পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
وَقَوْلُهُ تَعَالَى: (لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ)
এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে। (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/১০১)
৭২৮৯. আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলিমদের সর্বাপেক্ষা বড় অপরাধী ঐ লোক যে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করে যা আগে হারাম ছিল না, কিন্তু তার প্রশ্ন করার কারণে তা হারাম করা হয়েছে। [মুসলিম ৪৩/৩৭, হাঃ ২৩৫৮, আহমাদ ১৫৪৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯১)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ أَعْظَمَ الْمُسْلِمِينَ جُرْمًا مَنْ سَأَلَ عَنْ شَيْءٍ لَمْ يُحَرَّمْ فَحُرِّمَ مِنْ أَجْلِ مَسْأَلَتِهِ.
Narrated Sa`d bin Abi Waqqas:
The Prophet (ﷺ) said, "The most sinful person among the Muslims is the one who asked about something which had not been prohibited, but was prohibited because of his asking."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯০. যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাটাই দিয়ে মসজিদে একটি হুজরা বানিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ভিতর কয়েক রাত সালাত পড়লেন। এতে লোকেরা তাঁর সঙ্গে একত্রিত হত। তারপর এক রাতে তারা তাঁর আওয়াজ শুনতে পেল না এবং তারা ভাবল, তিনি ঘুমিয়ে গেছেন। তাদের কেউ কেউ গলা খাঁকার দিতে লাগল, যাতে তিনি তাদের নিকট বেরিয়ে আসেন। তখন তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ তোমাদের এ ক’ দিনের কর্মকান্ড আমি দেখেছি, এতে আমার আশঙ্কা হচ্ছে, তোমাদের উপর তা ফরজ করে দেয়া হতে পারে। কিন্তু যদি তোমাদের উপর ফরজ করে দেয়া হয় তাহলে তোমরা তা প্রতিষ্ঠিত করবে না। কাজেই ওহে লোকেরা! তোমরা নিজ নিজ ঘরে সালাত পড়। কারণ, মানুষের সবচেয়ে উত্তম সালাত হল যা সে তার ঘরে আদায় করে ফরয সালাত ছাড়া। [৭৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯২)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ سَمِعْتُ أَبَا النَّضْرِ يُحَدِّثُ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلماتَّخَذَ حُجْرَةً فِي الْمَسْجِدِ مِنْ حَصِيرٍ فَصَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيهَا لَيَالِيَ حَتَّى اجْتَمَعَ إِلَيْهِ نَاسٌ ثُمَّ فَقَدُوا صَوْتَهُ لَيْلَةً فَظَنُّوا أَنَّهُ قَدْ نَامَ فَجَعَلَ بَعْضُهُمْ يَتَنَحْنَحُ لِيَخْرُجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ مَا زَالَ بِكُمْ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ صَنِيعِكُمْ حَتَّى خَشِيتُ أَنْ يُكْتَبَ عَلَيْكُمْ وَلَوْ كُتِبَ عَلَيْكُمْ مَا قُمْتُمْ بِهِ فَصَلُّوا أَيُّهَا النَّاسُ فِي بُيُوتِكُمْ فَإِنَّ أَفْضَلَ صَلاَةِ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ الصَّلاَةَ الْمَكْتُوبَةَ.
Narrated Zaid bin Thabit:
The Prophet (ﷺ) took a room made of date palm leaves mats in the mosque. Allah's Messenger (ﷺ) prayed in it for a few nights till the people gathered (to pray the night prayer (Tarawih) (behind him.) Then on the 4th night the people did not hear his voice and they thought he had slept, so some of them started humming in order that he might come out. The Prophet (ﷺ) then said, "You continued doing what I saw you doing till I was afraid that this (Tarawih prayer) might be enjoined on you, and if it were enjoined on you, you would not continue performing it. Therefore, O people! Perform your prayers at your homes, for the best prayer of a person is what is performed at his home except the compulsory congregational) prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯১. আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কতকগুলো বিষয়ে প্রশ্ন করা হল যা তিনি অপছন্দ করলেন। লোকেরা যখন তাঁকে অধিক অধিক প্রশ্ন করতে লাগল, তিনি রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ আমাকে প্রশ্ন কর। তখন এক লোক দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হল হুযাফা। এরপর আরেকজন দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা শায়বাহর আযাদকৃত গোলাম সালিম। ’উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারায় রাগের আলামাত দেখে বললেন, আমরা আল্লাহর কাছে তওবা করছি। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৩)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
يُوسُفُ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ أَشْيَاءَ كَرِهَهَا فَلَمَّا أَكْثَرُوا عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةَ غَضِبَ وَقَالَ سَلُونِي فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ أَبِي قَالَ أَبُوكَ حُذَافَةُ ثُمَّ قَامَ آخَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ مَنْ أَبِي فَقَالَ أَبُوكَ سَالِمٌ مَوْلَى شَيْبَةَ فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ مَا بِوَجْهِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ الْغَضَبِ قَالَ إِنَّا نَتُوبُ إِلَى اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.
Narrated Abu Musa Al-Ash`ari:
Allah's Messenger (ﷺ) was asked about things which he disliked, and when the people asked too many questions, he became angry and said, "Ask me (any question)." A man got up and said, "O Allah's Apostle! Who is my father?" The Prophet (ﷺ) replied, "Your father is Hudhaifa." Then another man got up and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Who is my father?" The Prophet (ﷺ) said, "Your father is Salim, Maula Shaiba." When `Umar saw the signs of anger on the face of Allah's Messenger (ﷺ), he said, "We repent to Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯২. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ)-এর লেখক ওয়াররাদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ (রাঃ) মুগীরাহ (রাঃ)-এর কাছে লিখে পাঠালেন যে, তুমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা কিছু শুনেছ তা আমার কাছে লিখে পাঠাও। তিনি বলেন, তিনি তাকে লিখলেন যে, আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি সালাতের পর বলতেনঃ আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শারীক নেই, সাম্রাজ্য তাঁরই, আর সকল প্রশংসা তাঁরই জন্য, তিনি সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ্! তুমি যা দান করবে তাকে আটকানোর কেউ নেই, আর তুমি আটকাবে তা দেয়ার মত কেউ নেই। ধন সম্পদ তোমার নিকটে সম্পদশালীদের কোন উপকার করবে না।
তিনি আরো লিখেছিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তর্কে লিপ্ত হওয়া, বেশি বেশি প্রশ্ন করা ও সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে নিষেধ করতেন। আর তিনি মায়েদের অবাধ্য হতে, কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দিতে ও প্রাপকের পাওনা দেয়া থেকে হাত গুটাতে আর নেয়ার ব্যাপারে হাত বাড়িয়ে দিতে নিষেধ করতেন। আবূ ’আবদুল্লাহ্ [বুখারী (রহ.)] বলেন, তারা (কাফির) জাহিলীয়্যাতের যুগে স্বীয় কন্যাদেরকে হত্যা করতেন। অতঃপর আল্লাহ তা হারাম করে দেন। [৮৪৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৪)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
مُوسَى حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ وَرَّادٍ كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ قَالَ كَتَبَ مُعَاوِيَةُ إِلَى الْمُغِيرَةِ اكْتُبْ إِلَيَّ مَا سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنَّ نَبِيَّ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ اللهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ وَكَتَبَ إِلَيْهِ إِنَّهُ كَانَ يَنْهَى عَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةِ الْمَالِ وَكَانَ يَنْهَى عَنْ عُقُوقِ الْأُمَّهَاتِ وَوَأْدِ الْبَنَاتِ وَمَنْعٍ وَهَاتِ.
Narrated Warrad:
(The clerk of Al-Mughira) Muawiya wrote to Al-Mughira 'Write to me what you have heard from Allah's Messenger (ﷺ).' So he (Al-Mughira) wrote to him: Allah's Prophet used to say at the end of each prayer: "La ilaha illalla-h wahdahu la sharika lahu, lahul Mulku, wa lahul Hamdu wa hula ala kulli shai'in qadir. 'Allahumma la mani' a lima a'taita, wala mu'tiya lima mana'ta, wala yanfa'u dhuljadd minkal-jadd." He also wrote to him that the Prophet (ﷺ) used to forbid (1) Qil and Qal (idle useless talk or that you talk too much about others), (2) Asking too many questions (in disputed Religious matters); (3) And wasting one's wealth by extravagance; (4) and to be undutiful to one's mother (5) and to bury the daughters alive (6) and to prevent your favors (benevolence to others (i.e. not to pay the rights of others (7) And asking others for something (except when it is unavoidable).
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ’উমার (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ (যাবতীয়) কৃত্রিমতা হতে আমাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৫)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ ثَابِتٍ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عُمَرَ فَقَالَ نُهِينَا عَنْ التَّكَلُّفِ.
Narrated Anas:
We were with `Umar and he said, "We have been forbidden to undertake a difficult task beyond our capability (i.e. to exceed the religious limits e.g., to clean the inside of the eyes while doing ablution).
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯৪. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। দুপুরের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে আসলেন এবং যুহরের সালাত পড়লেন। সালাম ফিরানোর পর তিনি মিম্বরে দাঁড়ালেন এবং ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি উল্লেখ করলেন যে, কিয়ামতের আগে অনেক বড় বড় ঘটনা ঘটবে। তারপর তিনি বললেনঃ কেউ যদি আমাকে কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করা পছন্দ করে, তাহলে সে তা করতে পারে। আল্লাহর শপথ! আমি এখানে অবস্থান করা পর্যন্ত তোমরা আমাকে যে বিষয়েই প্রশ্ন করবে, আমি তা তোমাদেরকে জানাব। আনাস (রাঃ) বলেন, এতে লোকেরা খুব বেশি কাঁদল। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি বেশি বলতে থাকলেন তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন কর।
আনাস (রাঃ) বলেন, তখন এক লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আশ্রয়ের জায়গা কোথায়? তিনি বললেন, জাহান্নাম। তারপর ’আবদুল্লাহ্ ইবনু হুযাফা (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা কে? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা হুযাফা। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর তিনি বার বার বলতে লাগলেনঃ তোমরা আমার কাছে প্রশ্ন কর, আমার কাছে প্রশ্ন কর। এতে ’উমার (রাঃ) হাঁটু গেড়ে বসে গেলেন এবং বললেন, আমরা আল্লাহকে রব হিসাবে মেনে ইসলামকে দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাসূল হিসাবে বিশ্বাস করে সন্তুষ্ট আছি। আনাস (রাঃ) বলেন, ’উমার (রাঃ) যখন এ কথা বললেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ করলেন।
তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: উত্তম! যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ করে বলছি, এই মুহূর্তে আমি যখন সালাতে ছিলাম তখন এ দেয়ালের প্রস্থে জান্নাত ও জাহান্নাম আমার সামনে পেশ করা হয়েছিল। আজকের মত এমন ভাল আর মন্দ আমি আর দেখিনি। [৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৬)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ ح و حَدَّثَنِي مَحْمُودٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حِينَ زَاغَتْ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ فَلَمَّا سَلَّمَ قَامَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَذَكَرَ السَّاعَةَ وَذَكَرَ أَنَّ بَيْنَ يَدَيْهَا أُمُورًا عِظَامًا ثُمَّ قَالَ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَسْأَلَ عَنْ شَيْءٍ فَلْيَسْأَلْ عَنْهُ فَوَاللهِ لاَ تَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلاَّ أَخْبَرْتُكُمْ بِهِ مَا دُمْتُ فِي مَقَامِي هَذَا قَالَ أَنَسٌ فَأَكْثَرَ النَّاسُ الْبُكَاءَ وَأَكْثَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَقُولَ سَلُونِي فَقَالَ أَنَسٌ فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ فَقَالَ أَيْنَ مَدْخَلِي يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ النَّارُ فَقَامَ عَبْدُ اللهِ بْنُ حُذَافَةَ فَقَالَ مَنْ أَبِي يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ أَبُوكَ حُذَافَةُ قَالَ ثُمَّ أَكْثَرَ أَنْ يَقُولَ سَلُونِي سَلُونِي فَبَرَكَ عُمَرُ عَلَى رُكْبَتَيْهِ فَقَالَ رَضِينَا بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم رَسُولاً قَالَ فَسَكَتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَالَ عُمَرُ ذَلِكَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ عُرِضَتْ عَلَيَّ الْجَنَّةُ وَالنَّارُ آنِفًا فِي عُرْضِ هَذَا الْحَائِطِ وَأَنَا أُصَلِّي فَلَمْ أَرَ كَالْيَوْمِ فِي الْخَيْرِ وَالشَّرِّ.
Narrated Anas bin Malik:
The Prophet (ﷺ) came out after the sun had declined and offered the Zuhr prayer (in congregation). After finishing it with Taslim, he stood on the pulpit and mentioned the Hour and mentioned there would happen great events before it. Then he said, "Whoever wants to ask me any question, may do so, for by Allah, you will not ask me about anything but I will inform you of its answer as long as I am at this place of mine." On this, the Ansar wept violently, and Allah's Messenger (ﷺ) kept on saying, "Ask Me! " Then a man got up and asked, ''Where will my entrance be, O Allah's Messenger (ﷺ)?" The Prophet (ﷺ) said, "(You will go to) the Fire." Then `Abdullah bin Hudhaifa got up and asked, "Who is my father, O Allah's Messenger (ﷺ)?" The Prophet (ﷺ) replied, "Your father is Hudhaifa." The Prophet (ﷺ) then kept on saying (angrily), "Ask me! Ask me!" `Umar then knelt on his knees and said, "We have accepted Allah as our Lord and Islam as our religion and Muhammad as an Apostle." Allah's Messenger (ﷺ) became quiet when `Umar said that. Then Allah's Messenger (ﷺ) said, "By Him in Whose Hand my life is, Paradise and Hell were displayed before me across this wall while I was praying, and I never saw such good and evil as I have seen today."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯৫. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর নবী! কে আমার পিতা? তিনি বললেনঃ তোমার পিতা অমুক। তারপর এ আয়াত নাযিল হলঃ ’’হে মু’মিনরা! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন কর না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে.....’’ (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/১০১)। [৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৭)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ أَخْبَرَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ أَنَسٍ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَجُلٌ يَا نَبِيَّ اللهِ مَنْ أَبِي قَالَ أَبُوكَ فُلاَنٌ وَنَزَلَتْ (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ) الآيَةَ.
Narrated Anas bin Malik:
A man said, "O Allah's Prophet! Who is my father?" The Prophet (ﷺ) said, "Your father is so-and-so." And then the Divine Verse:-- 'O you who believe! Ask not questions about things..(5.101)
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃ লোকেরা একে অপরকে প্রশ্ন করতে থাকবে যে, এ আল্লাহ সব কিছুরই স্রষ্টা, তাহলে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করল?[1] [মুসলিম ১/৬০, হাঃ ১৩৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৮)
فَمَنْ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ
আর আবূ দাউদ ও নাসায়ীতে অতিরিক্ত হলো : তখন তোমরা বলবে : الله أحد الله الصمد
অতঃপর বাম দিকে থুথু দিবে ও أعوذ بالله من الشيطان الرجيم বলবে। আর মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত ’আয়িশাহ’র হাদীসে রয়েছে: فَإِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ ذَلَكَ فَلْيَقُلْ آمَنْتُ بِاللَّهِ وَرَسُوْلِهِ فَإِن ذَلِكَ يَذْهَبُ عَنْهُ
(ফাতহুল বারী)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
الْحَسَنُ بْنُ صَبَّاحٍ حَدَّثَنَا شَبَابَةُ حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَنْ يَبْرَحَ النَّاسُ يَتَسَاءَلُونَ حَتَّى يَقُولُوا هٰذَا اللهُ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَمَنْ خَلَقَ اللهَ.
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "People will not stop asking questions till they say, 'This is Allah, the Creator of everything, then who created Allah?' "
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/৩. বেশি বেশি প্রশ্ন করা এবং অকারণে কষ্ট করা নিন্দনীয়।
৭২৯৭. ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে মাদ্বীনাহ্য় এক শস্য ক্ষেতে ছিলাম। তিনি একটি খেজুরের ডালে ভর দিয়ে ইয়াহূদীদের একটি দলের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের কেউ বলল, তাকে রূহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর। আর কেউ বলল তাঁকে জিজ্ঞেস করো না, এতে তোমাদেরকে এমন উত্তর শুনতে হতে পারে যা তোমরা অপছন্দ কর। অতঃপর তারা তাঁর কাছে উঠে গিয়ে বলল, হে আবুল কাসিম! আমাদেরকে রূহ্ সম্পর্কে জানান। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। আমি বুঝলাম, তাঁর কাছে ওয়াহী অবতীর্ণ হচ্ছে, আমি তাঁর থেকে একটু পিছে সরে দাঁড়ালাম। ওয়াহী শেষ হল। তারপর তিনি বললেনঃ ’তারা তোমাকে রূহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, ’রূহ্ আমার প্রতিপালকের আদেশ......’ (সূরাহ ইসরা ১৭/৮৫)। [১২৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৯৯)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ كَثْرَةِ السُّؤَالِ وَتَكَلُّفِ مَا لاَ يَعْنِيهِ
مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي حَرْثٍ بِالْمَدِينَةِ وَهُوَ يَتَوَكَّأُ عَلَى عَسِيبٍ فَمَرَّ بِنَفَرٍ مِنْ الْيَهُودِ فَقَالَ بَعْضُهُمْ سَلُوهُ عَنْ الرُّوحِ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لاَ تَسْأَلُوهُ لاَ يُسْمِعُكُمْ مَا تَكْرَهُونَ فَقَامُوا إِلَيْهِ فَقَالُوا يَا أَبَا الْقَاسِمِ حَدِّثْنَا عَنْ الرُّوحِ فَقَامَ سَاعَةً يَنْظُرُ فَعَرَفْتُ أَنَّهُ يُوحَى إِلَيْهِ فَتَأَخَّرْتُ عَنْهُ حَتَّى صَعِدَ الْوَحْيُ ثُمَّ قَالَ (وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الرُّوحِ قُلْ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي)
Narrated Ibn Masud:
I was with the Prophet (ﷺ) at one of the farms of Medina while he was leaning on a date palm leaf-stalk. He passed by a group of Jews and some of them said to the other, Ask him (the Prophet) about the spirit. Some others said, "Do not ask him, lest he should tell you what you dislike" But they went up to him and said, "O Abal Qasim! Inform us bout the spirit." The Prophet (ﷺ) stood up for a while, waiting. I realized that he was being Divinely Inspired, so I kept away from him till the inspiration was over. Then the Prophet (ﷺ) said, "(O Muhammad) they ask you regarding the spirit, Say: The spirit its knowledge is with my Lord (i.e., nobody has its knowledge except Allah)" (17.85) (This is a miracle of the Qur'an that all the scientists up till now do not know about the spirit, i.e, how life comes to a body and how it goes away at its death)