পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৩৪. আল্লাহর বাণীঃ তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন। আর ফেরেশ্তারা এর সাক্ষী। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)
قَالَ مُجَاهِدٌ يَتَنَزَّلُ الأَمْرُ بَيْنَهُنَّ بَيْنَ السَّمَاءِ السَّابِعَةِ وَالأَرْضِ السَّابِعَةِ
মুজাহিদ (রহ.) বলেছেন, ’ওদের মধ্যে নেমে আসে তাঁর হুকুম’- (সূরাহ আত্ ত্বলাক (তালাক) ৬৫/১২)। সপ্তম আকাশ ও সপ্তম যমীনের মাঝখানে।
৭৪৮৮. বারাআ ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বলেছেনঃ হে অমুক! যখন তুমি তোমার বিছানায় যাবে তখন বলবে, হে আল্লাহ্! আমি আমার নিজেকে তোমারই কাছে সোপর্দ করছি। আমার চেহারাকে তোমার দিকে ফিরাচ্ছি! আমার কর্ম তোমার কাছে সোপর্দ করছি। আমার নির্ভরতা তোমারই প্রতি আশা ও ভয় উভয় হালাতেই। তোমার নিকট ব্যতীত আর কোথাও আশ্রয় ও মুক্তির জায়গা নেই। আমি ঈমান এনেছি তোমার কিতাবের প্রতি যা তুমি নাযিল করেছ এবং তোমার নবীর প্রতি যাঁকে তুমি পাঠিয়েছ। অতঃপর এ রাতে যদি তোমার মওত হয়, তাহলে ফিত্রাতের ওপর তোমার মওত হবে। আর যদি (জীবিত থেকে) তোমার ভোর হয়, তুমি প্রতিদান পাবে। [২৪৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮০)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلاَئِكَةُ يَشْهَدُونَ}
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا فُلاَنُ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَقُلْ اللهُمَّ أَسْلَمْتُ نَفْسِي إِلَيْكَ وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إِلَيْكَ وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إِلَيْكَ وَأَلْجَأْتُ ظَهْرِي إِلَيْكَ رَغْبَةً وَرَهْبَةً إِلَيْكَ لاَ مَلْجَأَ وَلاَ مَنْجَا مِنْكَ إِلاَّ إِلَيْكَ آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أَنْزَلْتَ وَبِنَبِيِّكَ الَّذِي أَرْسَلْتَ فَإِنَّكَ إِنْ مُتَّ فِي لَيْلَتِكَ مُتَّ عَلَى الْفِطْرَةِ وَإِنْ أَصْبَحْتَ أَصَبْتَ أَجْرًا
Narrated Al-Bara' bin `Azib:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "O so-and-so, whenever you go to your bed (for sleeping) say, 'O Allah! I have surrendered myself over to you and have turned my face towards You, and leave all my affairs to You and depend on You and put my trust in You expecting Your reward and fearing Your punishment. There is neither fleeing from You nor refuge but with You. I believe in the Book (Qur'an) which You have revealed and in Your Prophet (Muhammad) whom You have sent.' If you then die on that night, then you will die as a Muslim, and if you wake alive in the morning then you will receive the reward."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৩৪. আল্লাহর বাণীঃ তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন। আর ফেরেশ্তারা এর সাক্ষী। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)
৭৪৮৯. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহযাবের দিনে বলেছেনঃ কিতাব নাযিলকারী, দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী আল্লাহ্ তুমি দলগুলোকে পরাজিত কর এবং তাদেরকে প্রকম্পিত কর। [২৯৩৩]
হুমায়দী (রহ.) এর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে....’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি.....। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮১)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلاَئِكَةُ يَشْهَدُونَ}
قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الأَحْزَابِ اللهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ سَرِيعَ الْحِسَابِ اهْزِمْ الأَحْزَابَ وَزَلْزِلْ بِهِمْ زَادَ الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَالِدٍ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
Narrated `Abdullah bin Abi `Aufa:
Allah's Messenger (ﷺ) said on the Day of (the battle of) the Clans, "O Allah! The Revealer of the Holy Book, The Quick Taker of Accounts! Defeat the clans and shake them."
পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৩৪. আল্লাহর বাণীঃ তা তিনি জেনে শুনে নাযিল করেছেন। আর ফেরেশ্তারা এর সাক্ষী। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১৬৬)
৭৪৯০. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি কুরআনের আয়াতঃ ’’তুমি সালাতে স্বর উঁচু করবে না এবং খুবই ক্ষীণও করবে না....’’ (সূরাহ ইসরা ১৭/১১০)- এর তাফসীরে তিনি বলেন, এ আয়াতটি তখন নাযিল হয়, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় লুকিয়ে ছিলেন। সুতরাং যখন তিনি তাঁর স্বর উঁচু করতেন তাতে মুশরিকরা শুনে গালমন্দ করত কুরআনকে, কুরআন নাযিলকারীকে এবং যাঁর প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে তাঁকে। এ প্রেক্ষাপটে আল্লাহ্ বললেনঃ (হে নবী) তুমি সালাতে তোমার স্বর উচ্চ করবে না, যাতে মুশরিকরা শুনতে পায়। আর তা অতি ক্ষীণও করবে না যাতে তোমার সঙ্গীরাও শুনতে না পায়। এই দু’য়ের মধ্যপথ গ্রহণ কর। তুমি স্বর উচ্চ করবে না, তারা শুনে এভাবে পাঠ করবে যেন তারা তোমা হতে কুরআন শিখতে পারে। [৪৭২২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৯৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৯৮২)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى {أَنْزَلَهُ بِعِلْمِهِ وَالْمَلاَئِكَةُ يَشْهَدُونَ}
مُسَدَّدٌ عَنْ هُشَيْمٍ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا) قَالَ أُنْزِلَتْ وَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مُتَوَارٍ بِمَكَّةَ فَكَانَ إِذَا رَفَعَ صَوْتَهُ سَمِعَ الْمُشْرِكُونَ فَسَبُّوا الْقُرْآنَ وَمَنْ أَنْزَلَهُ وَمَنْ جَاءَ بِهِ فَقَالَ اللهُ تَعَالَى (وَلاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا) لاَ تَجْهَرْ بِصَلاَتِكَ حَتَّى يَسْمَعَ الْمُشْرِكُونَ وَلاَ تُخَافِتْ بِهَا عَنْ أَصْحَابِكَ فَلاَ تُسْمِعُهُمْ (وَابْتَغِ بَيْنَ ذَلِكَ سَبِيلاًظ) أَسْمِعْهُمْ وَلاَ تَجْهَرْ حَتَّى يَأْخُذُوا عَنْكَ الْقُرْآنَ
Narrated Ibn `Abbas:
(regarding the Verse):-- 'Neither say your prayer aloud, nor say it in a low tone.' (17.110) This Verse was revealed while Allah's Messenger (ﷺ) was hiding himself in Mecca, and when he raised his voice while reciting the Qur'an, the pagans would hear him and abuse the Qur'an and its Revealer and to the one who brought it. So Allah said:-- 'Neither say your prayer aloud, nor say it in a low tone.' (17.110) That is, 'Do not say your prayer so loudly that the pagans can hear you, nor say it in such a low tone that your companions do not hear you.' But seek a middle course between those (extremes), i.e., let your companions hear, but do not relate the Qur'an loudly, so that they may learn it from you.