পরিচ্ছেদঃ ৯২/২১. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১১. নাফি’ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন মাদ্বীনাহর লোকেরা ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়াহ (রাঃ) এর বাই’আত ভঙ্গ করল, তখন ইবনু ’উমার (রাঃ) তাঁর বিশেষ ভক্তবৃন্দ ও সন্তানদের একত্রিত করলেন এবং বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের দিন প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে ঝান্ডা (পতাকা) উঠানো হবে। আর আমরা এ লোকটির (ইয়াযীদের) প্রতি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের বর্ণিত শর্তানুযায়ী বাই’আত গ্রহণ করেছি। বস্তুত কোন একজন লোকের প্রতি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের দেয়া শর্ত মুতাবিক বাই’আত গ্রহণ করার পর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করার চেয়ে বড় কোন বিশ্বাসঘাতকতা আছে বলে আমি জানি না। ইয়াযীদের বাই’আত ভঙ্গ করেছে, কিংবা তার আনুগত্য করছে না আমি যেন কারো সম্পর্কে জানতে না পাই। তা না হলে তার ও আমার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। [৩১৮৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৬)

بَاب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ

سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ نَافِعٍ قَالَ لَمَّا خَلَعَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ يَزِيدَ بْنَ مُعَاوِيَةَ جَمَعَ ابْنُ عُمَرَ حَشَمَهُ وَوَلَدَهُ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يُنْصَبُ لِكُلِّ غَادِرٍ لِوَاءٌ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَإِنَّا قَدْ بَايَعْنَا هَذَا الرَّجُلَ عَلَى بَيْعِ اللهِ وَرَسُولِهِ وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ غَدْرًا أَعْظَمَ مِنْ أَنْ يُبَايَعَ رَجُلٌ عَلَى بَيْعِ اللهِ وَرَسُولِهِ ثُمَّ يُنْصَبُ لَهُ الْقِتَالُ وَإِنِّي لاَ أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْكُمْ خَلَعَهُ وَلاَ بَايَعَ فِي هَذَا الأَمْرِ إِلاَّ كَانَتْ الْفَيْصَلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ.

سليمان بن حرب حدثنا حماد بن زيد عن ايوب عن نافع قال لما خلع اهل المدينة يزيد بن معاوية جمع ابن عمر حشمه وولده فقال اني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ينصب لكل غادر لواء يوم القيامة وانا قد بايعنا هذا الرجل على بيع الله ورسوله واني لا اعلم غدرا اعظم من ان يبايع رجل على بيع الله ورسوله ثم ينصب له القتال واني لا اعلم احدا منكم خلعه ولا بايع في هذا الامر الا كانت الفيصل بيني وبينه.


Narrated Nafi`:

When the people of Medina dethroned Yazid bin Muawiya, Ibn `Umar gathered his special friends and children and said, "I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'A flag will be fixed for every betrayer on the Day of Resurrection,' and we have given the oath of allegiance to this person (Yazid) in accordance with the conditions enjoined by Allah and His Apostle and I do not know of anything more faithless than fighting a person who has been given the oath of allegiance in accordance with the conditions enjoined by Allah and His Apostle , and if ever I learn that any person among you has agreed to dethrone Yazid, by giving the oath of allegiance (to somebody else) then there will be separation between him and me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নাফি‘ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯২/ ফিতনা (كتاب الفتن) 92/ Afflictions and the End of the World  

পরিচ্ছেদঃ ৯২/২১. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১২. আবু মিনহাল (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু যিয়াদ ও মারওয়ান যখন সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত ছিলেন এবং ইবনু যুবায়র (রাঃ) মক্কার শাসন ক্ষমতা দখল করেন, আর ক্বারী নামধারীরা (খারেজীরা) বসরায় ক্ষমতায় চেপে বসল, তখন একদিন আমি আমার পিতার সাথে আবূ বারযা আসলামী (রাঃ)-এর উদ্দেশে রওনা করে আমরা তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি তাঁর বাঁশের তৈরি ঘরের ছায়ায় উপবিষ্ট ছিলাম। আমরা তাঁর কাছে বসলাম। আমার পিতা তাঁর নিকট হতে কিছু হাদীস শুনতে চাইলেন। পিতা বললেন, হে আবূ বারযা! লোকেরা কী ভীষণ বিপদে পড়েছে তা কি আপনি দেখছেন না? সর্বপ্রথম যে কথাটি তাঁকে বলতে শুনলাম তা হল, আমি যে কুরাইশের গোত্রগুলোর প্রতি বিরূপ ভাব পোষণ করি, এজন্য আল্লাহর কাছে অবশ্যই সওয়ারের আশা করি।

হে আরববাসীরা! তোমরা যে কেমন ভ্রষ্টতা, অভাব-অনটন ও লাঞ্ছনার মধ্যে ছিলে তা তোমরা জান। মহান আল্লাহ্ তা’আলা ইসলাম ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাধ্যমে সে অবস্থা থেকে মুক্ত করে তোমাদের বর্তমান অবস্থায় পৌঁছিয়েছেন, যা তোমরা দেখছ। আর এ পার্থিব দুনিয়াই তোমাদের মাঝে গোলযোগের সৃষ্টি করেছে। ঐ যে লোকটা সিরিয়ায় (ক্ষমতা বসে আছে) আছে, আল্লাহর কসম! কেবল পার্থিব স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশে সে লড়াই করেনি।[1] [৭২৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৭)

بَاب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ

أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ عَنْ عَوْفٍ عَنْ أَبِي الْمِنْهَالِ قَالَ لَمَّا كَانَ ابْنُ زِيَادٍ وَمَرْوَانُ بِالشَّأْمِ وَوَثَبَ ابْنُ الزُّبَيْرِ بِمَكَّةَ وَوَثَبَ الْقُرَّاءُ بِالْبَصْرَةِ فَانْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي إِلَى أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَيْهِ فِي دَارِهِ وَهُوَ جَالِسٌ فِي ظِلِّ عُلِّيَّةٍ لَهُ مِنْ قَصَبٍ فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ فَأَنْشَأَ أَبِي يَسْتَطْعِمُهُ الْحَدِيثَ فَقَالَ يَا أَبَا بَرْزَةَ أَلاَ تَرَى مَا وَقَعَ فِيهِ النَّاسُ فَأَوَّلُ شَيْءٍ سَمِعْتُهُ تَكَلَّمَ بِهِ إِنِّي احْتَسَبْتُ عِنْدَ اللهِ أَنِّي أَصْبَحْتُ سَاخِطًا عَلَى أَحْيَاءِ قُرَيْشٍ إِنَّكُمْ يَا مَعْشَرَ الْعَرَبِ كُنْتُمْ عَلَى الْحَالِ الَّذِي عَلِمْتُمْ مِنْ الذِّلَّةِ وَالْقِلَّةِ وَالضَّلاَلَةِ وَإِنَّ اللهَ أَنْقَذَكُمْ بِالإِسْلاَمِ وَبِمُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَلَغَ بِكُمْ مَا تَرَوْنَ وَهَذِهِ الدُّنْيَا الَّتِي أَفْسَدَتْ بَيْنَكُمْ إِنَّ ذَاكَ الَّذِي بِالشَّأْمِ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا وَإِنَّ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ بَيْنَ أَظْهُرِكُمْ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُونَ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا وَإِنْ ذَاكَ الَّذِي بِمَكَّةَ وَاللهِ إِنْ يُقَاتِلُ إِلاَّ عَلَى الدُّنْيَا.

احمد بن يونس حدثنا ابو شهاب عن عوف عن ابي المنهال قال لما كان ابن زياد ومروان بالشام ووثب ابن الزبير بمكة ووثب القراء بالبصرة فانطلقت مع ابي الى ابي برزة الاسلمي حتى دخلنا عليه في داره وهو جالس في ظل علية له من قصب فجلسنا اليه فانشا ابي يستطعمه الحديث فقال يا ابا برزة الا ترى ما وقع فيه الناس فاول شيء سمعته تكلم به اني احتسبت عند الله اني اصبحت ساخطا على احياء قريش انكم يا معشر العرب كنتم على الحال الذي علمتم من الذلة والقلة والضلالة وان الله انقذكم بالاسلام وبمحمد صلى الله عليه وسلم حتى بلغ بكم ما ترون وهذه الدنيا التي افسدت بينكم ان ذاك الذي بالشام والله ان يقاتل الا على الدنيا وان هولاء الذين بين اظهركم والله ان يقاتلون الا على الدنيا وان ذاك الذي بمكة والله ان يقاتل الا على الدنيا.


Narrated Abu Al-Minhal:

When Ibn Ziyad and Marwan were in Sham and Ibn Az-Zubair took over the authority in Mecca and Qurra' (the Kharijites) revolted in Basra, I went out with my father to Abu Barza Al-Aslami till we entered upon him in his house while he was sitting in the shade of a room built of cane. So we sat with him and my father started talking to him saying, "O Abu Barza! Don't you see in what dilemma the people has fallen?" The first thing heard him saying "I seek reward from Allah for myself because of being angry and scornful at the Quraish tribe. O you Arabs! You know very well that you were in misery and were few in number and misguided, and that Allah has brought you out of all that with Islam and with Muhammad till He brought you to this state (of prosperity and happiness) which you see now; and it is this worldly wealth and pleasures which has caused mischief to appear among you. The one who is in Sham (i.e., Marwan), by Allah, is not fighting except for the sake of worldly gain: and those who are among you, by Allah, are not fighting except for the sake of worldly gain; and that one who is in Mecca (i.e., Ibn Az-Zubair) by Allah, is not fighting except for the sake of worldly gain."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ মিনহাল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯২/ ফিতনা (كتاب الفتن) 92/ Afflictions and the End of the World  

পরিচ্ছেদঃ ৯২/২১. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১৩. হুযাইফাহ ইবনু ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বর্তমান কালের মুনাফিকরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কালের মুনাফিকদের চেয়েও জঘন্য। কেননা, সে কালে তারা (মুনাফিকী) করত গোপনে আর আজ করে প্রকাশ্যে। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৮)

بَاب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ

آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ وَاصِلٍ الأَحْدَبِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ قَالَ إِنَّ الْمُنَافِقِينَ الْيَوْمَ شَرٌّ مِنْهُمْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانُوا يَوْمَئِذٍ يُسِرُّونَ وَالْيَوْمَ يَجْهَرُونَ.

ادم بن ابي اياس حدثنا شعبة عن واصل الاحدب عن ابي واىل عن حذيفة بن اليمان قال ان المنافقين اليوم شر منهم على عهد النبي صلى الله عليه وسلم كانوا يومىذ يسرون واليوم يجهرون.


Narrated Abi Waih:

Hudhaifa bin Al-Yaman said, 'The hypocrites of today are worse than those of the lifetime of the Prophet, because in those days they used to do evil deeds secretly but today they do such deeds openly.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯২/ ফিতনা (كتاب الفتن) 92/ Afflictions and the End of the World  

পরিচ্ছেদঃ ৯২/২১. যখন কেউ কোন সম্প্রদায়ের কাছে কিছু বলে অতঃপর বেরিয়ে এসে উল্টো কথা বলে।

৭১১৪. হুযাইফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিফাক বস্তুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে ছিল। আর এখন হল তা ঈমান গ্রহণের পর কুফরী। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬২৯)

بَاب إِذَا قَالَ عِنْدَ قَوْمٍ شَيْئًا ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ بِخِلاَفِهِ

خَلاَّدٌ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ عَنْ أَبِي الشَّعْثَاءِ عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ إِنَّمَا كَانَ النِّفَاقُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا الْيَوْمَ فَإِنَّمَا هُوَ الْكُفْرُ بَعْدَ الإِيمَانِ.

خلاد حدثنا مسعر عن حبيب بن ابي ثابت عن ابي الشعثاء عن حذيفة قال انما كان النفاق على عهد النبي صلى الله عليه وسلم فاما اليوم فانما هو الكفر بعد الايمان.


Narrated Abi Asha'sha:

Hudhaifa said, 'In fact, it was hypocrisy that existed in the lifetime of the Prophet (ﷺ) but today it is Kufr (disbelief) after belief.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৯২/ ফিতনা (كتاب الفتن) 92/ Afflictions and the End of the World  
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে