পরিচ্ছেদঃ ৫৭. আব্বাদ ইবনু আব্বাদ আল খাওয়াসী আশ শামী’র পত্র প্রসঙ্গে

৬৭২. মালিক ইবনু সুলাইমান আবু আব্দুর রহমান আল ইনতাকী থেকে বর্ণিত, আব্বাদ ইবনু আব্বাদ আল খাওয়াসী আশ শামী আবী উতবাহ বলেন: অতঃপর, তোমরা বুঝে নাও যে, আকল বা বুদ্ধি-বিবেক একটি নিয়া’মত। কেননা, অনেক বুদ্ধিমান লোক তার জন্য ক্ষতিকর বিষয়ে তার অন্তরকে গভীর চিন্তা-ভাবনায় মগ্ন রেখেছে তার প্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দিয়ে- এমনকি সে তা থেকে অমনোযোগী হয়ে গেছে। কোনো লোকের বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হচ্ছে সেই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া পরিত্যাগ করা (ইতোপূর্বে) যাতে সে ভ্রুক্ষেপ করেনি। তার নিম্নস্তরের লোকের সাথে নেক আমলের ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করা ত্যাগ করার ব্যাপারে তার বুদ্ধিমত্তার শ্রেষ্ঠত্ব যেন তার ক্ষতির কারণ হয়ে না যায়। কিংবা, যে লোক তার অন্তরকে বিদ’আতে লিপ্ত রেখেছে, সেই বিষয়ে সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীগণ ব্যতীত অন্য লোকদের নিকট তার দীনকে সঁপে দিয়েছে; কিংবা যে তার আপন মতামতের উপর সন্তুষ্ট হয়ে গিয়েছে, তার মতামত ব্যতীত অন্য কোথাও (কারও মতামতের মধ্যে) সে হেদায়েত দেখতে পায় না এবং কেবল তা পরিত্যাগ করাকেই পথভ্রষ্টতা বলে মনে করে; তার ধারণা সে কুরআন থেকেই তার মতামত গ্রহণ করেছে। আসলে সে কুরআন থেকে বিচ্ছিন্নতার দিকেই (লোকদেরকে) আহবান করছে। (কেন?) তার ও তার সাথীদের পূর্বে কি কুরআনের ধারক কেউ ছিলো না, যারা কুরআনের মুহকাম আয়াতের উপর আমল করতেন এবং এর মুতাশাবিহাহ আয়াতের উপর ঈমান রাখতেন? তারা ছিলেন রাস্তা আলোকিত করা আলোকস্তম্ভের সারি।

আর কুরআন ছিলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথ নির্দেশক, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন তাঁর সাহাবীগণের ইমাম বা পথ প্রদর্শক। আর তাঁর সাহাবীগণ ইমাম ছিলেন পরবর্তীদের লোকদের, যারা ছিলেন বিভিন্ন শহরে প্রসিদ্ধ ও নেতৃস্থানীয়। তাদের নিজেদের মধ্যকার (ছোট-খাটো ফিকহী) ইখতিলাফসহ-ই তারা প্রবৃত্তির অনুসারীদের খণ্ডনে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। এবং এ প্রবৃত্তির অনুসারীদেরকে তাদের আপন রায় (মতামতসমূহ) উদ্দেশ্যহীন ভাবে বহু রাস্তা ঘুরিয়ে তাদেরকে হয়রান করেছে, যার প্রত্যেকটি পন্থাই ছিল মধ্যমপন্থা বিরোধী এবং তা হতে বাড়াবাড়িমূলক এবং সঠিক পথ হতে বিচ্ছিন্ন। তাদের পথপ্রদর্শকরা বিভ্রান্তকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এ মিশনে তাদেরকে বিভ্রান্ত করেছে। ফলে বিপথগামীরা তাদের বিভ্রান্তিতেই একাগ্রচিত্ত হয়েছে। এদের বিভ্রান্তির মধ্যে শয়তান যখনই কোনো বিদ’আত চালু করেছে তখনই এরা তা (তাদের বর্তমান বিভ্রান্তি) ছেড়ে অন্যটির দিকে ঘুরে গিয়েছে। কারণ, তারা তো পূর্ববর্তীদের (সালফে সালেহীনদের) হাদীস (মতামত-আমল) সন্ধান করে না এবং মুহাজির (সাহাবী)গণের অনুসরণ করে না।

উমার রা: হতে বর্ণিত আছে, যে তিনি যিয়াদকে বলেছিলেন: তুমি জান কি, কোন্ জিনিসটি ইসলামকে ধ্বংস করবে? আলিমগণের পদস্খলন, কুর’আন নিয়ে মুনাফিকদের ঝগড়া-বিতর্ক এবং বিভ্রান্তকারী নেতৃবৃন্দ। আল্লাহকে ভয় করবে এবং তোমাদের কারী (কুর’আনে অভিজ্ঞ আলিম) ও মসজিদে অবস্থানকারীগণের মধ্যে যারা গীবত, চোগলখুরী এবং লোকদের মাঝে দু’ই মুখ ও দুই জিহবা নিয়ে বিচরণ করে, তাদের থেকে সাবধান থাকবে। আরও বর্ণিত, হয়েছে যে, ‍দুনিয়াতে যে দু’মুখের অধিকারী হবে জাহান্নামেও সে দু’মুখের অধিকারী হবে।

গীবতকারী তোমার সাথে মিলিত হয়ে তোমার নিকট ঐ ব্যক্তি গীবত করে, যার গীবত করাকে তুমি পছন্দ কর বলে সে ধারণা করে। এরপর তোমার সাথীর (দুশমনের) সাথে তোমার অসাক্ষাতে মিলিত হয়ে তোমার থেকে তার নিকট অনুরূপ কথা পৌঁছে দেয়। এভাবে তোমাদের প্রত্যেকের নিকট থেকে সে নিজের প্রয়োজন পূরণ করে নেয়। এবং সে তোমাদের দু’জনের প্রত্যেকের নিকটই গোপন রাখে, যা সে তোমাদের একজনের পক্ষ থেকে অপর জনের নিকট পৌছে দেয়। যার নিকট সে সাক্ষাৎ করে, এমনভাবেই তার সাথে সাক্ষাৎ করে, যেভাবে দু’ভাই সাক্ষাত করে। আর যার নিকট থেকে সে চলে যায়, এমনভাবেই চলে যায় যেন দুশমন চলে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যার যে তার সামনে উপস্থিত থাকে, তার নিকট তার কৃতিত্ব বজায় থাকে। কিন্তু তাদের মধ্যকার যে তার নিকট থেকে চলে যায়, তার কোনো সম্মানই সে অবশিষ্ট রাখে না। যে তার নিকট উপস্থিত থাকে, তার প্রশংসাগীতি গেয়ে তাকে মুগ্ধ করে আর যে তার নিকট অনুপস্থিত জঘন্যভাবে তার গীবত করতে থাকে। সুতরাং, হে আল্লাহর বান্দারা! লোকদের মধ্যে এমন উত্তম ও সংশোধনকারী কেউ নেই যে একে তার প্রতারণা থেকে নিবৃত্ত করবে এবং তার মুসলিম ভাইয়ের সম্মান (নষ্ট করা) থেকে একে ফেরাবে? বরং সে যেভাবে তাদের নিকট যায়, তাতে তাদের প্রবৃত্তি-ই প্রকাশ পায়।

এভাবে সে তাদের উপর কর্তৃত্ব লাভ করে এবং তারা তার প্রয়োজনটাকে পূরণ করে দেয়। ফলে সে তাদের দীনের সাথে নিজের দীনকেও বরবাদ করে দেয়। তাই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা তোমাদের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান রক্ষা করো এবং কল্যাণমূলক আলোচনা ব্যতীত তাদের ব্যাপারে তোমাদের জিহবাকে বিরত রাখো। তোমাদের উম্মতের ব্যাপারে আল্লাহকে উপদেশদাতা হিসেবে গ্রহণ করো, কেননা তোমরা হলে কিতাব ও ‍সুন্নাতের ধারক। আর কিতাব ততক্ষণ কথা বলে না, যতক্ষণ তার সাথে কথা বলা না হয়। আর সুন্নাত নিজে আমল করিয়ে দেয় না, যদি না তা আমল করা হয়। সুতরাং যদি আলিমগণ চুপ থাকে, আর যে অনিষ্ট প্রকাশ পেয়েছে, তা না চেনে এবং যা পরিত্যাগ করা হয়েছে তা করতে আদেশ না করে, তবে জাহিলরা কখন (কিভাবে) জানবে? অথচ, “যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের থেকে এ ওয়াদা নেয়া হয়েছিল যে, তারা লোকদের নিকট কিতাবের শিক্ষা বর্ণনা করে দেবে এবং তা গোপন করবে না।”- (সূরা আলে ইমরান: ১৮৭)

তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, কেননা, তোমরা এমন এক সময়ে আছো যখন তাকওয়া দুর্বল হয়ে গেছে এবং বিনয়ও কমে গেছে। ইলমের বাহকরাই ইলম নষ্ট করছে। কারণ তারা তাদের ইলমের দ্বারা প্রসিদ্ধি লাভের আকাঙ্ক্ষা করছে। আর ইলম বিনষ্টকারী হিসেবে তাদের পরিচিতি লাভকে তারা পছন্দ করছে না। কিন্তু ইলমের ব্যাপারে নিজেদের মনগড়া কথা বলে তাতে ভুল-ত্রুটির অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে। আবার যে সত্যকে তারা পরিত্যাগ করছে, সেই সকল বাণীর অপব্যাখ্যা করে তারা যে বাতিল আমল করছে সেদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। ফলে তাদের গুনাহগুলো এমন (মারাত্মক) গুনাহ যা ক্ষমার যোগ্য নয়। তাদের এ কাটছাঁট কোনোভাবেই মেনে নেয়ার যোগ্য নয়। পথপ্রদর্শকই যদি বিপথগামী হয়, তবে সেই পথপ্রদর্শক কিভাবে পথের দিশা প্রার্থীদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে?

তারা (নিজেরাই) দুনিয়াকে ভালোবাসে, কিন্তু দুনিয়াদার লোকদেরকে তারা অপছন্দ করছে। ফলে তারা দুনিয়াদারদের সাথে তাদের জীবন-জীবিকায় অংশীদার হচ্ছে, আর শুধু কথায় তারা তাদের থেকে পৃথক থাকছে। আর শুধু কথার মাধ্যমেই তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করছে যে, তাদেরকে (মিছামিছি) ‍তাদের (দুনিয়াদারদের) কাজের দিকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে এবং যে স্থানে তারা উপস্থিত থাকে না, সেখান (সংঘটিত অপরাধ) খেকেও তারা অব্যাহতি পাচ্ছে না। আবার তারা নিজেরা যেদিকে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করছে, তাতেও তারা অন্তর্ভুক্ত নয়। কারণ সত্যের উপর আমলকারী (সত্যের) কথক, এমনকি যদিও সে চুপ থাকে। কেননা, উল্লেখ করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন: “আমি প্রত্যেক জ্ঞানগর্ভ কথাকেই কবুল করি না। বরং আমি দেখি তার অভিপ্রায় ও কামনাকে। যদি তার ইচ্ছা ও কামনা শুধুই আমার জন্য হয়, তবে আমি তার নিশ্চুপ থাকাকে (আমার) প্রশংসা ও মর্যাদা (বর্ণনায়) পরিণত করে দিই, যদিও সে কোনো কথা বলে না”। আর আল্লাহ তা’আলা কিতাবে বলেছেন: “যারা তাওরাত দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা বহন করেনি, তাদের দৃষ্টান্ত সেই গাধার মতো যা শুধু কিতাবের বোঝা-ই বহন করে চলেছে।” (সূরা জুমু’আহ: ৫)

আল্লাহ আরও বলেছেন: “আমি যা তোমাদেরকে যা দেই, তা দৃঢ়ভাবে ধারণ কর।” (সূরা বাকারাহ: ৬৩)

তিনি বলেছেন: এর মধ্যে যা কিছু রয়েছে, তার উপর আমল করা সম্পর্কে। সুন্নাতের আমল করা ছাড়াই সুন্নাত ধারণের শুধু মৌখিক দাবী করাকেই যথেষ্ট মনে করো না। কেননা, সুন্নাতের উপর আমল না করেই সুন্নাতের মৌখিক দাবী করা সম্পূর্ণই মিথ্যাচার, সেই সাথে তা ইলম বিনষ্ট করাও বটে। তোমরা নিজেরা একই দোষে দুষ্ট হয়ে সেই দোষের কারণে বিদ’আতীদের দোষারোপ করো না। তোমাদের নিজেদের সংশোধনের চেয়ে বিদ’আতীদের বিভ্রান্তি অধিক (দুষণীয়) নয়। আর বিদ’আতীদের দোষারোপের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করে ফেলো না; কারণ বাড়াবাড়ি করা বরং তোমাদের পক্ষেই অন্যায় হবে। আর ডাক্তারের জন্য এটা সঙ্গত নয় যে, তিনি অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে ওষুধ দেবেন, যা দ্বারা তারা সুস্থ্য হবে ঠিকই কিন্তু ডাক্তার নিজে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কারণ, তিনি নিজেই যখন অসুস্থ হবেন, তখন তাদের চিকিৎসা করা থেকে তার নিজের অসুস্থতা নিয়েই তিনি অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। বরং তার উচিত নিজের সুস্থতা চাওয়া যাতে তিনি রোগীর চিকিৎসা করতে সক্ষম হন।

সুতরাং তোমাদের কাজ হবে, ভাইদের মন্দ থেকে ফিরিয়ে রাখতে গিয়ে নিজেদের কল্যাণের জন্য তোমাদের নিজেদের দিকে অধিক নজর দেয়া। আর তোমাদের রবের (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে তোমাদের পক্ষ থেকে (তাদের জন্য) কল্যাণ কামনা করা এবং তোমাদের ভাইদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। আর সেই সাথে অন্যের দোষের চেয়ে তোমাদের নিজেদের দোষ নিয়ে অধিক উদ্বিগ্ন হওয়াই তোমাদের কাজ। তোমাদের উচিত পরস্পরকে নসীহত করতে থাকা। যে তোমাদেরকে সম্মান দান করে সে যেন তোমাদের নিকট সম্মান লাভ করে এবং তোমরা যেন তা মেনে নাও।

উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার দোষ-ত্রুটি আমাকে দেখিয়ে দেয, আল্লাহ তাকে রহম করুন। তোমরা পছন্দ কর যে, তোমরা যখন বলো, তখন যেন তা সহ্য করা হয়। কিন্তু তোমরা যা বলো, তার অনুরূপ কথা যদি তোমাদেরকে বলা হয়, তবে তোমরা রেগে যাও। লোকেরা যে সকল কাজ করে, সেই একই কাজ থেকে যখন তোমাদেরকে নিষেধ করা হচ্ছে, তখন তোমরা লোকদের উপর রেগে যাচ্ছো, অথচ তোমরাই সে ধরনের কাজ করছো। তবে তোমরা কি পছন্দ করো না যে, তোমাদের বিপক্ষে (অন্য লোকদেরকে) পাকড়াও করা হোক?

তোমাদের নিজস্ব মতামত ও তোমাদের সমকালীন লোকদের মতামতকে তোমরা ত্রুটিযুক্ত মনে করবে; আর কথা বলার পূর্বে তোমরা নিজেদেরকে দৃঢ় করে নেবে, আর আমল করার পূর্বে (সেই বিষয়ে) তোমরা জ্ঞান অর্জন করে নেবে। কেননা, এমন এক সময় আসবে যখন হক ও বাতিল অস্পষ্ট হয়ে যাবে, যখন ভালো কাজ মন্দ হয়ে যাবে এবং মন্দ কাজ ভালো হিসেবে গণ্য হবে। ফলে (মন্দ কাজকে) আল্লাহর নৈকট্য দানকারী (কথা ও কাজ মনে করবে) কিন্তু তা তাকে আল্লাহ থেকে আরও দূরে ঠেলে দেবে। (তারা আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজকে) আল্লাহর পছন্দনীয় (বলে মনে করবে) ফলে তা তাঁকে তার বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ করে তুলবে।

আল্লাহ তা’আলা বলেন: “আর যাকে তার মন্দ কর্ম সুন্দর করে দেখানো হয় এবং সে ওটাকে উত্তম মনে করে”।... আয়াতের শেষ পর্যন্ত। ‍সূরা ফাতির: ৮)

সন্দেহজনক বিষয়ের নিকট থেমে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য যতক্ষণ না তোমাদের নিকট হকের সুস্পষ্টতা প্রমাণসহ প্রকাশিত হয়ে যায়। কেননা, যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে না জেনে ইলম ছাড়া প্রবেশ করে, সেও পাপী। যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি লক্ষ্য রাখবে, আল্লাহ তাকে সাহায্য করবেন। কুরআনকে আঁকড়ে ধরা এবং এর অনুসরণ করা এবং এ অনুসারে (অন্যদেরকে) পরিচালিত করা তোমাদের জন্য অপরিহার্য। এবং তোমাদের উপর অপরিহার্য হলো যারা গত হয়েছেন (সাহাবীগণের) কুরআনের আয়াতসমূহ সম্পর্কে তাদের মতামতসমূহ অনুসন্ধান করা। যদি (আহলে কিতাবদের) আলিমগণ ও সন্ন্যাসীগণের আশঙ্কা না থাকতো যে, যদি তারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী আমল করা ও তা বর্ণনা করে দেওয়ার মাধ্যমে কিতাবকে কায়েম রাখেন তাহলে তাদের মান-মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়ে যাবে এবং তাদের অবস্থান নষ্ট হয়ে যাবে, তাহলে তারা কিতাবের অপব্যাখ্যা করতো না এবং তা লুকাতোও না। কিন্তু যখন তারা কিতাবের বিপরীত আমল করলো, তখন তাদের অবস্থান নষ্ট হওয়া এবং তাদের নষ্টামী লোকদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ার আশঙ্কায় তারা ইচ্ছা করেছিল যে তাদের কওমকে তাদের কৃতকর্মের ব্যাপারে প্রতারিত করবে, তাই তারা অপব্যাখ্যার নামে কিতাবে পরিবর্তন করতে শুরু করলো। আর যেখানে পরিবর্তন করতে পারলো না, তা গোপন করে গেলো। আর তাদের অবস্থানকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা নিরবতা অবলম্বন করলো এবং তাদের কওমের লোকদের তোষামোদের উদ্দেশ্যে তাদের কৃতকর্মের ব্যাপারেও তারা চুপ করে রইলো। অথচ যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিলো, তাদের নিকট থেকে আল্লাহ তা’আলা এই প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন যে, অবশ্যই তারা লোকদের নিকট তা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দেবে আর তা গোপন করবে না। বরং তারা তাদের কাজে সহায়তা করতে লাগলো এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা আরম্ভ করলো।[1]

رِسَالَةُ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْخَوَّاصِ الشَّامِيِّ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ سُلَيْمَانَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْطَاكِيُّ عَنْ عَبَّادِ بْنِ عَبَّادٍ الْخَوَّاصِ الشَّامِيِّ أَبِي عُتْبَةَ قَالَ أَمَّا بَعْدُ اعْقِلُوا وَالْعَقْلُ نِعْمَةٌ فَرُبَّ ذِي عَقْلٍ قَدْ شُغِلَ قَلْبُهُ بِالتَّعَمُّقِ عَمَّا هُوَ عَلَيْهِ ضَرَرٌ عَنْ الِانْتِفَاعِ بِمَا يَحْتَاجُ إِلَيْهِ حَتَّى صَارَ عَنْ ذَلِكَ سَاهِيًا وَمِنْ فَضْلِ عَقْلِ الْمَرْءِ تَرْكُ النَّظَرِ فِيمَا لَا نَظَرَ فِيهِ حَتَّى لَا يَكُونَ فَضْلُ عَقْلِهِ وَبَالًا عَلَيْهِ فِي تَرْكِ مُنَافَسَةِ مَنْ هُوَ دُونَهُ فِي الْأَعْمَالِ الصَّالِحَةِ أَوْ رَجُلٍ شُغِلَ قَلْبُهُ بِبِدْعَةٍ قَلَّدَ فِيهَا دِينَهُ رِجَالًا دُونَ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ اكْتَفَى بِرَأْيِهِ فِيمَا لَا يَرَى الْهُدَى إِلَّا فِيهَا وَلَا يَرَى الضَّلَالَةَ إِلَّا بِتَرْكِهَا يَزْعُمُ أَنَّهُ أَخَذَهَا مِنْ الْقُرْآنِ وَهُوَ يَدْعُو إِلَى فِرَاقِ الْقُرْآنِ أَفَمَا كَانَ لِلْقُرْآنِ حَمَلَةٌ قَبْلَهُ وَقَبْلَ أَصْحَابِهِ يَعْمَلُونَ بِمُحْكَمِهِ وَيُؤْمِنُونَ بِمُتَشَابِهِهِ وَكَانُوا مِنْهُ عَلَى مَنَارٍ كَوَضَحِ الطَّرِيقِ فَكَانَ الْقُرْآنُ إِمَامَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ إِمَامًا لِأَصْحَابِهِ وَكَانَ أَصْحَابُهُ أَئِمَّةً لِمَنْ بَعْدَهُمْ رِجَالٌ مَعْرُوفُونَ مَنْسُوبُونَ فِي الْبُلْدَانِ مُتَّفِقُونَ فِي الرَّدِّ عَلَى أَصْحَابِ الْأَهْوَاءِ مَعَ مَا كَانَ بَيْنَهُمْ مِنْ الِاخْتِلَافِ وَتَسَكَّعَ أَصْحَابُ الْأَهْوَاءِ بِرَأْيِهِمْ فِي سُبُلٍ مُخْتَلِفَةٍ جَائِرَةٍ عَنْ الْقَصْدِ مُفَارِقَةٍ لِلصِّرَاطِ الْمُسْتَقِيمِ فَتَوَّهَتْ بِهِمْ أَدِلَّاؤُهُمْ فِي مَهَامِهَ مُضِلَّةٍ فَأَمْعَنُوا فِيهَا مُتَعَسِّفِينَ فِي تِيهِهِمْ كُلَّمَا أَحْدَثَ لَهُمْ الشَّيْطَانُ بِدْعَةً فِي ضَلَالَتِهِمْ انْتَقَلُوا مِنْهَا إِلَى غَيْرِهَا لِأَنَّهُمْ لَمْ يَطْلُبُوا أَثَرَ السَّالِفِينَ وَلَمْ يَقْتَدُوا بِالْمُهَاجِرِينَ وَقَدْ ذُكِرَ عَنْ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ لِزِيَادٍ هَلْ تَدْرِي مَا يَهْدِمُ الْإِسْلَامَ زَلَّةُ عَالِمٍ وَجِدَالُ مُنَافِقٍ بِالْقُرْآنِ وَأَئِمَّةٌ مُضِلُّونَ اتَّقُوا اللَّهَ وَمَا حَدَثَ فِي قُرَّائِكُمْ وَأَهْلِ مَسَاجِدِكُمْ مِنْ الْغِيبَةِ وَالنَّمِيمَةِ وَالْمَشْيِ بَيْنَ النَّاسِ بِوَجْهَيْنِ وَلِسَانَيْنِ وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ مَنْ كَانَ ذَا وَجْهَيْنِ فِي الدُّنْيَا كَانَ ذَا وَجْهَيْنِ فِي النَّارِ يَلْقَاكَ صَاحِبُ الْغِيبَةِ فَيَغْتَابُ عِنْدَكَ مَنْ يَرَى أَنَّكَ تُحِبُّ غِيبَتَهُ وَيُخَالِفُكَ إِلَى صَاحِبِكَ فَيَأْتِيهِ عَنْكَ بِمِثْلِهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ أَصَابَ عِنْدَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْكُمَا حَاجَتَهُ وَخَفِيَ عَلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْكُمَا مَا أُتِيَ بِهِ عِنْدَ صَاحِبِهِ حُضُورُهُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ حُضُورُ الْإِخْوَانِ وَغَيْبَتُهُ عَلَى مَنْ غَابَ عَنْهُ غَيْبَةُ الْأَعْدَاءِ مَنْ حَضَرَ مِنْهُمْ كَانَتْ لَهُ الْأَثَرَةُ وَمَنْ غَابَ مِنْهُمْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حُرْمَةٌ يَفْتِنُ مَنْ حَضَرَهُ بِالتَّزْكِيَةِ وَيَغْتَابُ مَنْ غَابَ عَنْهُ بِالْغِيبَةِ فَيَا لَعِبَادَ اللَّهِ أَمَا فِي الْقَوْمِ مِنْ رَشِيدٍ وَلَا مُصْلِحٍ يَقْمَعُ هَذَا عَنْ مَكِيدَتِهِ وَيَرُدُّهُ عَنْ عِرْضِ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ بَلْ عَرَفَ هَوَاهُمْ فِيمَا مَشَى بِهِ إِلَيْهِمْ فَاسْتَمْكَنَ مِنْهُمْ وَأَمْكَنُوهُ مِنْ حَاجَتِهِ فَأَكَلَ بِدِينِهِ مَعَ أَدْيَانِهِمْ فَاللَّهَ اللَّهَ ذُبُّوا عَنْ حُرَمِ أَغْيَابِكُمْ وَكُفُّوا أَلْسِنَتَكُمْ عَنْهُمْ إِلَّا مِنْ خَيْرٍ وَنَاصِحُوا اللَّهَ فِي أُمَّتِكُمْ إِذْ كُنْتُمْ حَمَلَةَ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ فَإِنَّ الْكِتَابَ لَا يَنْطِقُ حَتَّى يُنْطَقَ بِهِ وَإِنَّ السُّنَّةَ لَا تَعْمَلُ حَتَّى يُعْمَلَ بِهَا فَمَتَى يَتَعَلَّمُ الْجَاهِلُ إِذَا سَكَتَ الْعَالِمُ فَلَمْ يُنْكِرْ مَا ظَهَرَ وَلَمْ يَأْمُرْ بِمَا تُرِكَ وَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُونَهُ اتَّقُوا اللَّهَ فَإِنَّكُمْ فِي زَمَانٍ رَقَّ فِيهِ الْوَرَعُ وَقَلَّ فِيهِ الْخُشُوعُ وَحَمَلَ الْعِلْمَ مُفْسِدُوهُ فَأَحَبُّوا أَنْ يُعْرَفُوا بِحَمْلِهِ وَكَرِهُوا أَنْ يُعْرَفُوا بِإِضَاعَتِهِ فَنَطَقُوا فِيهِ بِالْهَوَى لَمَّا أَدْخَلُوا فِيهِ مِنْ الْخَطَإِ وَحَرَّفُوا الْكَلِمَ عَمَّا تَرَكُوا مِنْ الْحَقِّ إِلَى مَا عَمِلُوا بِهِ مِنْ بَاطِلٍ فَذُنُوبُهُمْ ذُنُوبٌ لَا يُسْتَغْفَرُ مِنْهَا وَتَقْصِيرُهُمْ تَقْصِيرٌ لَا يُعْتَرَفُ بِهِ كَيْفَ يَهْتَدِي الْمُسْتَدِلُّ الْمُسْتَرْشِدُ إِذَا كَانَ الدَّلِيلُ حَائِرًا أَحَبُّوا الدُّنْيَا وَكَرِهُوا مَنْزِلَةَ أَهْلِهَا فَشَارَكُوهُمْ فِي الْعَيْشِ وَزَايَلُوهُمْ بِالْقَوْلِ وَدَافَعُوا بِالْقَوْلِ عَنْ أَنْفُسِهِمْ أَنْ يُنْسَبُوا إِلَى عَمَلِهِمْ فَلَمْ يَتَبَرَّءُوا مِمَّا انْتَفَوْا مِنْهُ وَلَمْ يَدْخُلُوا فِيمَا نَسَبُوا إِلَيْهِ أَنْفُسَهُمْ لِأَنَّ الْعَامِلَ بِالْحَقِّ مُتَكَلِّمٌ وَإِنْ سَكَتَ وَقَدْ ذُكِرَ أَنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ إِنِّي لَسْتُ كُلَّ كَلَامِ الْحَكِيمِ أَتَقَبَّلُ وَلَكِنِّي أَنْظُرُ إِلَى هَمِّهِ وَهَوَاهُ فَإِنْ كَانَ هَمُّهُ وَهَوَاهُ لِي جَعَلْتُ صَمْتَهُ حَمْدًا وَوَقَارًا لِي وَإِنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى مَثَلُ الَّذِينَ حُمِّلُوا التَّوْرَاةَ ثُمَّ لَمْ يَحْمِلُوهَا لَمْ يَعْمَلُوا بِهَا كَمَثَلِ الْحِمَارِ يَحْمِلُ أَسْفَارًا كُتُبًا وَقَالَ خُذُوا مَا آتَيْنَاكُمْ بِقُوَّةٍ قَالَ الْعَمَلُ بِمَا فِيهِ وَلَا تَكْتَفُوا مِنْ السُّنَّةِ بِانْتِحَالِهَا بِالْقَوْلِ دُونَ الْعَمَلِ بِهَا فَإِنَّ انْتِحَالَ السُّنَّةِ دُونَ الْعَمَلِ بِهَا كَذِبٌ بِالْقَوْلِ مَعَ إِضَاعَةِ الْعَمَلِ وَلَا تَعِيبُوا بِالْبِدَعِ تَزَيُّنًا بِعَيْبِهَا فَإِنَّ فَسَادَ أَهْلِ الْبِدَعِ لَيْسَ بِزَائِدٍ فِي صَلَاحِكُمْ وَلَا تَعِيبُوهَا بَغْيًا عَلَى أَهْلِهَا فَإِنَّ الْبَغْيَ مِنْ فَسَادِ أَنْفُسِكُمْ وَلَيْسَ يَنْبَغِي لِلطَّبِيبِ أَنْ يُدَاوِيَ الْمَرْضَى بِمَا يُبَرِّئُهُمْ وَيُمْرِضُهُ فَإِنَّهُ إِذَا مَرِضَ اشْتَغَلَ بِمَرَضِهِ عَنْ مُدَاوَاتِهِمْ وَلَكِنْ يَنْبَغِي أَنْ يَلْتَمِسَ لِنَفْسِهِ الصِّحَّةَ لِيَقْوَى بِهِ عَلَى عِلَاجِ الْمَرْضَى فَلْيَكُنْ أَمْرُكُمْ فِيمَا تُنْكِرُونَ عَلَى إِخْوَانِكُمْ نَظَرًا مِنْكُمْ لِأَنْفُسِكُمْ وَنَصِيحَةً مِنْكُمْ لِرَبِّكُمْ وَشَفَقَةً مِنْكُمْ عَلَى إِخْوَانِكُمْ وَأَنْ تَكُونُوا مَعَ ذَلِكَ بِعُيُوبِ أَنْفُسِكُمْ أَعْنَى مِنْكُمْ بِعُيُوبِ غَيْرِكُمْ وَأَنْ يَسْتَطْعِمَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا النَّصِيحَةَ وَأَنْ يَحْظَى عِنْدَكُمْ مَنْ بَذَلَهَا لَكُمْ وَقَبِلَهَا مِنْكُمْ وَقَدْ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ رَحِمَ اللَّهُ مَنْ أَهْدَى إِلَيَّ عُيُوبِي تُحِبُّونَ أَنْ تَقُولُوا فَيُحْتَمَلَ لَكُمْ وَإِنْ قِيلَ لَكُمْ مِثْلُ الَّذِي قُلْتُمْ غَضِبْتُمْ تَجِدُونَ عَلَى النَّاسِ فِيمَا تُنْكِرُونَ مِنْ أُمُورِهِمْ وَتَأْتُونَ مِثْلَ ذَلِكَ فَلَا تُحِبُّونَ أَنْ يُوجَدَ عَلَيْكُمْ اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ وَرَأْيَ أَهْلِ زَمَانِكُمْ وَتَثَبَّتُوا قَبْلَ أَنْ تَكَلَّمُوا وَتَعَلَّمُوا قَبْلَ أَنْ تَعْمَلُوا فَإِنَّهُ يَأْتِي زَمَانٌ يَشْتَبِهُ فِيهِ الْحَقُّ وَالْبَاطِلُ وَيَكُونُ الْمَعْرُوفُ فِيهِ مُنْكَرًا وَالْمُنْكَرُ فِيهِ مَعْرُوفًا فَكَمْ مِنْ مُتَقَرِّبٍ إِلَى اللَّهِ بِمَا يُبَاعِدُهُ وَمُتَحَبِّبٍ إِلَيْهِ بِمَا يُغْضِبُهُ عَلَيْهِ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى أَفَمَنْ زُيِّنَ لَهُ سُوءُ عَمَلِهِ فَرَآهُ حَسَنًا الْآيَةَ فَعَلَيْكُمْ بِالْوُقُوفِ عِنْدَ الشُّبُهَاتِ حَتَّى يَبْرُزَ لَكُمْ وَاضِحُ الْحَقِّ بِالْبَيِّنَةِ فَإِنَّ الدَّاخِلَ فِيمَا لَا يَعْلَمُ بِغَيْرِ عِلْمٍ آثِمٌ وَمَنْ نَظَرَ لِلَّهِ نَظَرَ اللَّهُ لَهُ عَلَيْكُمْ بِالْقُرْآنِ فَأْتَمُّوا بِهِ وَأُمُّوا بِهِ وَعَلَيْكُمْ بِطَلَبِ أَثَرِ الْمَاضِينَ فِيهِ وَلَوْ أَنَّ الْأَحْبَارَ وَالرُّهْبَانَ لَمْ يَتَّقُوا زَوَالَ مَرَاتِبِهِمْ وَفَسَادَ مَنْزِلَتِهِمْ بِإِقَامَةِ الْكِتَابِ وَتِبْيَانِهِ مَا حَرَّفُوهُ وَلَا كَتَمُوهُ وَلَكِنَّهُمْ لَمَّا خَالَفُوا الْكِتَابَ بِأَعْمَالِهِمْ الْتَمَسُوا أَنْ يَخْدَعُوا قَوْمَهُمْ عَمَّا صَنَعُوا مَخَافَةَ أَنْ تَفْسُدَ مَنَازِلُهُمْ وَأَنْ يَتَبَيَّنَ لِلنَّاسِ فَسَادُهُمْ فَحَرَّفُوا الْكِتَابَ بِالتَّفْسِيرِ وَمَا لَمْ يَسْتَطِيعُوا تَحْرِيفَهُ كَتَمُوهُ فَسَكَتُوا عَنْ صَنِيعِ أَنْفُسِهِمْ إِبْقَاءً عَلَى مَنَازِلِهِمْ وَسَكَتُوا عَمَّا صَنَعَ قَوْمُهُمْ مُصَانَعَةً لَهُمْ وَقَدْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلَا تَكْتُمُونَهُ بَلْ مَالَئُوا عَلَيْهِ وَرَقَّقُوا لَهُمْ فِيهِ

إسناده ضعيف عبد الملك بن سليمان الأنطاكي مجهول

اخبرنا عبد الملك بن سليمان ابو عبد الرحمن الانطاكي عن عباد بن عباد الخواص الشامي ابي عتبة قال اما بعد اعقلوا والعقل نعمة فرب ذي عقل قد شغل قلبه بالتعمق عما هو عليه ضرر عن الانتفاع بما يحتاج اليه حتى صار عن ذلك ساهيا ومن فضل عقل المرء ترك النظر فيما لا نظر فيه حتى لا يكون فضل عقله وبالا عليه في ترك منافسة من هو دونه في الاعمال الصالحة او رجل شغل قلبه ببدعة قلد فيها دينه رجالا دون اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم او اكتفى برايه فيما لا يرى الهدى الا فيها ولا يرى الضلالة الا بتركها يزعم انه اخذها من القران وهو يدعو الى فراق القران افما كان للقران حملة قبله وقبل اصحابه يعملون بمحكمه ويومنون بمتشابهه وكانوا منه على منار كوضح الطريق فكان القران امام رسول الله صلى الله عليه وسلم وكان رسول الله اماما لاصحابه وكان اصحابه اىمة لمن بعدهم رجال معروفون منسوبون في البلدان متفقون في الرد على اصحاب الاهواء مع ما كان بينهم من الاختلاف وتسكع اصحاب الاهواء برايهم في سبل مختلفة جاىرة عن القصد مفارقة للصراط المستقيم فتوهت بهم ادلاوهم في مهامه مضلة فامعنوا فيها متعسفين في تيههم كلما احدث لهم الشيطان بدعة في ضلالتهم انتقلوا منها الى غيرها لانهم لم يطلبوا اثر السالفين ولم يقتدوا بالمهاجرين وقد ذكر عن عمر انه قال لزياد هل تدري ما يهدم الاسلام زلة عالم وجدال منافق بالقران واىمة مضلون اتقوا الله وما حدث في قراىكم واهل مساجدكم من الغيبة والنميمة والمشي بين الناس بوجهين ولسانين وقد ذكر ان من كان ذا وجهين في الدنيا كان ذا وجهين في النار يلقاك صاحب الغيبة فيغتاب عندك من يرى انك تحب غيبته ويخالفك الى صاحبك فياتيه عنك بمثله فاذا هو قد اصاب عند كل واحد منكما حاجته وخفي على كل واحد منكما ما اتي به عند صاحبه حضوره عند من حضره حضور الاخوان وغيبته على من غاب عنه غيبة الاعداء من حضر منهم كانت له الاثرة ومن غاب منهم لم تكن له حرمة يفتن من حضره بالتزكية ويغتاب من غاب عنه بالغيبة فيا لعباد الله اما في القوم من رشيد ولا مصلح يقمع هذا عن مكيدته ويرده عن عرض اخيه المسلم بل عرف هواهم فيما مشى به اليهم فاستمكن منهم وامكنوه من حاجته فاكل بدينه مع اديانهم فالله الله ذبوا عن حرم اغيابكم وكفوا السنتكم عنهم الا من خير وناصحوا الله في امتكم اذ كنتم حملة الكتاب والسنة فان الكتاب لا ينطق حتى ينطق به وان السنة لا تعمل حتى يعمل بها فمتى يتعلم الجاهل اذا سكت العالم فلم ينكر ما ظهر ولم يامر بما ترك وقد اخذ الله ميثاق الذين اوتوا الكتاب لتبيننه للناس ولا تكتمونه اتقوا الله فانكم في زمان رق فيه الورع وقل فيه الخشوع وحمل العلم مفسدوه فاحبوا ان يعرفوا بحمله وكرهوا ان يعرفوا باضاعته فنطقوا فيه بالهوى لما ادخلوا فيه من الخطا وحرفوا الكلم عما تركوا من الحق الى ما عملوا به من باطل فذنوبهم ذنوب لا يستغفر منها وتقصيرهم تقصير لا يعترف به كيف يهتدي المستدل المسترشد اذا كان الدليل حاىرا احبوا الدنيا وكرهوا منزلة اهلها فشاركوهم في العيش وزايلوهم بالقول ودافعوا بالقول عن انفسهم ان ينسبوا الى عملهم فلم يتبرءوا مما انتفوا منه ولم يدخلوا فيما نسبوا اليه انفسهم لان العامل بالحق متكلم وان سكت وقد ذكر ان الله تعالى يقول اني لست كل كلام الحكيم اتقبل ولكني انظر الى همه وهواه فان كان همه وهواه لي جعلت صمته حمدا ووقارا لي وان لم يتكلم وقال الله تعالى مثل الذين حملوا التوراة ثم لم يحملوها لم يعملوا بها كمثل الحمار يحمل اسفارا كتبا وقال خذوا ما اتيناكم بقوة قال العمل بما فيه ولا تكتفوا من السنة بانتحالها بالقول دون العمل بها فان انتحال السنة دون العمل بها كذب بالقول مع اضاعة العمل ولا تعيبوا بالبدع تزينا بعيبها فان فساد اهل البدع ليس بزاىد في صلاحكم ولا تعيبوها بغيا على اهلها فان البغي من فساد انفسكم وليس ينبغي للطبيب ان يداوي المرضى بما يبرىهم ويمرضه فانه اذا مرض اشتغل بمرضه عن مداواتهم ولكن ينبغي ان يلتمس لنفسه الصحة ليقوى به على علاج المرضى فليكن امركم فيما تنكرون على اخوانكم نظرا منكم لانفسكم ونصيحة منكم لربكم وشفقة منكم على اخوانكم وان تكونوا مع ذلك بعيوب انفسكم اعنى منكم بعيوب غيركم وان يستطعم بعضكم بعضا النصيحة وان يحظى عندكم من بذلها لكم وقبلها منكم وقد قال عمر بن الخطاب رضي الله عنه رحم الله من اهدى الي عيوبي تحبون ان تقولوا فيحتمل لكم وان قيل لكم مثل الذي قلتم غضبتم تجدون على الناس فيما تنكرون من امورهم وتاتون مثل ذلك فلا تحبون ان يوجد عليكم اتهموا رايكم وراي اهل زمانكم وتثبتوا قبل ان تكلموا وتعلموا قبل ان تعملوا فانه ياتي زمان يشتبه فيه الحق والباطل ويكون المعروف فيه منكرا والمنكر فيه معروفا فكم من متقرب الى الله بما يباعده ومتحبب اليه بما يغضبه عليه قال الله تعالى افمن زين له سوء عمله فراه حسنا الاية فعليكم بالوقوف عند الشبهات حتى يبرز لكم واضح الحق بالبينة فان الداخل فيما لا يعلم بغير علم اثم ومن نظر لله نظر الله له عليكم بالقران فاتموا به واموا به وعليكم بطلب اثر الماضين فيه ولو ان الاحبار والرهبان لم يتقوا زوال مراتبهم وفساد منزلتهم باقامة الكتاب وتبيانه ما حرفوه ولا كتموه ولكنهم لما خالفوا الكتاب باعمالهم التمسوا ان يخدعوا قومهم عما صنعوا مخافة ان تفسد منازلهم وان يتبين للناس فسادهم فحرفوا الكتاب بالتفسير وما لم يستطيعوا تحريفه كتموه فسكتوا عن صنيع انفسهم ابقاء على منازلهم وسكتوا عما صنع قومهم مصانعة لهم وقد اخذ الله ميثاق الذين اوتوا الكتاب لتبيننه للناس ولا تكتمونه بل مالىوا عليه ورققوا لهم فيه اسناده ضعيف عبد الملك بن سليمان الانطاكي مجهول

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি)
ভূমিকা (المقدمة)