পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৪. যারা তিন ত্বলাক্বকে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এই ত্বলাক দু’বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্তি দিবে।’’সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২২৯)
وَقَالَ ابْنُ الزُّبَيْرِ فِي مَرِيضٍ طَلَّقَ لاَ أَر’ى أَنْ تَرِثَ مَبْتُوتَتُه“ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ تَرِثُه“ وَقَالَ ابْنُ شُبْرُمَةَ تَزَوَّجُ إِذَا انْقَضَتْ الْعِدَّةُ؟ قَالَ نَعَمْ قَالَ أَرَأَيْتَ إِنْ مَاتَ الزَّوْجُ الآخَرُ فَرَجَعَ عَنْ ذَلِكَ.
ইবনু যুবায়র (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না। শা’বী (রহ.) বলেন, ওয়ারিস হবে। ইবনু শুবরুমা জিজ্ঞেস করলেনঃ ইদ্দাত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি? তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। ইবনু শুবরুমা আবার প্রশ্ন করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মৃত্যু বরণ করে তবে? অর্থাৎ আপনার মতানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় স্বামীর ওয়ারিস হওয়া যরুরী হয়। এরপর শা’বী তাঁর ঐ কথা ফিরিয়ে নেন।
৫২৫৯. সাহল ইবনু সা’দ সা’ঈদী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, ’উওয়াইমির’ আজলানী (রাঃ) ’আসেম ইবনু ’আদী আনসারী (রাঃ) এর নিকট এসে বললেনঃ হে ’আসিম! যদি কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অপর কোন পুরুষের সাথে ব্যভিচার-রত) দেখতে পায় এবং সে তাকে হত্যা করে ফেলে, তাহলে তোমরা কি তাকে হত্যাকারীকে) হত্যা করবে? আর হত্যা না করলে) তবে সে কী করবে? হে ’আসিম! আমার পক্ষ হতে এ সম্পর্কে তুমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস কর। আসিম (রাঃ) এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএ ধরনের প্রশ্নাবলী নিন্দনীয় এবং দূষণীয় মনে করলেন। এমনকি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উক্তি শ্রবণে ’আসিম (রাঃ) ভড়কে গেলেন।
এরপর ’আসিম (রাঃ) তার নিজ বাসায় ফিরে আসলে উওয়াইমির (রাঃ) এসে বললেনঃ হে আসিম! রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতোমাকে কী জবাব দিলেন? আসিম (রাঃ) বললেনঃ তুমি কল্যাণজনক কিছু নিয়ে আমার নিকট আসনি। তোমার জিজ্ঞাসিত বিষয়কে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামনা পছন্দ করেছেন। উওয়াইমির (রাঃ) বললেনঃ আল্লাহর কসম! উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত) এ বিষয়ে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই থাকব। উওয়াইমির (রাঃ) এসে লোকদের মাঝে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি কেউ তার স্ত্রীর সঙ্গে পরপুরুষকে ব্যভিচার-রত) দেখতে পায়, আর তাকে হত্যা করে ফেলে, তবে আপনারা কি তাকে হত্যা করবেন? আর যদি সে (স্বামী) হত্যা না করে, তবে সে কী করবে?
তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপারে আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তুমি গিয়ে তাঁকে তোমার পত্নীকে) নিয়ে আস। সাহল (রাঃ) বলেন, এরপর তারা দু’জনে লি’আন করলো। আমি সে সময় অন্যান্য) লোকের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ছিলাম। উভয়ের লি’আন করা হয়ে গেলে উওয়াইমির (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এখন যদি আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে) রাখি তবে এটা তার উপর মিথ্যারোপ করা হবে। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে আদেশ দেয়ার পূর্বেই তিনি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন।
ইবনু শিহাব (রহ.) বলেন, এটাই লি’আনকারীদ্বয়ের ব্যাপারে সুন্নাত হয়ে দাঁড়াল। [৪২৩] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৮)
بَاب مَنْ أَجَازَ طَلاَقَ الثَّلاَثِ لِقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ أَخْبَرَه“ أَنَّ عُوَيْمِرًا الْعَجْلاَنِيَّ جَاءَ إِلٰى عَاصِمِ بْنِ عَدِيٍّالأَنْصَارِيِّ فَقَالَ لَه“ يَا عَاصِمُ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِه„ رَجُلاً أَيَقْتُلُه“ فَتَقْتُلُونَه“ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ سَلْ لِي يَا عَاصِمُ عَنْ ذ‘لِكَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلَ عَاصِمٌ عَنْ ذ‘لِكَ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَكَرِهَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسَائِلَ وَعَابَهَا حَتّٰى كَبُرَ عَلٰى عَاصِمٍ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَجَعَ عَاصِمٌ إِلٰى أَهْلِه„ جَاءَ عُوَيْمِرٌ فَقَالَ يَا عَاصِمُ مَاذَا قَالَ لَكَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عَاصِمٌ لَمْ تَأْتِنِي بِخَيْرٍ قَدْ كَرِهَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمَسْأَلَةَ الَّتِي سَأَلْتُه“ عَنْهَا قَالَ عُوَيْمِرٌ وَاللهِ لاَ أَنْتَهِي حَتّٰى أَسْأَلَه“ عَنْهَا فَأَقْبَلَ عُوَيْمِرٌ حَتّٰى أَتٰى رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَسْطَ النَّاسِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَرَأَيْتَ رَجُلاً وَجَدَ مَعَ امْرَأَتِه„ رَجُلاً أَيَقْتُلُه“ فَتَقْتُلُونَه“ أَمْ كَيْفَ يَفْعَلُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أَنْزَلَ اللهُ فِيكَ وَفِي صَاحِبَتِكَ فَاذْهَبْ فَأْتِ بِهَا قَالَ سَهْلٌ فَتَلاَعَنَا وَأَنَا مَعَ النَّاسِ عِنْدَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا فَرَغَا قَالَ عُوَيْمِرٌ كَذَبْتُ عَلَيْهَا يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنْ أَمْسَكْتُهَا فَطَلَّقَهَا ثَلاَثًا قَبْلَ أَنْ يَأْمُرَه“ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم
قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَكَانَتْ تِلْكَ سُنَّةَ الْمُتَلاَعِنَيْنِ.
Narrated Sahl bin Sa`d As-Sa`idi:
Uwaimir Al-`Ajlani came to `Asim bin Adi Al-Ansari and asked, "O `Asim! Tell me, if a man sees his wife with another man, should he kill him, whereupon you would kill him in Qisas, or what should he do? O `Asim! Please ask Allah's Messenger (ﷺ) about that." `Asim asked Allah's Messenger (ﷺ) about that. Allah's Apostle disliked that question and considered it disgraceful. What `Asim heard from Allah's Messenger (ﷺ) was hard on him. When he returned to his family, 'Uwaimir came to him and said "O `Asim! What did Allah's Messenger (ﷺ) say to you?" `Asim said, "You never bring me any good. Allah's Messenger (ﷺ) disliked to hear the problem which I asked him about." 'Uwaimir said, "By Allah, I will not leave the matter till I ask him about it." So 'Uwaimir proceeded till he came to Allah's Messenger (ﷺ) who was in the midst of the people and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! If a man finds with his wife another man, should he kill him, whereupon you would kill him (in Qisas): or otherwise, what should he do?" Allah's Messenger (ﷺ) said, "Allah has revealed something concerning the question of you and your wife. Go and bring her here." So they both carried out the judgment of Lian, while I was present among the people (as a witness). When both of them had finished, 'Uwaimir said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! If I should now keep my wife with me, then I have told a lie". Then he pronounced his decision to divorce her thrice before Allah's Apostle ordered him to do so. (Ibn Shihab said, "That was the tradition for all those who are involved in a case of Lian."
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৪. যারা তিন ত্বলাক্বকে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এই ত্বলাক দু’বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্তি দিবে।’’সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২২৯)
৫২৬০. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রিফা’আ কুরাযীর স্ত্রী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! রিফা’আ আমাকে পূর্ণ সম্পর্কচ্ছেদের তালাক তিন তালাক দিয়েছে। পরে আমি ’আবদুর রহমান ইবন যুবায়র কুরাযীকে বিয়ে করি। কিন্তু তার কাছে আছে কাপড়ের পুঁটলির মত একটি জিনিস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবতঃ তুমি রিফা’আর নিকট ফিরে যেতে ইচ্ছে করছ। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়, যতক্ষণ না সে অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামী) তোমার স্বাদ গ্রহণ করে এবং তুমি তার স্বাদ গ্রহণ কর। [1][২৬৩৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৬৯)
আমাদের সমাজের কিছু কিছু আলেম আছেন যারা তিন তালাক হয়ে যাবে এ ফতোওয়া দিয়ে বলে থাকেন যে, একমাত্র উপায় তালাক প্রাপ্তা মহিলাকে হালালা করতে হবে। আর তাঁর পদ্ধতি হচ্ছে তাকে আর একজন পুরুষের সাথে বিবাহ দিয়ে একরাত্রি যাপন করিয়ে তাকে দিয়ে তালাক দেয়াতে হবে। না‘উযুবিল্লাহি মিন যালিক। আমার মনে হয় সেই সব তথাকথিত আলেমগণ নিজেরাই ভাড়াটিয়া ষাঁড় সাজার খাহেশে এরূপ ফতোওয়া দিয়ে থাকেন। অথচরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ ব্যক্তিকে ভাড়াটিয়া ষাঁড় বলে তার উপর অভিশাপের বদ দু‘আ করেছেন।
عن عبد الله بن مسعود قال : لعن رسول الله صلى الله عليه وسلم المحلل والمحلل له ). تحفة الأحوذي شرح جامع الترمذي : ৪/২২১-২২২، وابن ماجة ১/৬২২، و النسائي.
আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘উদ রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন হালালকারীকে আর যার জন্য হালাল করা হচ্ছে তাকে।
হাদীছটি উল্লেখ করেছেন ইমাম তিরমিযী ৪/২২১,২২২ তোহফাতুল আহওয়াজী সহ), ইবনু মাজাহ ১/৬২৩) ও নাসাঈ।
قال عقبة بن عامر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ألا أخبركم بالتيس المستعار؟ قالوا بلى يا رسول الله . قال : هو المحلل. لعن الله المحلل والمحلل له)). أخرجه ابن ماجة: ১/৬২৩.
‘উকবাহ ইবনু ‘আমির বলেন,রাসূল ﷺ বলেছেন: তোমাদেরকে কি সংবাদ দিবনা ভাড়া করা ষাঁড় পাঁঠা) সম্পর্কে ? তারা উপস্থিত সাহাবীগণ) বললেন: জি হ্যাঁ হে আল্লাহর রাসূল। রাসূল) বললেন: সে হচ্ছে হালালকারী। আল্লাহর অভিশাপ হালালকারীর উপর আর যার জন্য হালাল করা হয় তার উপর।
হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ইবনু মাজাহ ১/৬২৩) বইরুত ছাপা।
অতএব তথাকথিত আলিমদের খপ্পরে না পড়ে আপনারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যদি এরূপ সমস্যায় জড়িয়ে পড়ে থাকেন তাহলে একত্রে দেয়া তিন তালাককে সুন্নাতের উপর আমল করার স্বার্থে এক তালাক গণ্যকরে পুনরায় সংসারে ফিরে সংসার করা আরম্ভ করুন। ইনশাআল্লাহ নাবীর সূন্নাতের উপর আমল করার কারণে আপনারা সাওয়াবের ভাগীদার হবেন।
بَاب مَنْ أَجَازَ طَلاَقَ الثَّلاَثِ لِقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْه“ أَنَّ امْرَأَةَ رِفَاعَةَ الْقُرَظِيِّ جَاءَتْ إِلٰى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ إِنَّ رِفَاعَةَ طَلَّقَنِي فَبَتَّ طَلاَقِي وَإِنِّي نَكَحْتُ بَعْدَه“ عَبْدَ الرَّحْمٰنِ بْنَ الزُّبَيْرِ الْقُرَظِيَّ وَإِنَّمَا مَعَه“ مِثْلُ الْهُدْبَةِ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَعَلَّكِ تُرِيدِينَ أَنْ تَرْجِعِي إِلٰى رِفَاعَةَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَكِ وَتَذُوقِي عُسَيْلَتَهُ.
Narrated `Aisha:
The wife of Rifa`a Al-Qurazi came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Rifa`a divorced me irrevocably. After him I married `Abdur-Rahman bin Az-Zubair Al-Qurazi who proved to be impotent." Allah's Messenger (ﷺ) said to her, "Perhaps you want to return to Rifa`a? Nay (you cannot return to Rifa`a) until you and `Abdur-Rahman consummate your marriage."
পরিচ্ছেদঃ ৬৮/৪. যারা তিন ত্বলাক্বকে জায়েয মনে করেন। যেমন মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এই ত্বলাক দু’বার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্তি দিবে।’’সূরাহ আল-বাক্বারাহ ২/২২৯)
৫২৬১. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে সে স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করল। পরে দ্বিতীয় স্বামীও তাকে তালাক দিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হল মহিলাটি কি প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে? তিনি বললেনঃ না, যতক্ষণ না সে দ্বিতীয় স্বামী তার স্বাদ গ্রহণ করবে, যেমন স্বাদ গ্রহণ করেছিল প্রথম স্বামী। [২৬৩৯] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭০)
بَاب مَنْ أَجَازَ طَلاَقَ الثَّلاَثِ لِقَوْلِ اللهِ تَعَالٰى
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي الْقَاسِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.
Narrated `Aisha:
A man divorced his wife thrice (by expressing his decision to divorce her thrice), then she married another man who also divorced her. The Prophet (ﷺ) was asked if she could legally marry the first husband (or not). The Prophet (ﷺ) replied, "No, she cannot marry the first husband unless the second husband consummates his marriage with her, just as the first husband had done."