পরিচ্ছেদঃ ৮৭/৮. কাউকে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীগণ দু’রকমের শাস্তির যে কোন একটি দেয়ার অধিকার রাখে।

৬৮৮০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। খুযা’আ গোত্রের লোকেরা এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু রাজা (রহ.) .... আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর খুযা’আ গোত্রের লোকেরা জাহিলী যুগের স্বগোত্রীয় নিহত ব্যক্তির প্রতিশোধ হিসেবে বানী লায়স গোত্রের এক ব্যক্তিকে হত্যা করল। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ আল্লাহ্ মক্কা থেকে হস্তীদলকে প্রতিহত করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আপন রাসূল ও মু’মিনদেরকে কর্তৃত্ব দান করেছেন। জেনে রেখো! মক্কা আমার পূর্বে কারো জন্য হালাল হয়নি, আর আমার পরও কারো জন্য হালাল হবে না। জেনে রেখো! আমার বেলায় তা দিনের কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছিল। সাবধান! তা আমার এ সময়ে এমন সম্মানিত, তার কাঁটা উপড়ানো যাবে না, তার গাছ কাটা যাবে না,তাতে পড়ে থাকা বস্তু মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য ছাড়া তুলে নেয়া যাবে না।

আর যার কাউকে হত্যা করা হয় সে দু’প্রকার দন্ডের যে কোন একটি দেয়ার অধিকার লাভ করবে। হয়ত রক্তপণ নেয়া হবে, নতুবা কিসাস নেয়া হবে। এ সময় ইয়ামনবাসী এক লোক দাঁড়াল, যাকে আবূ শাহ্ বলা হয়। সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে লিখে দিন। তখন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তোমরা আবূ শাহ্কে লিখে দাও। তখন কুরাইশ গোত্রের এক লোক দাঁড়াল। আর বলল, হে আল্লাহর রাসূল! ইয্খির ব্যতীত। কেননা, আমরা সেটা আমাদের ঘরে, আমাদের কবরে কাজে লাগাই। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইয্খির ছাড়া।

’উবাইদুল্লাহ্ (রহ.) শায়বান (রহ.) থেকে الْفِيلِ (হস্তী)-এর ব্যাপারে হারব ইবনু শাদ্দাদ (রহ.)-এর অনুসরণ করেছেন। কেউ কেউ আবূ নু’আয়ম (রহ.) থেকে المقتل শব্দ উদ্ধৃত করেছেন। ’উবাইদুল্লাহ্ (রহ.) إِمَّا أَنْ يُقَادَ -এর পরে أَهْلُ الْقَتِيلِ শব্দও বর্ণনা করেছেন। [১১২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪১৪)

بَاب مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ

أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ خُزَاعَةَ قَتَلُوا رَجُلاً وَقَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا حَرْبٌ عَنْ يَحْيَى حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّهُ عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ قَتَلَتْ خُزَاعَةُ رَجُلاً مِنْ بَنِي لَيْثٍ بِقَتِيلٍ لَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ وَسَلَّطَ عَلَيْهِمْ رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ أَلاَ وَإِنَّهَا لَمْ تَحِلَّ لِأَحَدٍ قَبْلِي وَلاَ تَحِلُّ لِأَحَدٍ بَعْدِي أَلاَ وَإِنَّمَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ أَلاَ وَإِنَّهَا سَاعَتِي هَذِهِ حَرَامٌ لاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا وَلاَ يُعْضَدُ شَجَرُهَا وَلاَ يَلْتَقِطُ سَاقِطَتَهَا إِلاَّ مُنْشِدٌ وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ إِمَّا يُودَى وَإِمَّا يُقَادُ فَقَامَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ يُقَالُ لَهُ أَبُو شَاهٍ فَقَالَ اكْتُبْ لِي يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اكْتُبُوا لِأَبِي شَاهٍ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِلاَّ الإِذْخِرَ فَإِنَّمَا نَجْعَلُهُ فِي بُيُوتِنَا وَقُبُورِنَا فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الإِذْخِرَ وَتَابَعَهُ عُبَيْدُ اللهِ عَنْ شَيْبَانَ فِي الْفِيلِ قَالَ بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي نُعَيْمٍ الْقَتْلَ وَقَالَ عُبَيْدُ اللهِ إِمَّا أَنْ يُقَادَ أَهْلُ الْقَتِيلِ.

ابو نعيم حدثنا شيبان عن يحيى عن ابي سلمة عن ابي هريرة ان خزاعة قتلوا رجلا وقال عبد الله بن رجاء حدثنا حرب عن يحيى حدثنا ابو سلمة حدثنا ابو هريرة انه عام فتح مكة قتلت خزاعة رجلا من بني ليث بقتيل لهم في الجاهلية فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ان الله حبس عن مكة الفيل وسلط عليهم رسوله والمومنين الا وانها لم تحل لاحد قبلي ولا تحل لاحد بعدي الا وانما احلت لي ساعة من نهار الا وانها ساعتي هذه حرام لا يختلى شوكها ولا يعضد شجرها ولا يلتقط ساقطتها الا منشد ومن قتل له قتيل فهو بخير النظرين اما يودى واما يقاد فقام رجل من اهل اليمن يقال له ابو شاه فقال اكتب لي يا رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اكتبوا لابي شاه ثم قام رجل من قريش فقال يا رسول الله الا الاذخر فانما نجعله في بيوتنا وقبورنا فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم الا الاذخر وتابعه عبيد الله عن شيبان في الفيل قال بعضهم عن ابي نعيم القتل وقال عبيد الله اما ان يقاد اهل القتيل.


Narrated Abu Huraira:

In the year of the Conquest of Mecca, the tribe of Khuza`a killed a man from the tribe of Bam Laith in revenge for a killed person belonging to them in the Pre-lslamic Period of Ignorance. So Allah's Apostle got up saying, "Allah held back the (army having) elephants from Mecca, but He let His Apostle and the believers overpower the infidels (of Mecca). Beware! (Mecca is a sanctuary)! Verily! Fighting in Mecca was not permitted for anybody before me, nor will it be permitted for anybody after me; It was permitted for me only for a while (an hour or so) of that day. No doubt! It is at this moment a sanctuary; its thorny shrubs should not be uprooted; its trees should not be cut down; and its Luqata (fallen things) should not be picked up except by the one who would look for its owner. And if somebody is killed, his closest relative has the right to choose one of two things, i.e., either the Blood money or retaliation by having the killer killed." Then a man from Yemen, called Abu Shah, stood up and said, "Write that) for me, O Allah's Messenger (ﷺ)!" Allah's Messenger (ﷺ) said (to his companions), "Write that for Abu Shah." Then another man from Quraish got up, saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Except Al- Idhkhir (a special kind of grass) as we use it in our houses and for graves." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Except Al-idhkkir."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৮৭/ রক্তপণ (كتاب الديات) 87/ Blood Money (Ad-Diyat)  

পরিচ্ছেদঃ ৮৭/৮. কাউকে হত্যা করা হলে তার উত্তরাধিকারীগণ দু’রকমের শাস্তির যে কোন একটি দেয়ার অধিকার রাখে।

৬৮৮১. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বনী ইসরাঈলদের মাঝে কিসাসের বিধান কার্যকর ছিল। তাদের মাঝে রক্তপণের বিধান ছিল না। তবে আল্লাহ্ এ উম্মাতকে বললেনঃ নরহত্যার ক্ষেত্রে তোমাদের জন্য কিসাসের বিধান দেয়া হয়েছে .... কিন্তু তার ভাইয়ের পক্ষ হতে কিছুটা ক্ষমা করা হলে পর্যন্ত- (সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/১৭৮)।

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, ক্ষমা করার অর্থ হলো ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার ক্ষেত্রে রক্তপণ গ্রহণ করা। তিনি বলেন, আর প্রচলিত প্রথার অনুসরণ করার অর্থ হচ্ছে, ন্যায়সঙ্গত দাবি ও দয়ার সঙ্গে দায়িত্ব আদায় করা। [৪৪৯৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪১৫)

بَاب مَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهُوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ مُجَاهِدٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَانَتْ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ قِصَاصٌ وَلَمْ تَكُنْ فِيهِمْ الدِّيَةُ فَقَالَ اللهُ لِهَذِهِ الأُمَّةِ (كُتِبَ عَلَيْكُمْ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى) إِلَى هَذِهِ الْآيَةِ (فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ)
قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَالْعَفْوُ أَنْ يَقْبَلَ الدِّيَةَ فِي الْعَمْدِ قَالَ (فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ) أَنْ يَطْلُبَ بِمَعْرُوفٍ وَيُؤَدِّيَ بِإِحْسَانٍ.

قتيبة بن سعيد حدثنا سفيان عن عمرو عن مجاهد عن ابن عباس قال كانت في بني اسراىيل قصاص ولم تكن فيهم الدية فقال الله لهذه الامة (كتب عليكم القصاص في القتلى) الى هذه الاية (فمن عفي له من اخيه شيء) قال ابن عباس فالعفو ان يقبل الدية في العمد قال (فاتباع بالمعروف) ان يطلب بمعروف ويودي باحسان.


Narrated Ibn `Abbas:

For the children of Israel the punishment for crime was Al-Qisas only (i.e., the law of equality in punishment) and the payment of Blood money was not permitted as an alternate. But Allah said to this nation (Muslims): 'O you who believe! Qisas is prescribed for you in case of murder, .....(up to) ...end of the Verse. (2.178) Ibn `Abbas added: Remission (forgiveness) in this Verse, means to accept the Blood-money in an intentional murder. Ibn `Abbas added: The Verse: 'Then the relatives should demand Blood-money in a reasonable manner.' (2.178) means that the demand should be reasonable and it is to be compensated with handsome gratitude.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৮৭/ রক্তপণ (كتاب الديات) 87/ Blood Money (Ad-Diyat)  
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে