পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৫৩. ত্বলাক্বপ্রাপ্তা নারীর যদি মাহর নির্দিষ্ট না হয় তাহলে সে মুত‘আ পাবে। কারণ মহান আল্লাহ বলেছেনঃ ‘‘তোমাদের প্রতি কোন গুনাহ নেই, যদি তোমরা স্ত্রীদেরকে স্পর্শ না ক’রে, কিংবা তাদের মাহর ধার্য না করে তালাক দাও এবং তোমরা স্ত্রীদেরকে খরচের সংস্থান করবে, অবস্থাপন্ন ব্যক্তি তার সাধ্যমত এবং অবস্থাহীন ব্যক্তি তার সাধ্যমত বিধি অনুযায়ী খরচপত্রের ব্যবস্থা করবে, পুণ্যবানদের উপর এটা দায়িত্ব। যদি তোমরা তাদেরকে স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দাও, অথচ তাদের মাহর ধার্য করা হয়, সে অবস্থায় ধার্যকৃত মাহরের অর্ধেক, কিন্তু যদি স্ত্রীরা দাবী মাফ করে দেয় কিংবা যার হাতে বিয়ের বন্ধন আছে সে মাফ করে দেয়, বস্তুতঃ ক্ষমা করাই তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী এবং তোমরা পারস্পরিক সহায়তা হতে বিমুখ হয়ো না, যা কিছু তোমরা করছ আল্লাহ নিশ্চয়ই তার সম্যক দ্রষ্টা।’’- সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২৩৬-২৩৭)।আল্লাহ আরও বলেছেনঃ ‘‘তালাকপ্রাপ্তা নারীদের সঙ্গতভাবে ভরণ-পোষণ করা মুত্তাকীদের কর্তব্য। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াত বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পার।’’-সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২৪১-২৪২)।

وَلَمْ يَذْكُرِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُلاَعَنَةِ مُتْعَةً حِينَ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا

আর লি’আনকারিণীকে তার স্বামী ত্বলাক (তালাক)্ব দেয়ার সময় নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য মুত’আর [তাকে উপভোগের বিনিময় হিসাবে] কিছু দিয়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি।


৫৩৫০. ইবনু ’উমার হতে বর্ণিত আছে যে, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামলি’আনকারী স্বামী-স্ত্রীকে বলেছিলেন, আল্লাহই তোমাদের হিসাব নিবেন। তোমাদের একজন মিথ্যাবাদী। তার মহিলার) উপর তোমার কোন অধিকার নেই। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার মাল? তিনি বললেনঃ তোমার জন্যে কোন মাল নেই। তুমি যদি সত্যি কথা বলে থাক, তাহলে এ মাল তার লজ্জাস্থানকে হালাল করার বিনিময়ে হবে। আর যদি মিথ্যা বলে থাক, তবে এটা তুমি মোটেই চাইতে পার না, তুমি তো তার থেকে অনেক দূরে। [৫৩১১; মুসলিম ১৯/হাঃ ১৪৯৩, আহমাদ ৪৫৮৭] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৪৬)

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْمُتَلاَعِنَيْنِ حِسَابُكُمَا عَلَى اللهِ أَحَدُكُمَا كَاذِبٌ لاَ سَبِيلَ لَكَ عَلَيْهَا قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ مَالِي قَالَ لاَ مَالَ لَكَ إِنْ كُنْتَ صَدَقْتَ عَلَيْهَا فَهُوَ بِمَا اسْتَحْلَلْتَ مِنْ فَرْجِهَا وَإِنْ كُنْتَ كَذَبْتَ عَلَيْهَا فَذَاكَ أَبْعَدُ وَأَبْعَدُ لَكَ مِنْهَا.

قتيبة بن سعيد حدثنا سفيان عن عمرو عن سعيد بن جبير عن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال للمتلاعنين حسابكما على الله احدكما كاذب لا سبيل لك عليها قال يا رسول الله مالي قال لا مال لك ان كنت صدقت عليها فهو بما استحللت من فرجها وان كنت كذبت عليها فذاك ابعد وابعد لك منها.


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) said to those who were involved in a case of Lian, "Your accounts are with Allah. One of you two is a liar. You (husband) have right on her (wife)." The husband said, "My money, O Allah's Apostle!" The Prophet (ﷺ) said, "You are not entitled to take back any money. If you have told the truth, the Mahr that you paid, was for having sexual relations with her lawfully; and if you are a liar, then you are less entitled to get it back."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৮/ ত্বলাক (كتاب الطلاق) 68/ Divorce