পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৬. ত্বলহা ও যুবায়র (রাঃ)-এর মর্যাদা।
১৫৬৩. আবু ’উসমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেসব যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং যোগদান করেছিলেন, তন্মধ্যে এক যুদ্ধে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কোন এক সময় ত্বলহা ও সাদ (রাঃ) ছাড়া অন্য কেউ ছিলেন না। আবূ উসমান তাঁদের উভয় হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
فضائل طلحة والزبير رضي الله تعالى عنهما
حديث طَلْحَةَ وَسَعْدٍ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، قَالَ: لَمْ يَبْق مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَعْضِ تِلْكَ الأَيَّامِ، الَّتِي قَاتَلَ فِيهِنَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْرُ طَلْحَةَ وَسَعْدِ، عَنْ حَدِيثِهِمَا
পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৬. ত্বলহা ও যুবায়র (রাঃ)-এর মর্যাদা।
১৫৬৪. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’কে আমাকে শত্রুপক্ষের খবরাখবর এনে দিবে? যুবাইর (রাঃ) বললেন, ’আমি আনব। তিনি আবার বললেন, ’আমার শত্রু পক্ষের খবরাখবর কে এনে দিবে?’ যুবায়র (রাঃ) আবারও বললেন, ’আমি আনব। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, প্ৰত্যেক নবীরই সাহায্যকারী থাকে আর আমার সাহায্যকারী যুবাইর।
فضائل طلحة والزبير رضي الله تعالى عنهما
حديث جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ يَأْتِينِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ يَوْمَ الأَحْزَابِ قَالَ الزُّبَيْرُ: أَنَا ثُمَّ قَالَ: مَنْ يَأْتِينِي بِخَبَرِ الْقَوْمِ قَالَ الزُّبَيْرُ: أَنا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوَارِيًّا، وَحَوَارِيَّ الزُّبَيْرُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪/৬. ত্বলহা ও যুবায়র (রাঃ)-এর মর্যাদা।
১৫৬৫. আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খন্দক যুদ্ধ চলাকালে আমি এবং ’উমার ইবনু আবু সালামাহ মহিলাদের দলে চলছিলাম। হঠাৎ যুবায়েরকে দেখতে পেলাম যে, তিনি অশ্বারোহণ করে বনী কুরায়যা গোত্রের দিকে দুবার অথবা তিনবার আসা যাওয়া করছেন। যখন ফিরে আসলাম তখন বললাম, আব্বা! আমি আপনাকে কয়েকবার যাতায়াত করতে দেখেছি। তিনি বললেন, হে প্রিয় বৎস! তুমি কি আমাকে দেখতে পেয়েছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন কে বনী কুরায় গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের খবরা-খবর জেনে আসবে? তখন আমিই গিয়েছিলাম। যখন আমি ফিরে আসলাম তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য তাঁর মাতা-পিতাকে একত্র করে বললেন, আমার মাতাপিতা তোমার জন্য কুরবান হোক।
فضائل طلحة والزبير رضي الله تعالى عنهما
حديث الزُّبَيْرِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، قَالَ: كُنْتُ، يَوْمَ الأَحْزَابِ، جُعِلْتُ أَنَا وَعُمَرُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، فِي النِّسَاءِ فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بالزُّبَيْرِ عَلَى فَرسِهِ، يَخْتَلِفُ إِلَى بَنِي قُرَيْظَةَ، مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا فَلَمَّا رَجَعْتُ قُلْتُ: يَا أَبَتِ رَأَيْتُكَ تَخْتلِفُ، قَالَ: أَوَ هَلْ رَأيْتَنِي يَا بُنيّ قُلْتُ: نَعَمْ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: مَنْ يَأْتِ بَنِي قُرَيْظَةَ فَيَأتِينِي بِخَبَرِهِمْ فَانْطَلَقْتُ، فَلَمَّا رجَعْتُ جَمَعَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَوَيْهِ، فَقَالَ: فِدَاكَ أَبِي وَأُمِّي