পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৩০. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(وَقٰتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَّيَكُوْنَ الدِّيْنُ لِلهِ ط فَإِنِ انْتَهَوْا فَلَا عُدْوَانَ إِلَّا عَلَى الظّٰلِمِيْنَ)
’’আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন শুধু আল্লাহর জন্য হয়। তারপর যদি তারা নিবৃত হয়ে যায় তবে সীমালংঘনকারীদের ব্যতীত কাউকে জবরদস্তি করা চলবে না।’’ (সূরাহ আল-বাকারাহ ২/১৯৩)
৪৫১৩. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁর কাছে দুই ব্যক্তি ’আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রের যুগে সৃষ্ট ফিতনার সময় আগমন করল এবং বলল, লোকেরা সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর আপনি উমার (রাঃ)-এর পুত্র এবং নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী! কী কারণে আপনি বের হন না? তিনি উত্তর দিলেন আমাকে নিষেধ করেছে এই কথা-’নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা আমার ভাইয়ের রক্ত হারাম করেছে। তারা দু’জন বললেন, আল্লাহ কি এ কথা বলেননি যে, তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর যাবৎ না ফিতনার অবসান ঘটে। তখন ইবনু উমার (রাঃ) বললেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি যাবৎ না ফিতনার অবসান ঘটেছে এবং দ্বীনও আল্লাহর জন্য হয়ে গেছে। আর তোমরা ফিতনা প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করার ইচ্ছা করছ আর যেন আল্লাহ ব্যতীত অন্যের জন্য দ্বীন হয়ে গেছে। [৩১৩০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৫৮)
بَاب قَوْلِهِ
مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَتَاهُ رَجُلَانِ فِيْ فِتْنَةِ ابْنِ الزُّبَيْرِ فَقَالَا إِنَّ النَّاسَ صَنَعُوْا وَأَنْتَ ابْنُ عُمَرَ وَصَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ تَخْرُجَ فَقَالَ يَمْنَعُنِيْ أَنَّ اللهَ حَرَّمَ دَمَ أَخِيْ فَقَالَا أَلَمْ يَقُلْ اللهُ : (وَقٰتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ) : فَقَالَ قَاتَلْنَا حَتَّى لَمْ تَكُنْ فِتْنَةٌ وَكَانَ الدِّيْنُ لِلهِ وَأَنْتُمْ تُرِيْدُوْنَ أَنْ تُقَاتِلُوْا حَتَّى تَكُوْنَ فِتْنَةٌ وَيَكُوْنَ الدِّيْنُ لِغَيْرِ اللهِ.
Narrated Nafi`:
During the affliction of Ibn Az-Zubair, two men came to Ibn `Umar and said, "The people are lost, and you are the son of `Umar, and the companion of the Prophet, so what forbids you from coming out?" He said, "What forbids me is that Allah has prohibited the shedding of my brother's blood." They both said, "Didn't Allah say, 'And fight then until there is no more affliction?" He said "We fought until there was no more affliction and the worship is for Allah (Alone while you want to fight until there is affliction and until the worship become for other than Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৩০. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৪৫১৪. নাফি’ (রহ.) থেকে কিছু বাড়িয়ে বলেন যে, এক ব্যক্তি ইবনু ’উমার (রাঃ)-এর নিকট এসে বলল, হে আবূ ’আবদুর রহমান! কী কারণে আপনি এক বছর হাজ্জ করেন এবং এক বছর ’উমরাহ করেন অথচ আল্লাহর পথে জিহাদ ত্যাগ করেছেন? আপনি পরিজ্ঞাত আছেন যে, আল্লাহ এ বিষয়ে জিহাদ সম্পর্কে কীভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, হে ভাতিজা! ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে পাঁচটি বস্তুর উপরঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ঈমান আনা, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত প্রতিষ্ঠা, রমাযানের সওম পালন, যাকাত প্রদান এবং বাইতুল্লাহর হাজ্জ পালন। তখন সে ব্যক্তি বলল, হে আবূ ’আবদুর রহমান! আল্লাহ তা’আলা তাঁর কিতাবে কী বর্ণনা করেছেন তা কি আপনি শুনেননি? وَإِنْ طَآئِفَتٰنِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوْا فَأَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ج فَإِنْمبَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْٓءَ إِلٰٓى أَمْرِ اللهِ ’’আর যদি মু’মিনদের দু’টি দল পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তবে তোমরা তাদের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করে দিবে। অতঃপর যদি তাদের একদল অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তবে তোমরা যারা বাড়াবাড়ি করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে। যদি তারা ফিরে আসে, তবে তোমরা উভয় দলের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে সন্ধি করে দিবে এবং ইনসাফ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফ কায়িমকারীদেরকে ভালবাসেন।’’ (সূরাহ আল-হুজরাত ৪৯/৯)
قَاتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ (এ আয়াতগুলো শ্রবণ করার পর) ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, আমরা এ কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে করেছি এবং তখন ইসলামের অনুসারীর দল স্বল্প সংখ্যক ছিল। যদি কোন লোক দ্বীন সম্পর্কে ফিতনায় নিপতিত হত তখন হয় তাকে হত্যা করা হত অথবা শাস্তি প্রদান করা হত। এভাবে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বেড়ে গেল। তখন আর কোন ফিতনা রইল না। [৮, ৩১৩০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৫৮ শেষাংশ)
بَاب قَوْلِهِ
وَزَادَ عُثْمَانُ بْنُ صَالِحٍ عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ فُلَانٌ وَحَيْوَةُ بْنُ شُرَيْحٍ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو الْمَعَافِرِيِّ أَنَّ بُكَيْرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَهُ عَنْ نَافِعٍ أَنَّ رَجُلًا أَتَى ابْنَ عُمَرَ فَقَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا حَمَلَكَ عَلَى أَنْ تَحُجَّ عَامًا وَتَعْتَمِرَ عَامًا وَتَتْرُكَ الْجِهَادَ فِيْ سَبِيْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقَدْ عَلِمْتَ مَا رَغَّبَ اللهُ فِيْهِ قَالَ يَا ابْنَ أَخِيْ بُنِيَ الإِسْلَامُ عَلَى خَمْسٍ إِيْمَانٍ بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ وَالصَّلَاةِ الْخَمْسِ وَصِيَامِ رَمَضَانَ وَأَدَاءِ الزَّكَاةِ وَحَجِّ الْبَيْتِ قَالَ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلَا تَسْمَعُ مَا ذَكَرَ اللهُ فِيْ كِتَابِهِ (وَإِنْ طَآئِفَتٰنِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ اقْتَتَلُوْا فَأَصْلِحُوْا بَيْنَهُمَا ج فَإِنْمبَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرٰى فَقَاتِلُوا الَّتِيْ تَبْغِيْ حَتّٰى تَفِيْٓءَ إِلٰٓى أَمْرِ اللهِ) وَ(قَاتِلُوْهُمْ حَتّٰى لَا تَكُوْنَ فِتْنَةٌ) قَالَ فَعَلْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ الإِسْلَامُ قَلِيْلًا فَكَانَ الرَّجُلُ يُفْتَنُ فِيْ دِيْنِهِ إِمَّا قَتَلُوْهُ وَإِمَّا يُعَذِّبُوْنَهُ حَتَّى كَثُرَ الإِسْلَامُ فَلَمْ تَكُنْ فِتْنَةٌ
Narrated Nafi` (through another group of sub-narrators): A man came to Ibn `Umar and said, "O Abu `Abdur Rahman! What made you perform Hajj in one year and Umra in another year and leave the Jihad for Allah' Cause though you know how much Allah recommends it?" Ibn `Umar replied, "O son of my brother! Islam is founded on five principles, i.e. believe in Allah and His Apostle, the five compulsory prayers, the fasting of the month of Ramadan, the payment of Zakat, and the Hajj to the House (of Allah)." The man said, "O Abu `Abdur Rahman! Won't you listen to why Allah has mentioned in His Book: 'If two groups of believers fight each other, then make peace between them, but if one of then transgresses beyond bounds against the other, then you all fight against the one that transgresses. (49.9) and:--"And fight them till there is no more affliction (i.e. no more worshiping of others along with Allah)." Ibn `Umar said, "We did it, during the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) when Islam had only a few followers. A man would be put to trial because of his religion; he would either be killed or tortured. But when the Muslims increased, there was no more afflictions or oppressions."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/২/৩০. মহান আল্লাহর বাণীঃ
৪৫১৫. সে ব্যক্তি বলল, ’আলী ’উসমান (রাঃ) সম্পর্কে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, ’উসমান (রাঃ)-কে তো আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করেছেন অথচ তোমরা তাকে ক্ষমা করা পছন্দ কর না। আর ’আলী (রাঃ)-তিনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাচাত ভাই এবং তাঁর জামাতা। তিনি নিজ হাতে ইশারা করে বলেন, এই তো তার ঘর যেমন তোমরা দেখছ। [৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪১৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪১৫৮ শেষাংশ)
بَاب قَوْلِهِ
قَالَ فَمَا قَوْلُكَ فِيْ عَلِيٍّ وَعُثْمَانَ قَالَ أَمَّا عُثْمَانُ فَكَأَنَّ اللهَ عَفَا عَنْهُ وَأَمَّا أَنْتُمْ فَكَرِهْتُمْ أَنْ تَعْفُوْا عَنْهُ وَأَمَّا عَلِيٌّ فَابْنُ عَمِّ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَخَتَنُهُ وَأَشَارَ بِيَدِهِ فَقَالَ هَذَا بَيْتُهُ حَيْثُ تَرَوْنَ
The man said, "What is your opinion about `Uthman and `Ali?" Ibn `Umar said, "As for `Uthman, it seems that Allah has forgiven him, but you people dislike that he should be forgiven. And as for `Ali, he is the cousin of Allah's Messenger (ﷺ) and his son-in-law." Then he pointed with his hand and said, "That is his house which you see."