পরিচ্ছেদঃ ৯৩/২৯. বিচারক যাকে তার ভাই-এর হক প্রদান করে, সে যেন তা না নেয়, কারণ বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারে না।
৭১৮১. যাইনাব বিন্ত আবূ সালামাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী উম্মু সালামাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, একবার তিনি তাঁর কক্ষের দরজায় ঝগড়া বিবাদের শব্দ শুনতে পেলেন। এরপর তিনি তাদের কাছে এসে বললেন, আমি তো একজন মানুষ। আমার নিকট বাদী-বিবাদীরা আসে। হয়ত তোমাদের মাঝে কেউ অন্যের তুলনায় কথায় পটু। আমি মনে করি যে সে সত্যবাদী। ফলে আমি তার পক্ষে ফায়সালা করি। কিন্তু আমি যদি কোন মুসলিমের হক অন্য কারো জন্য ফায়সালা করি, তাহলে সেটা এক খন্ড আগুন ব্যতীত আর কিছু নয়। কাজেই সে চাইলে তা গ্রহণ করুক অথবা তা ত্যাগ করুক। [২৪৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৭৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৯২)
بَاب مَنْ قُضِيَ لَهُ بِحَقِّ أَخِيهِ فَلاَ يَأْخُذْهُ فَإِنَّ قَضَاءَ الْحَاكِمِ لاَ يُحِلُّ حَرَامًا وَلاَ يُحَرِّمُ حَلاَلاً
عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ سَمِعَ خُصُومَةً بِبَابِ حُجْرَتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَإِنَّهُ يَأْتِينِي الْخَصْمُ فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ فَأَقْضِي لَهُ بِذَلِكَ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنْ النَّارِ فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ لِيَتْرُكْهَا.
Narrated Um Salama:
(the wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) heard some people quarreling at the door of his dwelling, so he went out to them and said, "I am only a human being, and litigants with cases of dispute come to me, and someone of you may happen to be more eloquent (in presenting his case) than the other, whereby I may consider that he is truthful and pass a judgment in his favor. If ever I pass a judgment in favor of somebody whereby he takes a Muslim's right unjustly, then whatever he takes is nothing but a piece of Fire, and it is up to him to take or leave."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/২৯. বিচারক যাকে তার ভাই-এর হক প্রদান করে, সে যেন তা না নেয়, কারণ বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারে না।
৭১৮২. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র স্ত্রী ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উতবাহ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস তাঁর ভাই সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস-কে ওসিয়ত করেন যে, যাম্আ-এর বাঁদীর গর্ভজাত সন্তানটি আমার ঔরস থেকে জন্মেছে। কাজেই তাকে তুমি তোমার হেফাজতে নিয়ে এসো। মক্কা বিজয়ের বছর সা’দ (রাঃ) তাকে ধরলেন এবং বললেন, আমার ভাই এ ছেলের সম্পর্কে আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন। তখন আবদ ইবনু যাম’আহ দাঁড়াল এবং বলল, এ আমার ভাই, আমার পিতার বাঁদীর পেটের সন্তান। আমার পিতার ঔরসে তার জন্ম। তারপর তারা দু’জনেই বিষয়টি নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বিচার প্রার্থী হলেন।
সা’দ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এ আমার ভাইয়ের ছেলে। আমার ভাই এর ব্যাপারে আমাকে ওসিয়ত করে গেছেন। আবদ ইবনু যাম’আহ বলল, এ হচ্ছে আমার ভাই, আমার পিতার বাঁদীর পেটের সন্তান। আমার পিতার ঔরসেই তার জন্ম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আবদ ইবনু যাম’আহ! সে তোমারই। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সন্তান হল বিছানার মালিকেরই আর ব্যভিচারীর জন্য পাথর। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্বাহর সঙ্গে এ ছেলেটির চেহারার মিল দেখে, সাওদা বিনত যাম’আহ (রাঃ)-কে বললেনঃ এর থেকে পর্দা কর। সে জন্য মুত্যুর আগে পর্যন্ত ছেলেটি সাওদা (রাঃ)-কে দেখতে পাইনি। [২০৫৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৯৩)
بَاب مَنْ قُضِيَ لَهُ بِحَقِّ أَخِيهِ فَلاَ يَأْخُذْهُ فَإِنَّ قَضَاءَ الْحَاكِمِ لاَ يُحِلُّ حَرَامًا وَلاَ يُحَرِّمُ حَلاَلاً
إِسْمَاعِيلُ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا قَالَتْ كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ أَنَّ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ مِنِّي فَاقْبِضْهُ إِلَيْكَ فَلَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ أَخَذَهُ سَعْدٌ فَقَالَ ابْنُ أَخِي قَدْ كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ فَقَامَ إِلَيْهِ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ فَقَالَ أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَتَسَاوَقَا إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَعْدٌ يَا رَسُولَ اللهِ ابْنُ أَخِي كَانَ عَهِدَ إِلَيَّ فِيهِ وَقَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ أَخِي وَابْنُ وَلِيدَةِ أَبِي وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ لَكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الْحَجَرُ ثُمَّ قَالَ لِسَوْدَةَ بِنْتِ زَمْعَةَ احْتَجِبِي مِنْهُ لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِهِ بِعُتْبَةَ فَمَا رَآهَا حَتَّى لَقِيَ اللهَ تَعَالَى.
Narrated `Aisha:
(the wife of the Prophet) `Utba bin Abi Waqqas said to his brother Sa`d bin Abi Waqqas, "The son of the slave girl of Zam`a is from me, so take him into your custody." So in the year of Conquest of Mecca, Sa`d took him and said. (This is) my brother's son whom my brother has asked me to take into my custody." `Abd bin Zam`a got up before him and said, (He is) my brother and the son of the slave girl of my father, and was born on my father's bed." So they both submitted their case before Allah's Apostle. Sa`d said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! This boy is the son of my brother and he entrusted him to me." `Abd bin Zam`a said, "This boy is my brother and the son of the slave girl of my father, and was born on the bed of my father." Allah's Messenger (ﷺ) said, "The boy is for you, O `Abd bin Zam`a!" Then Allah's Apostle further said, "The child is for the owner of the bed, and the stone is for the adulterer," He then said to Sauda bint Zam`a, "Veil (screen) yourself before him," when he saw the child's resemblance to `Utba. The boy did not see her again till he met Allah.