পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৫/৫. ‘‘যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং পৃথিবীতে হাঙ্গামা সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি হল-তাদের হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত ও পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে অথবা দেশ থেকে তাদের নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা আর আখিরাতে তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।’’ (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩৩)

الْمُحَارَبَةُ لِلهِ الْكُفْرُ بِهِ - আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করা।


৪৬১০. আবূ ক্বিলাবাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ’উমার ইবনু ’আবদুল ’আযীয (রহ.)-এর পেছনে উপবিষ্ট ছিলেন। তাঁরা কাসামাত দন্ড সম্পর্কিত হাদীসটি আলোচনা করলেন এবং এর অবস্থা সম্পর্কে আলাপ করলেন, তাঁরা মৃত্যুদন্ডের পক্ষে বললেন এবং এও বললেন যে, খুলাফায়ে রাশিদ্বীন এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছেন। এরপর তিনি আবূ কিলাবার প্রতি তাকালেন, আবূ কিলাবাহ তাঁর পেছনে ছিলেন। তিনি ’আবদুল্লাহ ইবনু যায়দ নামে কিংবা আবূ কিলাবাহ নামে ডেকে বললেন, এই ব্যাপারে তোমার মতামত কী? আমি বললাম, বিয়ের পর ব্যভিচার, কিসাস ব্যতীত খুন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার কোন একটি ব্যতীত অন্য কোন কারণে কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া ইসলামে বৈধ বলে আমার জানা নেই।

আনবাসা বললেন, আনাস (রাঃ) আমাদেরকে হাদীস এভাবে বর্ণনা করেছেন (অর্থাৎ হাদীসে আরনিন)। আমি (আবূ ক্বিলাবাহ) বললাম, আমাকেও আনাস (রাঃ) এই হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদল লোক নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটে এসে তাঁর সঙ্গে আলাপ করল, তারা বলল, আমরা এ দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারছি না। রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলো আমার উট, ঘাস খাওয়ার জন্যে বের হচ্ছে, তোমরা এগুলোর সঙ্গে যাও এবং এদের দুধ ও পেশাব পান কর। তারা ওগুলোর সঙ্গে বেরিয়ে গেল এবং দুধ ও প্রস্রাব পান করে সুস্থ হয়ে উঠল, এরপর রাখালের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে পশুগুলো লুট করে নিয়ে গেল।

এখন তাদেরকে হত্যা না করার পক্ষে আর কোন যুক্তিই থাকল না। তারা নরহত্যা করেছে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভয় দেখিয়েছে। ’আনবাসা আশ্চর্য হয়ে বলল, সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, আমার এই হাদীস সম্পর্কে তুমি কি আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেবে? ’আনবাসা বলল, আনাস (রাঃ) আমাদেরকে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন, আবূ কিলাবাহ বললেন, তখন ’আনবাসা বলল, হে এই দেশবাসী (অর্থাৎ সিরিয়াবাসী) এ রকম ব্যক্তিবর্গ যতদিন তোমাদের মধ্যে থাকবে ততদিন তোমরা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। [২৩৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২৫২)

بَاب :{إِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِيْنَ يُحَارِبُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَه” وَيَسْعَوْنَ فِي الْأَرْضِ فَسَادًا أَنْ يُّقَتَّلُوْآ أَوْ يُصَلَّبُوْآ}إِلَى قَوْلِهِ: {أَوْ يُنْفَوْا مِنَ الْأَرْضِ}

عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَنْصَارِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ سَلْمَانُ أَبُوْ رَجَاءٍ مَوْلَى أَبِيْ قِلَابَةَ عَنْ أَبِيْ قِلَابَةَ أَنَّهُ كَانَ جَالِسًا خَلْفَ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيْزِ فَذَكَرُوْا وَذَكَرُوْا فَقَالُوْا وَقَالُوْا قَدْ أَقَادَتْ بِهَا الْخُلَفَاءُ فَالْتَفَتَ إِلَى أَبِيْ قِلَابَةَ وَهْوَ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَقَالَ مَا تَقُوْلُ يَا عَبْدَ اللهِ بْنَ زَيْدٍ أَوْ قَالَ مَا تَقُوْلُ يَا أَبَا قِلَابَةَ قُلْتُ مَا عَلِمْتُ نَفْسًا حَلَّ قَتْلُهَا فِي الإِسْلَامِ إِلَّا رَجُلٌ زَنَى بَعْدَ إِحْصَانٍ أَوْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ حَارَبَ اللهَ وَرَسُوْلَهُ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا أَنَسٌ بِكَذَا وَكَذَا قُلْتُ إِيَّايَ حَدَّثَ أَنَسٌ قَالَ قَدِمَ قَوْمٌ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمُوْهُ فَقَالُوْا قَدْ اسْتَوْخَمْنَا هَذِهِ الْأَرْضَ فَقَالَ هَذِهِ نَعَمٌ لَنَا تَخْرُجُ فَاخْرُجُوْا فِيْهَا فَاشْرَبُوْا مِنَ الْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا فَخَرَجُوْا فِيْهَا فَشَرِبُوْا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا وَاسْتَصَحُّوْا وَمَالُوْا عَلَى الرَّاعِيْ فَقَتَلُوْهُ وَاطَّرَدُوا النَّعَمَ فَمَا يُسْتَبْطَأُ مِنْ هَؤُلَاءِ قَتَلُوا النَّفْسَ وَحَارَبُوا اللهَ وَرَسُوْلَهُ وَخَوَّفُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سُبْحَانَ اللهِ فَقُلْتُ تَتَّهِمُنِيْ قَالَ حَدَّثَنَا بِهَذَا أَنَسٌ قَالَ وَقَالَ يَا أَهْلَ كَذَا إِنَّكُمْ لَنْ تَزَالُوْا بِخَيْرٍ مَا أُبْقِيَ هَذَا فِيْكُمْ أَوْ مِثْلُ هَذَا.

علي بن عبد الله حدثنا محمد بن عبد الله الانصاري حدثنا ابن عون قال حدثني سلمان ابو رجاء مولى ابي قلابة عن ابي قلابة انه كان جالسا خلف عمر بن عبد العزيز فذكروا وذكروا فقالوا وقالوا قد اقادت بها الخلفاء فالتفت الى ابي قلابة وهو خلف ظهره فقال ما تقول يا عبد الله بن زيد او قال ما تقول يا ابا قلابة قلت ما علمت نفسا حل قتلها في الاسلام الا رجل زنى بعد احصان او قتل نفسا بغير نفس او حارب الله ورسوله صلى الله عليه وسلم فقال عنبسة حدثنا انس بكذا وكذا قلت اياي حدث انس قال قدم قوم على النبي صلى الله عليه وسلم فكلموه فقالوا قد استوخمنا هذه الارض فقال هذه نعم لنا تخرج فاخرجوا فيها فاشربوا من البانها وابوالها فخرجوا فيها فشربوا من ابوالها والبانها واستصحوا ومالوا على الراعي فقتلوه واطردوا النعم فما يستبطا من هولاء قتلوا النفس وحاربوا الله ورسوله وخوفوا رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال سبحان الله فقلت تتهمني قال حدثنا بهذا انس قال وقال يا اهل كذا انكم لن تزالوا بخير ما ابقي هذا فيكم او مثل هذا.


Narrated Abu Qilaba:

That he was sitting behind `Umar bin `Abdul `Aziz and the people mentioned and mentioned (about at-Qasama) and they said (various things), and said that the Caliphs had permitted it. `Umar bin `Abdul `Aziz turned towards Abu Qilaba who was behind him and said. "What do you say, O `Abdullah bin Zaid?" or said, "What do you say, O Abu Qilaba?" Abu Qilaba said, "I do not know that killing a person is lawful in Islam except in three cases: a married person committing illegal sexual intercourse, one who has murdered somebody unlawfully, or one who wages war against Allah and His Apostle." 'Anbasa said, "Anas narrated to us such-and-such." Abu Qilaba said, "Anas narrated to me in this concern, saying, some people came to the Prophet (ﷺ) and they spoke to him saying, 'The climate of this land does not suit us.' The Prophet (ﷺ) said, 'These are camels belonging to us, and they are to be taken out to the pasture. So take them out and drink of their milk and urine.' So they took them and set out and drank of their urine and milk, and having recovered, they attacked the shepherd, killed him and drove away the camels.' Why should there be any delay in punishing them as they murdered (a person) and waged war against Allah and His Apostle and frightened Allah's Messenger (ﷺ) ?" Anbasa said, "I testify the uniqueness of Allah!" Abu Qilaba said, "Do you suspect me?" 'Anbasa said, "No, Anas narrated that (Hadith) to us." Then 'Anbasa added, "O the people of such-and-such (country), you will remain in good state as long as Allah keeps this (man) and the like of this (man) amongst you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ কিলাবাহ্ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (তাওহীদ পাবলিকেশন)
৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير) 65/ Prophetic Commentary on the Qur'an (Tafseer of the Prophet (pbuh)