পরিচ্ছেদঃ ৬৬/১০. সূরাহ আল-বাকারাহর ফযীলত
৫০০৮. আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে দু’টি আয়াত তিলাওয়াত করে....। [৪০০৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪২)
بابُ : فَضْلِ سورةِ البَقَرَةِ.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ قَرَأَ بِالآيَتَيْنِ. .. .
Narrated Abu Mas'ud:
Whoever recites two verses ... (text as in the following hadith)
পরিচ্ছেদঃ ৬৬/১০. সূরাহ আল-বাকারাহর ফযীলত
৫০০৯. আবূ মাস’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি রাতে সূরাহ বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট। [৪০০৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪২)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। সূরা বাকারার শেষের দুইটি আয়াত প্রত্যেক রাতে পাঠ করার বিষয়টি হলো: সুখময় জীবন লাভ এবং সমস্ত প্রকারের অমঙ্গল থেকে সুরক্ষিত হওয়ার উপাদান।
২। সূরা বাকারার শেষের দুইটি আয়াত প্রত্যেক রাতে পাঠ করলে মহান আল্লাহর সাথে মুসলিম ব্যক্তির ভরসা সঠিক পন্থায় দৃঢ় হয়।
৩। মুসলিম ব্যক্তির জন্য এই দুইটি আয়াত মুখস্থ করা উচিত। উক্ত আয়াত দুটি হলো এই যে, মহান আল্লাহ বলেছেন:
اٰمَنَ الرَّسُوۡلُ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡهِ مِنۡ رَّبِّهٖ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ؕ کُلٌّ اٰمَنَ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِکَتِهٖ وَ کُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ ۟ لَا نُفَرِّقُ بَیۡنَ اَحَدٍ مِّنۡ رُّسُلِهٖ ۟ وَ قَالُوۡا سَمِعۡنَا وَ اَطَعۡنَا ٭۫ غُفۡرَانَکَ رَبَّنَا وَ اِلَیۡکَ الۡمَصِیۡرُ ﴿۲۸۵﴾
لَا یُکَلِّفُ اللّٰهُ نَفۡسًا اِلَّا وُسۡعَهَا ؕ لَهَا مَا کَسَبَتۡ وَ عَلَیۡهَا مَا اکۡتَسَبَتۡ ؕ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَاۤ اِنۡ نَّسِیۡنَاۤ اَوۡ اَخۡطَاۡنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تَحۡمِلۡ عَلَیۡنَاۤ اِصۡرًا کَمَا حَمَلۡتَهٗ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِنَا ۚ رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَۃَ لَنَا بِهٖ ۚ وَ اعۡفُ عَنَّا ٝ وَ اغۡفِرۡ لَنَا ٝ وَ ارۡحَمۡنَا ٝ اَنۡتَ مَوۡلٰىنَا فَانۡصُرۡنَا عَلَی الۡقَوۡمِ الۡکٰفِرِیۡنَ ﴿۲۸۶﴾
ভাবার্থের অনুবাদ: “আল্লাহর রাসূল তদীয় প্রতিপালকের পক্ষ হতে তৎপ্রতি যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে, তাতে সে বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে প্রকৃত ঈমানদার মুসলিম জাতি। তারা সবাই সঠিক পন্থায় ঈমান স্থাপন করেছে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগণের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমূহের প্রতি এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি। তারা সবাই বলে: আমরা মুসলিম জাতি আল্লাহর রাসূলগণের মধ্যে কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করি না। কেননা আমরা তো সকল রাসূলগণের প্রতি সঠিক পন্থায় বিশ্বাস স্থাপন করেছি। তারা আরো বলে: আমরা আমাদের প্রতিপালকের বাণী শুনেছি এবং তা সাদরে বরণ করেছি। সুতরাং হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমাদেরকে আপনারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতেই হবে। আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের অতিরিক্ত কোনো কর্ম সম্পাদনের দায়িত্ব অর্পণ করেন না। সুতরাং সে ব্যক্তি যে সমস্ত সৎকর্ম সম্পাদন করেছে, সে সমস্ত সৎকর্ম তার কল্যাণের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে। এবং যে সমস্ত অপকর্ম সম্পাদন করেছে, সে সমস্ত অপকর্ম তার অমঙ্গলের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে। তারা আরো বলে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুলে যায় অথবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদেরকে উভয় বিষয়ের শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা প্রদান করুন। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের উপর এমন বোঝার ভার অর্পণ করবেন না, যেমন বোঝার ভার অর্পণ করেছিলেন আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের উপর এমন গুরুভার অর্পণ করবেন না, যে গুরুভার বহন করার শক্তি আমাদের নেই। এবং আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি কৃপা করুন। আপনি আমাদের সহায়ক। অতএব আপনি অমুসলিম সম্প্রদায়ের মোকাবেলায় আমাদেরকে সাহায্য করুন”।
(সূরা আল্ বাকারা, আয়াত নং ২৮৫ হতে ২৮৬ পর্যন্ত)।
بابُ : فَضْلِ سورةِ البَقَرَةِ.
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي مَسْعُودٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَرَأَ بِالآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ".
Narrated Abu Mas'ud:
The Prophet (ﷺ) said, "If somebody recited the last two Verses of Surat Al-Baqara at night, that will be sufficient for him."
পরিচ্ছেদঃ ৬৬/১০. সূরাহ আল-বাকারাহর ফযীলত
৫০১০. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রমাযানে যাকাতের মাল হিফাজতের দায়িত্ব দিলেন। এক সময় এক ব্যক্তি এসে খাদ্য-সামগ্রী উঠিয়ে নেয়ার উপক্রম করল। আমি তাকে ধরে ফেললাম এবং বললাম, আমি তোমাকে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে যাব। এরপর পুরো হাদীস বর্ণনা করেন। তখন লোকটি বলল, যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন, তখন আয়াতুল কুরসী পাঠ করবেন। এর কারণে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন পাহারাদার নিযুক্ত করা হবে এবং ভোর পর্যন্ত শায়ত্বন আপনার কাছে আসতে পারবে না। নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ঘটনা শুনে) বললেন, (যে তোমার কাছে এসেছিল) সে সত্য কথা বলেছে, যদিও সে বড় মিথ্যাচারী শায়ত্বন। [২৩১১] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪২)
بابُ : فَضْلِ سورةِ البَقَرَةِ.
وَقَالَ عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ حَدَّثَنَا عَوْفٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيْرِيْنَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ وَكَّلَنِيْ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِحِفْظِ زَكَاةِ رَمَضَانَ فَأَتَانِيْ آتٍ فَجَعَلَ يَحْثُوْ مِنْ الطَّعَامِ فَأَخَذْتُهُ فَقُلْتُ لَأَرْفَعَنَّكَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَصَّ الْحَدِيْثَ فَقَالَ إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الْكُرْسِيِّ لَنْ يَزَالَ مَعَكَ مِنْ اللهِ حَافِظٌ وَلَا يَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ وَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوْبٌ ذَاكَ شَيْطَانٌ.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) ordered me to guard the Zakat revenue of Ramadan. Then somebody came to me and started stealing from the foodstuff. I caught him and said, "I will take you to Allah's Messenger (ﷺ)!" Then Abu Huraira described the whole narration and said: That person said (to me), "(Please don't take me to Allah's Messenger (ﷺ) and I will tell you a few words by which Allah will benefit you.) When you go to your bed, recite Ayat-al-Kursi, (2.255) for then there will be a guard from Allah who will protect you all night long, and Satan will not be able to come near you till dawn." (When the Prophet (ﷺ) heard the story) he said (to me), "He (who came to you at night) told you the truth although he is a liar; and it was Satan."