قَالَ لَا وَقَالَ ثَلَاثُ حِيَضٍ فِي الشَّهْرِ كَيْفَ يَكُونُ