পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৭. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরবানীর মাংস থেকে তোমরা তিন দিন পর্যন্ত খাও। ’আবদুল্লাহ (রাঃ) মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনকালে কুরবানীর মাংস থেকে বিরত থাকার কারণে যায়তুন খাদ্য গ্রহণ করতেন।

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُوا مِنَ الأَضَاحِي ثَلاَثًا وَكَانَ عَبْدُ اللهِ يَأْكُلُ بِالزَّيْتِ حِينَ يَنْفِرُ مِنْ مِنًى مِنْ أَجْلِ لُحُومِ الْهَدْيِ

حديث عبد الله بن عمر، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: كلوا من الاضاحي ثلاثا وكان عبد الله ياكل بالزيت حين ينفر من منى من اجل لحوم الهدي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৮. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনায় অবস্থানের সময় আমরা কুরবানীর মাংসের মধ্যে লবণ মিশ্রিত করে রেখে দিতাম। এরপর তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেশ করতাম।। তিনি বলতেনঃ তোমরা তিন দিনের পর খাবে না। তবে এটি জরুরী নয়। বরং তিনি চেয়েছেন যে, তা থেকে যেন অন্যদের খাওয়ানো হয়। আল্লাহ অধিক অবগত।

حديث عَائِشَةَ، قَالَتْ: الضَّحِيَّةُ كُنَّا نُمَلِّحُ مِنْهُ، فَنَقْدَمُ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، فَقَالَ: لاَ تَأْكُلُوا إِلاَّ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ وَلَيْسَتْ بِعَزِيمَةٍ، وَلكِنْ أَرَادَ أَنْ يُطْعِمَ مِنْهُ، وَاللهُ أَعْلَمُ

حديث عاىشة، قالت: الضحية كنا نملح منه، فنقدم به الى النبي صلى الله عليه وسلم بالمدينة، فقال: لا تاكلوا الا ثلاثة ايام وليست بعزيمة، ولكن اراد ان يطعم منه، والله اعلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৮৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কুরবানীর মাংস মিনা’র তিন দিনের বেশি খেতাম না। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনুমতি দিলেন এবং বললেনঃ খাও এবং সঞ্চয় করে রাখ। তাই আমরা খেলাম এবং সঞ্চয়ও করলাম।

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ: كُنَّا لاَ نَأْكُلُ مِنْ لُحُومِ بُدْنِنَا فَوْقَ ثَلاَثِ مِنًى، فَرَخَّصَ لَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: كُلُوا وَتَزَوَّدُوا فَأَكَلْنَا وَتَزَوَّدْنَا

حديث جابر بن عبد الله، قال: كنا لا ناكل من لحوم بدننا فوق ثلاث منى، فرخص لنا النبي صلى الله عليه وسلم، فقال: كلوا وتزودوا فاكلنا وتزودنا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)

পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৫. ইসলামের প্রথম যুগে কুরবানীর গোশত তিনদিনের অতিরিক্ত খাওয়া নিষিদ্ধ ছিল ও সে বিধান রহিত হয়ে যাওয়া এবং তা বৈধ হয়ে যাওয়া যে চায় তার জন্য।

১২৯০. সালামাহ ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কুরবানী করেছে, সে যেন তৃতীয় দিবসে এমতাবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে, তার ঘরে কুরবানীর মাংস কিছু পরিমাণ অবশিষ্ট থাকে। এরপর যখন পরবর্তী বছর আসল, তখন সাহাবীগণ বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি সেরূপ করব, যেরূপ গত বছর করেছিলাম? তখন তিনি বললেনঃ তোমরা নিজেরা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখ, কেননা গত বছর তো মানুষের মধ্যে ছিল অভাব অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম যে, তোমরা তাতে সাহায্য কর।

حديث سَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ ضَحَّى مِنْكُمْ فَلاَ يُصْبِحَنَّ بَعْدَ ثَالِثَةٍ وَفِي بَيْتِهِ مِنْهُ شَيْءٌ فَلَمَّا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ نَفْعَلُ كَمَا فَعَلْنَا عَامَ الْمَاضِي قَالَ: كُلُوا وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا، فَإِنَّ ذَلِكَ الْعَامَ، كَانَ بِالنَّاسِ جَهْدٌ فَأَرَدْتُ أَنْ تُعِينُوا فِيهَا

حديث سلمة بن الاكوع، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم: من ضحى منكم فلا يصبحن بعد ثالثة وفي بيته منه شيء فلما كان العام المقبل، قالوا: يا رسول الله نفعل كما فعلنا عام الماضي قال: كلوا واطعموا وادخروا، فان ذلك العام، كان بالناس جهد فاردت ان تعينوا فيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-লুলু ওয়াল মারজান
৩৫/ কুরবানী (كتاب الأضاحي)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে