পরিচ্ছেদঃ ৮৭/২১. যখন একটি দল কোন এক লোককে বিপদগ্রস্ত করে তোলে, তখন তাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হবে কি? অথবা সবার নিকট থেকে কিসাস গ্রহণ করা হবে কি?
وَقَالَ مُطَرِّفٌ عَنْ الشَّعْبِيِّ فِي رَجُلَيْنِ شَهِدَا عَلَى رَجُلٍ أَنَّهُ سَرَقَ فَقَطَعَهُ عَلِيٌّ ثُمَّ جَاءَا بِآخَرَ وَقَالاَ أَخْطَأْنَا فَأَبْطَلَ شَهَادَتَهُمَا وَأُخِذَا بِدِيَةِ الأَوَّلِ وَقَالَ لَوْ عَلِمْتُ أَنَّكُمَا تَعَمَّدْتُمَا لَقَطَعْتُكُمَا
মুতাররিফ (রহ.) শাবী (রহ.) থেকে এমন দু’লোকের ব্যাপারে বর্ণনা করেন যারা এক লোকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিল যে, সে চুরি করেছে। তখন ’আলী (রাঃ) তার হাত কেটে দিলেন। তারপর তারা অপর একজনকে নিয়ে এসে বলল, আমরা ভুল করে ফেলেছি। তখন তিনি তাদের সাক্ষ্য বাতিল করে দিলেন এবং প্রথম ব্যক্তির রক্তপণ গ্রহণ করলেন। আর বললেন, যদি আমি জানতাম যে, তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে কাজটি করেছ, তাহলে তোমাদের দু’জনের হাত কেটে ফেলতাম।
৬৮৯৬. আবূ ’আবদুল্লাহ্ (ইমাম বুখারী) (রহ.) বলেন, আমাকে ইবনু বাশশার (রহ.) ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, একটি বালককে গোপনে হত্যা করা হয়। তখন ’উমার (রাঃ) বললেন, যদি গোটা সান্’আবাসী এতে অংশ নিত তাহলে আমি তাদেরকে হত্যা করতাম।
মুগীরাহ ইবনু হাকীম (রহ.) আপন পিতা হাকীম থেকে বর্ণনা করেন যে, চারজন লোক একটি বালককে হত্যা করেছিল। তখন ’উমার (রাঃ) ঐরকম কথা বলেছিলেন। আবূ বকর ও ইবনু যুবায়র, ’আলী ও সুওয়ায়দ ইবনু মুকাররিন (রাঃ) চড়ের বিষয়ে কিসাসের নির্দেশ দেন। ’উমার (রাঃ) ছড়ি দিয়ে মারার ব্যাপারে কিসাসের নির্দেশ দেন। আর ’আলী (রাঃ) তিনটি বেত্রাঘাতের জন্য কিসাসের নির্দেশ দেন এবং শুরায়হ্ (রহ.) একটি বেত্রাঘাত ও নখের আঁচড়ের জন্য কিসাস বলবৎ করেন। (আধুনিক প্রকাশনী- অনুচ্ছেদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, অনুচ্ছেদ)
بَاب إِذَا أَصَابَ قَوْمٌ مِنْ رَجُلٍ هَلْ يُعَاقِبُ أَوْ يَقْتَصُّ مِنْهُمْ كُلِّهِمْ
وَقَالَ لِي ابْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ غُلاَمًا قُتِلَ غِيلَةً فَقَالَ عُمَرُ لَوْ اشْتَرَكَ فِيهَا أَهْلُ صَنْعَاءَ لَقَتَلْتُهُمْ وَقَالَ مُغِيرَةُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ إِنَّ أَرْبَعَةً قَتَلُوا صَبِيًّا فَقَالَ عُمَرُ مِثْلَهُ وَأَقَادَ أَبُو بَكْرٍ وَابْنُ الزُّبَيْرِ وَعَلِيٌّ وَسُوَيْدُ بْنُ مُقَرِّنٍ مِنْ لَطْمَةٍ وَأَقَادَ عُمَرُ مِنْ ضَرْبَةٍ بِالدِّرَّةِ وَأَقَادَ عَلِيٌّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَسْوَاطٍ وَاقْتَصَّ شُرَيْحٌ مِنْ سَوْطٍ وَخُمُوشٍ
Ibn 'Umar said:
A boy was assassinated. 'Umar said, "If all the people of San'a took part in the assassination I would kill them all."
Al-Mughira bin Hakim said that his father said, "Four persons killed a boy, and 'Umar said (as above)."
Abu Bakr, Ibn Az-Zubair, 'Ali and Suwaid bin Muqarrin gave the judgement of Al-Qisas (equality in punishment) in cases of slapping. And 'Umar carried out Al-Qisas for a strike with a stick. And 'Ali carried out Al-Qisas for three lashes with a whip. And Shuraih carried out for one last and for scratching.
পরিচ্ছেদঃ ৮৭/২১. যখন একটি দল কোন এক লোককে বিপদগ্রস্ত করে তোলে, তখন তাদের সবাইকে শাস্তি দেয়া হবে কি? অথবা সবার নিকট থেকে কিসাস গ্রহণ করা হবে কি?
৬৮৯৭. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসুস্থতার সময় তাঁর মুখের এক পাশে ঔষধ ঢেলে দিলাম। আর তিনি আমাদের দিকে ইঙ্গিত করতে থাকলেন যে, তোমরা আমার মুখের এক পাশে ঔষধ ঢেলে দিও না। আমরা মনে করলাম যে, রোগীর ঔষধের প্রতি অনাসক্তিই এর কারণ। যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন, তখন বললেনঃ আমাকে (জোর পূর্বক) ঔষধ সেবন করাতে কি তোমাদেরকে নিষেধ করিনি? আমরা বললাম, রোগীর ঔষধের প্রতি অনাসক্তিই এর কারণ বলে আমরা মনে করেছি। তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ যেন না থাকে যার মুখে জোরপূর্বক ঔষধ ঢালা না হবে আর আমি দেখব শুধু ’আব্বাস ছাড়া। কারণ, সে তোমাদের সাথে উপস্থিত ছিল না। [৪৪৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪১৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪৩০)
بَاب إِذَا أَصَابَ قَوْمٌ مِنْ رَجُلٍ هَلْ يُعَاقِبُ أَوْ يَقْتَصُّ مِنْهُمْ كُلِّهِمْ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ لَدَدْنَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ وَجَعَلَ يُشِيرُ إِلَيْنَا لاَ تَلُدُّونِي قَالَ فَقُلْنَا كَرَاهِيَةُ الْمَرِيضِ بِالدَّوَاءِ فَلَمَّا أَفَاقَ قَالَ أَلَمْ أَنْهَكُمْ أَنْ تَلُدُّونِي قَالَ قُلْنَا كَرَاهِيَةٌ لِلدَّوَاءِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَبْقَى مِنْكُمْ أَحَدٌ إِلاَّ لُدَّ وَأَنَا أَنْظُرُ إِلاَّ الْعَبَّاسَ فَإِنَّهُ لَمْ يَشْهَدْكُمْ
Narrated `Aisha:
We poured medicine into the mouth of Allah's Messenger (ﷺ) during his illness, and he pointed out to us intending to say, "Don't pour medicine into my mouth." We thought that his refusal was out of the aversion a patient usually has for medicine. When he improved and felt a bit better he said (to us.) "Didn't I forbid you to pour medicine into my mouth?" We said, "We thought (you did so) because of the aversion, one usually have for medicine." Allah's Messenger (ﷺ) said, "There is none of you but will be forced to drink medicine, and I will watch you, except Al-`Abbas, for he did not witness this act of yours."