পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
68/23. بَاب الظِّهَارِ
৬৮/২৩. অধ্যায়ঃ যিহার[1]।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: (قَدْ سَمِعَ اللَّهُ قَوْلَ الَّتِي تُجَادِلُكَ فِي زَوْجِهَا) إِلَى قَوْلِهِ: (فَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَإِطْعَامُ سِتِّينَ مِسْكِينًا
আল্লাহ বলেছেনঃ আল্লাহ তার কথা শুনেছেন যে নারী (খাওলাহ বিনত সা’লাবাহ) তার স্বামীর বিষয়ে তোমার সাথে বাদানুবাদ করছে আর আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানাচ্ছে, আল্লাহ তোমাদের দু’জনের কথা শুনছেন.....আর যে তা করতে পারবে না, সে ষাট জন মিসকীনকে খাবার খাওয়াবে।’ ... পর্যন্ত। (সূরাহ মুজাদালাহ ৫৮/১-৪)
وَقَالَ لِي إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ أَنَّه“ سَأَلَ ابْنَ شِهَابٍ عَنْ ظِهَارِ الْعَبْدِ فَقَالَ نَحْوَ ظِهَارِ الْحُرِّ قَالَ مَالِكٌ وَصِيَامُ الْعَبْدِ شَهْرَانِ وَقَالَ الْحَسَنُ بْنُ الْحُرِّ ظِهَارُ الْحُرِّوَالْعَبْدِ مِنَ الْحُرَّةِ وَالأَمَةِ سَوَاءٌ وَقَالَ عِكْرِمَةُ إِنْ ظَاهَرَ مِنْ أَمَتِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ إِنَّمَا الظِّهَارُ مِنَ النِّسَاءِ وَفِي الْعَرَبِيَّةِ لِمَا قَالُوا أَيْ فِيمَا قَالُوا وَفِي بَعْضِ مَا قَالُوا وَهٰذَا أَوْلٰى لِأَنَّ اللهَ لَمْ يَدُلَّ عَلَى الْمُنْكَرِ وَقَوْلِ الزُّورِ.
[বুখারী (রহ.) বলেন] ইসমাঈল আমাকে বলেছেন, মালিক (রহ.) তাঁর কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইবনু শিহাবকে গোলামের যিহার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে তিনি বললেনঃ আযাদ ব্যক্তির মত। মালিক (রহ.) বলেনঃ গোলাম ব্যক্তি দু’মাস সওম পালন করবে। হাসান ইবনুল হুর্র বলেনঃ আযাদ নারী বা বাঁদীর সঙ্গে আযাদ পুরুষ বা গোলামের যিহার একই রকম। ইকরামাহ বলেনঃ বাঁদীর সঙ্গে যিহার করলে কিছু হবে না। যিহার তো কেবল মুক্ত নারীর ব্যাপারেই প্রযোজ্য।
আরবীতে لِمَا قَالُوا ’’তারা যা উক্তি করেছিল’’ فِيمَا قَالُوا ও فِي بَعْضِ مَا قَالُوا এর অর্থে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ ’’তারা যে সম্পর্কে উক্তি করেছিল তা থেকে .....’’ এবং এরূপই ভাল, কারণ আল্লাহ তা’আলা অন্যায় ও ভিত্তিহীন কথার পথ দেখান না।
وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يُعَذِّبُ اللهُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلٰكِنْ يُعَذِّبُ بِهٰذَا فَأَشَارَ إِلٰى لِسَانِه„ وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ أَشَارَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَيَّ أَيْ خُذْ النِّصْفَ وَقَالَتْ أَسْمَاءُ صَلّٰى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْكُسُوفِ فَقُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا شَأْنُ النَّاسِ وَهِيَ تُصَلِّي فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا إِلٰى الشَّمْسِ فَقُلْتُ آيَةٌ فَأَوْمَأَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ نَعَمْ وَقَالَ أَنَسٌ أَوْمَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِه„ إِلٰى أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَتَقَدَّمَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَوْمَأَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِه„ لاَ حَرَجَ وَقَالَ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ آحَدٌ مِنْكُمْ أَمَرَه“ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا قَالُوا لاَ قَالَ فَكُلُوا.
ইবনু ’উমার (রাঃ) বলেন, নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন আল্লাহ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না; তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইশারা করলেন। কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও। আসমা (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূর্যগ্রহণের সালাত আদায় করেন। ’আয়িশাহ (রাঃ) সালাত আদায় করছিলেন। এ অবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কী? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যের দিকে ইশারা করলেন। আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হাঁ। আনাস (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাঁর হাত দ্বারা আবূ বকর (রাঃ)-এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই। আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা ম মুহরিম-এর ইহরামকারী) শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমাদের কেউ কি তাকে মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইঙ্গিত করেছিল? লোকেরা বললঃ না। তিনি বললেন, তবে খাও।
৫২৯৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উটে চড়ে তাওয়াফ করলেন। তিনি যখনই ’রুকনের’ কাছে আসতেন, তখনই এর প্রতি ইঙ্গিত করতেন এবং ’’আল্লাহু আকবার’’ বলতেন। যাইনাব (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’ইয়াজুজ ও মাজূজ’’ এদের দরজা এভাবে খুলে গেছে; এই বলে তিনি (তাঁর আঙ্গুলকে) নব্বই এর মত করলেন। (অর্থাৎ শাহাদাত অঙ্গুলের মাথা বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ায় রাখলেন।) [১৬০৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৯৯)
এখন খাওলা বিনতে সাআলাবা রাঃ) আউস বিন সামিতের রাঃ) স্ত্রী আল্লাহর রসূলের ﷺ নিকট এসে চুপে চুপে বলেনঃ আমার স্বামী আমাকে এই কথা বলেছেন। এদিকে আমার জীবন যৌবন তার কাছে শেষ করেছি, আবার ছেলে মেয়েও রয়েছে, এই বুড়ি বয়সে কোথায় যাব কী করবো? তা ভেবে দিশেহারা হয়ে গেছি। আপনি এর সুরাহা কিছু একটা বাতলিয়ে দেন। রসূলুল্লাহ ﷺ বললেন তুমি চিরদিনের জন্য তোমার স্বামীর জন্য হারাম হয়ে গেছ। এরূপ বিধান জাহিলিয়াতে প্রচলিত ছিল। মহিলাটি একথা শুনে কাঁদতে লাগলেন এবং আল্লাহর কাছে আবেদন নিবেদন জানাতে লাগলেন। পরক্ষণেই জিবরীল ‘আ.) নাবী ﷺ এর নিকট হাজির হলেন। সাথে খাওলা বিনতে সাআলাবা ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বেই তার শানে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে সূরা মুজাদেলার প্রথম হতে চার আয়াত নাযিল হল। অবতীর্ণ বাণী পেয়ে রসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে বললেনঃ তোমার স্বামীকে বল একটি দাস মুক্ত করতে। মহিলা বললেন সেতো অপারগ। তাহলে পরপর দু’মাস রোযা রাখতে বল। খাওলা (রাঃ) বললেন পরপর দু’মাস রোযা রাখতে পারলে এ ঘটনা ঘটত না। তাহলে যাও কিছু খেজুর ষাটজন গরীবদের মধ্যে বিতরণ করতে বল। খাওলা (রাঃ) বলেন তাতেও আমাদের অসুবিধা। অতঃপর আল্লাহর রসূল ﷺ ৩০ কেজির মত খেজুর দিয়ে বললেন, যাও এগুলো বিতরণ করে দাও। তাই করলো, এবারে তার স্ত্রী সহবাসের জন্য হালাল হলো।
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলার সমস্ত প্রশংসা ও গুণগান যিনি সকল রকমের শব্দ শুনতে পান। আমি খাওলা বিনতে সাআলাবার কথা শুনতে পাচ্ছিলাম সে আমার নিকট থেকে তার কিছু কিছু কথা গোপন করছিল। সে রসূলুল্লাহর ﷺ নিকট তার স্বামী আওস বিন সামিত রাঃ) এর বিপক্ষে অভিযোগ উত্থাপন করে বলছিলঃ হেআল্লাহর রসূল! সে [আওস বিন সামিত রাঃ)] আমার যৌবন খেয়ে ফেলেছে এবং তার জন্য আমার পেট বহু সন্তান প্রসব করেছে। অতঃপর আমার বয়স যখন বেশী হয়ে গেল এবং আমার সন্তান হওয়াও বন্ধ হয়ে গেল তখন সে আমার সাথে যিহার করল। হে আল্লাহ্! আমি তোমার কাছে অভিযোগ উত্থাপন করছি। সে ঘর থেকে বের হওয়ার পূর্বেই জিবরীল এ আয়াতগুলো নিয়ে আগমন করলেন {قد سمع الله............}। [হাদীসটি ইবনু মাজাহ্ ২০৬৩) ও সংক্ষেপে নাসাঈ ৩৪৬০) বর্ণনা করেছেন, হাদীসটিকে শাইখ আলবানী সহীহ্ আখ্যা দিয়েছেন]।
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ عَنْ خَالِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ طَافَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلٰى بَعِيرِه„ وَكَانَ كُلَّمَا أَتٰى عَلٰى الرُّكْنِ أَشَارَ إِلَيْهِ وَكَبَّرَ وَقَالَتْ زَيْنَبُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فُتِحَ مِنْ رَدْمِ يَأْجُوجَ وَمَأْجُوجَ مِثْلُ هٰذِه„ وَعَقَدَ تِسْعِينَ.
Narrated Ibn `Abbas:
Allah's Messenger (ﷺ) performed the Tawaf (around the Ka`ba while riding his camel, and every time he reached the corner (of the Black Stone) he pointed at it with his hand and said, "Allahu Akbar." (Zainab said: The Prophet (ﷺ) said, "An opening has been made in the wall of Gog and Magog like this and this," forming the number 90 (with his thumb and index finger).
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৪. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমু’আহর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যে মুহূর্তে কোন মুসলিম দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে যে কোন কল্যাণ চায় আল্লাহ অবশ্যই তা মঞ্জুর করে থাকেন। তিনি নিজ হাত দ্বারা ইশারা করেন এবং তাঁর আঙ্গুলগুলো মধ্যমা ও কনিষ্ঠা আঙ্গুলের পেটে রাখেন। আমরা বললামঃ তিনি স্বল্পতা বুঝাতে চাচ্ছেন।
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ عَلْقَمَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ قَائِمٌ يُصَلِّي فَسَأَلَ اللهَ خَيْرًا إِلاَّ أَعْطَاه“ وَقَالَ بِيَدِه„ وَوَضَعَ أُنْمُلَتَه“ عَلٰى بَطْنِ الْوُسْطٰى وَالْخِنْصِرِ قُلْنَا يُزَهِّدُهَا
Narrated Abu Huraira:
Abul Qasim (the Prophet (ﷺ) ) said, "There is an hour (or a moment) of particular significance on Friday. If it happens that a Muslim is offering a prayer and invoking Allah for some good at that very moment, Allah will grant him his request." (The sub-narrator placed the top of his finger on the palm of the other hand between the middle finger and the little one.)
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৫. উওয়ায়সী (রহ.) বলেনঃ ইবরাহীম ইবনু সা’দ শু’বাহ ইবনু হাজ্জাজ থেকে, তিনি হিশাম ইবনু যায়দ থেকে, তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে এক ইয়াহূদী একটি বালিকার উপর নির্যাতন করে তার অলঙ্কারাদি ছিনিয়ে নেয়। আর পাথর দ্বারা) তার মস্তক চূর্ণ করে। সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্তে তার পরিবারের লোকেরা তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসে। তখন সে চুপচাপ ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নির্দোষ ব্যক্তির নাম (ধরে) তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাকে কি অমুক হত্যা করেছে? সে মাথার ইশারায় বললঃ না। তিনি অন্য এক নিরপরাধ লোকের নাম ধরে বললেন, তবে কি অমুক? সে ইশারায় জানাল, না। এবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হত্যাকারীর নাম ধরে বললেনঃ তবে অমুক ব্যক্তি মেরেছে কি? সে মাথা হেলিয়ে বললঃ জি, হ্যাঁ। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশত্রুমে উক্ত ব্যক্তির মাথা দু’পাথরের মাঝে রেখে চূর্ণ করা হলো। [২৪১৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০০)
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
وَقَالَ الأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ شُعْبَةَ بْنِ الْحَجَّاجِ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَدَا يَهُودِيٌّ فِي عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى جَارِيَةٍ، فَأَخَذَ أَوْضَاحًا كَانَتْ عَلَيْهَا وَرَضَخَ رَأْسَهَا، فَأَتَى بِهَا أَهْلُهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ فِي آخِرِ رَمَقٍ، وَقَدْ أُصْمِتَتْ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَكِ فُلاَنٌ ". لِغَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا أَنْ لاَ، قَالَ فَقَالَ لِرَجُلٍ آخَرَ غَيْرِ الَّذِي قَتَلَهَا، فَأَشَارَتْ أَنْ لاَ، فَقَالَ " فَفُلاَنٌ ". لِقَاتِلِهَا فَأَشَارَتْ أَنْ نَعَمْ، فَأَمَرَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرُضِخَ رَأْسُهُ بَيْنَ حَجَرَيْنِ.
Narrated Anas bin Malik:
During the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) a Jew attacked a girl and took some silver ornaments she was wearing and crushed her head. Her relative brought her to the Prophet (ﷺ) while she was in her last breaths, and she was unable to speak. Allah's Messenger (ﷺ) asked her, "Who has hit you? So-and so?", mentioning somebody other than her murderer. She moved her head, indicating denial. The Prophet (ﷺ) mentioned another person other than the murderer, and she again moved her head indicating denial. Then he asked, "Was it so-and-so?", mentioning the name of her killer. She nodded, agreeing. Then Allah's Messenger (ﷺ); ordered that the head of that Jew be crushed between two stones.
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৬. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ফিতনা বিপর্যয়) এদিক থেকে আসবে। তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন। [৩১০৪] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০১)
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الْفِتْنَةُ مِنْ هَا هُنَا وَأَشَارَ إِلَى الْمَشْرِقِ.
Narrated Ibn `Umar:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Afflictions will emerge from here," pointing towards the East.
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৭. ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। সূর্য অস্তমিত হলে তিনি এক ব্যক্তি (বিলাল)-কে বললেনঃ নেমে যাও, আমার জন্য ছাতু প্রস্তুত কর। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি আপনি সন্ধ্যা নাগাদ অপেক্ষা করতেন। (তাহলে সওম পূর্ণ হত)। তিনি পুনরায় বললেনঃ নেমে গিয়ে ছাতু মাখ। সে বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি সন্ধ্যা হতে দিতেন! এখনো তে দিন রয়ে গেছে। তিনি আবার বললেনঃ যাও, গিয়ে ছাতু প্রস্তুত কর। তৃতীয়বার আদেশ দেয়ার পর সে নামল এবং তাঁর জন্য ছাতু প্রস্তুত করল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা খেলেন। এরপর তিনি পূর্বদিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ যখন তোমরা ওদিক থেকে রাত্রি নেমে আসতে দেখবে, তখন সওমকারী ইফতার করবে। [১৯৪১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০২)
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي أَوْفٰى قَالَ كُنَّا فِي سَفَرٍ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا غَرَبَتْ الشَّمْسُ قَالَ لِرَجُلٍ انْزِلْ فَاجْدَحْ لِي قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَوْ أَمْسَيْتَ ثُمَّ قَالَ انْزِلْ فَاجْدَحْ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ لَوْ أَمْسَيْتَ إِنَّ عَلَيْكَ نَهَارًا ثُمَّ قَالَ انْزِلْ فَاجْدَحْ فَنَزَلَ فَجَدَحَ لَه“ فِي الثَّالِثَةِ فَشَرِبَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَوْمَأَ بِيَدِه„ إِلَى الْمَشْرِقِ فَقَالَ إِذَا رَأَيْتُمْ اللَّيْلَ قَدْ أَقْبَلَ مِنْ هَا هُنَا فَقَدْ أَفْطَرَ الصَّائِمُ.
Narrated `Abdullah bin Abi A'ufa:
We were with Allah's Messenger (ﷺ) on a journey, and when the sun set, he said to a man, "Get down and prepare a drink of Sawiq for me." The man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Will you wait till it is evening?" Allah's Messenger (ﷺ) again said, "Get down and prepare a drink of Sawiq." The man said, "O Allah's Apostle! Will you wait till it is evening, for it is still daytime. " The Prophet (ﷺ) again said, "Get down and prepare a drink of Sawiq." So the third time the man got down and prepared a drink of sawiq for him. Allah's Messenger (ﷺ) drank thereof and pointed with his hand towards the East, saying, "When you see the night falling from this side, then a fasting person should break his fast."
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৮. ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিলালের আহবান বা তার আযান যেন তোমাদের কাউকে সাহরী থেকে বিরত না রাখে। কারণ, সে আযান দেয়, যাতে তোমাদের রাত্রি জাগরণকারীরা কিছু আরাম করতে পারে। সকাল বা ফজর হয়েছে এটা বুঝানো তার উদ্দেশ্য নয়। ইয়াযীদ তার হাত দু’টি সামনে বিস্তার করে দু’দিকে ছড়িয়ে দিলেন। সুব্হে সাদিক কিভাবে উদ্ভাসিত হয় তা দেখানোর জন্য)। [৬২১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৩)
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَمْنَعَنَّ أَحَدًا مِنْكُمْ نِدَاءُ بِلاَلٍ ـ أَوْ قَالَ أَذَانُهُ ـ مِنْ سَحُورِهِ، فَإِنَّمَا يُنَادِي أَوْ قَالَ يُؤَذِّنُ لِيَرْجِعَ قَائِمُكُمْ ". وَلَيْسَ أَنْ يَقُولَ كَأَنَّهُ يَعْنِي الصُّبْحَ أَوِ الْفَجْرَ، وَأَظْهَرَ يَزِيدُ يَدَيْهِ ثُمَّ مَدَّ إِحْدَاهُمَا مِنَ الأُخْرَى.
Narrated 'Abdullah bin Mas'ud:
The Prophet (ﷺ) said, "The call (or the Adhan) of Bila should not stop you from taking the Suhur-meals for Bilal calls (or pronounces the Adhan) so that the one who is offering the night prayer should take a rest, and he does not indicate the daybreak or dawn." The narrator, Yazid, described (how dawn breaks) by stretching out his hands and then separating them wide apart.
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/২৪. ইশারার মাধ্যমে ত্বলাক্ব ও অন্যান্য কাজ।
৫২৯৯. লায়স (রহ.) বলেন, জা’ফর ইবনু রাবী’আ, ’আবদুর রহমান ইবনু হুরমুয থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর কাছে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বখিল ও দাতা ব্যক্তির উদাহরণ হচ্ছে এমন দু’ব্যক্তির মত, যাদের পরিধানে বুক থেকে গলার হাড় পর্যন্ত লৌহ-নির্মিত পোশাক রয়েছে। দানকারী যখনই কিছু দান করে, তখনই তার শরীরের পোশাকটি বড় ও প্রশস্ত হতে থাকে, এমনকি এটা তার আঙ্গুল ও অন্যান্য অঙ্গগুলোকে ঢেকে ফেলে। অন্যদিকে, বখিল যখনই দান করার ইচ্ছা করে, তখনই তার পোশাকে তার কণ্ঠনালীর প্রতিটি অংশ সংকুচিত হয়ে যায়। সে প্রশস্ত করার চেষ্টা করলেও সেটা প্রশস্ত হয় না। এ কথা বলে তিনি নিজের আঙ্গুল দ্বারা কণ্ঠনালীর প্রতি ইশারা করলেন। আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০৩)
بَاب الإِشَارَةِ فِي الطَّلاَقِ وَالأُمُورِ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي جَعْفَرُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ هُرْمُزَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَثَلُ الْبَخِيلِ وَالْمُنْفِقِ كَمَثَلِ رَجُلَيْنِ عَلَيْهِمَا جُبَّتَانِ مِنْ حَدِيدٍ مِنْ لَدُنْ ثَدْيَيْهِمَا إِلٰى تَرَاقِيهِمَا فَأَمَّا الْمُنْفِقُ فَلاَ يُنْفِقُ شَيْئًا إِلاَّ مَادَّتْ عَلٰى جِلْدِه„ حَتّٰى تُجِنَّ بَنَانَه“ وَتَعْفُوَ أَثَرَه“ وَأَمَّا الْبَخِيلُ فَلاَ يُرِيدُ يُنْفِقُ إِلاَّ لَزِمَتْ كُلُّ حَلْقَةٍ مَوْضِعَهَا فَهُوَ يُوسِعُهَا فَلاَ تَتَّسِعُ وَيُشِيرُ بِإِصْبَعِه„ إِلٰى حَلْقِهِ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, The example of a miser and a generous person is like that of two persons wearing iron cloaks from the breast upto the neck When the generous person spends, the iron cloak enlarges and spread over his skin so much so that it covers his fingertips and obliterates his tracks. As for the miser, as soon as he thinks of spending every ring of the iron cloak sticks to its place (against his body) and he tries to expand it, but it does not expand. The Prophet (ﷺ) pointed with his hand towards his throat.