১৯৬৪

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

১৯৬৪। হারামালা ইবনু ইয়াহয়া, আবূ তাহির ও মুহাম্মদ ইবনু সালামা মুরাদী (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিনী আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে মসজিদে গেলেন এবং তিনি দাঁড়ালেন, তাকবীর বললেন, লোকেরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাড়াল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন। তারপর তাকবীর বলে দীর্ঘ রুকু’ করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা” রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ, বললেন এবং দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরআত পাঠ করলেন, কিন্তু প্রথম কিরআতের তুলনায় অনেক কম, এরপর আল্লাহু আকবার বলে দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন,কিন্তু প্রথম রুকু হতে কম, তারপর সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা” রাব্বানা ওয়া লাকাম হামদ” বললেন এবং সিজদা করলেন।

[রাবী আবূ তাহির (রহঃ) সিজদা করার কথা উল্লেখ করেন নি।] এরপর দ্বিতীয় রাকআতও অনুরুপ করলেন। এভাবে তিনি (দু’ রাক’আত) চার রুকু’ সিজদা পূর্ণ করেন। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদ হতে রেরিয়ে আসার পূর্বেই সূর্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এরপর দাঁড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। আল্লাহ তা’আলার যথাযোগ্য হামদ ও সানা বর্ণনা করত বললেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনালীর মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এদের গ্রহণ হয় না। তোমরা যখন গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আতংকিত হয়ে সালাতের দিকে ছুটে যেও এবং তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের থেকে (সূর্য) পরিষ্কার না করা পর্যন্ত সালাত আদায় করতে থাক।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি এখানে দাঁড়িয়ে ঐ সকল জিনিস দেখতে পেয়েছি যা তোমাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে। এমনকি আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে, আমি জান্নাতের আঙ্গুরের এক শুচ্ছ নিয়ে আসতে উদ্ধত হয়েছিলাম। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে দেখেছিলে। রাবী মুরাদী (রহঃ)أَتَقَدَّمُ বলেছেন। আমি জাহান্নামকে দেখতে পেলাম যে, এক অংশকে গ্রাস করছে। এটা সেই সময় যখন তোমরা আমাকে পিছু হটে আসতে দেখেছো।

আমর ইবনু লুহাইকে জাহান্নামে দেখেছি। সে হল ঐ ব্যাক্তি যে সর্বপ্রথম দেব-দেবীর নামে ষাড় ছেড়ে দিবার প্রথা চালু করেছিলেন। রাবী আবূ তাহির (রহঃ) "সালাতের দিকে ছুটে যেও" পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন, পরবর্তী অংশ বর্ণনা করেননি।

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ وَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ سَجَدَ - وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ ثُمَّ سَجَدَ - ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى اسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا ‏"‏ فَصَلُّوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَنْكُمْ ‏"‏ ‏.‏ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أُقَدِّمُ - وَقَالَ الْمُرَادِيُّ أَتَقَدَّمُ - وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ ‏"‏ ‏.‏ وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ ‏"‏ فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ ‏.‏


'A'isha, the wife of the Messenger of Allah (ﷺ), reported There was an eclipse of the sun during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ). So, the Messenger of Allah (may peace he upon him) went to the mosque and stood up and glorified Allah, and the people formed themselves in rows behind him. The Messenger of Allah (ﷺ) made a long recital (of the Qur'an) and then pronounced takbir and then observed a long ruku'. He then raised his head and said: Allah listened to him who praised Him: our Lord, praise is due to Thee. He then again stood up and made a long recital, which was less than the first recital. He pronounced takbir and observed a long ruku', and it was less than the first one. He again said: Allah listened to him who praised Him; our Lord, praise is due to Thee. (Abu Tahir, one of the narrators) made no mention of:" He then prostrated himself." He did like this in the second rak'ah, till he completed four rak'ahs and four prostrations and the sun became bright before he deported. He then stood up and addressed people, after lauding Allah as He deserved, and then said: The sun and the moon are two signs among the signs of Allah These do not eclipse either on the death of anyone or on his birth. So when you see them, hasten to prayer. He also said this: Observe prayer till Allah dispels the anxiety (of this extraordinary phenomenon) from you. The Messenger of Allah (ﷺ) said: I saw in my place everything which you have been promised. I even saw myself desiring to pluck a bunch (of grapes) from Paradise (and it was at the time) when you saw me moving forward. And I saw Hell and some of its parts crushing the others, when you saw me moving back; and I saw in it Ibn Luhayy and he was the person who made the she-camels loiter about. In the hadith transmitted by Abu Tahir the words are:" He hastened to prayer," and he made no mention of what follows.