পরিচ্ছেদঃ ৯৬/১৮. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্কপ্রিয়। (সূরা আল-কাহাফ ১৮/৫৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবধারীদের সঙ্গে বিতর্ক করো না.....। (সূরাহ আল-‘আনকাবূত ২৯/৪৬)
৭৩৪৭. ’আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এবং রাসূলের মেয়ে ফাতিমাহ (রাঃ)-এর নিকট আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা সালাত পড়েছ কি? ’আলী (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জীবন তো আল্লাহর হাতে। তিনি আমাদেরকে যখন জাগাতে চান, জাগিয়ে দেন। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চলে গেলেন, তার কথার জবাব দিলেন না। ’আলী (রাঃ) বলেন, আমি শুনতে পেলাম, তিনি চলে যাচ্ছেন, আর ঊরুতে হাত মেরে মেরে বলছেনঃ মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্কপ্রিয়। আবূ ’আবদুল্লাহ্ (বুখারী) (রহ.) বলেন, তোমার কাছে রাতের বেলা আগমনকারী আসে তাকে ’তারিক’ বা রাতের অতিথি বলে। ’তারিক’ একটি তারাকেও বলা হয়। আর ’সাক্বিব’ অর্থ হল জ্যোতির্ময়। এজন্যই আগুন যে জ্বালায় তাকে বলা হয়, তুমি আগুন জ্বালাও।[1] [১১২৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৬)
১. বিশেষ করে গাফেল নিকটাত্মীয় এবং সঙ্গী সাথীদেরকে স্মরণ করে দেয়ার বৈধতা।
২. যা অন্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সেই ব্যাপারে কোন ব্যক্তির তার নিজের সাথে কথোপকথনের বৈধতা।
৩. আশ্চর্য হওয়ার সময় কোন ব্যক্তির তার নিজের কোন অঙ্গের উপর প্রহার করার বৈধতা। অনুরূপভাবে আফসোস বা পরিতাপের সময়ও তা বৈধ।
৪. আলী (রাঃ)’র ফাযীলাত। (ফাতহুল বারী)
بَاب قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً} وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلاَّ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ}
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ أَخْبَرَنَا عَتَّابُ بْنُ بَشِيرٍ عَنْ إِسْحَاقَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ حُسَيْنَ بْنَ عَلِيٍّ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ قَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَرَقَهُ وَفَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَم بِنْتَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمْ أَلاَ تُصَلُّونَ فَقَالَ عَلِيٌّ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّمَا أَنْفُسُنَا بِيَدِ اللهِ فَإِذَا شَاءَ أَنْ يَبْعَثَنَا بَعَثَنَا فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ لَهُ ذَلِكَ وَلَمْ يَرْجِعْ إِلَيْهِ شَيْئًا ثُمَّ سَمِعَهُ وَهُوَ مُدْبِرٌ يَضْرِبُ فَخِذَهُ وَهُوَ يَقُولُ (وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً) قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ يُقَالُ مَا أَتَاكَ لَيْلاً فَهُوَ طَارِقٌ وَيُقَالُ الطَّارِقُ النَّجْمُ وَ الثَّاقِبُ الْمُضِيءُ يُقَالُ أَثْقِبْ نَارَكَ لِلْمُوقِدِ
Narrated `Ali bin Abi Talib:
That Allah's Messenger (ﷺ) came to him and Fatima the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) at their house at night and said, "Won't you pray?" `Ali replied, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Our souls are in the Hands of Allah and when he wants us to get up, He makes us get up." When `Ali said that to him, Allah's Messenger (ﷺ) left without saying anything to him. While the Prophet (ﷺ) was leaving, `Ali heard him striking his thigh (with his hand) and saying, "But man is quarrelsome more than anything else." (18.54)
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/১৮. আল্লাহর বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্কপ্রিয়। (সূরা আল-কাহাফ ১৮/৫৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা কিতাবধারীদের সঙ্গে বিতর্ক করো না.....। (সূরাহ আল-‘আনকাবূত ২৯/৪৬)
৭৩৪৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা মসজিদে নাবাবীতে ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাসজিদ থেকে বের হয়ে আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা চলো ইয়াহূদীদের সেখানে যাই। আমরা তাঁর সঙ্গে বেরোলাম। শেষে আমরা বায়তুল মিদরাসে (তাদের শিক্ষালয়ে) পৌঁছলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেখানে দাঁড়িয়ে তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ হে ইয়াহূদী সম্প্রদায়! তোমরা ইসলাম কবূল কর, এতে তোমরা নিরাপত্তা লাভ করবে। ইয়াহূদীরা বলল, হে আবূল কাসিম! আপনার পৌঁছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ আমার ইচ্ছা তোমরা ইসলাম গ্রহণ কর এবং শান্তিতে থাক।
তারাও আবার বলল, হে আবুল কাসিম! আপনার পৌঁছানোর দায়িত্ব আপনি পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি এরকমই ইচ্ছে পোষণ করি। তৃতীয়বারেও তিনি তাই বললেন। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ জেনে রেখো, যমীন একমাত্র আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের। আমি তোমাদেরকে এই এলাকা থেকে নির্বাসিত করতে চাই। কাজেই তোমাদের যাদের মালপত্র আছে, তা যেন সে বিক্রি করে দেয়। তা নাহলে জেনে রেখো যমীন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের।[1] [৩১৬৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৮৩৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৪৭)
بَاب قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلاً} وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَلاَ تُجَادِلُوا أَهْلَ الْكِتَابِ إِلاَّ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ}
قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ بَيْنَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقَالَ انْطَلِقُوا إِلَى يَهُودَ فَخَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى جِئْنَا بَيْتَ الْمِدْرَاسِ فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَنَادَاهُمْ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ يَهُودَ أَسْلِمُوا تَسْلَمُوا فَقَالُوا قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ قَالَ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ أُرِيدُ أَسْلِمُوا تَسْلَمُوا فَقَالُوا قَدْ بَلَّغْتَ يَا أَبَا الْقَاسِمِ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ذَلِكَ أُرِيدُ ثُمَّ قَالَهَا الثَّالِثَةَ فَقَالَ اعْلَمُوا أَنَّمَا الأَرْضُ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَأَنِّي أُرِيدُ أَنْ أُجْلِيَكُمْ مِنْ هَذِهِ الأَرْضِ فَمَنْ وَجَدَ مِنْكُمْ بِمَالِهِ شَيْئًا فَلْيَبِعْهُ وَإِلاَّ فَاعْلَمُوا أَنَّمَا الأَرْضُ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ
Narrated Abu Huraira:
While we were in the mosque, Allah's Messenger (ﷺ) came out and said, "Let us proceed to the Jews." So we went out with him till we came to Bait-al-Midras. The Prophet (ﷺ) stood up there and called them, saying, "O assembly of Jews! Surrender to Allah (embrace Islam) and you will be safe!" They said, "You have conveyed Allah's message, O Aba-al-Qasim" Allah's Messenger (ﷺ) then said to them, "That is what I want; embrace Islam and you will be safe." They said, "You have conveyed the message, O Aba-al- Qasim." Allah's Messenger (ﷺ) then said to them, "That is what I want," and repeated his words for the third time and added, "Know that the earth is for Allah and I want to exile you from this land, so whoever among you has property he should sell it, otherwise, know that the land is for Allah and His Apostle."