পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬২। কূতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে সূর্য গ্রহণ হল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং কিয়ামকে দীর্ঘায়িত করলে এরপর করলেন, রুকুকেও দীর্ঘায়িত করলেন। রুকু’ হতে মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। কিন্তু পূর্বের দাঁড়াবার সময়ের চেয়ে কম দীর্ঘ ছিল। এরপর রুকু’ করলেন এবং দীর্ঘ রুকু’ করলেন, কিন্তু প্রথম রুকু’ হতে কিছু কম। এরপর সিজদা করলেন, তারপর দাঁড়ালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। কিন্তু, প্রথম কিয়াম হতে কম, এরপর রুকু’ করলেন এবং রুকু’কে দীর্ঘায়িত করলেন। প্রথম রুকু’ হতে কম, এর পর মাথা উঠালেন এবং দীর্ঘক্ষণ দাড়ালেন, কিন্তু পূর্বের কিয়াম হতে কম। এরপর পূনরায় রুকু’ করলেন এবং রুকু’ দীর্ঘায়িত করলেন। কিন্তু পূর্ব হতে কম। অতঃপর সিজদা করলেন।

তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরলেন। এদিকে সূর্য উজ্জ্বল হয়ে উঠল। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে খূতবা দিতে গিয়ে আল্লাহর হামদ ও সানা করলেন। এরপর বললেন, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর কুদরতের বিশেষ নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ হয় না, যখন তোমরা সুর্য বা চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাও, তখন তাকবীর বলো, দু’আ করো, সালাত আদায় করো সাদাকা দাও। হে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মাত! এ ব্যাপারে আল্লাহর চেয়ে অধিক আত্নসম্মানবোধসম্পন্ন কেউ নেই যে, তার বান্দা ব্যাভিচার করবে এবং তাঁর বান্দী ব্যাভিচার করবে (অথচ তিনি শাস্তি দিবেন না) হে মুহাম্মাদের উম্মাত! আল্লাহর কসম, যদি তোমরা জানতে, আমি যা জানি, তবে তোমরা কান্নাকাটি করতে অধিক এবং হাসতে অনেক কম। আমি কি আল্লাহর হুকুম যথাযথ ভাবে প্রচার করেছি? মালিকের বর্ণনায় আছে যে, সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর বিশেষ নিদর্শনাবলীর মধ্যে দু’টি নিদর্শন।

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، ح. وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَأَطَالَ الْقِيَامَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ جِدًّا وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ قَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَامَ فَأَطَالَ الْقِيَامَ وَهُوَ دُونَ الْقِيَامِ الأَوَّلِ ثُمَّ رَكَعَ فَأَطَالَ الرُّكُوعَ وَهُوَ دُونَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ سَجَدَ ثُمَّ انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ وَإِنَّهُمَا لاَ يَنْخَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَكَبِّرُوا وَادْعُوا اللَّهَ وَصَلُّوا وَتَصَدَّقُوا يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ إِنْ مِنْ أَحَدٍ أَغْيَرَ مِنَ اللَّهِ أَنْ يَزْنِيَ عَبْدُهُ أَوْ تَزْنِيَ أَمَتُهُ يَا أُمَّةَ مُحَمَّدٍ وَاللَّهِ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا أَعْلَمُ لَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا وَلَضَحِكْتُمْ قَلِيلاً أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ "‏ ‏.‏ وَفِي رِوَايَةِ مَالِكٍ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا قتيبة بن سعيد، عن مالك بن انس، عن هشام بن عروة، عن ابيه، عن عاىشة، ح. وحدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، - واللفظ له - قال حدثنا عبد الله بن نمير، حدثنا هشام، عن ابيه، عن عاىشة، قالت خسفت الشمس في عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي فاطال القيام جدا ثم ركع فاطال الركوع جدا ثم رفع راسه فاطال القيام جدا وهو دون القيام الاول ثم ركع فاطال الركوع جدا وهو دون الركوع الاول ثم سجد ثم قام فاطال القيام وهو دون القيام الاول ثم ركع فاطال الركوع وهو دون الركوع الاول ثم رفع راسه فقام فاطال القيام وهو دون القيام الاول ثم ركع فاطال الركوع وهو دون الركوع الاول ثم سجد ثم انصرف رسول الله صلى الله عليه وسلم وقد تجلت الشمس فخطب الناس فحمد الله واثنى عليه ثم قال ‏"‏ ان الشمس والقمر من ايات الله وانهما لا ينخسفان لموت احد ولا لحياته فاذا رايتموهما فكبروا وادعوا الله وصلوا وتصدقوا يا امة محمد ان من احد اغير من الله ان يزني عبده او تزني امته يا امة محمد والله لو تعلمون ما اعلم لبكيتم كثيرا ولضحكتم قليلا الا هل بلغت "‏ ‏.‏ وفي رواية مالك ‏"‏ ان الشمس والقمر ايتان من ايات الله ‏"‏ ‏.‏


'A'isha reported that there was a solar eclipse in the time of the Messenger of Allah (ﷺ). He stood up to pray and prolonged his stand very much. He then bowed and prolonged very much his bowing. He then raised his head and prolonged his stand much, but it was less than the (duration) of the first stand. He then bowed and prolonged bowing much, but it was less than the duration of his first bowing. He then prostrated and then stood up and prolonged the stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged his bowing, but it was less than the first bowing. He then lifted his head and then stood up and prolonged his stand, but it was less than the first stand. He then bowed and prolonged bowing and it was less than the first bowing. He then prostrated himself; then he turned about, and the sun had become bright, and he addressed the people. He praised Allah and landed Him and said:
The sun and the moon are two signs of Allah; they are not eclipsed on account of anyones death or on account of anyone's birth. So when you see them, glorify and supplicate Allah, observe prayer, give alms. O Ummah of Muhammad, none is more indignant than Allah When His servant or maid commits fornication. O people of Muhammad, by Allah, if you knew what I know, you would weep much and laugh little.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৩। ইয়াহহয়া ইবনু ইয়াহয়া (রহঃ) ... হিশাম ইবনু উরওয়া (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে বর্ণিত। তবে এতে এ কথা রয়েছে, এরপর তিনি বলেন, "অতঃপর সূর্য-চন্দ্র আল্লাহর কুদরতের নিদর্শনাবলীর মধ্যে দুটি নিদর্শন।" আরো বর্ণনা করেছেন যে, এরপর তিনি তাঁর দু’হাত উপরে উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! আমি কি পৌছিয়ে দিয়েছি?

حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَزَادَ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ وَزَادَ أَيْضًا ثُمَّ رَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ ‏"‏ ‏.‏

حدثناه يحيى بن يحيى، اخبرنا ابو معاوية، عن هشام بن عروة، بهذا الاسناد وزاد ثم قال ‏"‏ اما بعد فان الشمس والقمر من ايات الله ‏"‏ ‏.‏ وزاد ايضا ثم رفع يديه فقال ‏"‏ اللهم هل بلغت ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been narrated by Hisham b. 'Urwa with the same chain of transmitters but with this addition:
" Verily the sun and the moon are among the signs of Allah." And similarly this addition was made:" He then lifted his hands and said: O Allah! have I not conveyed it?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৪। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া, আবূ তাহির ও মুহাম্মদ ইবনু সালামা মুরাদী (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে মসজিদে গেলেন এবং তিনি দাঁড়ালেন, তাকবীর বললেন, লোকেরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাড়াল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন। তারপর তাকবীর বলে দীর্ঘ রুকু’ করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা” রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ, বললেন এবং দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন, কিন্তু প্রথম কিরআতের তুলনায় অনেক কম, এরপর আল্লাহু আকবার বলে দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন,কিন্তু প্রথম রুকু হতে কম, তারপর সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা” রাব্বানা ওয়া লাকাম হামদ” বললেন এবং সিজদা করলেন।

[রাবী আবূ তাহির (রহঃ) সিজদা করার কথা উল্লেখ করেন নি।] এরপর দ্বিতীয় রাকআতও অনুরুপ করলেন। এভাবে তিনি (দু’ রাক’আত) চার রুকু’ সিজদা পূর্ণ করেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদ হতে রেরিয়ে আসার পূর্বেই সূর্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এরপর দাঁড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। আল্লাহ তা’আলার যথাযোগ্য হামদ ও সানা বর্ণনা করত বললেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনালীর মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এদের গ্রহণ হয় না। তোমরা যখন গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আতংকিত হয়ে সালাতের দিকে ছুটে যেও এবং তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের থেকে (সূর্য) পরিষ্কার না করা পর্যন্ত সালাত আদায় করতে থাক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি এখানে দাঁড়িয়ে ঐ সকল জিনিস দেখতে পেয়েছি যা তোমাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে। এমনকি আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে, আমি জান্নাতের আঙ্গুরের এক শুচ্ছ নিয়ে আসতে উদ্ধত হয়েছিলাম। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে দেখেছিলে। রাবী মুরাদী (রহঃ)أَتَقَدَّمُ বলেছেন। আমি জাহান্নামকে দেখতে পেলাম যে, এক অংশকে গ্রাস করছে। এটা সেই সময় যখন তোমরা আমাকে পিছু হটে আসতে দেখেছো।

আমর ইবনু লুহাইকে জাহান্নামে দেখেছি। সে হল ঐ ব্যাক্তি যে সর্বপ্রথম দেব-দেবীর নামে ষাড় ছেড়ে দিবার প্রথা চালু করেছিলেন। রাবী আবূ তাহির (রহঃ) "সালাতের দিকে ছুটে যেও" পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন, পরবর্তী অংশ বর্ণনা করেননি।

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ وَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ - وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ ثُمَّ سَجَدَ - ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى اسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا ‏"‏ فَصَلُّوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَنْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أُقَدِّمُ - وَقَالَ الْمُرَادِيُّ أَتَقَدَّمُ - وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ ‏"‏ ‏.‏ وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏"‏ فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏

حدثني حرملة بن يحيى، اخبرني ابن وهب، اخبرني يونس، ح وحدثني ابو الطاهر، ومحمد بن سلمة المرادي قالا حدثنا ابن وهب، عن يونس، عن ابن شهاب، قال اخبرني عروة بن الزبير، عن عاىشة، زوج النبي صلى الله عليه وسلم قالت خسفت الشمس في حياة رسول الله صلى الله عليه وسلم فخرج رسول الله صلى الله عليه وسلم الى المسجد فقام وكبر وصف الناس وراءه فاقترا رسول الله صلى الله عليه وسلم قراءة طويلة ثم كبر فركع ركوعا طويلا ثم رفع راسه فقال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد ‏"‏ ‏.‏ ثم قام فاقترا قراءة طويلة هي ادنى من القراءة الاولى ثم كبر فركع ركوعا طويلا هو ادنى من الركوع الاول ثم قال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ربنا ولك الحمد ‏"‏ ‏.‏ ثم سجد - ولم يذكر ابو الطاهر ثم سجد - ثم فعل في الركعة الاخرى مثل ذلك حتى استكمل اربع ركعات واربع سجدات وانجلت الشمس قبل ان ينصرف ثم قام فخطب الناس فاثنى على الله بما هو اهله ثم قال ‏"‏ ان الشمس والقمر ايتان من ايات الله لا يخسفان لموت احد ولا لحياته فاذا رايتموها فافزعوا للصلاة ‏"‏ ‏.‏ وقال ايضا ‏"‏ فصلوا حتى يفرج الله عنكم ‏"‏ ‏.‏ وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رايت في مقامي هذا كل شىء وعدتم حتى لقد رايتني اريد ان اخذ قطفا من الجنة حين رايتموني جعلت اقدم - وقال المرادي اتقدم - ولقد رايت جهنم يحطم بعضها بعضا حين رايتموني تاخرت ورايت فيها ابن لحى وهو الذي سيب السواىب ‏"‏ ‏.‏ وانتهى حديث ابي الطاهر عند قوله ‏"‏ فافزعوا للصلاة ‏"‏ ‏.‏ ولم يذكر ما بعده ‏.‏


'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). So, the Messenger of Allah (may peace he upon him) went to the mosque and stood up and glorified Allah, and the people formed themselves in rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) made a long recital (of the Qur'an) and then pronounced takbir and then observed a long ruku'. He then raised his head and said:
Allah listened to him who praised Him: our Lord, praise is due to Thee. He then again stood up and made a long recital, which was less than the first recital. He pronounced takbir and observed a long ruku', and it was less than the first one. He again said: Allah listened to him who praised Him; our Lord, praise is due to Thee. (Abu Tahir, one of the narrators) made no mention of:" He then prostrated himself." He did like this in the second rak'ah, till he completed four rak'ahs and four prostrations and the sun became bright before he deported. He then stood up and addressed people, after lauding Allah as He deserved, and then said: The sun and the moon are two signs among the signs of Allah These do not eclipse either on the death of anyone or on his birth. So when you see them, hasten to prayer. He also said this: Observe prayer till Allah dispels the anxiety (of this extraordinary phenomenon) from you. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I saw in my place everything which you have been promised. I even saw myself desiring to pluck a bunch (of grapes) from Paradise (and it was at the time) when you saw me moving forward. And I saw Hell and some of its parts crushing the others, when you saw me moving back; and I saw in it Ibn Luhayy and he was the person who made the she-camels loiter about. In the hadith transmitted by Abu Tahir the words are:" He hastened to prayer," and he made no mention of what follows.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৫। মুহাম্মদ ইবনু মিহরান রাযী (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় একবার সূর্যগ্রহণ লেগেছিল, তখন আস "সালাতূ জামিয়াতুন" বলে ডাকার জন্য তিনি আহবানকারী প্রেরণ করলেন। সবাই সমবেত হলেন। তিনি সম্মুখে অগ্রসর হলেন এবং তাকবীর বলে দু-রাকআত সালাত আদায় করলেন এবং দু’ রাক”আতের মধ্যে চারটি রুকু’ ও চারটি সিজদা করলেন।

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ أَبُو عَمْرٍو وَغَيْرُهُ سَمِعْتُ ابْنَ شِهَابٍ الزُّهْرِيَّ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ الشَّمْسَ، خَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَبَعَثَ مُنَادِيًا ‏ "‏ الصَّلاَةَ جَامِعَةً ‏"‏ ‏.‏ فَاجْتَمَعُوا وَتَقَدَّمَ فَكَبَّرَ ‏.‏ وَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ‏.‏

وحدثنا محمد بن مهران الرازي، حدثنا الوليد بن مسلم، قال قال الاوزاعي ابو عمرو وغيره سمعت ابن شهاب الزهري، يخبر عن عروة، عن عاىشة، ان الشمس، خسفت على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فبعث مناديا ‏ "‏ الصلاة جامعة ‏"‏ ‏.‏ فاجتمعوا وتقدم فكبر ‏.‏ وصلى اربع ركعات في ركعتين واربع سجدات ‏.‏


'A'isha reported that there was a solar eclipse during the lifetime of the Messenger of Allah (way peace be upon him) and he sent the announcer (to summon them) for congregational prayer. The people gathered together and he pronounced takbir and he observed four rak'ahs, in the form of two rak'ahs (i. e. he observed two qiyams and two ruku's in one rak'ah) and four prostrations.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৬। মুহাম্মাদ ইবনু মিহরান (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চন্দ্র গ্রহণের সালাতে কিরা’আত উচ্চস্বরে পাঠ করলেন এবং চার রাকআতের স্থলে দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন এবং চারটি রুকু ও চারটি সিজদা করলেন।

ইমাম যুহুরি (রহঃ) বলেন, কাসীর ইবনু আব্বাস (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) সুত্রে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ রাক’আত সালাতে চারটি রুকু ও চার সিজদা করেছেন।

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مِهْرَانَ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ، يُخْبِرُ عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم جَهَرَ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ بِقِرَاءَتِهِ فَصَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ‏.‏ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَأَخْبَرَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ صَلَّى أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ فِي رَكْعَتَيْنِ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ ‏.‏

وحدثنا محمد بن مهران، حدثنا الوليد بن مسلم، اخبرنا عبد الرحمن بن نمر، انه سمع ابن شهاب، يخبر عن عروة، عن عاىشة، ان النبي صلى الله عليه وسلم جهر في صلاة الخسوف بقراءته فصلى اربع ركعات في ركعتين واربع سجدات ‏.‏ قال الزهري واخبرني كثير بن عباس، عن ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه صلى اربع ركعات في ركعتين واربع سجدات ‏.‏


'A'isha reported that the Messenger of Allah (ﷺ) recited loudly in the eclipse prayer, and he observed four rak'ahs in the form of two rak'ahs and four prostrations. Zuhri said:
Kathir b. 'Abbas narrated on the authority of Ibn 'Abbas that the Messenger of Allah (ﷺ) observed four rak'ahs and four prostrations in two rak'ahs.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৭। হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ... কাসীর ইবনু আব্বাস (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিনের সালাত সম্পর্কে বর্ণনা করতেন, যেদিন সূর্য গ্রহণ হয়েছিল। উরওয়া (রহঃ) কর্তৃক আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ।

وَحَدَّثَنَا حَاجِبُ بْنُ الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ الزُّبَيْدِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ كَانَ كَثِيرُ بْنُ عَبَّاسٍ يُحَدِّثُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يُحَدِّثُ عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ بِمِثْلِ مَا حَدَّثَ عُرْوَةُ عَنْ عَائِشَةَ ‏.‏

وحدثنا حاجب بن الوليد، حدثنا محمد بن حرب، حدثنا محمد بن الوليد الزبيدي، عن الزهري، قال كان كثير بن عباس يحدث ان ابن عباس، كان يحدث عن صلاة، رسول الله صلى الله عليه وسلم يوم كسفت الشمس بمثل ما حدث عروة عن عاىشة ‏.‏


Zuhri said:
Kathir b. Abbas used to narrate that Ibn 'Abbas used to relate about the prayer of the Messenger of Allah (ﷺ) in regard to the eclipse of the sun like that what was narrated by 'Urwa on the authority of 'A'isha.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৮। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তখন তিনি সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ালেন। তিনি দাঁড়াতেন এরপর রুকু করতেন, আবার দাঁড়াতেন আবার রুকু করতেন আবার দাঁড়াতেন এভবাবে দু’ রাকআত সালাত আদায় করলেন। প্রতি রাক’আতে তিন রুকু’ দিয়ে ও চারটি করে সিজদা দিয়ে। এরপর তিনি প্রত্যাবর্তন করলেন এবং সুর্য পরিষ্কার হয়ে গেল।

যখন রুকু’ করতেন তখন আল্লাহু আকবার, বলতেন। আবার রুকু’ করতেন এবং মাথা উঠাবার সময় ’সামি আল্লাহু লিমান হামিদা’ বলে দাঁড়িয়ে যেতেন। এরপর আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ণনা করলেন এবং বলেন, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণ কারো জন্ম-মৃত্যুর কারণে হয় না। আর এটি হল আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্তর্তুক্ত। এ দু’টি দ্বারা আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সর্তক করেন। অতএব যখন তোমরা সূর্যগ্রহণ দেখতে পাও, তখন আল্লাহকে স্মরণ কর, গ্রহণ কেটে না যাওয়া পর্যন্ত।

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءً، يَقُولُ سَمِعْتُ عُبَيْدَ بْنَ عُمَيْرٍ، يَقُولُ حَدَّثَنِي مَنْ، أُصَدِّقُ - حَسِبْتُهُ يُرِيدُ عَائِشَةَ - أَنَّ الشَّمْسَ انْكَسَفَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ قِيَامًا شَدِيدًا يَقُومُ قَائِمًا ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ ثُمَّ يَقُومُ ثُمَّ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ فِي ثَلاَثِ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعِ سَجَدَاتٍ فَانْصَرَفَ وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ وَكَانَ إِذَا رَكَعَ قَالَ ‏"‏ اللَّهُ أَكْبَرُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ يَرْكَعُ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَكْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّهُمَا مِنْ آيَاتِ اللَّهِ يُخَوِّفُ اللَّهُ بِهِمَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ كُسُوفًا فَاذْكُرُوا اللَّهَ حَتَّى يَنْجَلِيَا ‏"‏ ‏.‏

وحدثنا اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا محمد بن بكر، اخبرنا ابن جريج، قال سمعت عطاء، يقول سمعت عبيد بن عمير، يقول حدثني من، اصدق - حسبته يريد عاىشة - ان الشمس انكسفت على عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم فقام قياما شديدا يقوم قاىما ثم يركع ثم يقوم ثم يركع ثم يقوم ثم يركع ركعتين في ثلاث ركعات واربع سجدات فانصرف وقد تجلت الشمس وكان اذا ركع قال ‏"‏ الله اكبر ‏"‏ ‏.‏ ثم يركع واذا رفع راسه قال ‏"‏ سمع الله لمن حمده ‏"‏ ‏.‏ فقام فحمد الله واثنى عليه ثم قال ‏"‏ ان الشمس والقمر لا يكسفان لموت احد ولا لحياته ولكنهما من ايات الله يخوف الله بهما عباده فاذا رايتم كسوفا فاذكروا الله حتى ينجليا ‏"‏ ‏.‏


'Ata' reported:
I heard 'Ubaid b. 'Umair say: It has been narrated to me by one whom I regard as truthful, (the narrator says: I can well guess that he meant 'A'isha) that the sun eclipsed during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) and he stood up (in prayer) for a rigorously long time. He then bowed and then stood up and then bowed and then stood up and then bowed, thus observing three ruku's in two rak'ahs and four prostrations. He then departed and the sun brightened. He pronounced" Allah is the Greatest" while bowing. He would then bow and say:" Allah listened to him who praised Him" while lifting up his head. He then stood up, and praised Allah and lauded Him, and then said: The sun and the moon do not eclipse on the death of anyone or on his birth. But both of them are among the signs of Allah with which Allah terrifies His servants. So when you see them under eclipse, remember Allah till they are brightened.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৯। আবূ গাসসান আন-মিসমায়ী ও মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছয়টি রুকু করেছেন এবং চারটি সিজদা করেছেন। প্রতি দু’রাকআতে তিনটি করে রুকু ও দু’টি করে সিজদা করেছেন।

وحَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَا : حَدَّثَنَا مُعَاذٌ وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ ، حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " صَلَّى سِتَّ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ " .

وحدثني ابو غسان المسمعي ، ومحمد بن المثنى ، قالا : حدثنا معاذ وهو ابن هشام ، حدثني ابي ، عن قتادة ، عن عطاء بن ابي رباح عن عبيد بن عمير ، عن عاىشة ، ان نبي الله صلى الله عليه وسلم " صلى ست ركعات واربع سجدات " .


This hadith is narrated thus on the authority of 'A'isha through another chain of transmitters:
" The Messenger of Allah (ﷺ) observed six ruku's and four prostration in (two rak'ahs)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১১/ সালাতুল কুসূফ (كتاب الكسوف) 11/ The Book of Prayer - Eclipses
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৮ পর্যন্ত, সর্বমোট ৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে