পরিচ্ছেদঃ ৬৫/১৩/১. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আল্লাহ জানেন প্রত্যেক স্ত্রীলোক যা গর্ভে ধারণ করে এবং জরায়ুর মধ্যে যা কিছু কম ও বেশী হয়ে থাকে তাও তিনি জানেন।(সূরাহ আর-রাদ ১৩/৮)
(13) سُوْرَةُ الرَّعْدِ
সূরাহ (১৩) : আর্-রা’দ
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ) مَثَلُ الْمُشْرِكِ الَّذِيْ عَبَدَ مَعَ اللهِ إِلَهًا آخَرَ غَيْرَهُ كَمَثَلِ الْعَطْشَانِ الَّذِيْ يَنْظُرُ إِلَى ظِلِّ خَيَالِهِ فِي الْمَاءِ مِنْ بَعِيْدٍ وَهُوَ يُرِيْدُ أَنْ يَتَنَاوَلَهُ وَلَا يَقْدِرُ وَقَالَ غَيْرُهُ (سَخَّرَ) ذَلَّلَ (مُتَجَاوِرَاتٌ) مُتَدَانِيَاتٌ. [وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (مُتَجَاوِرَاتٌ) طَيِّبُها عَذْبُها وخَبِيْثُها السِّباخُ (الْمَثُلَاتُ) وَاحِدُهَا مَثُلَةٌ وَهِيَ الْأَشْبَاهُ وَالأَمْثَالُ وَقَالَ (إِلَّا مِثْلَ أَيَّامِ الَّذِيْنَ خَلَوْا بِمِقْدَارٍ) بِقَدَرٍ يُقَالُ (مُعَقِّبَاتٌ) مَلَائِكَةٌ حَفَظَةٌ تُعَقِّبُ الْأُوْلَى مِنْهَا الْأُخْرَى وَمِنْهُ قِيْلَ الْعَقِيْبُ أَيْ عَقَّبْتُ فِيْ إِثْرِهِ (الْمِحَالِ) الْعُقُوْبَةُ (كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ) لِيَقْبِضَ عَلَى الْمَاءِ (رَابِيًا) مِنْ رَبَا يَرْبُوْ (أَوْ مَتَاعٍ زَبَدٌ) مِثْلُهُ الْمَتَاعُ مَا تَمَتَّعْتَ بِهِ (جُفَاءً) يُقَالُ أَجْفَأَتْ الْقِدْرُ إِذَا غَلَتْ فَعَلَاهَا الزَّبَدُ ثُمَّ تَسْكُنُ فَيَذْهَبُ الزَّبَدُ بِلَا مَنْفَعَةٍ فَكَذَلِكَ يُمَيِّزُ الْحَقَّ مِنَ الْبَاطِلِ (الْمِهَادُ) الْفِرَاشُ (يَدْرَءُوْنَ) يَدْفَعُوْنَ دَرَأْتُهُ عَنِّيْ دَفَعْتُهُ (سَلَامٌ عَلَيْكُمْ) أَيْ يَقُوْلُوْنَ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ (وَإِلَيْهِ مَتَابِ) تَوْبَتِيْ (أَفَلَمْ يَيْئَسْ) أَفَلَمْ يَتَبَيَّنْ (قَارِعَةٌ) دَاهِيَةٌ (فَأَمْلَيْتُ) أَطَلْتُ مِنَ الْمَلِيِّ وَالْمِلَاوَةِ وَمِنْهُ (مَلِيًّا) وَيُقَالُ لِلْوَاسِعِ الطَّوِيْلِ مِنَ الْأَرْضِ مَلًى مِنَ الْأَرْضِ (أَشَقُّ) أَشَدُّ مِنَ الْمَشَقَّةِ (مُعَقِّبَ) مُغَيِّرٌ وَقَالَ مُجَاهِدٌ (مُتَجَاوِرَاتٌ) طَيِّبُهَا وَخَبِيْثُهَا السِّبَاخُ (صِنْوَانٌ)النَّخْلَتَانِ أَوْ أَكْثَرُ فِيْ أَصْلٍ وَاحِدٍ (وَغَيْرُ صِنْوَانٍ) وَحْدَهَا (بِمَآءٍ وَّاحِدٍ) كَصَالِحِ بَنِيْ آدَمَ وَخَبِيْثِهِمْ أَبُوْهُمْ وَاحِدٌ (السَّحَابُ الثِّقَالُ) الَّذِيْ فِيْهِ الْمَاءُ (كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ) يَدْعُو الْمَاءَ بِلِسَانِهِ وَيُشِيْرُ إِلَيْهِ بِيَدِهِ فَلَا يَأْتِيْهِ أَبَدًا. (سَالَتْ أَوْدِيَةٌمبِقَدَرِهَا) تَمْلَا بَطْنَ كُلِّ وَادٍ (زَبَدًا رَابِيًا) الزَّبَدُ زَبَدُ السَّيْلِ زَبَدٌ مِثْلُهُ خَبَثُ الْحَدِيْدِ وَالْحِلْيَةِ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)বলেন, كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ যেমন, কেউ হাত বাড়িয়ে দেয়। এটি মুশরিকের দৃষ্টান্ত যারা ’ইবাদাতে আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে শরীক করে। যেমন পিপাসার্ত ব্যক্তি যে দূর থেকে পানি পাওয়ার আশা করে, অথচ পানি সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় না। অন্যেরা বলেন, سَخَّرَসে অনুগত হল।’’ مُتَجَاوِرَاتٌ পরস্পর নিকটবর্তী হল। الْمَثُلَاتُ (উপমা, দৃষ্টান্ত) مَثُلَةٌ-এর বহুবচন। আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, ’ওরা কি ওদের পূর্বে যা ঘটেছে তারই অনুরূপ ঘটনারই প্রতীক্ষা করে? بِمِقْدَارٍনির্দিষ্ট পরিমাণ। مُعَقِّبَاتٌ ফেরেশ্তা, যারা একের পর এক সকাল-সন্ধ্যায় বদলি হয়ে থাকে। যেমন عَقِيْبُপিছনে (বদলি)। যেমন বলা হয় عَقَّبْتُ فِيْٓ إِثْرِهِ আমি তার পরে (বদলি) এসেছি। الْمِحَالِ শাস্তি كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ إِلَى الْمَآءِ সে তৃষ্ণার্তের মত, যে নিজের দুই হাত পানির দিকে বাড়িয়ে দেয়, পানি পাওয়ার জন্য। رَابِيًا (বর্ধনশীল) رَبَايَرْبُوْ থেকে গঠিত। زَبَدٌ ফেনা, সর। الْمَتَاعُ যা দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, যা উপভোগ করা হয়। جُفَاءً বলা হয়, মাংসের পাতিল যখন উত্তপ্ত করা হয়, তখন তার ওপরে ফেনা জমে। এরপর ঠান্ডা হয় এবং ফেনার বিলুপ্তি ঘটে। সেরূপ সত্য, বাতিল (মিথ্যা) থেকে আলাদা হয়ে থাকে।’’ الْمِهَادُ বিছানা يَدْرَءُوْنَ তারা প্রতিহত করে। دَرَأْتُهُ ও دَفَعْتُهُ আমি তাকে দূরে হটিয়ে দিলাম। মালায়িকাহ বলবেন, سَلَامٌعَلَيْكُمْ তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। وَإِلَيْهِ مَتَابِ আমি তাঁর কাছে প্রত্যাবর্তন করছি। أَفَلَمْيَيْئَسْ-এটা কি তাদের কাছে প্রকাশ পায়নি, قَارِعَةٌ আকস্মিক বিপদ فَأَمْلَيْتُ আমি অবকাশ দিয়েছি। مَلِيِّ ও مِلَاوَةٌ হতে পঠিত। সে অর্থে مَلِيًّا ব্যবহৃত। প্রশস্ত ও দীর্ঘ যমীনকে مَلًى مِنَ الْأَرْضِ বলা হয়। أَشَقُّ (অধিক কঠিন) اِسْمِ تَفْضِيْلَ-مَشَقَّةِ থেকে গঠিত। مُعَقِّبَ পরিবর্তনশীল। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, مُتَجَاوِرَاتٌ অর্থ, কিছু জমি কৃষি উপযোগী এবং কিছু জমি কৃষির অনুপযোগী। আর তাতে একটা থেকে দুই বা ততোধিক খেজুর গাছ উৎপন্ন হয় এবং কতিপয় যমীনে পৃথক পৃথকভাবে উৎপন্ন হয়। সেরূপ অবস্থা আদম (আঃ)-এর সন্তানদের। কেউ নেক্কার আর কেউ বদকার, অথচ সকলেই আদমের সন্তান। السَّحَابُ الثِّقَالُ পানিতে পূর্ণ মেঘমালা। كَبَاسِطِ كَفَّيْهِ তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি মুখ দিয়ে পানি চায় এবং হাত দিয়ে পানির দিকে ইশারা করে। তারপর সে সর্বদা তা থেকে বঞ্চিত থাকে। سَالَتْ أَوْدِيَةٌ بِقَدَرِهَا নানাসমূহ তার পরিমাণ মাফিক প্রবাহিত হয়ে ’’বাতনে ওয়াদী’’[1] কে ভরে দেয়। زَبَدًا رَابِيًا প্রবাহিত ফেনা। লোহা ও অলংকার উত্তপ্ত করা হলে যেমন ময়লা বের হয়ে আসে।
৪৬৯৭. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’ইল্ম গায়েব-এর চাবিকাঠি পাঁচটি, যা আল্লাহ্ ভিন্ন কেউ জানে না। তা হলোঃ আগামী দিন কী হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। মায়ের জরায়ুতে কী আছে, তা আল্লাহ্ ভিন্ন আর কেউ জানে না। বৃষ্টি কখন আসবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। কোন ব্যক্তি জানে না তার মৃত্যু কোথায় হবে এবং ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) কবে সংঘটিত হবে, তা আল্লাহ্ ব্যতীত আর কেউ জানে না। [১০৩৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩৩৬)
بَاب قَوْلِهِ :{اللهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثٰى وَمَا تَغِيْضُ الْأَرْحَامُ
إِبْرَاهِيْمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ قَالَ حَدَّثَنِيْ مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ خَمْسٌ لَا يَعْلَمُهَا إِلَّا اللهُ لَا يَعْلَمُ مَا فِيْ غَدٍ إِلَّا اللهُ وَلَا يَعْلَمُ مَا تَغِيْضُ الْأَرْحَامُ إِلَّا اللهُ وَلَا يَعْلَمُ مَتَى يَأْتِي الْمَطَرُ أَحَدٌ إِلَّا اللهُ وَلَا تَدْرِيْ نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوْتُ وَلَا يَعْلَمُ مَتَى تَقُوْمُ السَّاعَةُ إِلَّا اللهُ
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "The keys of Unseen are five which none knows but Allah: None knows what will happen tomorrow but Allah; none knows what is in the wombs (a male child or a female) but Allah; none knows when it will rain but Allah; none knows at what place one will die; none knows when the Hour will be established but Allah." (See The Qur'an 31:34.")