পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
১৭. ’উবাদাহ (রাযি.) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল- আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল আর নিশ্চয়ই ’ঈসা (’আঃ) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল এবং তাঁর সেই কালিমাহ যা তিনি মারইয়ামকে পৌঁছিয়েছেন এবং তাঁর নিকট হতে একটি রূহ মাত্র, আর জান্নাত সত্য ও জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, তার ’আমল যাই হোক না কেন। ওয়ালীদ (রহঃ) .... জুনাদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে জুনাদাহ অতিরিক্ত বলেছেন যে, জান্নাতে আট দরজার যেখান দিয়েই সে চাইবে।
مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ
حَدِيْثُ عَنْ عُبَادَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ شَهِدَ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ عِيسَى عَبْدُ اللهِ وَرَسُولُهُ وَكَلِمَتُهُ أَلْقَاهَا إِلَى مَرْيَمَ وَرُوحٌ مِنْهُ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ أَدْخَلَهُ اللهُ الْجَنَّةَ عَلَى مَا كَانَ مِنَ الْعَمَلِ قَالَ الْوَلِيدُ حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ عَنْ عُمَيْرٍ عَنْ جُنَادَةَ وَزَادَ مِنْ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةِ أَيَّهَا شَاء
পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
১৮. মু’আয ইবনু জাবাল (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পেছনে বসা ছিলাম। আমার ও তাঁর মাঝে লাগামের রশির প্রান্তদেশ ভিন্ন অন্য কিছুই ছিল না। তিনি বললেনঃ মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! অতঃপর কিছুক্ষণ চললেন। পুনরায় বললেনঃ হে মু’আয! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! অতঃপর আরও কিছুক্ষণ চললেন। আবার বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল তিনি বললেনঃ তুমি কি জান, বান্দার উপর আল্লাহর কী হক? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ বান্দার উপর আল্লাহর হক এই যে, তারা কেবল তাঁরই ’ইবাদাত করবে, অন্য কিছুকে তাঁর শরীক করবে না। এরপর কিছু সময় চললেন। অতঃপর বললেনঃ হে মু’আয ইবনু জাবাল! আমি বললামঃ হাযির আছি, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ বান্দারা যখন তাদের দায়িত্ব পালন করে, তখন আল্লাহর প্রতি বান্দার অধিকার কি, তা জান কি? আমি বললামঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহর উপর বান্দার অধিকার এই যে, তিনি তাদের ’আযাব দিবেন না।
مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ
حَدِيْثُ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ بَيْنَا أَنَا رَدِيفُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَيْسَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ إِلاَّ أَخِرَةُ الرَّحْلِ فَقَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ قَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا ثُمَّ سَارَ سَاعَةً ثُمَّ قَالَ يَا مُعَاذُ بْنَ جَبَلٍ قُلْتُ لَبَّيْكَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ فَقَالَ هَلْ تَدْرِي مَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ إِذَا فَعَلُوهُ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَهُمْ
পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
১৯. মু’আয ইবনু জাবাল (রাযি.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ’উফাইর নামক গাধার পিছনে সওয়ারী ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে মু’আয! তুমি কি জান আল্লাহর তাঁর বান্দার উপর কী হক্ব এবং আল্লাহর উপর বান্দার কী হক্ব। আমি বললাম, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর হক্ব হচ্ছে সে তাঁর ’ইবাদাত করবে এবং তাতে কাউকে অংশীদার করবে না। আর আল্লাহর উপর বান্দার হক্ব হচ্ছে তাঁর সাথে কাউকে অংশীদার না করলে তাকে শাস্তি না দেয়া। মু’আয (রাযি.) বললেন, আমি কি মানুষদেরকে এর সুসংবাদ দেব না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাদেরকে এই সুসংবাদ দিও না। কেননা তারা এর উপর ভরসা করে বসে থাকবে (তারা বেশী করে ভাল কাজ করবে না)।
مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ
حَدِيْثُ مُعَاذٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنْتُ رِدْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَلَى حِمَارٍ يُقَالُ لَهُ عُفَيْرٌ فَقَالَ يَا مُعَاذُ هَلْ تَدْرِي حَقَّ اللهِ عَلَى عِبَادِهِ وَمَا حَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ قُلْتُ اللهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ قَالَ فَإِنَّ حَقَّ اللهِ عَلَى الْعِبَادِ أَنْ يَعْبُدُوهُ وَلاَ يُشْرِكُوا بِهِ شَيْئًا وَحَقَّ الْعِبَادِ عَلَى اللهِ أَنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلاَ أُبَشِّرُ بِهِ النَّاسَ قَالَ لاَ تُبَشِّرْهُمْ فَيَتَّكِلُوا
পরিচ্ছেদঃ ১/১০. যে ব্যক্তি নিঃসন্দেহ ঈমান সহকারে আল্লাহর সাথে মিলিত হবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নাম তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে।
২০. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, একদা মু’আয (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সওয়ারীতে ছিলেন, তখন তিনি তাকে ডাকলেন, হে মু’আয ইবনু জাবাল! মু’আয (রাযি.) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার সার্বিক সহযোগিতা ও খিদমাতে হাযির আছি। তিনি ডাকলেন, মু’আয! মু’আয (রাযি.) উত্তর দিলেন, আমি হাযির, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এবং প্রস্তুত।’ তিনি আবার ডাকলেন, মু’আয। তিনি উত্তর দিলেন, ’আমি হাযির ইয়া রাসূলাল্লাহ্ এবং প্রস্তুত’। এরূপ তিনবার করলেন। অতঃপর বললেনঃ যে কোন বান্দা আন্তরিকতার সাথে এ সাক্ষ্য দেবে যে, ’আল্লাহ্ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল’- তার জন্য আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম হারাম করে দিবেন। মু’আয (রাযি.) বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি মানুষকে এ খবর দেব না, যাতে তারা সুসংবাদ পেতে পারে?’ তিনি বললেন, ’তাহলে তারা এর উপরই ভরসা করবে।’ মু’আয (রাযি.) (জীবন ভর এ হাদীসটি বর্ণনা করেন নি) মৃত্যুর সময় এ হাদীসটি বর্ণনা করে গেছেন যাতে (ইলম গোপন রাখার) গুনাহ্ না হয়।
مَنْ لَقِيَ اللهَ بِالإ<ِيْمَانِ وَهُوَ غَيْرُ شَاكِّ فِيْهِ دَخَلَ الجْنَّةَ وَحُرِّمَ عَلَى النَّارِ
حَدِيْثُ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَمُعاذٌ رَدِيفُهُ عَلَى الرَّحْلِ قَالَ يَا مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ قَالَ يَا مُعَاذُ قَالَ لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسَعْدَيْكَ ثَلَاثًا قَالَ مَا مِنْ أَحَدٍ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صِدْقًا مِنْ قَلْبِهِ إِلاَّ حَرَّمَهُ اللهُ عَلَى النَّارِ قَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَفَلاَ أُخْبِرُ بِهِ النَّاسَ فَيَسْتَبْشِرُوا قَالَ إِذًا يَتَّكِلُوا وَأَخْبَرَ بِهَا مُعَاذٌ عِنْدَ مَوْتِهِ تَأَثُّمًا