পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) একত্রে ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) সুত্রে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, নাহীক ইবনু সিনান নামের এক ব্যাক্তি আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) (রাঃ) এর কাছে এসে বলল, হে আবূ আবদুর রহমান! এ শব্দটি আপনি কি ভাবে পাঠ করে থাকেন "আলিফ" সহকারে নাকি "ইয়া" সহকারে অর্থাৎمِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ নাمِنْ مَاءٍ غَيْرِ يَاسِنٍ আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, আর এ শব্দটি ছাড়া বাকী কুরআনের সবটাই তুমি আয়ত্ত করে ফেলেছ? সে বলল, আমি তো মুফাসসাল (সূরাসমূহ) এক রাকআতেই পড়ে থাকি। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কবিতার ফড়ফড়ানির ন্যায় ফড়ফড় করে কী?

একদল লোক কুরআন পাঠ করে থাকে যা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করে না। তবে যখন তা কলবে পতিত হয় এবং তা তাতে দৃঢ় অবস্থান নেয় তখনই তা উপকারে আসে। উত্তম সালাত হল রুকু ও সিজদা (-র আধিক্য)। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাকআতে যে সদৃশ্য দু’টি দু’টি সূরা মিলিয়ে পাঠ করতেন আমি সেগুলোর কথা ভালভাবেই জানি।

অতঃপর আবদুল্লাহ (রাঃ) উঠে দাঁড়ালে আলকামা (রহঃ) তাঁর পিছনে পিছনে প্রবেশ করলেন। পরে বের হায় এসে বললেন, তিনি আমাকে সেগুলো সম্পর্কে অবগত করেছেন। (এ ছিল আবূ বকর (রহঃ) এর বিবরণ) আর ইবনু নুমায়র (রহঃ) তাঁর বর্ণনায় বলেছেন, বনূ বাজীলার এক ব্যাক্তি আবদুল্লাহ (রাঃ) এর সাথে আসল। তিনি নাহীক ইবনু সিনান (নামটি) বলেন নি।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ، نُمَيْرٍ جَمِيعًا عَنْ وَكِيعٍ، - قَالَ أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ كَيْفَ تَقْرَأُ هَذَا الْحَرْفَ أَلِفًا تَجِدُهُ أَمْ يَاءً مِنْ مَاءٍ غَيْرِ آسِنٍ أَوْ مِنْ مَاءٍ غَيْرِ يَاسِنٍ قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَكُلَّ الْقُرْآنِ قَدْ أَحْصَيْتَ غَيْرَ هَذَا قَالَ إِنِّي لأَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّ أَقْوَامًا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لاَ يُجَاوِزُ تَرَاقِيَهُمْ وَلَكِنْ إِذَا وَقَعَ فِي الْقَلْبِ فَرَسَخَ فِيهِ نَفَعَ إِنَّ أَفْضَلَ الصَّلاَةِ الرُّكُوعُ وَالسُّجُودُ إِنِّي لأَعْلَمُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.‏ ثُمَّ قَامَ عَبْدُ اللَّهِ فَدَخَلَ عَلْقَمَةُ فِي إِثْرِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ قَدْ أَخْبَرَنِي بِهَا ‏.‏ قَالَ ابْنُ نُمَيْرٍ فِي رِوَايَتِهِ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ وَلَمْ يَقُلْ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ ‏.‏

حدثنا ابو بكر بن ابي شيبة، وابن، نمير جميعا عن وكيع، - قال ابو بكر حدثنا وكيع، - عن الاعمش، عن ابي واىل، قال جاء رجل يقال له نهيك بن سنان الى عبد الله فقال يا ابا عبد الرحمن كيف تقرا هذا الحرف الفا تجده ام ياء من ماء غير اسن او من ماء غير ياسن قال فقال عبد الله وكل القران قد احصيت غير هذا قال اني لاقرا المفصل في ركعة ‏.‏ فقال عبد الله هذا كهذ الشعر ان اقواما يقرءون القران لا يجاوز تراقيهم ولكن اذا وقع في القلب فرسخ فيه نفع ان افضل الصلاة الركوع والسجود اني لاعلم النظاىر التي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرن بينهن سورتين في كل ركعة ‏.‏ ثم قام عبد الله فدخل علقمة في اثره ثم خرج فقال قد اخبرني بها ‏.‏ قال ابن نمير في روايته جاء رجل من بني بجيلة الى عبد الله ولم يقل نهيك بن سنان ‏.‏


Abu Wa'il reported that a person named Nabik b. Sinan came to Abdullah (b. Mas'ud) and said:
Abu 'Abd al-Rahman, how do you recite this word (alif) or (ya)? Would you read It as: min ma'in ghaira asin or au min ma'in ghaira ghaira yasin. (al-Qur'an, xlvii. 15)? 'Abdullah said: You (seem to) have memorised the whole of the Qur'an except this. He (again) said: I recite all the mufassal surahs in one rak'ah. Upon this 'Abdullah said: (You must have been reciting It) hastily like the recitation of poetry. Verily. there are people who recite the Qur'an, but it does not go down beyond their collar bones. It is (a fact with the Qur'an) that it is beneficial only when it settles in the heart and is rooted deeply in it. The best of (the acts) in prayer are bowing and prostration. I am quite aware of the occasions when the Messenger of Allah (ﷺ) combined together two surahs in every rak'ah. 'Abdullah then stood up and went out with 'Alqama following in his footstep. He said Ibn Numair had told him that the narration was like that:" A person belonging to Banu Bajila came to 'Abdullah," and he did not mention (the name of) Nahik b. Sinan.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮২। আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাহীক ইবনু সিনান নামে এক ব্যাক্তি আবদুল্লাহ (রাঃ) এর কাছে এলেন (পূর্ববর্তী সনদের) ওয়াকী (রহঃ) এর হাদীসের অনুরূপ। তবে তিনি বলেছেন, পরে আলকামা (রহঃ) তাঁর কাছে প্রবেশ করার জন্য আসলেন। আমরা তাকে বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাক’আতে যে সদৃশ সূরাগুলো (র দু’টি করে) তিলাওয়াত করতেন সে বিষয় আপনি তাকে (আবদুল্লাহকে) জিজ্ঞাসা করুন। তখন আলকামা (রহঃ) তাঁর কাছে গেলেন এবং পরে আমাদের কাছে বেরিয়ে এসে বললেন, তা হল আবদুল্লাহ (রাঃ) এর কুরআন সংকলনের বিশটি মুফাসসাল সূরা।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ ‏.‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ وَكِيعٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَجَاءَ عَلْقَمَةُ لِيَدْخُلَ عَلَيْهِ فَقُلْنَا لَهُ سَلْهُ عَنِ النَّظَائِرِ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَدَخَلَ عَلَيْهِ فَسَأَلَهُ ثُمَّ خَرَجَ عَلَيْنَا فَقَالَ عِشْرُونَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ فِي تَأْلِيفِ عَبْدِ اللَّهِ ‏.‏

وحدثنا ابو كريب، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابي واىل، قال جاء رجل الى عبد الله يقال له نهيك بن سنان ‏.‏ بمثل حديث وكيع غير انه قال فجاء علقمة ليدخل عليه فقلنا له سله عن النظاىر التي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا بها في ركعة فدخل عليه فساله ثم خرج علينا فقال عشرون سورة من المفصل في تاليف عبد الله ‏.‏


Abu Wa'il reported:
A person came to 'Abdullah, who was called Nahik b. Sinan, and the rest of the hadith is the same but for this:" Alqama came to him ('Abdullah b. Mas'ud) and we said to him: Ask him about the manners in which he combined (two surahs) in one rak'ah. So he went to him and asked him and then came to us and said: Twenty are the mufassal surahs in the compilation (of the Qur'an) made by 'Abdullah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮৩। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আ’মাশ (রহঃ) থেকে এই সনদে পূর্ববর্তী দু’জনের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি বললেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আমি সে নযীর সূরাগুলো জানি যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন, দুই সূরা প্রতি রাক’আতে, বিশটি সূরা দশ রাক’আতে।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

وَحَدَّثَنَاهُ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏ بِنَحْوِ حَدِيثِهِمَا وَقَالَ إِنِّي لأَعْرِفُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ يَقْرَأُ بِهِنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اثْنَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ عِشْرِينَ سُورَةً فِي عَشْرِ رَكَعَاتٍ ‏.‏

وحدثناه اسحاق بن ابراهيم، اخبرنا عيسى بن يونس، حدثنا الاعمش، في هذا الاسناد ‏.‏ بنحو حديثهما وقال اني لاعرف النظاىر التي كان يقرا بهن رسول الله صلى الله عليه وسلم اثنتين في ركعة ‏.‏ عشرين سورة في عشر ركعات ‏.‏


This hadith has been narrated by A'mash with the same chain of transmitters in which ('Abdullah b. Mas'ud) said:
" I know the manners in which the Messenger of Allah (ﷺ) recited the two surahs in one rak'ah and then twenty surahs in ten rak'ahs."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আ‘মাশ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮৪। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... আবূ ওয়াইল (রহঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, একদিন সকালে (ফজরের) সালাত আদায়ের পরে আমরা আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। আমরা দরজায় দাঁড়িয়ে সালাম করলে তিনি আমাদের অনুমতি দিলেন। রাবী আবূ ওয়াইল (রহঃ) বলেন, আমরা কিছুক্ষণ দরজায় অবস্থান করলাম। রাবী বলেন, তখন বেরিয়ে এসে বলল, আপনারা প্রবেশ করছেন না কেন? আমরা তখন প্রবেশ করলাম। তিনি (আবদুল্লাহ) বসে বসে তাসবীহ পড়ছেন। তিনি বললেন, তোমাদের অনুমতি দেওয়া সত্তেও কিসে তোমাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল? তখন আমরা বললাম, না (তেমন কিছু নয়) তবে কিনা আমরা ধারণা করেছিলাম যে, ঘরের কেউ হয়ত ঘুমিয়ে রয়েছে।

তিনি বললেন, ইবনু উাম্মু আবদ এর পরিবারে তোমরা আলসেমী ও উদাসীনতার ধারণা করলে? রাবী (ওয়াইল) বলেন, তারপর তিনি তাসবীহ পাঠ শুরু করলেন। পরে যখন ধারণা করলেন যে সূর্য উদিত হয়েছে, তখন বললেন, হে দাসী! দেখ তো সূর্য উঠেছে কি না? রাবী বলেন, সে নযর করে দেখল যে, তখনও সূর্য উঠেনি। তিনি আবার তাসবীহ পাঠ শুরু করলেন। অবশেষে যখন তাঁর ধারণা হল যে সূর্য উদিত হয়েছে, তখন বললেন, হে দাসী! দেখ তো সূর্য উঠেছে কি? তখন সে নযর করে দেখতে পেল যে, তা উদিত হয়েছে। তখন তিনি বললেন, সমস্ত প্রশংসা সেই সত্তার যিনি আমাদের এ দিনটি ফিরিয়ে দিয়েছেন।

[মাহদী (রহঃ) বলেন, আমার ধারণা যে, আবদুল্লাহ (রাঃ) আরও বলেছেন] এবং তিনি আমাদের পাপের কারনে আমাদের ধ্বংস করে দেননি। রাবী বলেন, তখন (উপস্থিত) দলের একজন বলল, গতরাতে আমি (সালাতে) মূফাসসাল সম্পূর্ণটা পাঠ করেছি। রাবী বলেন, তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কবিতার মত দ্রুত? আমর তো সেই জোড়া জোড়া সূরাগুলো আছে যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠ করতেন। মুফাসসালের আঠারটি সূরা এবং হা মীম শ্রেণীর দু’টি সূরা।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ، حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنْ أَبِي، وَائِلٍ قَالَ غَدَوْنَا عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ يَوْمًا بَعْدَ مَا صَلَّيْنَا الْغَدَاةَ فَسَلَّمْنَا بِالْبَابِ فَأَذِنَ لَنَا - قَالَ - فَمَكَثْنَا بِالْبَابِ هُنَيَّةً - قَالَ - فَخَرَجَتِ الْجَارِيَةُ فَقَالَتْ أَلاَ تَدْخُلُونَ فَدَخَلْنَا فَإِذَا هُوَ جَالِسٌ يُسَبِّحُ فَقَالَ مَا مَنَعَكُمْ أَنْ تَدْخُلُوا وَقَدْ أُذِنَ لَكُمْ فَقُلْنَا لاَ إِلاَّ أَنَّا ظَنَنَّا أَنَّ بَعْضَ أَهْلِ الْبَيْتِ نَائِمٌ ‏.‏ قَالَ ظَنَنْتُمْ بِآلِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ غَفْلَةً قَالَ ثُمَّ أَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ فَقَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ قَالَ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ لَمْ تَطْلُعْ فَأَقْبَلَ يُسَبِّحُ حَتَّى إِذَا ظَنَّ أَنَّ الشَّمْسَ قَدْ طَلَعَتْ قَالَ يَا جَارِيَةُ انْظُرِي هَلْ طَلَعَتْ فَنَظَرَتْ فَإِذَا هِيَ قَدْ طَلَعَتْ ‏.‏ فَقَالَ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَقَالَنَا يَوْمَنَا هَذَا - فَقَالَ مَهْدِيٌّ وَأَحْسِبُهُ قَالَ - وَلَمْ يُهْلِكْنَا بِذُنُوبِنَا - قَالَ - فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ الْبَارِحَةَ كُلَّهُ - قَالَ - فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ إِنَّا لَقَدْ سَمِعْنَا الْقَرَائِنَ وَإِنِّي لأَحْفَظُ الْقَرَائِنَ الَّتِي كَانَ يَقْرَؤُهُنَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثَمَانِيَةَ عَشَرَ مِنَ الْمُفَصَّلِ وَسُورَتَيْنِ مِنْ آلِ حم.

حدثنا شيبان بن فروخ، حدثنا مهدي بن ميمون، حدثنا واصل الاحدب، عن ابي، واىل قال غدونا على عبد الله بن مسعود يوما بعد ما صلينا الغداة فسلمنا بالباب فاذن لنا - قال - فمكثنا بالباب هنية - قال - فخرجت الجارية فقالت الا تدخلون فدخلنا فاذا هو جالس يسبح فقال ما منعكم ان تدخلوا وقد اذن لكم فقلنا لا الا انا ظننا ان بعض اهل البيت ناىم ‏.‏ قال ظننتم بال ابن ام عبد غفلة قال ثم اقبل يسبح حتى ظن ان الشمس قد طلعت فقال يا جارية انظري هل طلعت قال فنظرت فاذا هي لم تطلع فاقبل يسبح حتى اذا ظن ان الشمس قد طلعت قال يا جارية انظري هل طلعت فنظرت فاذا هي قد طلعت ‏.‏ فقال الحمد لله الذي اقالنا يومنا هذا - فقال مهدي واحسبه قال - ولم يهلكنا بذنوبنا - قال - فقال رجل من القوم قرات المفصل البارحة كله - قال - فقال عبد الله هذا كهذ الشعر انا لقد سمعنا القراىن واني لاحفظ القراىن التي كان يقروهن رسول الله صلى الله عليه وسلم ثمانية عشر من المفصل وسورتين من ال حم.


Abu Wa'il reported:
One day we went to 'Abdullah b. Mas'ud after we had observed the dawn prayer and we paid salutation at the door. He permitted us to enter, but we stayed for a while at the door, when the slave-girl came out and said: Why don't you come in? So we went in and (we found 'Abdullah b. Mas'ud) sitting and glorifying Allah (i. e. he was busy in dhikr) and he said: What obstructed you from coming in though you had been granted permission for it? We said: There was nothing (behind it) but we entertained the idea that some inmate of the house might be sleeping. He said: Do you presume any idleness on the part of the family of Ibn Umm 'Abd (the mother of Abdullah b. Mas'ud)? He was again busy with the glorification of Allah till he thought that the sun had risen. He said: Girl, see whether (the sun) has arisen. She glanced but it had not risen (by that time). He was again busy with the glorification (of Allah) and he (again) thought that the sun had arisen. She glanced (and confirmed) that, it had risen. Upon this he ('Abdullah b. Mas'ud) said: Praise be to Allah Who did not call us to account for our sins today. Mahdi said: I think that he said, He did not destroy us for our sins. One among the people said: I recited all the mufassal surahs during the night. 'Abdullah said: (You must have recited them) like the (recitation) of poetry. I heard (the Holy Prophet) combining (the sarahs) and I remember the combinations which the Messenger of Allah (ﷺ) made In the recitation (of surahs). These were constituted of eighteen mufassal surahs and two surahs (commencing with) Ha-Mim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াইল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮৫। আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাহিক ইবনু সিনান (রহঃ) নামে পরিচিত বনূ বাজীলার এক ব্যাক্তি আবদুল্লাহ (রাঃ) এর কাছে এসে বলল, আমি এক রাকআতেই মুফাসসাল সূরা পাঠ করে থাকি। আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কবিতা আবৃতি করার ন্যায় (তাড়াতাড়ি)? আমি তো সে সদৃশ সূরাগুলোর কথা জানি, যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাক’আতে দূই সূরা করে পাঠ করতেন।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي بَجِيلَةَ يُقَالُ لَهُ نَهِيكُ بْنُ سِنَانٍ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنِّي أَقْرَأُ الْمُفَصَّلَ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ لَقَدْ عَلِمْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ بِهِنَّ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏

حدثنا عبد بن حميد، حدثنا حسين بن علي الجعفي، عن زاىدة، عن منصور، عن شقيق، قال جاء رجل من بني بجيلة يقال له نهيك بن سنان الى عبد الله فقال اني اقرا المفصل في ركعة ‏.‏ فقال عبد الله هذا كهذ الشعر لقد علمت النظاىر التي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرا بهن سورتين في ركعة ‏.‏


Shaqiq reported:
A person from Banu Bajila who was called Nabik b. Sinan came to Abdullah and said: I recite mufassal surahs in one rak'ah. Upon this 'Abdullah said: (You recite) like the recitation of poetry. I know the manner in which the Messenger of Allah (ﷺ) recited two surahs in one rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran

পরিচ্ছেদঃ ১৫. ধীরস্থিরতার সাথে কিরা’আত পড়া। অতিদ্রুত পাঠ বর্জন করা এবং একরাক’আতে দুই ও ততোধিক সূরা পড়ার বৈধতা

১৭৮৬। মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আমর ইবনু মুররা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবূ ওয়াইল (রহঃ) কে বর্ণনা করতে শুনেছেন যে, এক ব্যাক্তি ইবনু মাসউদ (রাঃ) এর কাছে এসে বলল, আজ (গত)রাতে আমি মুফাসসাল (সূরাগুলো) সম্পূর্ণই এক রাক’আতে পড়ে ফেলেছি। তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, কবিতা আবৃতি করার মত তাড়াতাড়ি করে? পরে আবদুল্লাহ (রাঃ) আরো বললেন, আমি তো সে সদৃশ (সূরা) গুলো জানি, যেগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিলিয়ে পাঠ করতেন। রাবী বলেন, তিনি তখন মূফাসসালভুক্ত বিশটি সূরার নাম উল্লেখ করলেন (যার) দুই দুই সূরা প্রতি রাক’আতে (পাঠ করা হত)।

باب تَرْتِيلِ الْقِرَاءَةِ وَاجْتِنَابِ الْهَذِّ وَهُوَ الإِفْرَاطُ فِي السُّرْعَةِ وَإِبَاحَةِ سُورَتَيْنِ فَأَكْثَرَ فِي الرَّكْعَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا وَائِلٍ، يُحَدِّثُ أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى ابْنِ مَسْعُودٍ فَقَالَ إِنِّي قَرَأْتُ الْمُفَصَّلَ اللَّيْلَةَ كُلَّهُ فِي رَكْعَةٍ ‏.‏ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ هَذًّا كَهَذِّ الشِّعْرِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقْرُنُ بَيْنَهُنَّ - قَالَ - فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنَ الْمُفَصَّلِ سُورَتَيْنِ سُورَتَيْنِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن المثنى، وابن، بشار قال ابن المثنى حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن عمرو بن مرة، انه سمع ابا واىل، يحدث ان رجلا، جاء الى ابن مسعود فقال اني قرات المفصل الليلة كله في ركعة ‏.‏ فقال عبد الله هذا كهذ الشعر فقال عبد الله لقد عرفت النظاىر التي كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقرن بينهن - قال - فذكر عشرين سورة من المفصل سورتين سورتين في كل ركعة ‏.‏


Abu Wa'il reported:
A person came to 'Abdullah b. Mas'ud and said: I recited all the mufassal surahs in one rak'ah during the night. 'Abdullah said: You must have recited hastily like the recitation of poetry. 'Abdullah said: I remember well the manner in which the Messenger of Allah (ﷺ) used to combine them, and he then mentioned twenty of the mufassal surahs, and (their combinations in) two in every rak'ah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনু মুররা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ ফাযাইলুল কুরআন (كتاب فضائل القران) 7/The book Fazil-ul-Quran
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৬ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে