পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)

وَقَالَ الأَعْمَشُ عَنْ تَمِيمٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَسِعَ سَمْعُهُ الأَصْوَاتَ فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى عَلَى النَّبِيِّ (قَدْ سَمِعَ اللهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا)

আ’মাশ, তামীম, ’উরওয়াহ (রহ.), ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ’আয়িশাহ (রাঃ) বলেছেন, সকল প্রশংসা সেই মহান আল্লাহর, যাঁর শ্রবণশক্তি সকল শব্দকে ঘিরে রেখেছে। অতঃপর আল্লাহ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর নাযিল করেনঃ হে রাসূল! আল্লাহ্ শুনেছেন সেই স্ত্রীলোকের কথা, যে তার স্বামীর বিষয়ে আপনার সঙ্গে বাদানুবাদ করছে। (সূরাহ আল-মুজাদালাহ ৫৮/১)


৭৩৮৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা উঁচু স্থানে উঠার সময় তাকবীর বলতাম। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তোমাদের নফসের উপর একটু দয়া কর। কেননা, তোমরা কোন বধির কিংবা অনুপস্থিতকে ডাকছ না। বরং তোমরা ডাকছ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা এবং ঘনিষ্ঠতমকে। এরপর তিনি আমার কাছে আসলেন। তখন আমি মনে মনে لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ বলছিলাম। তিনি আমাকে বললেনঃ হে ’আবদুল্লাহ্ ইবনু কায়স! বল لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ কেননা এটি জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার। অথবা তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাকে সেই সম্পর্কে জানিয়ে দেব না (যা হচ্ছে জান্নাতের খাজানা)? [২৯৯২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৩)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَكُنَّا إِذَا عَلَوْنَا كَبَّرْنَا فَقَالَ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لاَ تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلاَ غَائِبًا تَدْعُونَ سَمِيعًا بَصِيرًا قَرِيبًا ثُمَّ أَتَى عَلَيَّ وَأَنَا أَقُولُ فِي نَفْسِي لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَقَالَ لِي يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ قَيْسٍ قُلْ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ فَإِنَّهَا كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ أَوْ قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ بِهِ

سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن ايوب عن ابي عثمان عن ابي موسى قال كنا مع النبي صلى الله عليه وسلم في سفر فكنا اذا علونا كبرنا فقال اربعوا على انفسكم فانكم لا تدعون اصم ولا غاىبا تدعون سميعا بصيرا قريبا ثم اتى علي وانا اقول في نفسي لا حول ولا قوة الا بالله فقال لي يا عبد الله بن قيس قل لا حول ولا قوة الا بالله فانها كنز من كنوز الجنة او قال الا ادلك به


Narrated Abu Musa:

We were with the Prophet (ﷺ) on a journey, and whenever we ascended a high place, we used to say, "Allahu Akbar." The Prophet (ﷺ) said, "Don't trouble yourselves too much! You are not calling a deaf or an absent person, but you are calling One Who Hears, Sees, and is very near." Then he came to me while I was saying in my heart, "La hawla wala quwwatta illa billah (There is neither might nor power but with Allah)." He said, to me, "O `Abdullah bin Qais! Say, 'La hawla wala quwwata illa billah (There is neither might nor power but with Allah), for it is one of the treasures of Paradise." Or said, "Shall I tell you of it?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد) 97/ Oneness, Uniqueness of Allah (Tawheed)    

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)

৭৩৮৭-৭৩৮৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু’আ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي.... হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুলম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}

يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

يحيى بن سليمان حدثني ابن وهب اخبرني عمرو عن يزيد عن ابي الخير سمع عبد الله بن عمرو ان ابا بكر الصديق قال للنبي صلى الله عليه وسلم يا رسول الله علمني دعاء ادعو به في صلاتي قال قل ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب الا انت فاغفر لي من عندك مغفرة انك انت الغفور الرحيم


Narrated `Abdullah bin `Amr:

Abu Bakr As-Siddiq said to the Prophet (ﷺ) "O Allah's Messenger (ﷺ)! Teach me an invocation with which I may invoke Allah in my prayers." The Prophet (ﷺ) said, "Say: O Allah! I have wronged my soul very much (oppressed myself), and none forgives the sins but You; so please bestow Your Forgiveness upon me. No doubt, You are the Oft-Forgiving, Most Merciful."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد) 97/ Oneness, Uniqueness of Allah (Tawheed)    

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)

৭৩৮৭-৭৩৮৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি দু’আ শিখিয়ে দিন যা দিয়ে আমি আমার সালাতে দু’আ করতে পারি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি বল, اللهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي.... হে আল্লাহ্! আমি আমার নফসের ওপর খুব বেশি যুলম করেছি। আপনি ব্যতীত আমার গুনাহ ক্ষমা করার কেউই নেই। কাজেই আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনিই অতি ক্ষমাপরায়ণ ও দয়াবান। [৮৩৪; মুসলিম ৪৮/১৩, হাঃ ২৭০৫, আহমাদ ৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৪)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}

يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو عَنْ يَزِيدَ عَنْ أَبِي الْخَيْرِ سَمِعَ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو أَنَّ أَبَا بَكْرٍ الصِّدِّيقَ قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلاَتِي قَالَ قُلْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مِنْ عِنْدِكَ مَغْفِرَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ

يحيى بن سليمان حدثني ابن وهب اخبرني عمرو عن يزيد عن ابي الخير سمع عبد الله بن عمرو ان ابا بكر الصديق قال للنبي صلى الله عليه وسلم يا رسول الله علمني دعاء ادعو به في صلاتي قال قل ظلما كثيرا ولا يغفر الذنوب الا انت فاغفر لي من عندك مغفرة انك انت الغفور الرحيم


Narrated `Abdullah bin `Amr:

Abu Bakr As-Siddiq said to the Prophet (ﷺ) "O Allah's Messenger (ﷺ)! Teach me an invocation with which I may invoke Allah in my prayers." The Prophet (ﷺ) said, "Say: O Allah! I have wronged my soul very much (oppressed myself), and none forgives the sins but You; so please bestow Your Forgiveness upon me. No doubt, You are the Oft-Forgiving, Most Merciful."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد) 97/ Oneness, Uniqueness of Allah (Tawheed)    

পরিচ্ছেদঃ ৯৭/৯. আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/১)

৭৩৮৯. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিব্রীল আমাকে ডাক দিয়ে বললেন, আল্লাহ্ আপনার কওমের লোকেদের কথা শুনেছেন এবং তারা আপনাকে যে জবাব দিয়েছে তাও তিনি শুনেছেন।[1] [৩২৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৮৫)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَكَانَ اللهُ سَمِيعًا بَصِيرًا}

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ جِبْرِيلَ عَلَيْهِ السَّلاَم نَادَانِي قَالَ إِنَّ اللهَ قَدْ سَمِعَ قَوْلَ قَوْمِكَ وَمَا رَدُّوا عَلَيْكَ

عبد الله بن يوسف اخبرنا ابن وهب اخبرني يونس عن ابن شهاب حدثني عروة ان عاىشة حدثته قال النبي صلى الله عليه وسلم ان جبريل عليه السلام ناداني قال ان الله قد سمع قول قومك وما ردوا عليك


Narrated `Aisha:

The Prophet (ﷺ) said, "Gabriel called me and said, 'Allah has heard the statement of your people and what they replied to you.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯৭/ তাওহীদ (كتاب التوحيد) 97/ Oneness, Uniqueness of Allah (Tawheed)    
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে